আলিমুল গইব, ইলমুল ঈমান, ইলমুল ইয়াক্বীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দৃষ্টিতে ইলম উনার মরযাদা

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

رب زدنى علما.

অর্থ : “হে আমার রব তায়ালা! আমার ইলম বৃদ্ধি করে দিন।” (পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৪)

কোন ঈমানদারকে পরিপূর্ণ মুসলমান হতে হলে তাকে প্রথমত : প্রতিটি বিষয়ের ফরয পরিমাণ ইলিম অর্জন করতে হবে। আর একমাত্র পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সম্পর্কিত জ্ঞানকে ইলম বলা হয়।

ইলম ব্যতীত কোন ব্যক্তির পক্ষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি এবং উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব নয়। কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তিকেই ইলম অর্জন করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একটি দল কেন দ্বীনি ইলিম (বিশেষ জ্ঞান) অর্জন করার জন্য বের হয়ে আসে না?”

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যার ভালাই চান তাকে দ্বীনের ইলম (দ্বীনি ছহীহ সমঝ) দান করেন।”

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন অর্জন করলো সে ব্যক্তি অশেষ কল্যাণ লাভ করলো। এই ইলমের মর্যাদা সম্পর্কে হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি ইলম হাছিল করার জন্য কোন একটি পথ অবলম্বন করলো, সেই পথ অবলম্বন করার কারণে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাতে যাওয়ার রাস্তাসমূহের একটা রাস্তা খুলে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ত্বলিবে ইলমের সন্তুষ্টির জন্য তাঁদের নূরের পাখাগুলো রাস্তায় বিছিয়ে দেন। যাতে ত্বলিবে ইলমরা সেই নূরের পাখার উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ স্বয়ং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ত্বলিবে ইলমদের সন্তুষ্টি তালাশ করে থাকেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুমে।

অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “যাদেরকে ঈমান দেয়া হয়েছে এবং ইলম দেয়া হয়েছে তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে।” অর্থাৎ ঈমান দেয়ার পর যাদেরকে ইলম দেয়া হয়েছে তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা, ফযীলত, বুযূর্গী, সম্মান দেয়া হয়েছে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে। সুবহানাল্লাহ!

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা দীনার ও দিরহাম রেখে যাননি। উনারা রেখে গেছেন ইলম।” আর এই ইলম সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ইলম এবং আলিমকে মুহব্বত করে সে ব্যক্তির সারা জিন্দিগীতে তার আমলনামায় কখনই কোন গুনাহ লিপিবদ্ধ হবে না।” সুবহানাল্লাহ!

এখন চিন্তা ফিকিরের বিষয় যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলম এবং আলিমকে কত ফযীলত, কত বুযূর্গী, মর্যাদা দিয়েছেন। সেজন্য হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “হে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! ইলম অর্জন করুন এবং তা মানুষকে শিক্ষা দিন। ফারায়িজ সম্পর্কে শিখুন।” এ জন্যই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে, “তোমরা আলিম হয়ে যাও অথবা ত্বালিবে ইলিম হয়ে যাও অথবা শ্রবণকারী হয়ে যাও অথবা মুহব্বতকারী হয়ে যাও। পঞ্চম হয়োনা, ধ্বংস হয়ে যাবে।”

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে হাক্বীক্বী ইলম হাছিল করার তাওফীক দান করুন। আমীন

-মুহম্মদ নিছারুদ্দীন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম