কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালুতে রয়েছে ব্ল্যাক গোল্ডসহ বহুবিধ খনিজ সম্পদ। সাধারণভাবে সংরক্ষণ করে রিফাইনিং করলে আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। আর বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিলে আলাদাভাবে আয় হবে লাখ লাখ কোটি টাকা

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাসমৃদ্ধির অপার সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান অনুযায়ী প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে নানা ধরনের মূল্যবান খনিজ সম্পদ। বিশেষ করে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের বালুকণা মহামূল্যবান খনিজ ধাতুতে ভরপুর।

সূত্র মতে, ১৯৬০ সালে পাকিস্তান ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ও ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে কক্সবাজারে সৈকত খনিজ আবিষ্কার করে। ১৯৬৮ সালে গবেষণা করে সৈকতের বালিতে ৮ প্রকারের খনিজ পাওয়া যায়। খনিজ উত্তোলনে তখন অস্ট্রেলিয়ার সরকার আগ্রহ দেখায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান এটমিক এনার্জি কমিশন (পিএমসি)-এর আদলে বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি (বিএমসি) সৈকতে ভারী খনিজের উপর ভূ-তাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও গবেষণা শুরু করে। এ সময় অস্ট্রেলিয়া সরকারের কারিগরি সহায়তা কাজে লাগানো হয়। ১৯৭৫ সালে সৈকত বালু থেকে খনিজ পৃথক করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের সাহায্যে কক্সবাজারে একটি পাইলট প্লান্ট স্থাপন করা হয়। ১৯৭৯ সালে মিনারেল প্রসেসিংয়ের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভূ-তাত্ত্বিক অনুসন্ধানের কাজ চলে। কক্সবাজারের বদরমোকাম, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, সাবরাং, শিলখালী, ইনানী, কক্সবাজার, মহেশখালী, মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়ার সৈকতে গবেষণা করে ১৫টি এবং নিঝুমদ্বীপ ও কুয়াকাটায় আরো ২টিসহ মোট ১৭টি খনিজের স্তূপ পাওয়া যায়। খনিজ বালুর স্তূপগুলো সমুদ্রের বর্তমান তটরেখা থেকে ১-২ মাইল স্থলভাগের অভ্যন্তরে ভূ-পৃষ্টের উপরিভাগে অবস্থিত। স্তূপের দৈর্ঘ্য ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার ফুট, প্রস্থ ৫০ থেকে ১০০০ হাজার ফুট এবং পুরুত্ব ৩-১৫ ফুট। প্রাক্কলিত বালুর পরিমাণ হলো ২ দশমিক ৫ কোটি টন। এর মধ্যে ভারী খনিজ বালুর পরিমাণ ৪৩ লাখ টন, মূল্যবান খনিজের পরিমাণ ১৭ দশমিক ৬ লাখ টন, জিরকন ১ লাখ ৫৮ হাজার টন, রুটাইল ৭০ হাজার টন, লিউকক্সিন ৯৭ হাজার টন, কায়ানাইট ৯১ হাজার টন, ইলমেনাইট ১৩ লাখ ২৫ হাজার টন, গারনেট ২ লাখ ২৩ হাজার টন, ম্যাগনেটাইট ৮১ হাজার টন এবং মোনাজাইট ১৭ হাজার টন।

জানা গেছে, এগুলো যথাযথভাবে উত্তোলন ও রিফাইনারি মেশিনের মাধ্যমে আলাদা করলে সাধারণ হিসেবে এসব খনিজের আর্থিক মূল্য দাঁড়াবে ২০ হাজার কোটি টাকা। আর বিশেষভাবে সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করলে আয় হবে লাখ লাখ কোটি টাকা।

বিশেষত, কক্সবাজারের বিস্তৃত সমুদ্র সৈকতের প্রতি বালিকণাতে ছড়ানো ছিটানো রয়েছে মহামূল্যবান ব্ল্যাক গোল্ড। খালি চোখে তা শুধুই বালু। কিন্তু ওই বালু মূল্যবান সম্পদ বুকে ধারণ করে রয়েছে। যা রতেœর চেয়ে মূল্যবান। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে এ ধরনের ব্ল্যাক গোল্ডের পরিমাণ শতকরা মাত্র ৫ ভাগ। তাই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় খনিজশিল্পে ব্ল্যাক গোল্ড তৃতীয়স্থানে। তাই রফতানী করে তারা বিদেশের চাহিদার ৯০ ভাগ পূরণ করে। আর আমাদের কক্সবাজার সৈকতের বালুতে ব্ল্যাক গোল্ড পরিমাণ শতকরা ১৫ ভাগ। অথচ মহামূল্যবান এ পদার্থ দ্বারা বাংলাদেশ সরকার এখনো কোনো ফায়দার ব্যবস্থা করতে পারছে না।

দুঃখজনক হলেও সত্য- অবহেলা, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এসব মহামূল্যবান সম্পদ দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সমুদ্র তীরে নতুন নতুন সড়ক ও বসতবাড়ি নির্মাণ, চাহিদা বৃদ্ধি, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে অকারণে অনেক পরিবর্তন এসেছে।

বলাবাহুল্য, সোনার বাংলায় এখনো সোনার খনি আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু আমাদের যা আছে তা সোনা থেকে মোটেই কম নয়। মহামূল্যবান এসব ধাতু থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। অথচ ষাটের দশকে আবিষ্কৃত হওয়া এ খনিজ সম্পদ প্রত্যেক সরকারই ক্ষমতায় এসে রহস্যজনকভাবে নীরব থেকেছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নামকাওয়াস্তে একটি প্রকল্প চালু আছে এ খাতে, কিন্তু কোনোই গবেষণা নেই, সরকারি বরাদ্দ নেই তো গবেষণা করবে কি দিয়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমরা আমাদের এই সম্পদকে অতল সাগরে বিলীন হয়ে যেতে দিতে পারি না। অন্য কোনো বৃহৎ শক্তি আমাদের এ সম্পদ লুটে নিয়ে যাক তা হতে পারে না।

আমরা মনে করি, সরকারের এক্ষনি এ বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বিশেষ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ, ব্যুরো অফ মিনারেলস, রফতানী উন্নয়ন ব্যুরো ইত্যাদি সবগুলো সংস্থাকে নিয়ে সরকারের উচিত- দেশের অর্থায়নেই এসব সম্পদ রিফাইনিং করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রফতানীর ব্যবস্থা করা। দেশ ও জাতিকে নতুন করে আলাদাভাবে লাখ লাখ কোটি টাকার সুফল দেয়া। বাংলাদেশের জনগণকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ এর সম্মান ও সমৃদ্ধি দেয়া।

-আল্লামা মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৪

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার জন্য আন্তর্জাতিক ইসলাম বিদ্বেষী চক্র ‘জুয়েল অব মদিনা’ অপন্যাসের অপপ্রয়াস চালিয়েছে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে  আর উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মানহানি করার প্রেক্ষাপট তারা এদেশেই রচনার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে  ‘ঘরজামাই’ সুন্নতী চেতনার মানহানি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ!