আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, বাতিলী হাক্বীক্বত গেল খুলে -১০৩

সংখ্যা: ২১৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওই যালিম দস্যু, জঘন্য রাজ আমেরিকা সন্ত্রাসী,
হায়! গণতন্ত্রের ফাঁদে আটকায় করতেছে বদমাশি।
ওই খোদার গযবে নিস্তানাবুদ তামাম তাগুতি দেশ,
অগ্নিপবন ও পানির থাবায় অহংকার নিঃশেষ।

ভিক্ষার ঝুলি গলায় ঝুলায়ে ভিক্ষা চাইছে সবে,
দস্যু ও চোর সন্ত্রাস হয়ে জুলমাতে রয় ডুবে।
পৃথিবীতে আজ মুসলমানেরা সুখের শৃঙ্গে রয়,
ওই যশ সম্পদ প্রাচুর্যতায় গুজরায় বসুধায়।

এহেন দৃশ্য দর্শে কাফির অস্থিরে জ্বলতেছে,
ইহুদী হিন্দু বৌদ্ধ নাছারা এক হয়ে খুঁজতেছে।
যে করেই হোক মুসলমানেরে কাবু যে করতে হবে,
নইলে পৃথিবী তাদের হস্তে মালিকানা উতরাবে।

বাজাও যুদ্ধ জগত শুদ্ধ মুসলিম দেশে দেশে,
লুট করো ওই সন্ত্রাসী হয়ে দস্যুতা উচ্ছাসে।
পাটায় পুতায় ঘষাঘষি করে যেমনটি হয় ক্ষয়,
মুসলিম দিয়ে মুসলিম মারো নেই এতে সংশয়।

ওই লিবিয়া মিশর সুদানসহ আফগান একাকার,
গাজা ফিলিস্তিন লেবাননসহ রুশ্ ও মায়ানমার।
সিরিয়া থাই চীন ও ভারত ফিলিপাইন সোমালিয়া,
রয় কাশ্মির আর চেঁচনিয়াসহ লাল খুনে উথলিয়া।

তবুও তাদের তৃষ্ণা মিটেনা ক্ষুধার তাড়না বাড়ে,
হিংসা আগুনে দাপ্রায় হায় বুভুক্ষতার পাড়ে।
এবার তারা দিচ্ছে দেখায় ধৃষ্ঠতা কয় কারে,
ওই ইহুদী নাছারা একযোগে দেয় জঘন্য প্রান্তরে।

রসূলদের রসূল, নবীদের নবী উনার মহান শানে,
সিনেমা করেই ব্যাঙ্গ চিত্র যমীনে প্রদর্শনে। নাউযুবিল্লাহ!
মুসলমানের শির ও কলজে নূর নবী হযরত,
রগ ও রেশায় লহু মিশ্রিত ইশকের নিছবত।

সেই মহান শানে বেয়াদবী করে পায় না যে কেউ পার,
প্রতি মু’মিনের জীবনের চেয়ে উনি প্রিয় বেশুমার।
তাইতো বিশ্বে গর্জেই উঠে মুসলিমী প্রতিবাদ,
ঈমানী অগ্নি রগরে উগারে প্রতিশোধ ইমদাদ।

প্রতিটি মু’মিন ঈমানী গরজে ময়দানে এলো নেমে,
জীবনের মায়া তুচ্ছ ভেবেই লড়ছে রসূলী প্রেমে।
রে দুনিযার কাফির গুষ্ঠি, নেই তোর নিস্তার,
গোটা মুসলিম জগতজুরেই সচেতন হুঁশিয়ার।

এক ইঞ্চিও ফাঁক না পাবে লুকোবার কোনখানে,
আকাশ পাতাল ফেরে চিড়ে তোকে ধরবে মুসলমানে।
আজ পৃথিবীর চৌদিক হতে জানবাজ মুসলিম,
হায়দারী হাকে কম্পিত রাখে তাগুতের তকসীম।

রে হিন্দু বৌদ্ধ ইহুদী নাছারা নাস্তিক সাবধান,
নূর নবীজীর নূরী সৈনিক জজবাতে আলীশান।
ওই নূর নবীজীর নূরী আওলাদ মুজাদ্দিদ মহাবীর,
ইমামুল উমাম শাহ সুলতান শীর্ষে উনার শির।

করে পায়রুবী তামাম পৃথিবী উনার হুকুমে সবে,
তিনি খলীফাতুল্লাহ নায়েবে নবী পরাক্রমে উদ্ভবে।
আসমান আর যমীনেই তিনি বেমেছাল রাহগীর,
তিনি রাশিদার নূরী ছরকার দ্বীন ইসলামের বীর।

সেই সে বীরের বাহুতে সুভিছে বিজয়ী বাইয়্যিনাত,
তামাম তাগুত তাবা করে দিতে তিনি হন সওগাত।
আজকে জাহিল কাহিল করতে উনি যে তাশরীফান,
উনার ডাকেই হুংকার মারে বিশ্ব মুসলমান।

ওই কররে ঘেরাও আমেরিকাসহ তামাম তাগুত দেরে,
দিসনা পালাতে ইহুদী ধরতে গেঁথে ধর খঞ্জরে।
ওরা ফকির ক্ষুধায় অস্থির নেইরে শক্তি বল,
ওদের মারতে এসো ঐক্যেতে দুর্বারে চল্ চল্।

 মোরা কাফিরের প্রত্যাশা সব অগ্নিলাভায় ঢেলে,
মোরা মুসলিম লইছি তা’লীম দুস্তরে দেই জ্বেলে।
তিমিরে নিবির রবনা অধির করি ঈমানের কাজ,
জজবাকে মোরা জোশায়িত করে লইছি লই দারাজ।

ওরে মুসলমান হয়ে আগুয়ান ধর ধর হাতিয়ার,
দেখুক তাকিয়ে কাফিররা ফের মুমিনী জুলফিকার।
ওই ব্যাঙ্গ সিনেমা সংহার তরে তারুণ্য টগবগ,
চর চর করে টান টান রহে ঈমানী দ্বীপ্ত রগ।

ওই হুদী শৃগাল স্যাম বাসিল নাহি পাবি নিস্তার,
ভয়ংকর রূপ শাস্তিতে তুই দেখবি অন্ধকার।
তোকেও তোর মদদগার সবাকে ধরবো মোরা,
অগ্নি শুলেই ঝুলায়ে রাখবো দেখবে জগত পুরা।

ওই ইমামুল উমাম করেন এলান জিহাদের ফরমান,
দিবনারে ছার আমরা যে আর চমকাতে মযদান।
চামড়া যে তুলে বদলা নিবোই শুনরে স্যাম বাসিল,
তোর কলিজা গুরদা খাওয়াবোই মোরা পিপড়াকে তিল তিল।

শুন, মুজাদ্দিদ আ’যম গাউছে পাক উনার সুন্নতী সৈনিক,
তোর শির নিতে বেরোয় খুঁজতে পৃথিবীর চৌদিক।
ভয়ঙ্কর এই প্রতিশোধ খানি হয়ে রবে ইতিহাস,
শুনো, হাজারো যুগের মানবজাতিরা জানবে এ- চারপাশ।

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০