এখনো সামরিক শক্তিতে শীর্ষে মুসলিম দেশগুলো! কিন্তু তার প্রভাব এবং প্রয়োগ কোথায়?

সংখ্যা: ২৭২তম সংখ্যা | বিভাগ:

সামরিক খাত নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা করে বিশ্বে সুপরিচিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৫৬তম। তাদের তৈরি তালিকায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭ তম ছিল। চলতি বছরে বাংলদেশ একধাপ উপরে উঠে এসেছে।

মুসলিম দেশ হিসেবে সমরশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৩৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে নিয়মিত মোট কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। সংরক্ষিত বাহিনীতে রয়েছে ৬৫ হাজার কর্মী। দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট হিসাবে রাখা হয় ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে দুটি সাবমেরিন। টর্পেডো ও মাইন বহনকারী এ সাবমেরিন শত্রুজাহাজ ও অন্য সাবমেরিনকে আঘাত আনতে পারবে। সমরশক্তি বাড়াতে নৌবাহিনীতে রাখা হয়েছে মোট ১৬৬টি এয়ারক্র্যাফট। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৫টি, অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট ৪৫টি এবং হেলিকপ্টার রয়েছে ৬১টি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মোট ট্যাংক রয়েছে ৫৩৪টি। সাঁজোয়া যান রয়েছে ৯৪২টি, ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান এবং ৩২টি রকেট প্রজেক্টর। ন্যাভাল অ্যাসেট হিসেবে আছে চারটি করভেট ও দুটি সাবমেরিনসহ ৯১টি তরী। শত্রু মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যবহার করছে ছয়টি ফ্রিগেট। এছাড়া মাইন ওয়ারফেয়ার ক্র্যাফট এবং বাণিজ্যিক নৌযানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়াও আছে ৯৪২টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান, ১৮টি কামান ও ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান। ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন থেকে পাঁচটি মেরিটাইম পেট্রোল ভেসেল, দুটি করভেট, ৪৪টি ট্যাংক, ১৬টি জেট ফাইটার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। সরকার গত ১০ বছরে সামরিক খাতে কেনাকাটার জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে। এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৫ হাজার ১০৪ কোটি টাকার অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ কাঙ্খিত পরিমাণে না হলেও গত কয়েক বছরের বিশ্বের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ সামরিক শক্তিতে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, ইরান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান।

পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান: বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় পাকিস্তানকে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এটি। এ দেশের সেনাবাহিনীতে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। অপরদিকে রিজার্ভ আর্মি আছে পাঁচ লাখের ওপরে। যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা ১৮০ মিলিয়ন। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতেও অগ্রগামী। সেনা, নৌ, বিমান, মেরিন, আধা সামরিক এবং এসপিডি বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী গঠিত। পাকিস্তানের রয়েছে ৪ হাজার সাঁজোয়া ট্যাংক, চারটি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, ১৪টি ফ্রিগেট, আটটি করভেট যুদ্ধজাহাজ, ২৮টি পেট্রোল বোট, আটটি সাবমেরিন, ৩২৫টি যুদ্ধবিমান, ৩০টি বোমারু বিমান, ২৫০টি জঙ্গি বিমান, ১১০টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ১১০টি পরমাণু অস্ত্র। পাকিস্তানের সামরিক বাজেট থাকে ৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি দেশটির জিডিপির ২.৭ শতাংশ। পাকিস্তানের রয়েছে শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিশ্বব্যাপী পাকিস্তানি এ সংস্থা আইএসআই নামে পরিচিত। পাকিস্তানি অস্ত্র ভাণ্ডারের প্রায় ৮০ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়। একসময় পাকিস্তান আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করত।

সমরশক্তিতে পূর্ণ তুরস্ক: সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে মুসলিম বিশ্বে অন্যতম শক্তিধর দেশ তুরস্ক। তুর্কি সামরিক বাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার। আর রিজার্ভ সদস্য রয়েছে আরো ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭০০ জন। আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার। সব মিলিয়ে দেশটির বর্তমান সামরিক জনশক্তি ৭ লাখেরও বেশি। তুরস্কের সেনাবাহিনীর রয়েছে নিজস্ব বিমান, নৌ ও পুলিশিং ইউনিট। বাহিনীর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ট্যাংক ৩ হাজার ৭৭৮টি, আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল (এএফভি) ৭ হাজার ৫৫০টি, স্বচালিত কামান (এসপিজি) ১ হাজার ১৩টি, ভ্রাম্যমাণ কামান (টিএ) ৬৯৭টি, বহুমুখী রকেট ব্যবস্থা (এমএলআরএস) ৮১১টি। বিমান বাহিনীর অধীনে রয়েছে ৯টি যুদ্ধবিমান ঘাঁটি। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও ড্রোন ঘাঁটিসহ রয়েছে আরও ১১টি ঘাঁটি ও ৪১টি সোয়াড্রন, বিমান সংখ্যা ১ হাজার সাতটি, যুদ্ধবিমান ২০৭টি, প্রশিক্ষণ বিমান ২৭৬টি, হেলিকপ্টার ৪৪৫টি, সামরিক হেলিকপ্টার ৬৪টি। এছাড়া তুরস্কের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ ১৬ ফ্যালকন। তাদের আছে ইসরাইলের তৈরি মনুষ্যবিহীন ১০টি বিমান আইএআই হিরন।

ইরানে সবার জন্য সেনা প্রশিক্ষণ: বিপদের সময় কারও সাহায্যের অপেক্ষা না করে সচেষ্ট হতে হয় নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে। এ কারণেই নিজ দেশেই প্রতিরক্ষা খাত বেগবান করাকে উত্তম মনে করেছে ইরান। দেশটিতে ১৯ বছর বয়সি নাগরিকদের ১৮ মাস বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ইরানি সেনাবাহিনীর রয়েছে ১ হাজার ৬৫৮টি ট্যাংক। এর মধ্যে ১০০টি নিজেরা তৈরি করেছে। তাদের সামরিক শক্তির মধ্যে রয়েছে ৮ হাজার ১৯৬টি পৃথক আর্টিলারি ডিভিশন সৈন্য। ২ হাজার ১০টি টানা আর্টিলারি ও ৮০০টি স্বনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র। ইরানের রয়েছে ২০০টি রকেট সিস্টেম, ৫ হাজার মর্টার এবং ১ হাজার ৭০১টি বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র। ইরানের রয়েছে ১ হাজার ৩১৫ আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল। মোট নৌবাহিনীর জাহাজ ৩৯৭টি, বাণিজ্যিক জাহাজ ৭৪টি, ফ্রিগেট ওয়ারশিপ ১২টি, করভেট যুদ্ধজাহাজ তিনটি, কোস্টাল ডিফেন্স জাহাজ ১১১টি, সাবমেরিন ৩৭টি। বিমান বহরে ইরানের রয়েছে প্রায় ৫০০টি বিমান। মিসাইল শক্তির দিক দিয়েও পিছিয়ে নেই। ইরানের দূরপাল্লার বা স্বল্পপাল্লার শক্তিশালী প্রায় ১ হাজারের বেশি মিসাইল রয়েছে। ইরানের এ মিসাইল শক্তি ইসরাইলের যে কোনো স্থান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো স্থান অতিক্রম করে পূর্ব ইউরোপ পর্যন্ত হামলা করতে সক্ষম।

মিশরেই তৈরি হয় অধিকাংশ অস্ত্র: মিশর প্রতিরক্ষা ট্যাংকসহ মাঝারি আকারের অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণ করে। যুদ্ধের চেয়ে প্রতিরক্ষা বিষয়ে তারা বেশি আগ্রহী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার র‌্যাংকিংয়ে সামরিক শক্তিতে মিশরের অবস্থান দশম। মিশরের সশস্ত্র বাহিনী ১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি। অ্যাক্টিভ ফ্রন্টলাইন পারসোনালের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৪ হাজার ২৫০ জন এবং রিজার্ভ পারসোনাল সংখ্যা ৮ লাখ ৭৫ হাজার জন। মিশরের ল্যান্ডসিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত আছে মেইন ব্যাটল ট্যাংক, লাইট ট্যাংক, ট্যাংক ডেস্ট্রয়ার, আর্মোরড পারসোনাল ক্যারিয়ার এবং ইনফেন্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল। মিশরের মেইন ব্যাটল ট্যাংক ৪ হাজর ১১০টি, আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল ১৩ হাজার ৯৪৯টি, সেলফ প্রপেলড গান ৮৮৯টি, টাওয়েড আর্টিলারি ২ হাজার ৩৬০টি, মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম রয়েছে ১ হাজার ৪৮১টি। আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী বিমানবাহিনী। মিশরের বিমানবাহিনীতে রাশিয়ান, আমেরিকান ও ফ্রেঞ্চ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত। তাদের মোট বিমান সংখ্যা ১ হাজার ১৩২টি, ফাইটার ৩৩৭টি, ফিক্সড উইং এটাক ৪২৭টি, পরিবহন বিমান ২৬০টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৩৮৪টি, হেলিকপ্টার ২৫৭টি, অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৬টি। মিশরের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীও বেশ শক্তিশালী। মিশরের নৌবাহিনীতে দুটি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার আছে। এছাড়াও অত্যাধুনিক ফ্রিগেট রয়েছে। করভেট আছে দুটি, সাবমেরিন পাঁচটি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ২২৭টি, মাইন ওয়ারফেয়ার আছে ২৩টি।

আমেরিকাকে ছাড়িয়ে সৌদি আরব: ঐতিহাসিকভাবে তেলসমৃদ্ধ একটি দেশ সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের এ রাজতন্ত্র রাজনৈতিক এবং সামরিক ইস্যুতে দৃশ্যত কিছু দূরত্ব বজায় রাখে। অথচ বিশ্বের একমাত্র দেশ এটিই, যারা অস্ত্র আমদানিতে সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করে থাকে। দেশটিতে এমন কিছু অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো মার্কিন সেনাবাহিনীতেও প্রচলন হয়নি। সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে এয়ার ডিফেন্স, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স ও ন্যাশনাল গার্ড নামে পৃথক বাহিনী। আকাশপথে শত্রুর মোকাবিলার জন্য ফাইটারসহ হামলা চালাতে সক্ষম এমন বিমান রয়েছে চার শতাধিক। সামরিক হেলিকপ্টার ২২৭টি, প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে ২৪৩টি। স্থলযুদ্ধের জন্য আছে ১ হাজর ১৪২টি ট্যাংক, সাঁজোয়া যান আছে ৫ হাজার ৪৭২টি, অটোমেটিক ও সাধারণ কামান মিলে রয়েছে মোট ৯৫৪টি। এছাড়া রকেট প্রজেক্টর আছে ৩২২টি। সামরিক নৌযানের মধ্যে সৌদি আরবের রয়েছে সাতটি ফ্রিগেট, চারটি করভেটস, ১১টি টহল সামরিক জাহাজ ও তিনটি মাইন অপসারণ যান। সৌদি আরবের সর্বশেষ সামরিক বাজেট ৫ হাজার ৬৭২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

ইন্দোনেশিয়ায় উন্নত ফ্রিগেটে: বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ইন্দোনেশিয়া। দেশটির ৮৮ শতাংশ মানুষ মুসলিম। ইন্দোনেশিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৬ কোটি। সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত প্রায় ১১ কোটি। অ্যাক্টিভ ফ্রন্টলাইন পারসোনালের সংখ্য ৪ লাখ ৭৬ হাজার এবং রিজার্ভ পারসোনাল সংখ্যা ৪ লাখ। ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীতে ট্যাংক ৪১৮টি, আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল ১ হাজার ৮৯টি, সেলফ প্রপেলড গান ৩৭টি, ওয়েড আর্টিলারি ৮০টি, মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম ৮৬টি। তাদের বিমানবাহিনী এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী। মোট যুদ্ধবিমান ৪২১টি, ফাইটার ৩৯টি, ফিক্সড উইং অ্যাটাক ৫৮টি, পরিবহন বিমান ১৭০টি, প্রশিক্ষণ বিমান ১১১টি, হেলিকপ্টার ১৪৭টি, অ্যাটাক হেলিকপ্টার পাঁচটি। সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীও বেশ শক্তিশালী।

-মুহম্মদ মাহবুবুল্লাহ, ঢাকা।

রৌশনীদের ক্ষোভ, দুঃখ, লজ্জা, ক্রোধের দায়ভার নেবে কে? প্রবাহমান সংস্কৃতি পঙ্কিলতার তোড়ে রৌশনীদের সব আকুতি যে নির্মমভাবে ভেসে যাচ্ছে।  সে দায়বদ্ধতা বর্তমান সমাজ আর কত অস্বীকার করতে পারবে? প্রযুক্তি যতটা আপগ্রেড হচ্ছে সে তুলনায় অপরাধ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। কাজেই আদর্শের কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। পর্দা পালনে বিকল্প নেই।  ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব কথার প্রতিফলন না হলে খুন, ধর্ষণ আর পরকীয়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে প্রতিটা পরিবার। সমাজ হবে সমাজচ্যুত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৪

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল