আলবাশীর, আলবুরহান, আলবাদরুল মুনীর, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক আসমানে

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন-

ورفعنا لك ذكرك

অর্থ : (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি (মহান আল্লাহ পাক) আপনার যিকির বা আলোচনাকে বুলন্দ করেছি।” (সূরা আলাম নাশরাহ : আয়াত শরীফ ৪)

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার যিনি হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনাকে, উনার ছানা-ছিফতকে কতটুকু সমুন্নত করেছেন যা মাখলুক্বাতের চিন্তা-ফিকিরের ঊর্ধ্বে। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত, ফযীলত বর্ণনা করতে করতে উনার পবিত্রতম নাম মুবারক-এর সাথে উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সংযুক্ত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

কেউ যদি ক্বিয়ামত পর্যন্ত শুধু لا اله الا الله মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ বা মা’বুদ নেই’ বলে বা বিশ্বাস করে, সে কখনই ঈমানদার হতে পারবে না বরং কাফির ও চির জাহান্নামীই থেকে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল” এ বাক্যকে মনে-প্রাণে মেনে নিবে। অর্থাৎ মু’মিন-মুসলমানদের জন্য ঈমানী পূর্ণ কালিমা হচ্ছে-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

 অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম, তাবারানী শরীফ)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আ’যীমে গোটা জান্নাতে, লওহে মাহফূযে, তথা সারা আলমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক লিখে রেখেছেন। প্রথম মানব, প্রথম নবী ও প্রথম রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টির প্রারম্ভে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আ’যীমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক-এর সাথে দেখেছেন। আর সেই নাম মুবারক-এর উসীলা দিয়ে পরবর্তীতে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করেছিলেন।

এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

عن حضرت عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لـما افترى ادم عليه السلام الخطيئة قال يا رب اسالك بحق محمد صلى الله عليه وسلم لـما غفرت لى فقال الله يا ادم عليه السلام كيف عرفت محمدا صلى الله عليه وسلم ولـم اخلقه قال يا رب لـما خلقتنى بيدك ونفخت فى من روحك رفعت راسى فرايت على قوائم العرش مكتوبا لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم فعلمت انك لـم تضف الى اسمك الا احب الخلق اليك فقال الله صدقت يا ادم عليه السلام انه لاحب الخلق الى ادعنى بحقه فقد غفرت لك ولو لا محمد صلى الله عليه وسلم ما خلقتك. هذا حديث صحيح الاسناد .

অর্র্থ: æহযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্র্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া ক্ববূলের সময় হলো তখন তিনি দোয়া করলেন, হে আমার রব! আমি আপনার কাছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম উনার ওসীলায় প্রার্থনা করছি। অতএব আমার দোয়া ক্ববূল করুন। আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি কিভাবে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনলেন, এখনো তো উনাকে যমীনে প্রেরণ করিনি। জাওয়াবে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে আমার রব! আপনি যখন আমাকে আপনার কুদরতী হাত মুবারক-এ তৈরি করে আমার মধ্যে রূহ ফুকে দেন তখন আমি আমার মাথা উত্তোলন করে আরশের খুঁটিসমূহে লিখিত দেখতে পাই- æলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” ‘আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ বা মাবূদ নেই, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রসূল’ তখন আমি বুঝতে পারলাম, আপনার নাম মুবারক-এর সাথে যাঁর নাম মুবারক সংযুক্ত আছে, তিনি সৃষ্টির মধ্যে আপনার সবচেয়ে মুহব্বতের হবেন। আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি সত্য কথাই বলেছেন। কারণ তিনি সৃষ্টির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে মুহব্বতের। হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আয় আল্লাহ পাক! উনার ওসীলায় আমার প্রার্থনা ক্ববূল করুন। আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি আপনার দোয়া কবূল করলাম। যদি আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি না হতেন তাহলে আমি আপনাকেও সৃষ্টি করতাম না। সুবহানাল্লাহ! এ হাদীছ শরীফখানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা)

‘খাছায়িছুল কুবরা’ ১ম জিলদ ১২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আসাকির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত কা’বুল আহবার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, æনিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার নিকট সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সমসংখ্যক লাঠি মুবারক নাযিল করেন। অতঃপর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার প্রিয় ছেলে হযরত শীশ আলাইহিস সালাম উনার কাছে (ওই লাঠি মুবারকসমূহ) দেন। অতঃপর হযরত আদম আলাইসি সালাম তিনি বলেন, আমার সম্মানিত প্রিয় ছেলে (হযরত শীশ আলাইহি সালাম)! আপনি আমার পরে আমার খলীফা অর্থাৎ আপনি নবী আলাইহিস সালাম হবেন। কাজেই আপনি তাক্বওয়াকে অবলম্বন করবেন এবং মজবুতভাবে পরহেযগারী অবলম্বন করবেন। আর যখনই আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারণ করবেন সাথে সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকও উচ্চারণ করবেন। কেননা আমি উনার নাম মুবারক আরশে আযীমের স্তম্ভে ওই সময় লিখিত দেখেছি যখন আমি রূহ মুবারক ও মাটি অবস্থায় ছিলাম। অতঃপর আমি সমস্ত আসমানে ছফর করেছি এমন কোন স্থান নেই যেখানে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিখিত দেখতে পাইনি। অর্থাৎ সমস্ত আসমানেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লেখা দেখেছি। যখন আমার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে জান্নাতে বসবাসের জন্য ব্যবস্থা করলেন তখন আমি জান্নাতে এমন কোন প্রাসাদ দেখেনি যেখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লেখা নেই। অর্থাৎ জান্নাতের সমস্ত অট্টালিকা, প্রাসাদ ও প্রত্যেকটা কক্ষ বা রুমের মধ্যেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিপিবদ্ধ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আমি আরও দেখতে পেয়েছি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক হুরদের বক্ষে, হযররত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের চোখের পুতলীতে, তূবা বৃক্ষের পাতায় পাতায়, ছিদরাতুল মুনতাহার পত্ররাজিতে, সমস্ত পর্দাসমূহে এবং সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের চোখের মধ্যে। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই আপনি উনার নাম মুবারক-এর অধিক পরিমাণে যিকির করুন। নিশ্চয়ই সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক-এর সদা সর্বদাই যিকির করে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করে থাকেন।

হাদীছ শরীফ-এ এসেছে হযরত আবূ নায়ীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘আল হিলইয়া’ গ্রন্থে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, æমহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, জান্নাতের এমন কোন গাছ নেই যার পাতার মধ্যে লেখা নেই-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”

অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আসাকির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের দরজায় লেখা রয়েছে-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থাৎ æমহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”

অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, æমহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ওহী করলেন, আপনি নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতদেরকে আদেশ করুন তারা যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়কাল পাবে তখন যেন তারা উনার প্রতি ঈমান আনে। কেননা আমি যদি নূরে হাবীবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আমি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করতাম না, জান্নাতও সৃষ্টি করতাম না জাহান্নামও সৃষ্টি করতাম না। আমি যখন আরশে আযীমকে পানির উপরে সৃষ্টি করলাম, তা হেলতে দুলতে লাগলো। অতঃপর যখন তাতে-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

 অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখে দিলাম তখন তা স্থির হয়ে গেলো।” (খছায়িছুল কুবরা)

হাদীছ শরীফ-এ আরও রয়েছে, হযরত উবাদাহ ইবনে ছামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, æহযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনার আংটি মুবারক-এর পাথর মুবারকটি আসমান থেকে প্রেরিত হয়েছিল। তিনি সেই পাথর মুবারক নিজ আংটি মুবারক-এর সাথে সংযুক্ত করে নেন। সেই আংটি মুবারক-এর মধ্যে লেখা ছিল-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

স্মরণীয় যে, আরশ-কুরসী, লওহো-ক্বলম, আসমান-যমীন, জান্নাত, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত প্রত্যেক সৃষ্টির মধ্যেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিপিবদ্ধ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আসাকির রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইবনে নাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা দুজন স্বীয় ‘তারীখ’ গ্রন্থে হযরত আবুল হাসান আলী ইবনে আব্দুল্লাহ আল হাশিমী আররক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, æআমি ভারতবর্ষের কোন এক এলাকায় পৌঁছে একটি কালো রঙের গোলাপ গাছ দেখলাম, এর একটি ফুল অনেক বড়, যার রঙ কালো, সুগন্ধিময় এবং অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ছিল। ওই ফুলটির গায়ে সাদা হরূফে লেখা ছিল-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

আমি মনে মনে ফিকির করলাম এবং আমার বিশ্বাস হলো নিশ্চয়ই এটা কারো কাজ হবে। তাই আমি একটি বন্ধ কলি খুলে দেখলাম। আশ্চর্যের বিষয় তাতেও এরূপ লিপিবদ্ধ ছিল। সুবহানাল্লাহ! এ ধরনের গোলাপ গাছ সেখানে প্রচুর পরিমাণে ছিল।” সুবহানাল্লাহ!

-মাওলানা মুফতী মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম