খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর  মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে  ১৭

সংখ্যা: ২১৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্ব প্রকাশিতের পর

তাহলে উনার কতটুকু মর্যাদা, কতটুকু ফযীলত, খুছূছিয়ত সেটা বান্দাদের জন্য, বান্দিদের জন্য, উম্মতের জন্য ফিকির এবং চিন্তার বিষয়। এতো মর্যাদা উনাকে দেয়া হয়েছে। সেটাই বলা হয়েছে হাদীছ শরীফ-এ

عن حضرت زيد ابن ارقم رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انى تارك فيكم ما ان تـمسكتم به لن تضلوا بعدى احدهما اعظم من الاخر كتاب الله وعترتى اهل بيتى

হযরত যায়িদ বিন আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, কী বলেন-

انى تارك فيكم

নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি কিছু বিষয়।

ما ان تـمسكتم به لن تضلوا بعدى

তোমরা যদি সে বিষয়গুলিকে আকড়িয়ে থাকতে পারো, দৃঢ়তার সহিত ধরে রাখতে পারো, কস্মিনকালেও আমার পরে তোমরা গোমরাহ হবে না। সুবহানাল্লাহ!

احدهما اعظم من الاخر

একটা থেকে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ও মহান।

كتاب الله

প্রথম হচ্ছে কিতাবুল্লাহ। অর্থাৎ প্রথম হচ্ছে, যিনি খালিক্ব, যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব কুরআন শরীফ।

وعترتى اهل بيتى

আর দ্বিতীয় হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমার আহলে বাইত, আমার আহলে বাইত।

كتاب الله واهل بيتى

আল্লাহ পাক উনার কিতাব এবং আমার আহলে বাইত উনাদেরকে রেখে যাচ্ছি। উনাদেরকে তোমরা যতদিন আকড়িয়ে থাকবে তোমরা কস্মিনকালেও গোমরাহ হবে না। সুবহানাল্লাহ!

এখানে বিষয়টা খুব সুক্ষ্ম। অনেক আলোচনা, ব্যাখ্যার তো শেষ নেই। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যা অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকবে। তবুও শেষ হবে না। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম হচ্ছে কুরআন শরীফ। যিনি অসীম। হাদীছ শরীফ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কালাম। কাজেই তিনি অসীম উনার সাথে নিসবত থাকার কারণে উনার বিষয়গুলি বুঝা অত্যন্ত কঠিন।

এখন মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ- আহলে বাইত। অর্থাৎ কিতাবের পরেই আহলে বাইত উনাদের বর্ণনা করলেন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। কাজেই, আহলে বাইত উনাদের মর্যাদা কত! কিতাবকে আকড়িয়ে থাকলে গোমরাহ হবে না। কিতাব দেয়া হয়েছে হিদায়েতের জন্য। তদ্রƒপ যারা আহলে বাইত উনাদেরকেও দেয়া হয়েছে হিদায়েতের জন্য। সুবহানাল্লাহ!

উনাদেরকে যারা আকড়িয়ে থাকতে পারবে, তারা হিদায়েত পাবে। এখন আহলে বাইত উনাদের অন্যতম হযরত সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। এবং আওলাদুর রসূল, আওলাদুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যারা, উনাদের মূল হচ্ছেন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। উনার থেকে আওলাদে রসূল যারা- উনারা যমীনে আগমন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত কত! এখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারক-এর কারণে মাটির মর্যাদা হয়ে গেল আরশ, কুরসী, এমনকি কা’বা শরীফ-এর চাইতেও লক্ষ কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম যিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গোশত মুবারক-এর একখানা টুকরা মুবারক। তাহলে উনার মর্যাদা কতটুকু হবে? যেখানে স্পর্শ মুবারক-এর কারণে একটা সাধারণ আদনা মাটি, এ মাটির মর্যাদা হয়ে যাচ্ছে আরশে মুয়াল্লা থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে আহলে বাইত উনাদের মর্যাদা কতটুক? এটা কিন্তু মানুষ ফিকির করতে পারবে না। এইজন্য উনাদের তা’যীম-তাকরীম, উনাদের মুহব্বত করতে হবে। উনাদের প্রতি হুসনে জন রাখতে হবে, নিসবত রাখতে হবে, সম্পর্ক রাখতে হবে, উনাদের ফযীলতগুলি, বুযুর্গীগুলি প্রত্যেককে জেনে-শুনে, বুঝে, অনুধাবন করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে খইর-বরকত, ইহকাল-পরকালে কামিয়াবী দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!

যেটা অন্য এক হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে-

عن حضرت زيد بن ارقم رضى الله تعالى عنه قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما فينا خطيبا بـماء يدعى خما بين مكة والـمدينة فحمد الله واثنى عليه ووعظ وذكر ثم قال اما بعد الا ايها الناس انـما انا بشر يوشك ان يأتينى رسول ربى فاجيب وانا تارك فيكم الثقلين اولـهما كتاب الله فيه الـهدى والنور فخذوا بكتاب الله واستمسكوا به فحث على كتاب الله ورغب فيه ثم قال واهل بيتى اذكركم الله فى اهل بيتى ثلاثا

হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি

بين مكة والـمدينة

মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এর মাঝামাঝি একটি স্থান

بـماء يدعى خما

পানির পাশে ‘খুমমান’ এটা একটা জায়গা। খোম যেটা বলা হয়। সেখানে তিনি দাঁড়িয়ে খুৎবা মুবারক দিলেন।

يوما فينا خطيبا

দাঁড়িয়ে তিনি খুৎবা দিলেন। কি খুৎবা দিলেন।

فحمد الله واثنى عليه

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল তিনি যিনি খালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার ছানা-ছিফত করলেন, প্রশংসা করলেন।

ووعظ وذكر

এবং তিনি নছীহত করলেন, তা’লীম দিলেন, স্মরণ করিয়ে দিলেন।

ثم قال: اما بعد، الا ايها الناس

অতঃপর তিনি বললেন, হে মানুষেরা! তোমরা জেনে রাখো

انما انا بشر يوشك ان يأتينى رسول ربى فاجيب

আমিতো যিনি খালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এসেছি, একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে। যখন খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে উনার প্রতিনিধি অর্থাৎ মালাকুল মউত হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম তিনি আসবেন তখন আমাকে তো চলে যেতে হবে। আমি তখন কিন্তু চলে যাবো।

وانا تارك فيكم الثقلين

আমি তোমাদের জন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রেখে যাচ্ছি।

(সমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫