আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্ত্বলা’ আলাল গইব, হায়াতুন্ নবী, উস্ওয়াতুন হাসানাহ্, রঊফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনী আও আদনা, ক্বয়িদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’

সংখ্যা: ২৯০তম সংখ্যা | বিভাগ:

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হচ্ছেন ‘আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্ত্বলা’ আলাল গইব, হায়াতুন্ নবী, উস্ওয়াতুন হাসানাহ্, রঊফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনী আও আদনা, ক্বয়িদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামতিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ উনার আপদমস্তক নূর মুবারক অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শুকুর (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক উনার তালু মুবারক) থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুছ ছাবিত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তালু মুবারক) পর্যন্ত সমস্ত কিছুই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক অর্থাৎ তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক দ্বারা সৃষ্টি মুবারক।’ সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

قَدْ جَاءَكُمْ مِّنَ اللهِ نُـوْرٌ وَّكِـتٰبٌ مُّبِيْـنٌ

অর্থ: “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক এবং সুস্পষ্ট কিতাব এসেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র “নূর” মুবারক দ্বারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,

}قَدْ جَاءَكُمْ مِّنَ اللهِ نُـوْرٌ} رَسُوْلٌ يَـعْنِـىْ سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “{নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক এসেছেন। সুবহানাল্লাহ!} তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে আব্বাস পৃষ্ঠা নং ৯০)

হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

قَدْ جَاءَكُمْ مِّنَ اللهِ نُـوْرٌ هُوَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “{নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক এসেছেন। সুবহানাল্লাহ!} তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে জালালাইন)

অনুরূপ বর্ণনা আরো অসংখ্য বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থসহ অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন। যেমন- ১. তাফসীরে কুরতুবী, ২. রূহুল মা‘আনী, ৩. রূহুল বায়ান, ৪. তাফসীরে বায়যাবী, ৫. তাফসীরে মাযহারী, ৬. যাদুল মাসীর, ৭. তাফসীরে মাওয়ারদী, ৮. মা‘আনিউত তানযীল, ৯. মাদারিকুত তানযীল, ১০. মা‘আলিমুত তানযীল, ১১. তাফসীরে কাবীর, ১২. তাফসীরে জামি‘উল বায়ান, ১৩. তাফসীরে আবী সু‘ঊদ, ১৪. তাফসীরে গরাইবুল কুরআন, ১৫. নাজমুদ দুরার, ১৬. তাফসীরে ক্বাদেরী, ১৭. হাশিয়ায়ে শায়খ যাদাহ্, ১৮. হশিয়াতুশ্ শিহাব, ১৯. শরহুশ শিফা লিল ক্বারী, ২০. তাফসীরে ফাতহুল ক্বদীর, ২১. তাফসীরে খাযাইনুল ইরফান, ২২. তাফসীরে মাওয়াহিবুর রহমান, ২৩. তাফসীরে যিয়াউল কুরআন, ২৪. তাফসীরে ক্বাসেমী, ২৫. তাফসীরে মুদ্বীহুল কুরআন, ২৬. তাফসীরে কামালাইন, ২৭. তাফসীরে উছমানী, ২৮. তাফসীরে মাজেদী, ২৯. কাশফুর রহমান, ৩০. তাফসীরে আলী হাসান, ৩১. তাফসীরে তাহেরী, ৩২. তাফসীরে নূরুল কুরআন ইত্যাদি।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قُـلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاَبِـىْ اَنْتَ وَاُمِّىْ اَخْبِـرْنِـىْ عَنْ اَوَّلِ شَىْءٍ خَلَقَهُ اللهُ تَـعَالـٰى قَـبْلَ الْاَشْيَاءِ قَالَ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اِنَّ اللهَ تَـعَالـٰى قَدْ خَلَقَ قَـبْلَ الْاَشْيَاءِ نُـوْرَ نَبِـيِّكَ مِنْ نُّـوْرِهٖ فَجَعَلَ ذٰلِكَ النُّـوْرُ يَـدُوْرُ بِالْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى وَلَـمْ يَكُنْ فِـىْ ذٰلِكَ الْوَقْتِ لَوْحٌ وَلَا قَـلَمٌ وَلَا جَنَّةٌ وَلَا نَارٌ وَلَا مَلَكٌ وَلَا سَـمَاءٌ وَلَا اَرْضٌ وَلَا شَـمْسٌ وَلَا قَمَرٌ وَلَا جِنِّـىٌّ وَلَا اِنْسِىٌّ فَـلَمَّا اَرَادَ اللهُ تَـعَالـٰى اَنْ يَّـخْلُقَ الْـخَلْقَ قَسَّمَ ذٰلِكَ النُّـوْرَ اَرْبَـعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ مِنَ الْـجُزْءِ الْاَوَّلِ اَلْقَلَمَ وَمِنَ الثَّانِـىْ اَللَّوْحَ وَمِنَ الثَّالِثِ اَلْعَرْشَ ثُـمَّ قَسَّمَ الْـجُزْءَ الرَّابِعَ اَرْبَـعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ مِنَ الْـجُزْءِ الْاَوَّلِ حَـمَلَةَ الْعَرْشِ وَمِنَ الثَّانِــىْ اَلْكُرْسِىَّ وَمِنَ الثَّالِثِ بَاقِىَ الْـمَلَائِكَةِ ثُـمَّ قَسَّمَ الْـجُزْءَ الرَّابِعَ اَرْبَـعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ مِنَ الْاَوَّلِ اَلسَّمَاوَاتِ وَمِنَ الثَّانِـىْ اَلْاَرْضِيْـنَ وَمِنَ الثَّالِثِ اَلْـجَنَّةَ وَالنَّارَ ثُـمَّ قَسَّمَ الرَّابِعَ اَرْبَـعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ مِنَ الْاَوَّلِ نُـوْرَ اَبْصَارِ الْـمُؤْمِـنِـيْـنَ وَمِنَ الثَّانِـىْ نُـوْرَ قُـلُوْبِـهِمْ وَهِىَ الْـمَعْرِفَةُ بِاللهِ وَمِنَ الثَّالِثِ نُـوْرَ اُنْسِهِمْ وَهُوَ التَّـوْحِيْدُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থর্: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, দয়া করে আমাকে এ বিষয়ে সংবাদ মুবারক দান করুন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছুর পূর্বে সর্বপ্রথম আপনার যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী এবং রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে সম্মানিত সৃষ্টি মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী উনার মহাসম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান মুবারক করছিলেন অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কিছু দিয়ে সৃষ্টি মুবারক করে উনাকে উনার সাথে সংযুক্ত করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুদরত মুবারক অর্থাৎ নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন অথার্ৎ উনার যিয়ারত, ছোহবত, দীদার মুবারকে উনাকে রেখেছেন অথার্ৎ উনি আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! আর ঐ সময় লওহো-কলম, বেহেশ্ত-দোযখ, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, আসমান-যমীন, সূর্য-চন্দ্র, জিন-ইনসান কোনো কিছুই ছিলো না। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন মাখলূকাত সৃষ্টি করার ইচ্ছা মুবারক করেন, তখন তিনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে চার ভাগ করেন। উনার প্রথম ভাগ দ্বারা সম্মানিত ক্বলম, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত লাওহে মাহফূজ এবং তৃতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক সৃষ্টি করেন। অতঃপর চতুর্থ ভাগ উনাকে আবার চার ভাগ করেন। উনার প্রথম ভাগ দ্বারা সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক বহনকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত কুর্সী মুবারক এবং তৃতীয় ভাগ দ্বারা অন্যান্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি করেন। অতঃপর চতুর্থ ভাগ উনাকে আবার চার ভাগ করেন। উনার প্রথম ভাগ দ্বারা আসমান, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা যমীন এবং তৃতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত বেহেশত মুবারক ও দোযখ সৃষ্টি করেন। অতঃপর চতুর্থ ভাগ উনাকে আবার চার ভাগ করেন। উনার প্রথম ভাগ দ্বারা মু’মিন বান্দা উনাদের চোখের জ্যোতি, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা উনাদের ক্বলবের জ্যোতি, এটিই মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মা’রিফাত মুবারক এবং তৃতীয় ভাগ দ্বারা মু’মিন উনাদের উন্স অর্থাৎ মুহব্বত উনার নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন। আর তা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাওহীদ মুবারক- لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ) উনার সম্মানিত নূর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ ১/৪৮, শারহুয যারক্বানী ৫/২৬১, মাদারেজুন নুবুওওয়াত, ফতওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ ১/১২৫, কাশফুল খফা ১/২৬৫, বাহ্জাতুল মাহাফিল ১/১৫ ইত্যাদি)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُـوْرِىْ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْئٍ مِّنْ نُّـوْرِىْ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাকতূবাত শরীফ, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল ইনসানুল কামিল, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি)

ইমামুল মুহাদ্দিছীন আল্লামা শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মাদারেজুন নুবুওওয়াত’ উনার ২য় খণ্ডের ২য় পৃষ্ঠায় লিখেন,

در حدیث صحیح وارد شد کہ  اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُـوْرِىْ

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ্ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছেন যে, (সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,) মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্ব প্রথম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ!

বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল মা‘য়ানী’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-

وَلِذَا كَانَ نُـوْرُهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوَّلَ الْمَخْلُوْقَاتِ

অর্থ: “এ কারণেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারকই হচ্ছেন সমস্ত মাখলুক্বাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল মা‘য়ানী ৯/১০০)

‘আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন্ নাবিয়্যিল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ কিতাবের ৫ম পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছেন, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,

كَانَ اللهُ وَلَا شَيْءَ مَعَهٗ فَاَوَّلُ مَا خَلَقَ نُـوْرَ حَبِـيْـبِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَــبْلَ اَنْ يَّـخْلُقَ الْمَاءَ وَالْعَرْشَ وَالْكُـرْسِىَّ وَاللَّوْحَ وَالْقَلَمَ وَالْـجَنَّـةَ وَالنَّارَ وَالْـحِجَابَ

অর্থ: “শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনিই ছিলেন, উনার সাথে অন্য কোন কিছুই ছিল না। অতঃপর পানি, সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক, সম্মানিত কুরসী মুবারক, সম্মানিত লাওহো-ক্বলম মুবারক, সম্মানিত জান্নাত মুবারক, জাহান্নাম এবং হিজাব ইত্যাদি সৃষ্টি করার পূর্বে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

خَلَقَ اللهُ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الْاَرْضِ فَـرَكَّبَ فِـيْهِ النُّـوْرَ فِــىْ جَبِـيْـنِهٖ ثُـمَّ انْـتَـقَلَ مِنْهُ اِلـٰى حَضْرَتْ شِيْثٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَانَ يَــنْـتَقِلُ مِنْ طَاهِرٍ اِلـٰى طَـيِّبٍ وَمِنْ طَــيِّبٍ اِلـٰى طَاهِرٍ اِلـٰى اَنْ اَوْصَلَهُ اللهُ صُلْبَ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ  عَلَيْهِ السَّلَامُ بْنِ حَضْرَتْ عَـبْدِ الْـمُطَّلِبِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمِنْهُ اِلـٰى رِحْمِ اُمِّـىْ حَضْرَتْ اٰمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ ثُـمَّ اَخْرَجَنِـىْ اِلَـى الدُّنْـيَا

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি মাটি থেকে আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত কপাল মুবারক উনার মাঝে (আমার) সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর (আমার) সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত শীছ আলাইহিস সালাম উনার মাঝে স্থানান্তরিত হলেন। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত স্থানান্তর মুবারক পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার থেকে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে, সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার থেকে পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে চলতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাঝে পৌঁছিয়ে দেন এবং উনার থেকে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ) স্থানান্তরিত করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মধ্যস্থতা মুবারক-এ আমাকে দুনিয়ার যমীনে প্রকাশ করেন অর্থাৎ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক্ব: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ১৮, আল জুযউল মাফকূদ ৬৩ পৃ.)

এ প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘উমদাতুন নুকূল’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,

اَنَّهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ نُـوْرًا فِـىْ بَطْنِ اُمِّهٖ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক হিসেবেই ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

رَاَتْ اُمِّـىْ حِيْـنَ وَضَعَـتْـنِـىْ سَطَعَ مِنْـهَا نُـوْرٌ اَضَاءَتْ لَهٗ قُصُوْرُ بُصْرٰى

অর্থ: “আমি যখন যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিলাম, তখন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি দেখেন উনার থেকে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক জাহির হয়েছেন। সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলোয় বছরার রাজপ্রাসাদসমূহ আলোকিত হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা, ইবনে সা’দ ১/১০২)

আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-

اِنِّــىْ رَاَيْتُ خَرَجَ مِنِّـىْ نُـوْرٌ اَضَاءَتْ مِنْهُ قُصُوْرُ الشَّامِ

অর্থ: “আমি নিশ্চিতভাবে দেখলাম যে, আমার থেকে একখণ্ড মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক যাহির হলেন। যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলোতে শাম দেশের রাজপ্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে গেলো।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ২৯/১৯৬, আল আহাদ ওয়াল মাছানী ৩/৫৬, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/২২২, আল খছায়িছুল কুবরা ১/১১০, ২/৩৩৬ ইত্যাদি)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ হওয়ার কারণেই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর মুবারক) উনার কোন ছায়া মুবারক ছিল না। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে আল্লামা হযরত ইমাম যারক্বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

وَلَـمْ يَكُنْ لَّهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ظِلٌّ فِـىْ شَـمْسٍ وَلَا قَمَرٍ لِاَنَّهٗ كَانَ نُـوْرًا

অর্থ: “চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিল না। কেননা তিনি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (শারুহয যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব ৫/৫২৪)

হযরত ইমাম কাযী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

وَمَا ذَكَرَ مِنْ اَنَّهٗ لَا ظِلَّ تَشَخَّصَهٗ فِـىْ شَـمْسٍ وَلَا قَمَرٍ لِاَنَّهٗ كَانَ نُـوْرًا

অর্থ: “যা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছেন- নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর মুবারক) উনার ছায়া মুবারক সূর্য ও চাঁদের আলোতেও প্রকাশ পেতো না। কেননা তিনি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (শিফা শরীফ ১/৩৬৮)

আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মছনবী শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,

ایں خورد گردد پلیدی زو جدا …..  واں خورد گردد ہمـہنور خدا

অর্থ: “আমাদের ভক্ষনকৃত খাদ্য নাপাকি হয়ে বের হয়। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা গ্রহণ করেন (ভক্ষন মুবারক করেন,) তা সবই নূর হয়ে যান।” সুবহানাল্লাহ!

আশরাফ আলী থানবী দেওবন্দী তার ‘শুকরুন নি‘য়ামাহ্’ নামক কিতাবের ৩৯ পৃষ্ঠায় লিখেছে,

یہ بات مشہور ھی کہ ہماری حضور صلی اللہ علیہ وسلم کی سایہ نھین تہا (اسلئی کہ) ہماری حضور صلی اللہ علیہ وسلم  سر تا پا  نور ھی نور تھی

অর্থ: “এই কথা প্রসিদ্ধ যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর মুবারক) উনার ছায়া মুবারক ছিল না। কেননা তিনি আপাদমস্তক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম।” সুবহানাল্লাহ!

রশীদ আহমদ গাংগুহী দেওবন্দী তার রচিত কিতাব ‘ইমদাদুস্ সুলূক’ এর ৮৬ পৃষ্ঠায় লিখেছে,

بتواتر ثابت شد کہ ان حضرت صلی اللہ علیہ وسلم سایہ نداشتند  …..  وظاہر است کہ بجز نور ہمہ اجسام ظل می دارند

অর্থ: “একথা মুতাওয়াতির বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর অর্থাৎ দেহ মুবারক) উনার ছায়া মুবারক ছিল না। প্রকাশ থাকে যে, নূরের দেহ ছাড়া সকল দেহেরই ছায়া রয়েছে।”

সুতরাং উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্ত্বলা’ আলাল গইব, হায়াতুন্ নবী, উস্ওয়াতুন হাসানাহ্, রঊফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনী আও আদনা, ক্বয়িদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ উনার আপদমস্তক নূর মুবারক অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শুকুর (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক উনার তালু মুবারক) থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুছ ছাবিত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তালু মুবারক) পর্যন্ত সমস্ত কিছুই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ! এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বিশুদ্ধ আকীদাহ্ মুবারক। একমাত্র ওহাবী, খারেজী, লা মাযহাবী এবং বাতিল ৭২ ফিরক্বার লোকেরাই এর বিপরীত আক্বীদাহ্ পোষণ করে থাকে এবং বলে থাকে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাটির তৈরী। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’ উনার ৬০ থেকে ৮২ তম সংখ্যা পাঠ করুন।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম