আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৯০

সংখ্যা: ২০৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

গুসতাখী,

অষ্টে পৃষ্ঠে তরুন তরুনী ওগুনে রইছে মাখি।

আজকে ওরাই প্রথম কাতারে কপথকপথী পাখি,

স্বল্প ভূষণে হচ্ছে প্রকাশ বেঁধে যে দস্তে রাখি।

 

আজ আদবের পৃষ্ঠে চাবুক মেরেই বারংবার,

হিং¯্র হায়েনা খামছি মেরেই করছে পৃথিবী ছার।

কিসের বিচার কিসের আচার কোথায় নীতির ডাক,

আজকে আকাল রাখছে মাতাল শিষ্টের আখলাক।

 

আজ মিথ্যার খবরদারী রইছে দুনিয়া জুড়ে,

সত্যের দেহ রোগায়িত রহে সংক্রামী আস্তরে।

মায়া মমতায় নীরবতা সরে করছেই গড়াগড়ি,

দ- হস্তে পাষ-তায় মারতেছে ঝারিঝুরি।

 

দেখি প্রতারক থেকে আচানক সাধুর টিকিট নিয়ে,

শীর্ষে উঠায় নামধাম পায় বিজ্ঞ বচন দিয়ে।

ওই যে নেশার রকমারী গৃহে তরুনের সমাহার,

তরুনীও সেথা পেতে চায় আহা সমানের অধিকার।

 

চলে, প্রতিযোগিতার মহড়া মেলা নাইটিং আশ্রমে,

নেশার পরশে বুদ হয়ে রয় নগ্নতারই প্রেমে।

সুস্থ শুসিল শৃঙ্খল হায় করছেই টলমল,

তারা, আত্মাহুতি দিয়েই চলছে বর্বরী পদতল।

 

মুলহিদ,

উহা মাঝে কেন জুড়াইয়া দিলে বিশুদ্ধ তৌহিদ।

আজ মুসলিমী মুল্লুকে শোভে কাফিরি আগ্রাসন,

বোমা ও গুলিতে ঝাঝরা করিছে মুসলিমী আবাসন।

 

হায় আরবের দেশগুলোতেই লাগায় হট্টগোল,

বাজায় বেদম, জনতা খেপার গণতন্ত্রের ঢোল।

শরিয়া বিধান করে খান খান হচ্ছে বেপর্দা,

সম অধিকার দাবি আদায়ে নারীরা নহেকো যুদা।

 

নরসম নারী মিছিল করিছে, হয়ে সবে একাকার,

ওই গণতন্ত্রের গর্জনে রহে বেকসুর ব্যবহার।

নাচে গানে ডিস এন্টেনা টানে মাতোয়ারা বিলকুল,

দেখ পৃথিবীর উচ্চ শিরেই আদিমের মাস্তুল।

 

আহা মুসলিম, ভুলে তসলিম ছেড়ে দিয়ে তাহজীব,

কুফরী কায়ায় কসরতে কেন রহে রহে উদগ্রীব।

মুসলমানের নেতাদের দেখে উঠছে পিলাই কেঁপে,

এরা কী ইহুদী খ্রিস্ট শাবক বেশভূষে রয় ছেপে?

 

দাড়ি গোফহীন কোর্ট টাই স্যুটে দেখায় টাট্টু বাবু,

এরাই তো চায় দ্বীন ইসলামকে জগতে রাখতে কাবু।

সংখ্যাগরিষ্ঠ,

তাহাদের দাবি রহিবে অগ্রে জগতে অধিষ্ঠ।

আজ প্রগতির ইহাই নিয়ম হউক না পাপিষ্ঠ,

ইহাই চমক দেখাতে ঠমক নতুনে ভুমিষ্ট।

গণতন্ত্রের অমোঘ নীতির ধারকবাহক যারা,

গর্ব করিছে ধন্য ভাবিছে কামিয়াব নাকি তারা।

 

গণতন্ত্রের ধরণাধারী ওই আব্রাহামের দল,

আমি কবি তোরে প্রশ্ন করছি সত্য করেই বল।

সংখ্যায় অধিক তারাই ঠিক গণতন্ত্রের বুলি,

তাদের দাবিই অগ্রাধিকার নেই এতে মুশকিলি।

 

বাংলা ভাষায় রহিছে জড়ায় অধিক বাংলাদেশি,

তাই রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হল, নেই এতে গরিমসি।

যদিও এদেশে আরবী, উর্দু, ইংরেজী ভাষা আছে,

বাংলা ভাষাই প্রাধান্য পায় আধিক্যতার গোছে।

 

তবে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম কেন হইবেনা এই দেশে,

জবাব চাই ওহে সরকার বলে দাও অনায়াসে।

মোরা অধিবাসী বাংলাদেশী সাতানব্বই ভাগ মুসলমান,

বাকি তিন ভাগ হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী ও খ্রিস্টান।

 

মহান ইমাম,

তিনি মৌজুদ বাংলাদেশেই শুনো তাঁর পয়গাম।

ওই তিনশত কোটি মুসলমানের উনিই জজবানল,

উনারা ইশরায় পুরো কায়িনাত রহে রহে সফজল।

 

ওই গণতন্ত্রের গেজধারী সব বামপন্থীদের কহি,

শুন বাংলাদেশ মুসলিম দেশ অমোঘ সত্য ছহী।

ওই সংখ্যাঘুর দাবিখানী শুধু অমুলক অহেতুক,

ফের অতি দরদী সাজিয়াছে কিছু নামধারী নিন্দুক।

 

মুসলিম হয়ে অমুসলিমের দালালীতে পায় মজা,

মানবতাবাদীর কিত্তণ গেয়ে করছে তাগুতি পুজা।

ওই মুজাদ্দিদ আ’যম, গাউছে পাকের মুবারক নির্দেশ,

তওব করেই আয়রে ফিরে হোসনে নিরুদ্দেশ।

 

খোদার গযব নয়রে নিরব, বুঝে নে হতচ্ছারা,

ইসলাম বিরোধী সকল কর্মে দিতে হবে কাফফরা।

ইহাই সত্য ইহাই সত্য সন্দেহ নেই এতে,

ওহে সরকার জানা দরকার ঈমানের জজবাতে।

 

ওই পাক মুজাদ্দিদ উনার দোয়ায় কাফিরের কারসাজী

নিস্তাবুদ আমুলে তাবুত বিশ্বাসে লও বুঝি।

বিশ্বাস কর ওরে সরকার বাতিল জুমহুরিয়াত,

ঘোষনা করেই দাও খিলাফত নেশে হে মুলকিয়াত।

 

অর্থ: জুমহুরিয়াত- গণতন্ত্র,  মুলকিয়াত- রাজতন্ত্র।

 

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮১

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮২