আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক রহে পদতলে-১১৭

সংখ্যা: ২৩৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম পনের শা’বান কোলে,

বিলাদত শরীফ গ্রহেন আছিফ নও খুশি উজ্জ্বলে।

ওই মদীনা শরীফী প্রতিটি গৃহেই খুশির বন্যা বহে,

রহমে খোদার ঝরিছে  অপার ধরণী জুড়িয়া রহে।

তিনি হাবীবী নয়ন হযরত ছানী হুবহু নকশাদার,

তিনি খলীফায়ে খামীস সুন্নী রঈস যাহরাই আনওয়ার।

ওদিন হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ নিয়ামতে আযীমাত,

এসো হে মু’মিন কহিবো আমীন রেযায়ীতে দারাজাত।

হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম ৫ই শা’বান ভূমে,

গ্রহেন নকশায়ে রসূল মকবুল হয়ে বিলাদত উদ্যমে।

শাহে কারবালা আলায়ে আলা উনার উত্তরসূরি,

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমাম কামিয়াবে রন জারি।

নিছফু মিন শা’বান,

তাক্বদিরী নাজ ফায়ছালা হয় ও রাতে আবহমান।

এক বছরের রুজী রোযগার রহে সেথা সমাহার,

কুদরতে খোদা রহিছেন সদা, মহামতি উপহার।

মোক্ষম রাত দোয়া কবুলের ওই যে শবে বরাত,

করে দ্বীনদার সব ঈমানদারেরা কেঁদে কেঁদে মুনাজাত।

জানা অজানা কবীরা ছগীরা সকল গুনাহ থেকে,

কায় মন হৃদে চায় ক্ষমা চায় আল্লাহকে ডেকে ডেকে।

আপনি রহিম আপনি করীম আয় খোদা রহমান,

চাহি বেহিসাব কামিয়াব মোরা নিয়ামত অফুরান।

নামায কালাম যিকির আযকারে কাটাচ্ছি সারারাত,

এভাবেই মোরা ইবাদত করে লভিতেছি বারাকাত।

জজবা ও শওক দারাজে রেখেই রহিছি বর্ষিয়ান,

রই ভয় সংকোচ করেই নাকোচ আমলেই আগুয়ান।

হায় হায় আহা ইদানীং কিছু মুনাফিক মৌলুভী,

মনগড়া সব ফতওয়া শানায় মিথ্যা ও আজগুবী।

শবে বরাত নাকি ইসলামে নেই? নতুন আবিষ্কার,

কুরআন ও হাদীছে ওই পর্বের নেই কোনো সমাচার।

ওরে ও বেকুব নাদান মূর্খ ওলামা ‘সূ’য়ের দল,

নামায রোযা কী কুরআন হাদীছে বর্ণনা আছে বল?

নামায, রোযা ও শবে বরাত উহা যে ফার্সী ভাষা,

পড়িসনি তুই চক্ষু খুলেই? রে তাগুতের চাষা।

বলি তোরে বলি উলামায়ে ‘সূ’ দে ছেড়ে ভ-ামী,

ধরা পড়ে গেছে আওয়ামের মাঝে তোদেরই ফাযলামী।

আজ যামানার মুজাদ্দিদে আ’যম উনার রোবের ফলে,

তামাম তাগুত তাগুতীপনায় বিলকুল রহে টলে।

ওই বাতিলেরা আজ কাহিলী গুহায় করতেছে কিলবিল,

মুজাদ্দিদে আ’যম উনার দোয়ায় ধ্বংসিছে তিল তিল।

রে বুজদিল ওই হায়ওয়ান সব মুরতাদ মুনাফিক,

শুন, ইমামুল উমাম যাহাই বলেন, উহাই পুরোটা ঠিক।

তিনি মিছদাকে শাহে কারবালা ইমামে মুসলিমীন,

তিনি ক্বায়িম-মাক্বামে ইমামুছ ছানী দস্তুরে ছদিক্বীন।

ওই উনার প্রবল জাব্বারী রোশে তাগুতেরা কুপোকাত,

হচ্ছে হালাক হামেশা তালাক  হিংসুটি উৎপাত।

ওই ইহুদী নাছারা বৌদ্ধ হিন্দু তামাম মুশরিকীন,

দেখি খলীফায়ে আস সাফফাহ যে তোরে করে দেন নিশ্চিন।

তোরা মালউন কাট্টা কাফির মুনাফিক বেঈমান,

তোরা মুসলিমী জাত শত্রু করি তোরে নিস্তান।

ওই শুনরে ম্লেচ্ছ যবন জাহিল, মুজাদ্দিদী ফায়সালা,

কুল মুসলিম এক হয়ে যাই মারতে শত্রুগুলা।

মুসলিম মোরা নির্ভীক রহি ইমামী ফায়িজে সদা,

মোরা মুজাহিদ ছাহাবী আদলে ঐক্যে রহিছি বাঁধা।

ওরে ও চাড়াল ম্লেচ্ছ যবন ইঁদুরী প্রেতাত্মা,

হায়, ঠুনকো বলে বড়াই দেখাস নমরা অগত্যা।

ওই মোদী তুই মৌলবাদী বিজেপি প্রধান পদে,

থেকে হায় তুই মুসলিম মেরে হাসছিস গদগদে।

গুজরাটে তুই বন্যা বহাস বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে,

আহা, মুসলমানের খুন দিয়ে তুই ভারত রাখলি রেঙ্গে।

মুজাদ্দিদে আ’যম শাহানশাহ বীর উনার দৃপ্ত ডাকে,

বিশ্ব মু’মিন হয় সচেতন কারবালা মাঠে ঝুঁকে।

শুন, ওই ভারতী মাটির পঞ্চাশ কোটি সকল মুসলমান,

প্রবল বেগেই উঠলোরে জেগে ফুসছে বদলাবান।

নেই রক্ষা কুখ্যাত মোদী, যতই থাকিস ভেগে,

প্রতিশোধ মোরা নিবোই নিবো মুসলিম একযোগে।

তোকে, ফাঁসিতে ঝুলাবো নির্মমভাবে দেখবে ভারতবাসী,

জানি, তুই জঘন্য ধূর্তবাজ নির্দয়ী নর দোষী।

দেখবে সোয়াশ কোটি ভারতীরা তোর ভয়ঙ্কর পরিণাম,

উহা ইতিহাসী ঘরে যুগ যুগ ধরে জিইয়ে রবে পয়গাম।

খামোশ! ওই হতচ্ছারা কীট শুনে রাখ ভালো করে,

ইচ্ছে মতোই মারলিরে তুই আসামী মুসলিমেরে।

তোর মৃত্যুদ- রায় দেয়া হলো সাফফাহী ফতওয়ায়,

নাহি আছে আর রক্ষা যে তোর কভু হায় দুনিয়ায়।

হরদম বিরাজ হয়ে জানবাজ আমরা প্রতিটি মুসলমান,

ওই পাক মুজাদ্দিদী তাজদীদী জোশে রহি রহি বলীয়ান।

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯