‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

সংখ্যা: ১৯১তম সংখ্যা | বিভাগ:

মফস্বলের সাংবাদিক সমিতির প্রক্রিয়া যেন ঢাকা শহরের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দৈনিকগুলোর মধ্যেও আছর করেছে। মফস্বলের নামধারী সাংবাদিকরা পালাক্রমে একজনে রিপোর্ট করে আর সবাই সমিতির সুবিধামত ঐ একই রিপোর্ট যার যার নামে যার যার পত্রিকায় পাঠায়।

ঠিক একই কাহিনী দেখা গেল ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে মর্মে গত ২৪শে অক্টোবর/০৯ ঈসায়ী তারিখের ‘দৈনিক যুগান্তর’ আর ২৫শে অক্টোবর/০৯ ঈসায়ী তারিখের ‘দৈনিক জনকণ্ঠে’র হুবহু একই রকম রিপোর্টে। প্রমাণিত হয় যে, দৈনিক যুগান্তরের নান্নুর রিপোর্টটাই দৈনিক জনকণ্ঠের মামুন তুলে দিয়েছেন। তবে রিপোর্টের আঙ্গিকে দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্টটিকে ডেথ নিউজই বলতে হয়।

কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে শুক্রবারের বিবৃতি দিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের মামুন রিপোর্ট করেছে রবিবার। অথচ সংবাদের নীতিমালা অনুযায়ী খবরটি ছাপা হতে পারতো শনিবার।

অর্থাৎ ২৪শে অক্টোবর/০৯ ঈসায়ী তারিখ শনিবার দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্ট দেখেই দৈনিক জনকণ্ঠের মামুন নতুন করে উৎসাহ পেয়েছে।

এদিকে দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্ট সম্পর্কে যুগান্তরের সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি একদিকে মন্তব্য করেছেন- “এসব সাংবাদিক কিছু না বুঝেই লিখে দেয়। পাশাপাশি তিনি এজন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন।”

অপরদিকে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন শুক্রবার সাংবাদিকদের একথা বলেছেন- এ খবর ২৫শে অক্টোবর/০৯ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশ হওয়ার পর রাত সাড়ে আটটায় মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। বরং উল্টো রাগত ভাব প্রকাশ করে বলেন যে, ‘এসব ভিত্তিহীন কথা তিনি বলতে পারেন- তাকে সেরূপ ব্যক্তিত্বহীন, কেন মনে করা হলো?’

তিনি উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে মারেন যে, “আমি কেন মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বিরোধী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিরুদ্ধে এসব কথা বলতে যাবো?”

এরপর মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যখন বলা হয় যে, তার বরাতে দৈনিক জনকণ্ঠের মামুন এ কথা ছাপিয়ে দিয়েছে তখন তিনি

দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, “উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিরুদ্ধে আমি এ রকম কোনো কথা বলি নাই।”

তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘কোন তারিখের দৈনিক জনকণ্ঠে এ কথা লিখেছে?’

তাকে তখন জানানো হয় যে, ‘আজকের দৈনিক জনকণ্ঠে।’

তখন তিনি মন্তব্য করেন যে, “সম্পূর্ণ বাজে কথা।”

এদিকে একই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক) ড. কামালউদ্দিন আহমেদের সাথেও এ ব্যাপারে একই দিন বিকাল ৩টায় সরাসরি সাক্ষাৎ করে জানতে চাইলে তিনি ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, অনভিজ্ঞ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোহেল তাজ জামাত-জোট গোয়েন্দা রিপোর্ট দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১২টি কালো তালিকাভুক্ত সংগঠনের মধ্যে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম উল্লেখ করে। অথচ খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টেই জঙ্গি সংগঠনের সংখ্যা ৩০। এমনকি মাননীয় আইনমন্ত্রীর বরাতে এ সংখ্যা ১১২। আর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জঙ্গি সংগঠনের হিসাব ৬০-৭০টি।

অর্থাৎ সোহেল তাজের রিপোর্টে যেমন প্রকৃত জঙ্গিদের নাম আসেনি বরং উল্টো প্রকৃত জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও ধর্মব্যবসায়ী বিরোধী সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত)-এর নামও বিভ্রান্তিমূলকভাবে চলে এসেছে। সঙ্গতকারণেই অতি সত্বর এই বিভ্রান্তি অপনোদন হওয়া দরকার।

এক্ষেত্রে জাতীয় পত্রিকার নামধারী কিছু সাংবাদিক, ধর্মব্যবসায়ী, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বিরোধী নিবেদিত ও সোচ্চার এবং সক্রিয় অবদান পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকার পরও রহস্যজনক কারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম বারবার উল্লেখ করছে; যা মোটেই কাঙ্খিত নয়।

এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পরিচয় নয়। পাশাপাশি তা ঐসব রিপোর্টারদের প্রকৃত জঙ্গিদের সম্পর্কে এবং জঙ্গিবাদ বিরোধীদের সম্পর্কে বিশেষ অজ্ঞতাই জাহির করে; যা গভীর দুঃখজনক। (সূত্র: দৈনিক আল ইহসান-২৬শে অক্টোবর/০৯)

মুহম্মদ আলম মৃধা

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬২

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২০ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল