খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং উনার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-১১

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

ঈমান কি? আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া হচ্ছে-

الايمان التصديق بالجنان

অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে

بما جاء به النبى صلى الله عليه وسلم من عند الله

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যা কিছু এনেছেন তা অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে। এর মধ্যে একটা বিষয়ও বাদ দেয়া যাবে না।

والاقرار باللسان

যবানে তা স্বীকার করতে হবে।

والعمل بالاركان

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে আমল করতে হবে।

আমাদের হানাফী মাযহাব মোতাবেক- কেউ যদি অন্তরে স্বীকার করে, সে ঈমানদার হিসেবে সাব্যস্ত হবে। কিন্তু দুনিয়াবী ফায়দা সে লাভ করতে পারবে না। যেহেতু সে মুখে স্বীকার করেনি। যখন সে মুখে স্বীকার করবে, অন্তরে মেনে নিবে তখন সে দুনিয়াবী ফায়দা লাভ করবে। আর মু’মিনে কামিল সে তখন হতে পারবে যখন সে অন্তরে বিশ্বাস করার পর মুখে স্বীকার করার পর আমলে তা বাস্তবায়ন করবে। তখন সে মু’মিনে কামিল হিসেবে সাব্যস্ত হবে। কাজেই, ঈমানের বিষয়টা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যা কিছু এনেছেন যা কিছু বলেছেন, সমস্ত বিষয়গুলো বিশ্বাস করতে হবে। স্বীকার করতে হবে। এর মধ্যে কোন চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা যাবে না। এখন কেউ যদি কোন চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে সে ঈমানদার থাকবে না।

এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

قاتلوا الذين لايؤمنون بالله ولا باليوم الاخر ولا يحرمون ما حرم الله ورسوله ولا يدينون دين الحق

মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

قاتلوا الذين

হে আমার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাদেরকে কতল করুন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করুন। কাদের সাথে?

لا يؤمنون بالله ولا باليوم الاخر

যারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি, পরকাল উনার প্রতি ঈমান আনে না, বিশ্বাস স্থাপন করেনা।

ولا يحرمون ما حرم الله ورسوله

এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যা হারাম ঘোষণা করেছেন সেটাকে হারাম ঘোষণা করেনা, হারাম স্বীকার করেনা।

ولا يدينون دين الحق

এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে পবিত্র দ্বীন এনেছেন, পবিত্র ইসলাম এনেছেন সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করে নেয় না, সে অনুযায়ী তার আমল-আখলাক্ব গঠন করে নেয় না।

এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং পরকাল উনার প্রতি ঈমান আনবেনা এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যা হারাম বলে সাব্যস্ত করেছেন সেটাকে যে হারাম বলে মানেনা এবং যে পবিত্র দ্বীন দেয়া হয়েছে, পবিত্র ইসলাম দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী যে নিজেকে তৈরী করে নেয়না, তার শাস্তি তো মৃত্যুদ-, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা; তাকে কতল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-

عن حضرت الـقدام بن معديكرب رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الا انى اوتيت القران مثله ومعه الا يوشك رجل شبعان على اريكته يقول عليكم بهذا القران فما وجدتم فيه من حلال فاحلوه وما وجدتم فيه من حرام فحرموه وان ما حرم رسول الله صلى الله عليه وسلم كما حرم الله

হযরত মিকদাম ইবনে মা’দীকারিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

الا

তোমরা সাবধান হয়ে যাও! হে আসমানবাসী যমীনবাসী! সকলেই সতর্ক হয়ে যাও।

انى اوتيت القران ومثله معه

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে পবিত্র কুরআন শরীফ দিয়েছেন তার অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ দিয়েছেন। এরপর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই বলেন যে দেখ, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে পবিত্র কুরআন শরীফ দিয়েছেন, তার অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ দিয়েছেন।

الا يوشك رجل شبعان على اريكته يقول

সতর্ক হও অনেক লোক এমন হবে যারা তাদের গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে তারা দুনিয়ায় পরিতৃপ্তিতে থাকবে। এরা বলবে

عليكم بهذا القران فما وجدتم فيه من حلال فاحلوه وما وجدتم فيه من حرام فحرموه

নিশ্চয়ই, তোমাদের জন্য আমাদের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফই যথেষ্ট, উনার মধ্যে যা হালাল পাওয়া গেছে সেটা হালাল জানতে হবে, উনার মধ্যে যা হারাম পাওয়া গেছে সেটা হারাম জানতে হবে। এর বাইরে কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ! তারা আহলে কুরআন, কুরআনিয়া ফিরক্বা। যাদেরকে স্বয়ং নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাফির ঘোষণা করেছেন। এরপর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-

وان ما حرم رسول الله صلى الله عليه وسلم كما حرم الله

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করেছেন সেটা হলো ঐরকমই যেমন মহান আল্লাহ পাক হারাম করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

كما حرم الله

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই বলেন, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করেছেন সেটা কেমন, সেটা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন হারাম করেছেন ঠিক তার অনুরূপ। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা হারাম করেছেন সেটা হারাম, যেটা হালাল করেছেন সেটা হালাল। এই কুরআনিয়া ফিরক্বা; এরা হচ্ছে কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।

(অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫