আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৯৫

সংখ্যা: ২১১তম সংখ্যা | বিভাগ:

আখিরী চাহার শোম্বাহ,
প্রকাশ নূর নবীজির সুস্থতা শুনে ছাহাবীগণের জজবা।
খুশির বন্যা হল প্রবাহিত নন্দে দুলিল তয়বা,
দান-ছদক্বায় উজাড় হইয়া লভিছে সবাই রুতবা।

জান মাল সব উজাড় করিয়া খিদমতে নবীজির,
রহেন সবাই হরদম ওই দর্শনে স্বস্থির।
তাই এগার হিজরী ছফর মাসের শেষ বুধবার বেলা,
সুস্থ নবীকে হেরিয়া লভিছে ইশকি হৃদয়ে দোলা।

ঈদি উৎসব হচ্ছে পালন নববী জুড়িয়া আজ,
রসূলে পাকের রশ্নিই হল মু’মিনের প্রিয় নাজ।
যেন পৃথিবীর দিগন্ত রবি জাগিছে পূনর্বার,
যেন জ্যোৎস্নার নও সমিরণ হয় হল উদ্ধার।

নববীর কোল আলোকিত করে নবীজির হাজিরান,
দেন দর্শন দর্শনীদের ইহা হয় আখিরান।
জান্নাতী শান রয় অফুরান ছাহাবী হৃদয় জুড়ে,
খুশির আমেজে চমকিছে আজ কৃতঘ্ন মঞ্জুরে।

সেই ছফরের শেষ বুধবার খুশি করে মু’মিনীন,
শোকী অবয়ব করে নিষ্প্রভ সুখ লভে অমলিন।
সেই সে সুখের লালিমা সূর্য দিগন্তে যায় ডুবে
অন্তিমের ওই বিষাদী গালিচা নববী যে ছয়লাবে।

ঘটে সমাপন বেছালী বরণ রবিউল আউয়ালে,
কায়িনাত হায় কাঁদিয়া মাতম দুঃসহ উত্তালে।
প্রিয়তম ছবি দয়ালু নবী প্রতি মু’মিনের হৃদে,
অনন্ত ওই বাস্তবে তাই রহে সদা আহলাদে।

বহু স্মরণীয় বহু বরণীয় এ মাহে ঘটনা ঘটে,
এ মাহে রহে দুখ ও সুখের জীবিত চিত্র ফুটে।
হযরত পাক ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি,
লাভ যে করে বিছাল শরীফ শত্রু বিষেই জানি।

ঘৃণ্য ইহুদী শিয়াদের দিয়ে আঁতাত করিয়া হায়,
ইমামকে ওই করিল শহীদ খিলাফতি লালসায়।
আসল নকল করে একাকার শিয়া ও খারিজী মিলে,
ওয়াসওয়াসা হায় বেহুদা ছড়ায় মুসলমানের দিলে।

ইহুদী-নাছারা শিয়া রাফিজী খারিজী ঐক্যতানে,
মুসলমানের আক্বীদা বক্ষে কঠিন আঘাত হানে।
হায় আরব আ’যম বিশ্ব ব্যাপিয়া বিরাজে হট্টগোল,
ইসলামী শান করিতে বিরান তাগুত বাজায় ঢোল।

পাক ভারতের সবুজ ভূমিতে দুর্যোগ সেই এসে,
মুসলমানের আক্বীদা আমল সমূলে নিচ্ছে ভেসে।
ওই ভারতী রাজ আকবর হায় হিন্দু তোষণে মজে,
দিচ্ছে কহি দীনে ইলাহী সাম্যকে শুধু পূজে।
ইসলাম ছেড়ে দ্বীনে ইলাহী গ্রহণ করতে হবে,
নইলে তাদেরে নিয়ে জমালয়ে হত্যা করিয়া দিবে।
সেই সহ¯্র শতক হিজরীতে হেরি ইসলামী অপমানে,
হক্বের সূর্য কাত হয়ে রয় তাগুতের আচকানে।

বিদায়াত বেশরা রহে রহে খাড়া রাজকীয় মাস্তুলে,
ইবলিস তার মুহলিকাতের জালেই আটকে ফেলে।
বড়ই করুণ নাজুকী বেলায় মহান খোদার দান,
মুসলমানেরা লভিলই পুরা নেই এতে ব্যবধান।

ওই খোদার খলীফা ফারূক্বী বীর মহান মুজাদ্দিদ,
তিনি তাশরীফ আনেন সিরহিন্দপুর হটাইতে মুলহিদ।
হাজার বছরি তাগুতের ঝারি নিস্তানাবুদ করে,
সুন্নাহ জারি দিচ্ছেন করি সংসয় গেল উড়ে।

আকবরি রাজ হইয়া বেলাজ ধ্বংসিত হয়ে যায়,
আল্লাহর দ্বীন রহে উড্ডিন দেখ দেখ পুনরায়।
তিনি মুজাদ্দিদ আলফে ছানী বরণীয় ইতিহাস,
তিনি মহাগুণী ঈমানের মণি নির্ণয়ী ইজলাস।

আপন দস্তে দমাইয়া দেন আকবরি উপহাস,
তীব্র কঠিন করেন বিলীন আকবরি অভিলাস।
ফিরায়ে আনেন সুন্নী শাসন আমল ও আক্বীদায়,
নবী আদর্শে দেন চমকায় মু’মিনেরা বেঁচে যায়।

সেই সে মহান আল হিলালী মুজাদ্দিদ মহিয়ান,
ইসলামী শান কায়িম করেন পৃথিবীর ময়দান।
সেই মহামতি নন্দিত জ্যোতি রফীক্বে আলার প্রেমে,
পাড়ি জমালেন দীদারের তরে সঞ্চিত কা’বা চুমে।

আটাইশে ছফর বড় বেহতর বরকতে কামিয়াব,
কোটি আশিকান কাঁদাইয়া যান ইখলাছে বেহিসাব।
ফের দেড় হাজারের দূরত্ব পথ কালো মেঘে যায় ছেয়ে,
কুরআন সুন্নাহ ইজমা ক্বিয়াস আবসরে রয় নেয়ে।

লাখো বিদয়াতের ছামিয়ানা দিয়ে হক্ব পথ দেয় ঢেকে,
কোথায় সত্য কোথায় পথ্য শূন্য কী আজ খাকে?
এলেন এবার মহান খোদার মহামানী ইরফান,
ওই মুজাদ্দিদ আ’যম হয়েই তিনি কায়িনাত চমকান।

ইমামুল উমাম আ’লায়ে হুমাম সাইয়্যিদী শাহী তন্,
আখিরী বেলায় দিচ্ছি জানায় শুনো মুসলিমগণ।
তিনি দশম খলীফা আছছফাহ শুনো হে মুসলিমীন,
ওই উনার রোবেই নিস্তানাবুদ তাগুতের আমীরিন।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮১

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৯৩