আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়া উনার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-১৬

সংখ্যা: ২২২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুবারক শিশুকালে বুযূর্গী ও পবিত্র ইলম শিক্ষা : ‘তাজকেরা’ নামক কিতাব উনার মাঝে বর্ণিত আছে, যুগের ইমাম, আওলাদে রসূল, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার রেহেম শরীফ উনার মধ্যে থাকাকালীন মহাসম্মানিতা আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি স্বপ্ন দেখেন যে, উনার রক্ত মুবারক দ্বারা একখ- কাগজে কিছু লিখা হলো এবং পরক্ষণেই উক্ত কাগজখ- সারা দুনিয়াতে উড়তে লাগলো। তিনি এই মুবারক স্বপ্ন দেখার পর উনার বুযূর্গ জামাতা হযরত সাইয়্যিদ আব্দুস সুবহান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট স্বপ্নের তাবীর জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন- “আপনার মুবারক রেহেম শরীফ উনার মাঝে আগত বুযূর্গ সন্তান বিলাদত শরীফ লাভ করার পর কালক্রমে সারা দুনিয়াতে প্রসিদ্ধি লাভ করবেন এবং সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী হবেন।” সুবহানাল্লাহ!

সত্যিই যুগের ইমাম, আওলাদে রসূল, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার মুবারক স্বপ্ন এবং বুযূর্গ ভগ্নিপতি উনার তাবীর মুতাবিক বরং আরো বেশি দুনিয়া মাঝে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। উনার মুবারক সুমহান সিলসিলা সারা দুনিয়ার মুসলিম উম্মাহ উনাদেরকে একই সূত্রে গেঁথেছে। সুবহানাল্লাহ! বিভিন্ন কিতাবের বর্ণনা মতে, চার বৎসর বয়স মুবারক-এ উনাকে মক্তবে পবিত্র দ্বীনি ইলম উনার শিক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তিন বছর তিনি মক্তবে তা’লীম গ্রহণ করেন। কিন্তু পবিত্র খান্দান উনার অন্যান্য শিশু কিশোর উনাদের মতো তিনি পাঠে তেমন মনোযোগী ছিলেন না। বরং সর্বক্ষণ গভীর ধ্যান তথা মুরাকাবা-মুশাহাদা হালত মুবারক-এ অবস্থান করতেন। এমতাবস্থায় উনার মহাসম্মানিত বুযূর্গ পিতা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ইরফান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তদারককারী সকলকে লক্ষ্য করে বললেন- উনাকে আপনারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক-এ ছেড়ে দিন। তিনিই উনার ব্যাপারে যা ভালো মনে করবেন তাই করবেন। এ ব্যাপারে আমাদের বিশেষ মনোযোগ কোন কাজে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। সত্যিই তো এই মহান সাইয়্যিদী নূর তিনি তো খালিক্ব মালিক রব উনার লক্ষ্যস্থল হবেন, তিনি মুসলিম উম্মাহ উনাদের নাজাতের কাণ্ডারী হবেন, তিনি কাফির-মুশরিকদের যালিমদের যুলুমের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। উনার চাল-চলন, আমল-আখলাক কিংবা পবিত্র দ্বীনি ইলম চর্চা করার মাঝেও ব্যতিক্রমতা থাকতে পারে এটাই তো স্বাভাবিক। সাধারণভাবে বিষয়টির সূক্ষ্ম গভীরতা কি করে বুঝা সম্ভব। এটাও ব্যতিক্রম যে, তিনি শিশুকালেই বীরত্বমূলক প্রতিযোগিতার প্রতি বিশেষ উৎসাহী ছিলেন। যে বয়সে সাধারণ বালকগণ নানাপ্রকার খেলাধুলা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত থাকে তিনি সেই বয়সে পুরো সময় হয় মুরাকাবা-মুশাহাদা কিংবা কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার চিন্তা-চেতনায় মগ্ন থাকতেন। সুবহানাল্লাহ!

যুগের ইমাম, আওলাদে রসূল, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং উনার মুবারক শৈশবকাল সম্পর্কে বর্ণনা করেন- “বাল্যকাল হতেই আমার মনে এই ধারণা এই চেতনা জাগ্রত হতো যে, একদিন আমি দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কাট্টা কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবো।” সুবহানাল্লাহ! তাই তো শৈশবকালেই দেখা যেত উনার সঙ্গী-সাথীদের দুটি দলে বিভক্ত করে লড়াই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। মুজাহিদে ইসলাম নাম দিয়ে একটি দলের তিনি নিজে আমীর হতেন। অন্য দলটির নাম দেয়া হতো কাফির বাহিনী। এভাবে দুটি দলের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেত। যুদ্ধে যখন উনার মুজাহিদ বাহিনী কামিয়াব হতেন তখন তিনি এবং উনার মুজাহিদ সঙ্গী-সাথীগণ সকলে সুউচ্চ কণ্ঠে তাকবীর দিতেন। সুবহানাল্লাহ! এটা হবেই না কেন? কারণ তিনি তো আসাদুল্লাহিল গালিব সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার পাক আওলাদ উনাদের অন্তর্ভুক্ত নূর। উনার মুবারক জিসম শরীফ উনার মাঝে তো মিশে আছে সেই সুমহান হুসাইনী মুবারক রক্তধারা। কাফির-মুশরিক-বাতিলের বিরুদ্ধে জিহাদ করা যে উনারই ঊর্ধ্বতন মুবারক পবিত্র বংশ উনাদের সুমহান ঐতিহ্য। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, এভাবেই উনার মুবারক শৈশবকাল অতিবাহিত হতে হতে তিনি মক্তবের শিক্ষা সমাপ্ত করতঃ একইসাথে আরবী ও ফার্সী ভাষা খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করে নেন এবং মিশকাতুল মাছাবীহ শরীফ পাঠ শেষ করেন। পরবর্তীতে পরিণত বয়সে তিনি মহান ইলাহী পাক উনার ইশারায় দিল্লি গমন করেন। সেখানে বিশিষ্ট আলিম ও বুযূর্গ হযরত শাহ ইসহাক দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট কাফিয়া ও পবিত্র মিশকাত শরীফ উনার পাঠ সমাপ্ত করেন।

 – মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১