একজন কামিলে- মুকাম্মিল হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মুরীদ -মুরীদাগণের বা সালিক-সালিকাগণের কী পরিমানে আদব-কায়দা ও হুসনে যন্ প্রদর্শন করতে হবে সেই আদব-কায়দাও হুসনে যন্ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ

সংখ্যা: ২৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

একজন কামিলে- মুকাম্মিল হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মুরীদ -মুরীদাগণের বা সালিক-সালিকাগণের কী পরিমানে আদব-কায়দা ও হুসনে যন্ প্রদর্শন করতে হবে সেই আদব-কায়দাও হুসনে যন্ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ


প্রত্যেক মুরীদ বা সালিকের মূল নিয়ামত মুবারক হাছিলের জন্য একমাত্র পাথেয় হচ্ছে আদব। এ প্রসঙ্গে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, ইমামুল আইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আল গউছ’ল আ’যম, ছহিবু সুলত্বনিন নাছীর, ক্বাইয়্যিমুয্ যামান, আল জব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্ববিউল আউওয়াল, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা-কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মূলত পবিত্রতম সুন্নাহ শরীফই হচ্ছেন আদব। আর তা পালন করাই হচ্ছে সম্মানিত আদব উনার অর্ন্তভ’ক্ত (সুবহানাল্লাহ) আদব অর্থ শিষ্টাচার, সভ্যতা, ভদ্রতা, নমনীয়তা, নিপুনতা, নৈতিকতা, শালীনতা ও স্বাভাবিকতা। অর্থাৎ একমাত্র পবিত্রতম সুন্নাহ শরীফ সর্বক্ষেত্রে পালন করাই হচ্ছে স্বাভাবিকতা তথা সম্মানিত আদব (সুবহানাল্লাহ)। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বলা হয় ‘ফিতরাত’ বা স্বাভাবিকতার দ্বীন। অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয় সম্মানিত আদব উনার অন্তর্ভুক্ত (সুবহানাল্লাহ)।

পরিভাষায়- স্থান, কাল, পাত্র ও পরিবেশ ভেদে- বুদ্ধিমত্তা, শালীনতা ও বিচক্ষণতার সাথে প্রতিটি কথা-কাজ বুঝে শুনে গভীর মনোযোগ সহকারে আঞ্জাম দেয়াই হচ্ছে আদব ।

 আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- الادب هو الاخذ بمكارم الاخلاق

অর্থ: অতি উত্তম চরিত্রে ভূষিত হওয়াই হচ্ছে আদব।

 তাছাউফ উনার পরিভাষায় মুনজিয়াত তথা সৎ স্বভাব, অর্থাৎ নেক আমলের উপর অবিচল থেকে মুহলিকাত বা বদ স্বভাব তথা সার্বিক অশ্লিলতা অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকাই হচ্ছে আদব।

বিষয়টি আরো স্পষ্ট করার লক্ষ্যে আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আল গউছ’ল আ’যম, ছহিবু সুলত্বনিন নাছীর, ক্বাইয়্যিমুয্ যামান, আল জব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্ববিউল আউওয়াল, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, আদব শেখার কোন শেষ নেই। আদবের কোন সু-নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। একজন মানুষের জীবন চলার পথে সর্বক্ষেত্রে পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার অনুসরণ করাই হচ্ছে, সম্মানিত আদব (সুবহানাল্লাহ)। যেমন এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة

অর্থ: অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝেই তথা উনার পবিত্রতম অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ (সুবহানাল্লাহ)। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ – ২১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাকীকী ও পরিপূর্ন মিছদাক হচ্ছেন- যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত, ওয়াত তরীকত, জামিউল আলকাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনিই ( সুবহানাল্লাহ) ।

কাজেই সকল মুরীদ-মরীদা সালিক- সালিকাসহ সকল কায়িনাতবাসীর জন্য একমাত্র আদব- শরাফত হচ্ছে- সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে হাকীকী ও পরিপূর্ন ভাবে অনুসরন অনুকরণ করা (সুবহনাল্লাহ)। তবেই তিনি পরিপূর্ণ আদববান হয়ে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক উনার পরিপূর্ণ হিসসা মুবারক লাভ করতে পারবেন (সুবহানাল্লাহ)।

সম্মানিত আদব প্রসঙ্গে আরো বলা হয়, الاسلام كله ادب   অর্থ: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়ই সম্মানিত আদব উনার অন্তর্ভুক্ত (সুবহানাল্লাহ)। অতএব, এই প্রকৃত আদব শুধু মাত্রই ত্বরীক্বত জগতে যাঁরা সম্মানিত তাছাউফ উনার শিক্ষা মুবারক দিয়ে থাকেন ঐ সমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের হাত মুবারক এ বা’য়াত ও ছোহবত মুবারক গ্রহণের মাধ্যমে এবং পবিত্রতম খিদমত মুবারকের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয় (সুবহানাল্লাহ)।

এজন্যই বলা হয়, الطريقة كله ادب অর্থ: “সম্মানিত তরীক্বত উনার সবটুকুই আদব (সুবহানাল্লাহ)।” (মাকতুবাত শরীফ, মাদারিজুস সালিকীন) আরো বলা হয়েছে যে- التصوف كله ادب অর্থ: “সম্মানিত তাছাউফ সম্পূর্ণই সম্মানিত আদব উনার অন্তর্ভুক্ত।” (মাকতুবাত শরীফ, মাদারিজুস সালিকীন ইত্যাদি)

কাজেই, পবিত্র সুন্নাহ উনার খিলাফই হচ্ছে, সম্মানিত আদব উনার বিপরীত তথা বেয়াদবী, যা হালাকীর কারণ (নাউযুবিল্লাহ)।

যেমন, এ প্রসঙ্গে আল্লামা রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,

از خدا جویم توفیق ادب + بے ادب محروم گشت از لطف رب.

অর্থ : “আমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পবিত্র আদব তলব করছি। কারণ বেয়াদব খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র রহমত (করুণা) থেকে বঞ্চিত। (নাউযুবিল্লাহ)” (মসনবী শরীফ)

অতএব, পরিষ্কারভাবে বুঝা গেল যে, আদব ব্যতীত কস্মিনকালেও কোন রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত, দয়া, দান ও ইহসান মুবারক কোন কিছুই হাছিল করা সম্ভব নয়। তাই হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় মুবারক উনার প্রতি-খেয়াল রেখে অত্যন্ত গুরুত্ব ও মুহব্বতের সাথে আদব প্রদর্শন করা প্রত্যেক সালিক-সালিকা ও মুরীদ-মুরীদাগণের অপরিহার্য কর্তব্য।

আমরা উপরের পবিত্রতম বাণী মুবারক থেকে থেকে পূর্বেই অবগত হয়েছি যে, প্রকৃতপক্ষে আদব শেখার কোনো শেষ নেই। যা কিছু মূলত: পবিত্রতম সুন্নাহ শরীফ উনার অর্ন্তভূক্ত তাই স্বাভাবিক। তাই শিখতে হবে, গ্রহণ করতে হবে (সুবহানাল্লাহ)।

আর সম্মানিত আদব শিক্ষার অর্থ নিজের মধ্যে সচ্চরিত্রের সমাবেশ ঘটানো এবং তা রক্ষা করা। যার মধ্যে উত্তম স্বভাব বিদ্যমান, সে চরিত্রবান ও ভদ্র। যিনি যতবড় আদববান, তিনি ততবড় নিয়ামত মুবারক উনার অধিকারী (সুবহানাল্লাহ) ।

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ-উনার ইরশাদ হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নাবিইউস সাক্বালাইন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

حسن الادب من الايمان

অর্থ: “উত্তম আদব হলো ঈমানের অংশ।” অর্থাৎ উত্তম আদবই ঈমান (সুবহানাল্লাহ)।

পবিত্রহাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابن مسعود رضى الله تعالى عنه قال قال النبى صلى الله عليه وسلم ادبنى ربى فاحسن تاديـبى.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে আদব মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন ফলে আমার আদব মুবারকই সর্বোত্তম হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (কানযুল উম্মাল, ইবনুস সামআন)

কিতাবে বর্ণিত হয়েছে-

الادب خير من الذهب والفضة

অর্থ: “সম্মানিত আদব স্বর্ণ ও রৌপ্যের চেয়েও উত্তম ও শ্রেষ্ঠ (সুবহানাল্লাহ)।”

মূলকথা হলো, দুনিয়াবী হোক বা উখরবী হোক, সমস্ত কাজেই আদব ও শিষ্টতা রক্ষা করে চললে মানুষ তার মঞ্জিলে মকছূদে পৌঁছতে সক্ষম। আর তা কামিলে মুকাম্মিল শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক হাতে বাইয়াত গ্রহণ অত:পর খিদমত মুবারক ও ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে খাছ তাওয়াজ্জুহ-ফয়েয হাছিলের মাধ্যমে তাওয়াল্লুক, নিছবত, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি ব্যতীত এই সম্মানিত আদব শিক্ষা করা ও আদববান হওয়া কোন মানুষের পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। এজন্য সাইয়্যিদুল মুুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যিন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

الشيخ لقومه كالنبى فى امته

অর্থ: হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি ক্বওম তথা মুরীদের মাঝে ঐরূপ খিদমত মুবারক ও মর্যাদা, মর্তবা এবং সম্মান মুবারক পাওয়ার অধিকারী এবং অনুসরণীয় যেরূপ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের মাঝে। (সুবহানাল্লাহ) (দায়লামী শরীফ)

কাজেই, একজন কামিলে মুকাম্মিল শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনিই একজন মুরীদ বা সালিক-সালিকাদের জন্য যে কতবড় নিয়ামত ও রহমত মুবারক উনার অর্ন্তভ’ক্ত- তা সহজেই অনুমেয় (সুবহানাল্লাহ) এ কারণেই উনার প্রতি কী পরিমাণ সম্মানিত আদব মুবারক রক্ষা করে চলতে হবে সেটাও চিন্তা-ফিকিরের বিষয় (সুবহানাল্লাহ)।

কতিপয় বৈশিষ্ট্যপূর্ন আদব-কায়দা ও হুসনে যন সম্পর্কিত ধারাবাহিক বর্ননা:

এখানে মুরীদ – মুরীদা বা সালিক – সালিকাদের জন্য প্রয়োজনীয় কতিপয় বৈশিষ্ট্যপূর্ন আদব বর্ণনা করা হলো। বাকী আরো অনেক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আদব-কায়দা রয়েছে যা হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম দরবার শরীফে এসে- মুবারক ছোহবত-ইখতিয়ার উনার মাধ্যমে অবশ্যই তা শিখে নিতে হবে (সুবহানাল্লাহ)।

১। সালিক বা মুরীদ সর্বদাই নিজ শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে সকলের চেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করতে হবে। অর্থাৎ, এরূপ আক্বীদা পোষণ করতে হবে যে, আমার শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি নন এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন। তাছাড়া, সমস্ত নিয়ামত ও মাক্বামাত মুবারক উনার অধিকারী (সুবহানাল্লাহ) তথা উনাদের পরেই আমার শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র অবস্থান মুবারক। (সুবহানাল্লাহ)

২। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে পরিপূর্ণরূপে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুবহু কায়িম-মাক্বাম হিসেবে মনে করতে হবে। আর নিজেকে মনে করতে হবে নি:স্ব ও ইলমহীন। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার ইলম মুবারকই হচ্ছেন মুরীদ-মুরীদা ও সালিক-সালিকাদের হাক্বীক্বী ইলম। অর্থাৎ হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার ফতওয়া, আদেশ, নির্দেশ মুবারকই চূড়ান্ত। এই আক্বীদাই হচ্ছে মুরীদ-মুরীদা বা সালিক-সালিকাগণের পরম আদব এবং ইহাই নিয়ামত হাছিলের মূল মাধ্যম। সুবহানাল্লাহ!

কিতাবে বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি- উনার শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত বাক্বীবিল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি উপরোক্ত দু’খানা আক্বীদা মুবারক পোষণ ও আদব মুবারক প্রদর্শন করার কারণেই মহান আল্লাহ পাক উনাকে এতোবড় নিয়ামত মুবারক দ্বারা সমৃদ্ধ করেন বলে তিনি উনার জীবনী মুবারকে উল্লেখ করেছেন (সুবহানাল্লাহ)।

৩। শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার আক্বীদা মুবারক অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে হবে এবং নিজের ক্বলব তথা মনকে সকল দিক থেকে সরিয়ে হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার দিকে রূজু বা নিয়োজিত রাখতে হবে। যথাসম্ভব মাল ও জান দিয়ে উনার খিদমত মুবারক করতে হবে এবং শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় সকল নিয়ামত মুবারক হাছিল হয়ে থাকে বলে মনে করতে হবে (সুবহানাল্লাহ)।

৪। শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র দরবার শরীফ উনাকে মনে করতে হবে খোদ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম উনাদেরই পবিত্রতম দরবার শরীফ এবং উনার পবিত্রতম দীদার, মুহব্বত ও ছোহবত মুবারকই মূলত মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরই পবিত্রতম দীদার, মুহব্বত ও ছোহবত মুবারক উনার অর্ন্তভুক্ত (সুবহানাল্লাহ)।

৫। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ-ফরযন্দ উনাদেরকে উনারই মুবারক জাতপাক হিসেবে উনার তুল্য সম্মান করতে হবে। উনার আত্মীয়-স্বজন উনাদেরকেও পরম শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে (সুবহানাল্লাহ)। অন্যদিকে উনার সাথে ঘনিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে উনার নিকট মর্যাদা তলব করা যাবে না (নাউযুবিল্লাহ)।

৬। শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকেও শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার অনুরূপ মুহব্বত করতে হবে। প্রত্যেক মুরীদ-মুরীদা বা সালিক-সালিকা নিজেকে সকলের চেয়ে নিকৃষ্ট ও নিম্নমানের মনে করতে হবে।

৭। মুরীদ বা সালিক যারা হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার দরবার শরীফে আসবেন সর্বপ্রথম হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সাক্ষাত মুবারক করে সাধ্যমত সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট হাদিয়া মুবারক অত্যান্ত বিনয় ও আদবের সাথে দু’হাত সম্প্রসারিত করে হাত মুবারক এ পেশ করবেন অতঃপর ক্বদমবুছী মুবারক করে বিনয়ের সাথে যতদিন অবস্থান করবেন তার আরজীও পেশ করতে পারেন।

৮। অনুরূপ ভাবে দরবার শরীফ থেকে বিদায় গ্রহণের সময় সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট হাদিয়া মুবারক অত্যান্ত আদব ও বিনয়ের সাথে পেশ করবেন এবং ক্বদমবুছী মুবারক করে বিদায় গ্রহণ করবেন। বিশেষ ভাবে স্মণীয় যে, তাওফীক্ব থাকলে যতবার সাক্ষাত মুবারক করবেন ততবার হাদিয়া মুবারক পেশ করবেন।

৯। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার হুকুম ছাড়া উনার সামনে ফরয, সুন্নত, নফল ইত্যাদি কোনো আমলই করবেনা, এমনকি যিকিরও না।

১০। মুরীদ এমন স্থানে দাঁড়াবেনা, যাতে করে হযরত মুর্শিদ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র জিসিম মুবারক উনার উপর বা উনার ছায়া মুবারক উনার উপর মুরীদের ছায়া পড়ে।

১১। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার আম-খাছ কোনো কিছুই ব্যবহার করবেনা। উনার জায়নামায বা স্যান্ডেল মুবারক-এর উপর পা রাখবেনা। ওযূ-গোসলের স্থানে ওযূ-গোসল করবেনা। এরূপ সকল ক্ষেত্রে একই আদব বজায় রাখতে হবে (সুবহানাল্লাহ)।

১২। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সামনে বসে উনার বিনা হুকুমে খাওয়া-দাওয়া করবেনা। এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও অমনোযোগী হবেনা।

১৩। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম যেদিকে থাকেন বা অবস্থান করেন, সেদিকে কখনোই পা বিস্তার করা যাবে না বা থুথু ফেলা যাবে না।

১৪। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে এবং উনার সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়কে সবচেয়ে- এমনকি নিজের জান ও মালের চেয়েও অবশ্যই বেশি মুহব্বত করতে হবে এবং সবচেয়ে ভাল ও উত্তম মনে করতে হবে। যদিও নিজের অজ্ঞতার জন্য প্রকাশ্যে তা ভালো মনে না হয়- তাহলে সে জন্য বেশী বেশী তওবা ইস্তিগফার করতে হবে আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে যে, হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার তরফ থেকে সম্মানিত ইলহামপ্রাপ্ত হয়েই সব কাজ-কর্ম মুবারকগুলো করে থাকেন (সুবহনাল্লাহ) ।

১৫। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে ফিক্বাহ, ফতওয়াসহ সমস্ত বিষয়সমূহ শিক্ষা মুবারক গ্রহণ করতে হবে (সুবহনাল্লাহ) ।

১৬। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম চাল-চলন ও আচার-ব্যবহার মুবারকে কখনো বাদ-প্রতিবাদ, এমনকি অন্তরে কোনো সন্দেহ পর্যন্ত পোষণ করা যাবে না। ইহা চরম বেয়াদবীতো বটেই বরং হালাক্বীর কারণ। (নাউযুবিল্লাহ)

১৭। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট কখনোই কারামত দেখতে চাওয়া যাবে না। ইহা চরম বেয়াদবী (নাঊযুবিল্লাহ)।

১৮। মুরীদের মনে কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট আরয করতে হবে। তিনি বুঝিয়ে দিলে যদি বুঝে না আসে, তবে নিজেরই ত্রুটি মনে করতে হবে। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি কোনো সন্দেহ পোষণ করা যাবে না। করলে হালাক ও ঈমানহারা হওয়া ছাড়া তার কোন গতি থাকবেনা (নাঊযুবিল্লাহ)।

১৯। কোনো ঘটনা বা স্বপ্ন প্রকাশ পেলে, তা হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট আরয করতে হবে। তিনি যা ব্যাখ্যা করেন, তাই মেনে নিতে হবে। নিজের কাশফ বা ইলহামের উপর কোনোরূপ ভরসা করা যাবে না ।

২০। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক থেকে বিনা কারণে ও বিনা অনুমতিতে প্রস্থান করা যাবে না। উনার সামনে উঁচুস্বরে কথা বলা যাবে না ।

২১। মুরীদ বা সালিকের যা কিছুই হাছিল হোক না কেন, তা স্বীয় হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার ওসীলায় হাছিল হয়েছে বলে বিশ্বাস অবশ্যই রাখতে হবে।

২২। মুরীদের অন্যতম আদব ও আক্বীদা হচ্ছে, শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম মজলিসে বসার অর্থই হচ্ছে খলীক-মালিক রব্বুল আলামীন উনার ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পাবত্রতম মজলিসে বসার অন্তর্ভুক্ত (সুবহানাল্লাহ)।

২৩। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট অপরের সালাম নিয়ে আসা আদবের খিলাফ। উনার নিকট এসে কিছুদিন থাকার ইচ্ছা হলে পূর্বেই চিঠি-পত্রাদি বা অন্য কোনো মারফত অনুমতি মুবারক নিয়ে আসতে হবে। চিঠি-পত্রাদি সরাসরি শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট না লিখে পবিত্রতম দরবার শরীফ-উনার অন্য কারো নিকট লেখাই অধিক শিষ্টতা বা আদব। আর সরাসরি আসা সম্ভব না হলে সবচেয়ে প্রিয় জিনিস অথবা টাকা পয়সা ইত্যাদি হাদিয়া হিসেবে পাঠাতে পারেন।

২৪। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সাথে কখনোই তর্ক-বিতর্ক করা যাবে না। উনার উপর নিজ ইচ্ছা চাপানোর চেষ্টা করাও যাবে না বরং উনার পবিত্রতম ইচ্ছা ও মর্জি মুবরক অনুযায়ী অবশ্যই কাজ করতে হবে। উনার নিকট এমনভাবে থাকবে, যেমন গোসলদানকারীর হাতে মৃত ব্যক্তি (সুবহানাল্লাহ)।

২৫। নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ যথাসম্ভব শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পরামর্শ মুবারক অনুযায়ী করার আপ্রাণ কোশেশ করতে হবে।

২৬। মুরীদ বা সালিক নিজকে সকলের চেয়ে নিকৃষ্ট ও হীন মনে করতে হবে।

২৭। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম পবিত্রতম কাশফ দ্বারা মুরীদের অবস্থা জ্ঞাত হচ্ছেন, এটা না ভেবে উনার নিকট নিজের হাল বা অবস্থা জানাতে হবে।

২৮। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সময় ও সুযোগ বুঝে বিনয়ের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলতে হবে। উনার পবিত্রতম জবাব মুবারক খুব মনোযোগ ও অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে শুনতে হবে।

২৯। অবশ্য মুরীদ যদি প্রাণপণ চেষ্টা করেও হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি আদবসমূহ রক্ষা করতে না পারে, তবে অবশ্য অবশ্যই উনার নিকট অক্ষমতা প্রকাশ করে অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

৩০। প্রত্যেক তরীক্বার মুরীদ বা সালিকগণের জন্য স্বীয় তরীক্বার পূর্ববর্তী বুযুর্গগণ উনাদের পবিত্রতম শাজরানামা পাঠ করা, সে বিষয়ে পূর্ণ ওয়াকিফহাল থাকা একান্ত আবশ্যক।

৩১। প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের আপন হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ নিবদ্ধ থাকা উচিত। সবক করতঃ সালিকের কী হাছিল হলো অথবা না হলো সেদিকে দৃষ্টিপাত করা উচিত নয়। কেননা ইহা গইরুল্লাহ। সবকের হাল উপলব্ধি বা সবকের বিষয়ে অধিক জ্ঞান হাছিলের জন্য অন্য কারো দ্বারস্থ হওয়া সম্মানিত আদব উনার সম্পূর্ণ খিলাফ (নাউযুবিল্লাহ)।

৩২। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম দরবার শরীফ উনার সর্বপ্রকার খাদ্য পানীয় মুবারক এবং তৎসংশ্লিষ্ট সব কিছুকেই পবিত্রতম শিফা, রহমত, বরকত ও নাজাত লাভের সবচেয়ে সর্বোত্তম উসীলা মনে করতে হবে, এরূপ আক্বীদা পোষণ করা মুরীদ ও মুরীদাগণের জন্য পরম আদব ও তরক্কীর কারণ (সুবহানাল্লাহ) এর বিপরীত মনে করা হালাকির কারণ। নাউযূবিল্লাহ!

৩৩। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম ছূরত মুবারক ধ্যানে- খেয়ালে রাখা মুরীদের চরম পর্যায়ের আদব যা পবিত্রতম নিয়ামত মুবারক ও তরক্কী লাভের অন্যতম মুল মাধ্যম (সুবহানাল্লাহ)।

৩৪। এখানে একটি বিষয় বুঝে নিতে হবে, যে মুরীদ বা সালিক নিজ হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ওসীলায় ফানা-বাক্বা মর্তবা পর্যন্ত উপনীত এবং যার ইলহাম এমন প্রশস্ত ও উন্মুক্ত যে, স্বীয় শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনিও এটা অনুমোদন মুবারক করেন ও তার পূর্ণতার সাক্ষ্য প্রদান করেন, শুধুমাত্র সেই ব্যাক্তির নিজ ইলহাম অনুযায়ী আমল করার ইখতিয়ার রয়েছে।

মনে রাখতে হবে, সম্মানিত আদব তরীক্বতের জন্য একান্তই আবশ্যক। সম্মানিত আদব ব্যতীত পবিত্রতম ছোহবত উনার কোনো ফল পাওয়া যাবেনা। এমনকি সম্মানিত তরীক্বত উনার শিক্ষাই পূর্ণ হবেনা। ত্বরীক্বত পন্থিদের জন্য পবিত্রতম নিয়ামত মুবারক হাছিল এবং উহার উপর ইস্তিক্বামত থাকার জন্য সম্মানিত আদব কতো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ ব্যাপারে একটি ঘটনা বুঝার জন্যই যথেষ্ট। কিতাবে বর্ণিত আছে- হাদীয়ে বাংলা ও আসাম- হযরত কারামত আলী জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার শায়েখ মুজাদ্দিদুয যামান হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্রতম দরবার শরীফ-এ ৮ দিনে তরীক্বতের সায়ির-সুলূক শেষ করেন। কিন্তু সম্মানিত আদব মুবারক শিক্ষালাভের জন্য উনাকে আরো ১০ দিন সেখানে অবস্থান করতে হয় (সুবহানাল্লাহ)।

কাজেই, স্পষ্টভাবে বুঝা গেল যে সম্মানিত আদবই হচ্ছে সমস্ত নিয়ামত ও কুরবত মুবারক হাছিলের মূল মাপকাঠি (সুবহানাল্লাহ)। মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কাছে খাছ করে পবিত্রতম তাওফীক্ব মুবারক ভিক্ষা চাই আমরা যেন আমাদের প্রাণের আক্বা যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, ইমামুল আইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আল গউছুল আ’যম, ছহিবু সুলত্বনিন নাছীর, ক্বাইয়্যিমুয্ যামান, আল জব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্ববিউল আউওয়াল, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা-কা’বা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম নূরানী ক্বদম মুবারকে ও উনার পবিত্রতম নবী পরিবার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নূরানী কদম মুবারকে- মুরীদ-মুরীদা, সালিক-সালিকা হিসেবে যথাযথ আদব রক্ষা করে মুবারক খাছ রেযামন্দি, সন্তষ্টি, মুহব্বত, মা’রিফাত, তাওয়াল্লুক ও নিছবত মুবারক হাছিল করতে পারি। (আমীন)


– আল্লামা মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুল ফারীক্বাইন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ পালন করে খুশি প্রকাশ করেন

হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের খিলাফতকালে নাবিইয়ুর রহমাহ, নাজিইয়ুল্লাহ, নূরুম মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং এ উপলক্ষে ব্যয় করার ফযীলতও বর্ণনা করেছেন

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন

বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ