আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

সংখ্যা: ১৯১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সংযম,

জাহিলের মহা বিভীষিকা মাঝে শান্তির আশ্রম।

মাহে সিয়ামেই ছাকিনা-পূর্ণ মুসলিমী নেয়ামত,

নবজাগরণ নবায়ন করে এনে দেয় উজরত।

লিল্লাহিয়াত এনায়াত করে লাখো কষ্টের ঘেরে,

আবে হায়াত আমানত হয়ে ছুটে আসে অন্তরে।

স্পন্দন,

হারানো জজ্বা আসবাব হয়ে মুছে দেয় ক্রন্দন।

নব কেতনের কর্পূরে ফের মৌ মৌ চারিদিক,

আজ রহমতেরই রওশনী-জিছ্ ধ্বংসীছে ইজলিক।

দেখি, মাগফিরাতের মাওয়াহেব নিয়ে তাশরীফ রমাদ্বান,

নূরে নূরময় অভয় গ্রহিছে পুনঃ মুসলমান।

ঐ মাহে সিয়ামের সামিয়ানা মাঝে মু’মিনী খোশ-নাজাত

অপরাধ সব মুছে দিয়ে দানে নন্দিত-জান্নাত।

রহে এই মাহিনায় পুরোই বন্দী বিতাড়িত শয়তান,

তার চাতুরি ফুতুরে রহিছে, ভুগিতেছে অপমান।

ধরণী-দুয়ারে দস্তুর আজ মুসলিমী অভিজাত,

জিন্দেগী জাগে গায়েবী ডাকেই হেরিতেছে আখিরাত।

শবে ক্বদরের শাহানায় শোভে স্মরণীয় ফুরক্বান

উহা সংবিধান গুলশানে রহে আবাদুল আবাদান।

ঐ কানুনে-কুরআন কল্যাণ দেয় বরকতী-সাবাক্বাত

মাহে মাওলার রমাদ্বানে উহা নূরময় ফিতরাত।

এই রমাদ্বানে চমকায় ওরে সাহরী ও ইফতার

দোয়া মঞ্জুর ও সময় রহে পাক শাহী দরবার।

মু’মিনীন-দস্ত সদা উদ্ধত করিতেছে ফরিয়াদ,

মাছুমের মোহে মুসলিম রহে হরদম আহলাদ।

সৃষ্টির সেরা মুসলমানেরা কভু নহে কাঙাল

তাহারা খোদার খাইরিয়তেই পেতে রহে বালাগাল।

সিয়ামের গর্ব,

কহি, রমাদ্বানে আছে ই’তিক্বাফের মোহময়ী পর্ব।

শেষ দশদিনে আল্লাহর সনে কথা বলে রোজাদার

ফায়সালা লয় দিদারী-চুক্তি রেযায়ীতে সমাহার।

আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হয়ে শেষ করে ই’তিক্বাফ,

জগতের বুকে মাখলুক মাঝে মুসলিম আশরাফ।

রহে শক্তি ও ধন প্রজ্ঞা বলেই মুসলিমে মালামাল,

তামাম তাগুত মু’মিনী-ক্বদমে গুজরায় চিরকাল।

দেখ ইসলামী দ্বীন রমাদ্বান চূড়ে ফতহুন নিভৃতে

আসে গোটা দুনিয়ার শাসন ক্ষমতা মুসলমানের হাতে।

ঐ খালিক মালিক আল্লাহু জালাল এ মাহের কিসমতে

রহম-করম মাগফিরাতের নাজ দেন নিজ হাতে।

শুধু মাহরূম, তাগুতি-মালুম কাতরায় বেহুদায়,

মাহফুজ রহে রোজাদার সবে সিয়ামের ছাকিনায়।

তাক্বওয়া শিখায় সিয়ামই জাগায় আল্লাহর ইবাদতে

লা-শারীকের লালিমা ঘিরিছে ইনছানী ফিত্রাতে।

ঐ শোকরগুজারী বান্দারা রহে মজবুতে কামিয়াব

খিলাফতী ধারা জোরদার করে প্রতিক্ষণে বেহিসাব।

কিন্তু যে হায়! মুসলমানেরা অধুনা বিশ্ব-মাঠে

অলস, অনাথ, ভীরু কাঙালে আস্ত রহিছে লাটে।

সিয়ামী শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে তারা তাগুতী তামাশা হেরে

ইহুদী-নাছারা ও নাস্তিকদের পায়রবী আহা করে।

তারা মাহে সিয়ামের হক্ব আদায়ে রহিতেছে উদাসীন

তাই মুসলিমী তেজ হারাইয়া হায় সাজিয়াছে মিসকীন।

হায় অত্যাচারের নির্মম প্যাঁচে গুজরায় দিবা-রাত

তাগুতী হাতের পুতুল সাজিয়া উজাড়িছে দ্বীনিয়াত।

রহে লাঞ্ছনারূপী অক্টোপাশেই মুসলমানেরা ফেঁসে

ঐ ইসলামী নীতি কুরআনী কানুন সহসা যাচ্ছে ভেসে।

আজ মুসলিম বড় অসহায় বনে রহে মজলুম,

গোলামী করিছে ইহুদীর ঘাটে নাক-খতে ধুমাধুম।

জাত-মান হায় খান খান করে হচ্ছে আহমক

ইহুদী-নাসারা-নমোদের হেরে ভয়ে কাঁপে ঠক ঠক।

ওরে দুনিয়ার মুসলিম! ছাড় অলসের প্রসাধন

তাড়াও তাবৎ ভীতির সিতারা নিহারী প্রক্ষালন।

আজকে নবীন উড্ডীন হও দ্বীনদারে সবাকার

সুন্নাহ প্রীতির প্রয়োগ পুরাতে জাগ্রত দরকার।

আজকে যুগের শ্রেষ্ঠ নকীব মুজাদ্দিদ মহানূর

তোমায় দানিছে দহনী-দস্ত দ্যুতিধর মানসূর।

ঐ মনসুর রসূলী-নূর খান্দানে সাইয়্যিদ

তাবা করে দিতে তাগুতী শির, তাশরীফে আফরীদ।

ওরে ও মু’মিন! তাকাইয়া দেখ আল্লাহর অপমানে

দেখ! দুই মহানূর উদ্ভাসিত খিলাফতী উদ্যানে।

ঐ দুই শরীফের একজন হন- মুজাদ্দিদ মুর্শিদ

অপরজনই আওলাদ তাঁর ছানীয়ে মুজাদ্দিদ।

তাঁরা যে ইমাম মুসলমানের লাওহ-কলমে লেখা

তাঁরা যে খলীফা, খইরে-খলক্ব, শাহী নূরী নোস্খা।

অচেতন ঐ মুসলিম আর তাকলিফ কত নিস?

চল মুজাদ্দিদের দুর্গ-দুয়ারে, চমকিছে শাহী-দীশ।

বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮