আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

সংখ্যা: ১৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

আশূরা মিনাল মুর্হরম,

উহা আল্লাহ পাক-এর মহা নিয়ামত মহতি মুর্কারম।

উহা ইবরত বরণীয় রহে নছীহতে বেশুমার,

উহা আযীমত মুসলিম তরে বেকসুর আবছার।

কই হে মু’মিন তব কৌলিন নবায়ন করিবার,

আশূরা আসিল আহসান নিয়ে মক্ববুলি আনওয়ার।

সৃষ্টি বিকাশ আবার বিনাশ এই আশূরার দিনে,

রহমতে রব রহে উদ্ভব আশূরার আবরণে।

বিরল কাহিনী স্মৃতির মণিতে দেয় দিশারীর ডাক,

ঐ আশূরায় মাশোয়ারা দানে ইখলাছি আখলাক্ব।

উহা পায়রবী তরে প্রতিবছরেই জানাচ্ছে আহলান,

বুশরাহী নূর আশূরার মাঝে চমকায় চৌহান।

দেখ, রহমত আর বরকত দিতে তাশরীফ আশূরার,

রব রহস্যের প্রকাশ বিকাশ দেখ হে সমঝদার।

ঐ দেখ দেখ তুমি, অন্তর্যামী আল্লাহর ফরমান,

সাগর উদরে হযরত ইউনুস কেন কেন গুজরান।

তাঁহার দেহের ঘ্রাণেই শিফা পেয়ে যায় মৎস্যরা,

সেথা, দুই কুড়ি দিন করিয়া বছর স্থলে হয় ফেরা।

ঐ নূহ নবীজীর মহাপ্লাবন খলীলী অগ্নিবাগ,

কেমন আবার আয়ূবী রোগ ইজাফতে অনুরাগ।

ঐ আশূরার সব ঘটনাই রহমতে আলামীন,

ছূরতান শুধু বিবিধ কিছিম কিছমতে আহরীণ।

তবে কারবালার কাহিনী যদিও বিষাদী রক্তে লাল,

নিশ্চয়ই উহা রহমী রহম নূরী নাজে মালামাল।

যদিও সেথায় যাহিরানভাবে বেদনার সমাহার,

হাক্বীক্বী হেথায় বেহিসাবী দান বিরাজিছে আল্লাহর।

ঐ আল্লাহ মালিক দানেন অধিক বান্দাহ বুঝে না সব,

ইহাই খোদার খোদায়ী খবর খবরেই বাস্তব।

ঐ আশূরায় দিচ্ছে জানায় কুরবান হতে হবে,

আল্লাহর রাহে হরদম মোহে অবস্থানই তবে।

ইস্তিক্বামত আনিছে তাবৎ মক্ববুল কামিয়াব,

উদ্ধৃত ঐ কাহিনী জানায়, উহাই মূল আসবাব।

কত পরীক্ষা আর নিরীক্ষায় রয় অনন্ত আবদার,

পর প্রজš§ লইবে দীক্ষা সেথা হতে দুর্বার।

দেখ কারবালা ক্বায়িদ রহিছে ইতিহাসী বুক জুড়ে,

দেখ বয়াতের দামামা বাজিছে নও নব উত্তরে।

নেই যে আপোস বাতিলের সাথে হক্ব রাহে হিম্মত,

বিশ্ববাসীকে দিচ্ছে জানায় ইসলামী খাছলত।

ঐ শাহে কারবালা সাইয়্যিদী ইমাম তামাম বিশ্বব্যাপী,

স্মরণীয় আর বরণীয় রন দীপ্ত হৃদয়ে ছাপি।

হায়, চোখের সামনে লখতে জিগার ফযজন্দ শহীদান,

টলেন না তবু শাহী ইমাম হয়ে যান কুরবান।

বিজয় তাঁহার ত্বরান্বিত শহীদী ছাওয়ারে হেরী,

ইস্তিক্বামত আনে হুরমত বিজয়ী পতাকা উড়ি।

ঐ পাক ইমামের পরহিযগারিতায় সজীব রহিল দ্বীন,

করে শরাফত তাঁর দিয়ে ইজাফত যিন্দিগী মুহসীন।

ঐ ছবর জিহাদ দুই ডানা ধরে চললেই মু’মিনীন,

কামিয়াব পায় বেহিসাবী রায় উতরায় আবিদীন।

ঐ শাহে কারবালা পাক ইমামের পবিত্র আওলাদ,

প্রগতি যুগেই তাশরীফ আনেন প্রত্যয়ী আজমাদ।

ঐ তিনিই হলেন শাহ সাইয়্যিদ মুজাদ্দিদ মহা তন,

তিনি রাজারবাগেই অবস্থানেন আশরাফি মহাজন।

তিনি তা’লীম দানেন মুসলিমদের কারবালা গ্রহিবার,

রহিছে বেজায় মুক্তি হেথায় উহা তব অধিকার।

হায় আজকে শিয়ারা মেকি ইশকেই দেখাচ্ছে মাতোয়ারা,

ঐ শিয়ারাই কারবালা খুনে উল্লাস করে তারা।

ইয়াযীদী পক্ষ লইয়াই হায় নিয়ে ইমামের শির,

কুফার শহর ঘুরিয়া বেড়ায় কাঁদে লোক বস্তির।

ফের তাদের কার্য হাসিল করিয়া ইমামের তরে কাঁদে,

ফেলতে চায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে।

হায়, ঐ ইহুদী খ্রিস্ট ইতিহাসবিদ শিয়াদের এড়িয়ে,

কারবালার ঐ কাহিনী লিখিছে মুসলিমী দোষ দিয়ে।

ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম বীর সাইয়্যিদ শায়েখে মাখলূক্বাত,

লিখেন আসল কাহিনী করে উদ্ধার তাওয়ারিখে শাহাদাত।

তিনি কারবালা ভূমের হাক্বীক্বী ঘটনা তুলিয়া ধরেন জেনে,

ইয়াযীদ, শিয়া, ইহুদী, খ্রিস্ট এক হয়ে জাল বুনে।

ঐ কাট্টা কাফির, ইয়াযীদ শিয়া, মুসলিমে রয় মিশে,

আজিও তাহারা মাতববরি করে ইসলামী মজলিসে।

ইয়াযীদ শিয়ার অনুসারী ঐ ওহাবী খারিজী মওদুদী,

চায় কুটকৌশলে তাহারা সবাই দীনকে করিতে বরবাদী।

নির্দেশ দেন পাক মুজাদ্দিদ মিশোনা তাদের সাথে,

তারা, ঈমান নষ্ট করেই রাখে জাহান্নামের পথে।

তিনি শাহে কারবালার হাক্বীক্বীভাবেই করিছেন ইতায়াত,

ঐ শাহে কারবালার তিনি যে নকশা তাঁর তাবে ইনায়াত।

তাঁর ছোহবতে পুরো পাওয়া যায় কারবালা ফযীলত,

ঐ তাঁর নিছবতে তরিৎ ঘুচিছে তাগুতের মুছীবত।

বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮