আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৮৫

সংখ্যা: ২০১তম সংখ্যা | বিভাগ:

শহীদ গাজী,
রাখে মুসলমান সদা জাগোয়ান এপথে জীবনবাজি।
রে কুচক্রী ইহুদী দাস আমেরিকা প্রশাসন,
চায় মুসলিমদের বিশ্ব দুয়ারে রাখতেই বিভাজন।

রাখতেই চাস দ্বন্দ্ব খোয়ারে স্বার্থ হাছিলে হায়,
মুসলিম দিয়ে মুসলিম মারা প্রগতির দুনিয়ায়।
মুসলমানেরে একে অপরের শত্রু যে করিবার,
ওই ইহুদীর হুজ্জতে পড়ে তোরা হলি খেলোয়ার।

তোদের মাথায় বেল ভেঙে ওই ইহুদী সরিসৃপ,
লুটের অর্থ তোদেরে খাওয়ায় দেখাচ্ছে বড় কৃপ।
তোদের দিয়েই করছে হত্যা মুসলিম দেশে দেশে,
ইসরাইল তার সীমানা বাড়ায় দম্ভের উচ্ছ্বাসে।

রাখ শুনে রাখ ওরে ও মূর্খ আমেরিকা জনগণ,
মুসলমানের হাঁকের অগ্নি তোরে করে জ্বালাতন।
হাজার হাজার হেক্টর ভূমি বন ও শহর মিলে,
খোদার গযব আগুন হয়েই বেমালুম দেয় জ্বেলে।

লক্ষ লক্ষ প্রকার প্রকার গযবী করাল গ্রাসে,
তোরা ইহুদী নাছারা গোষ্ঠী অনায়াসে যাস ভেসে।
তোদের অ্যাটম বোমার দম্ভখানি অচল হয়েই থাকে,
বেহুঁশ রাখছে ধেয়ে আসা ওই ঘূর্ণিঝড়ের পাকে।

সাবধান! ওই বেঈমানেরা হটে রহ পিছুয়ান,
সচেতন আজ আচ্ছা রহিছে মুলকে মুসলমান।
হে বাংলাদেশের সরকার! হয়ে রহ সচেতন,
চায় কাফিরের ছল, করিতে বিকল মুসলিমী জনগণ।

সেই তরে আজ তোমার মাথায় বসে বসে খেতে চায়,
তোমার দেশের সৈনিক নিবে তাহাদের পাহারায়।
তোমায় ভুলায় দরদি সাজায় বাহবা নিচ্ছে বেশ,
তোমার গুণের প্রশংসায় অ্যাওয়ার্ড করছে পেশ।

কেননা তুমি মুসলিম বলে ভেবে করে কসরত,
মুসলিম দিয়া মুসলিম মারা কৌশলি বেসারত।
ওই ইহুদী নাছারা চায় চায় তারা নিধনে মুসলমান,
চায় তোমার দেশের সৈনিক দিয়ে ঠেকাতেই আফগান।

ঈমানদীপ্ত মুজাহিদ সনে পেরে না উঠছে আর,
তাই মুসলিম দিয়ে মুসলিম মারা চাহিতেছে ব্যবহার।
হায়! তোমার দেশের মুসলিম বীর সৈনিক চাহে তারা,
জঙ্গি নাশের ছুতোয় মারিতে ছল যে করিছে পুরা।

ওই পাক আফগানী মু’মিনদেরই হত্যা করার তরে,
তোমার দেশের সৈনিক চাহে নৈতিকতার ঘরে।
একে একে তুমি হুকুমতে দ্বীন করিয়া যে পরিত্যাগ,
রাখ, তাগুতি কানুন জারি যে করতে প্রশাসনী উদব্যাগ।

শতকরা ওই সাতানব্বই ভাগ মুসলমানের ভূমে,
হায়, বিধর্মীদের ধর্ম পর্বে নন্দে রহিছ জমে।
কোটি কোটি টাকা দরদী সাজিয়া দিতে রহ অনুদান,
আর ঈদ রোযা ও বরাত ক্বদরে রিক্ত মুসলমান।

উল্টো মুসলমানের ধর্ম কর্মে দিতে রহ তুমি বাধা,
ধর্মা দোহাইয়ে ক্ষমতায় এসে দেখাচ্ছ হায় ধাঁ ধাঁ।
আহা! নাঙ্গা করিয়া মুসলিম নারী করাও প্রদর্শন,
দেখাও জাত মান সব খান খান করে দম্ভের প্রহসন।

হাটে হাড়ি তুমি ভেঙে দিয়েই পুরাও মনের আশা,
ঈমান, ইহুদী নাছারা মুশরিকী হাতে রাখিছ সর্বনাশা।
মুসলমান অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতেও হামেশা অগ্রগামী,
নিজ তাহযীব সজীব রাখতে তোরা কর ইতরামী।

তোর চাতুরী ফুতুরে রাখতে মুসলিম রহে হুঁশ,
ওরে ও বাচাল সরকার তুই বেমালুম খাবি ঢুঁস।
এই বাংলাদেশের মুসলমানেরা ক্ষেপিয়া উঠিলে হায়,
নিমিষে তোমার ঝারিঝুরি সব ছুঁড়িবে অগ্নিগায়।

তুমি মুসলিম হয়ে তাসলিম লও মুশরিকী আড্ডাতে,
হস্তে তাসবীহ ধারণ করিয়া প্রসাদ খাচ্ছ জুতে।
দেখি, হিন্দু দেবীর চরণ চুমিতে ভাবিছ ভাগ্যবতী,
দাদাদের খুশি লভিবার তরে সিঁদুর লইছো পাতি।

আহা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়াও জায়নামাযেই বসে,
খবরদার অভিনয় দাও ছেড়ে দাও ধরিবে অক্টোপাসে।
ওই মুসলিমী জোশ রোশায়ী হয়েই উল্কা সমেত রহে,
অক্টোপাসরূপী বজ্রের ন্যায় তোমাকে এবার দহে।

শুন সরকার দফাদারগিরি ছেড়ে দিয়ে ফিরে আয়,
মুজাদ্দিদ আ’যম হুঙ্কার দেন রাজারবাগ খানকায়।
উনার গোস্বায় ভস্ম যে হয় কাফিরের শত দেশ,
উনার রোবের রশ্নি ত্যাজেই পুড়ছে তাগুতী ভ্যাশ।

ওই দৈনিক আল ইহসানে তিনি দেন করে হুঁশিয়ার,
রে সরকার বাড়িস না আর হয়ে যাবি ছারখার।
গোটা দুনিয়ার মুসলিমদের ইমাম যে হন তিনি,
ফের উনার দেশেই ইসলাম নিয়ে খেলছিস ছিনিমিনি?

উনার ডাকেই মুলকে মু’মিন জেগে উঠে লড়িবার,
তাগুতি তল্পি ধ্বংস রাখিতে পিছু নাহি হটে আর।
তওবা কর হে শাসকগোষ্ঠী দস্তে মুজাদ্দিদ,
তবেই তোমরা পাবে নিস্তার কহিতেছি অবিদিত।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯