আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮৪

সংখ্যা: ২০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

তীব্র প্রতিবাদ,
ওই পর্দা খোলার, সাহস কী তারা দেখালোরে বজ্জাদ।
ইলাহী তাকিদ নহে আবেদীত কহে যে কুলাঙ্গার,
লভে বিচারক হয়ে তাগুতি আত্মা প্রত্যয়ে অধিকার।

নিরানব্বই ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশের বুকে,
ইহুদী মন্ত্র অনায়াসে আজ বিচারক হয়ে ফুঁকে।
বোরকা পরার নেই প্রয়োজন বাধ্যকতায় আর,
নিমিষেই হায় কেড়ে নিতে চায় নারীদের অধিকার।

মুসলিমা সব তরুণী ধরিয়া নাঙ্গা খেলায় রাখে,
ফুটবল হাডুডু কুস্তিতে আহা আব্রু দেখার শখে।
উৎসাহ দেয় বাংলা নারীরা রহে নাকো আর পিছু,
অঙ্গ দেখাতে পারঙ্গম, নেই বাধা এতে কিছু।

ধর্ম রহিছে ঘরের ভিতর উহা যে ব্যক্তিগত,
রহিছরে ভাবে পশ্চিমা তাবে এগিয়ে যাও অবিরত।
হায়! হায়! ও বাঙালী মু’মিনা বিপদে পড়িয়া গেল,
মাথার ঘোমটা খুলিয়া নাচিল, নাঙ্গা অ্যাওয়ার্ড পেল।

কইরে সুধি ও সুশীলবাদীরা এটা কী আদর্শ?
এটা কী নারীর স্বকীয়তা নাকি সমূলে বিমর্ষ?
মা, বোন, মেয়ে, নারীরা মোদের নরসম নামি দামি,
কেন তাহাদের আব্রু নিয়েই কর হায় ফাজলামি।

কেন তাহাদের ভোগের সামগ্রী চাহিছ বানাইতে,
কেন কেন নারী তুচ্ছ রাখিবে প্রগতির মজমাতে?
তোদের দেবতা ইবলিসি দিল তুষ্ট রাখার তরে,
মুসলিমাদের ধর্ষিতা করে বলি দাও ঘটা করে।

নেই বাধ্য করিয়া পর্দা প্রথারে বাংলাতে টিকাবার,
আইন পাস করে গর্ব করিস আরদালী নাছারার।
ওই শিক্ষামন্ত্রী বিচারকদ্বয় ডেপুটি স্পিকার,
কান খুলে শুন মুসলমানেরা হরদম হুঁশিয়ার।

রহি, সদা সচেতন, অবলোকনেই, তোদের কার্যাবলী,
মুসলিম শানে আঘাত হানার জেনেছি ফর্দগুলি।
মোরা প্রস্তুত তাড়াতেই ভূত তোদের নাঙ্গা ঘাড়ে,
দৃষ্টি মোদের ভ্রষ্ট ধসাতে নহি রহি নড়বড়ে।

ওই নীল আসমান শ্যামল ভুবন বাংলার অবয়ব,
বিরাজ, মুসলমানের শৌর্য বীর্য হরদম কলরব।
এটা মুসলিম দেশ বিশ্বের বুকে রহে রহে উঁচুয়ান,
মুসলিম রীতি উজ্জ্বলে ভাতি আজো আছে খ্যাতিয়ান।

ওই ঈমানী জোশের অগ্নি শিখা তীব্র ত্যাজেই শানে,
করি, তোদের কায়েমী তাগুতি তর্জ ছারখার বিয়াবানে।
তোদের চাতুরী ফুতুর করিতে বনেছি অগ্নিগিরি,
তোদের লালসা জ্বালাবো চিতায় দাদাদের শির ফাড়ি।

তোদের লুকাবার রাহা রুদ্ধ রাখিয়া, জাগ্রত দেশময়,
আকাশ পাতাল কাচিয়া আনিতে হরদমে নির্ভয়।
তোদের শিয়ালী শির কেটে নিতে রহিনারে ক্লান্ত,
তোদের দালালী দমাইয়া দিতে গ্রহিনারে ভ্রান্ত।

অবশ্যই মোরা নস্যাৎ করি তোদের চোগলখুরী,
নিত্যই মোরা প্রত্যয়ে রহি প্রতিবাদে সোচ্চারী।
তোদের নানা, বাহানা টুটাতে করি নারে তোশামোদ,
রহি জানবাজ মোরা মুসলীম শুনে রাখ নির্বোধ।

আজ পুরো বাংলার মুসলমানেরা রহিছে ঐকতান,
তোদের হিংসা লিপ্সারে মোরা করে দেই খান খান।
তোরা হানাদার, শত্রু দেশের লুটো নারী ইজ্জত,
তোরা যে দেশের সম্মান নিয়ে করছিস কসরত।

শুন! আগুন নিয়ে করিসনা খেলা হুঁশিয়ার সাবধান,
জ্বলে পুড়ে তোরা ভস্ম হবিই নেইরে পরিত্রাণ।
গোটা বিশ্বের মুলকে কাফির বোরকা কাড়িয়া নিতে,
আইন পাস করে হুমকি দেখায় তাগুতের ইচ্ছাতে।

ওই আমরা মু’মিন বাংলাদেশীরা হুমকি তুচ্ছ ভাবি,
বিশ্ব কাফির রাখি অস্থির করে দেই ভরাডুবি।
আজ, গোটা বিশ্বের মুসলমানেরা বাংলাদেশের পানে,
তাকাইয়া আছে আদেশ পাওয়ার মুজাদ্দিদের ঘ্রাণে।

ওই তিনশত কোটি মুসলমানের ইমাম মুজাদ্দিদ,
তিনি বাংলাদেশেই অবস্থানেন দিচ্ছেন তাশবীদ।
তিনি রসূলে পাকের লালাহি বাশার আসমানী ফায়সালা,
তিনি ইলাহীর ইকরাম নিয়ে নাশেন কুফরী গুলা।

ওই পনের শতক হিজরীর তিনি মুজাদ্দিদ মহাবীর,
তিনিই ইমাম গাউসুল আ’যম ইসলামী রাহগীর।
আজ ওনারী ইশকে কশমকশ পৃথিবীর মুসলিম,
তিনি যে শদীদ তাগুতের তরে, সুন্নী মুয়াল্লিম।

ওরে বাংলার পুচকা ইহুদী কেটে নিবো তোর টিকি,
আমাদের চোখে কখনোই তোরা পারবিনা দিতে ফাঁকি।
ওই মুজাদ্দিদ আ’যম ক্বিবলা কা’বার তপ্ত দৃষ্টি হতে,
পেলো না রেহাই মুলকে কাফির গযবে রহিছে গেঁথে।

অনৈসলামিক কোন আইন জারি করবে না সরকার,
এই ওয়াদায় আসে ক্ষমতায় মনে থাকা দরকার।
উচিত দ্রুত গ্রেফতার করা ইহুদী দালালদের,
তাই, জানাইয়া দেই বাংলাদেশীর দাবিটা তপ্ত ঢের।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০