ওয়াজ শরীফ: কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে  ১২

সংখ্যা: ২১০তম সংখ্যা | বিভাগ:

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আলী উনার

পূর্ব প্রকাশিতের পর

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, একবার কিছু ইহুদী মহিলা ইহুদীদের ভিতরে কিন্তু সবসময় দুষ্টামী বুদ্ধি থাকে যারজন্য কুরআন শরীফ-এ নাযিল হয়েছে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন-

لتجدن اشد الناس عداوة للذين امنوا اليهود والذين اشركوا

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন উম্মতদেরকে, তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে কাদেরকে? প্রথম হচ্ছে ইহুদী, দ্বিতীয় হচ্ছে মুশরিক। এরপর অন্যান্য কাফিরগুলো।

ইহুদীরা শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলো, বিদ্বেষ পোষণ করে আসছিলো। কারণ ইহুদীরা মনে করেছিলো প্রথমে, তাদের বণী ইসরাইলের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসবেন। কিন্তু তিনি আসলেন বণী ইসমাঈল গোত্রের মধ্যে। এজন্য তারা ভিতরে ভিতরে খুব গোসসা করতো, বিদ্বেষ পোষণ করতো। ক্ষেত্রবিশেষে প্রকাশ্যেও করতো। সেই ইহুদী তাদের ভিতরে তো খারাপী ছিলো সবসময়ই। কিছু ইহুদী মহিলা তারা কি করলো, কিছু ইহুদী মহিলা তারা একদিন এসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললো, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে যদি আমাদের একটা দাওয়াতে যাওয়ার অনুমতি দিতেন! কোন কোন বর্ণনায় এটা বিয়ের দাওয়াত ছিলো, বিশেষ করে এটা খাবারের দাওয়াত ছিলো। ইহুদীদের ভিতরেতো সবসময় কু-বুদ্ধি থাকে, দুষ্টামি বুদ্ধি থাকে। এদের খেয়াল ছিলো যে, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে যদি দাওয়াত দিয়ে নেয়া যায়, উনিতো স্বাভাবিক লিবাস পরে আসবেন। আর এরা সব দামি দামি কাপড় চোপড় পরবে। পরে তারা ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করার চেষ্টা করবে। নাঊযুবিল্লাহ! এই দুষ্টামি বুদ্ধি এদের। যিনি খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি তো সব জানেনই।

عليم بذات الصدور

অন্তরের অন্তঃস্থলের খবর তিনি রাখেন। আবার যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো

اعطيت بجوامع الكلم

সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উনাকে সমস্ত ইলমই দেয়া হয়েছে। তিনিও জানেন। সুবহানাল্লাহ!

এখন তারা যখন আরজি করলো তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ঠিক আছে, উনি দাওয়াতে যাবেন। সেখানে মহিলাদের জন্য শুধু ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন নির্দিষ্ট দিনে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনি যাবেন। এখন কি পরে যাবেন? একেতো ইহুদী মহিলাগুলো সম্পদশালিণী, এরা অনেক টাকা-পয়সার মালিক, তারা দামি দামি স্বর্ণ, মণি-মুক্তা, হীরা-জহরত খচিত লিবাস পরবে, অনেক অলঙ্কার তারা পরবে। এখন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ উনার লিবাস কি পরতে হবে! এখন দেখা গেলো ঠিক সেই মুহূর্তে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আগমন করলেন

نزل حضرت جبريل عليه السلام بحليه من الجنة

হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি জান্নাত থেকে এক জোড়া লিবাস এবং কিছু অলঙ্কারসহ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এসে পৌঁছলেন এবং বলে দিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদিয়া দিয়েছেন। সুহানাল্লাহ!

فلما لبستها وجلست بين هن رفعت الانوار

সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ওই জান্নাতী লিবাস এবং অলঙ্কারগুলো পরিধান করলেন। সুবহানাল্লাহ! এবং সেটা পরে তিনি তাদের মজলিসে গেলেন। এখন এমন এক অবস্থা হলো, উনারাতো সবসময়ই নূরানী ছিলেন, উনাদের জিসিম মুবারক থেকে, চেহারা মুবারক থেকে সবসময় নূর বিচ্ছুরিত হতো। তখন এমন নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হতে থাকলো, সমস্ত ইহুদী মহিলা যারা ছিলো এরা অনেকে দামি দামি, সেই যামানার হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা দামের জামা-কাপড়, স্বর্ণ, হীরা-জহরত ইত্যাদি পরে এসেছে। উদ্দেশ্য তাদের খারাপ ছিলো। কিন্তু সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ওই জান্নাতী লিবাস মুবারক পরে গেলেন, উনার জিসিম মুবারক-এর সাথে উনার সেই লিবাস এবং অলঙ্কার মনে হচ্ছে একাকার হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ! এমন নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হতে লাগলো, সবাই তায়াজ্জুব হয়ে গেলো। ব্যাপারটা কি হলো! তারা যেটা চিন্তা-ফিকির করেছিলো, তারা তো দাওয়াত দিয়ে এসে একত্রিত হয়ে অনেকে হাসি-ঠাট্টা করেছিলো। নাঊযুবিল্লাহ! এখন দেখা গেলো তারা নিজেরাই লজ্জিত হয়ে গেলো।

তিনি যখন চলতে থাকলেন মনে হচ্ছে তিনি তো প্রকৃতপক্ষে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন- সমস্ত আলমের মেয়েদের তিনি সাইয়্যিদাহ। তারা যখন উনার সামনে উপস্থিত হলো, মনে হচ্ছে এরা সকলেই উনার বাঁদী-দাসির অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তারা আশ্চর্য হয়ে বললো-

اين لك هذا يا سيدة نساء اهل الجنة حضرت الزهراء عليها السلام قالت من ابى فقلن اين لابيك قالت من حضرت جبريل عليه السلام فقلن من اين لحضرت جبريل عليه السلام قالت من الجنة.

তখন এই মহিলাগুলো জিজ্ঞাসা করলো, হে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম! এই লিবাস আপনি কোথায় পেলেন? কেন, যিনি আমার পিতা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে এটা দিয়েছেন। তখন আবার তারা জিজ্ঞাসা করলো

من اين  لابيك

আপনার যিনি পিতা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, যিনি খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই লিবাস কোথায় পেলেন। তিনি বললেন-

من حضرت جبريل عليه السلام

হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে হাদিয়া করেছেন। তখন আবার সেই মহিলারা জিজ্ঞাসা করলো-

من اين لحضرت جبريل عليه السلام

হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আবার এটা কোথা থেকে পেলেন? তিনি বললেন কেন-

من الجنة

জান্নাত থেকে। যিনি স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক তিনি সেটা জান্নাত থেকে হাদিয়া করেছেন, তিনি এটা পৌঁছে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এরপর

ونشهد الا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

ওই মূল মহিলা এবং তার সাথে সঙ্গী-সাথী যারা ছিলো তারা সকলেই এটা দেখে কালিমা শরীফ পড়ে ঈমান আনলো। সুবহানাল্লাহ!

 ثم اسلم زوجها

ওই মহিলা যে মূল তার স্বামী, অন্যান্য সমস্ত পুরুষ যারা ছিলো পরবর্তীতে তারাও সকলে এটা শুনে, জেনে তারাও ঈমান আনলো। সুবহানাল্লাহ!

এখন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে সেটাই বলা হয়েছে-

سيدة نساء اهل الجنة “سيد نساء العالمين” سيدة نساء هذه الامة.

সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার লক্বব তিনি একদিক থেকে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ- বেহেশতের মেয়েদের সাইয়্যিদাহ। আরেক দিক থেকে তিনি সমস্ত আলমের জন্য সাইয়্যিদাহ ও সমস্ত উম্মতের মহিলাদের মধ্যেও তিনি সাইয়্যিদাহ। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনাকে এতো মর্যাদা, এতো মর্তবা, এতো খুছূছিয়ত উনাকে হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

(অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫