খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং উনার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-২৬

সংখ্যা: ২৩৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্ব প্রকাশিতের পর

ইউরোপ, আমেরিকায়, রাশিয়া, চীন, জাপান, ফ্রান্সে, হিন্দুস্থানে কেউতো ইসলামী হুকুমত জারি করে না। তাহলে মুসলমানদের দেশে এদের মতবাদ কেন জারি করবে? এদের মতবাদ কেন সেখানে চলবে? এদের রসম রেওয়াজ কেন চলবে? তহলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তর্জ-তরীক্বা কোথায় গেলো? ইসলাম উনার হুকুম-আহকাম কোথায় গেলো? মহান আল্লাহ পাক উনার  এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ নির্দেশ মুবারক কোথায় গেলো? এটা ফিকির করতে হবে। একটা বিষয় ফিকির করলে বোঝা যাবে যে, যারা মোঘল সম্রাট ছিলো তাদের সময় পর্যন্ত সমস্ত মুসলমানরা দাড়ী রেখেছিলো, তারা টুপি পড়তো, পাগড়ী পড়তো, লম্বা কোর্তা পড়তো, মোঘল সম্রারাটরাসহ। মোঘল সম্রাট যারা ছিলো তারাসহ সকলেরই দাড়ী, টুপি, পাগড়ী, লম্বা কোর্তা ছিলো। ব্যতিক্রম ছিলো ফাসিক ফুজ্জাররা। কিন্তু ব্রিটিশরা যখন আসলো, এদের ১৯০ বছর শাসনকাল; এর মধ্যে দেখা গেছে এরা মুসলমানদেরকে ইসলাম থেকে সরিয়ে দিলো। সুন্নত থেকে সরিয়ে দিলো। নাউযুবিল্লাহ!

মুসলমানের দাড়ী তারা কেটে ফেললো। মুসলমানের পাগড়িটাও তারা সরিয়ে দিলো। মুসলমানের লম্বা কোর্তাটাও সরিয়ে দিলো। এখন সেটা সরিয়ে কি করলো? ইহুদী নাছারাদের যে লিবাস সুট, কোট, টাই, ক্লীন সেপ ইত্যাদির মাধ্যমে কেতাদুরুস্ত করে দিলো। মুসলমান কিন্তু একবারও ফিকির করলো না, তাদের অজান্তে যে তারা কাফিরের দিকে এবং কুফরীর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরা ওয়াসওয়াসা দিয়েছিলো, এরা বুঝিয়েছিলো তোমরা ক্লীন সেপ করলে, সুট কোট টাই পড়লে, তোমাদের বড় চাকরী দেয়া হবে, ব্যাবসা দেয়া হবে সেই মোহে মুসলমান সেদিকেই ধাবিত হয়েছিলো। নাউযূবিল্লাহ! এখনও সেই বদ তাছীর কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে। এটা কিন্তু এদের মেক্লে এরা একে বলে লর্ড মেক্লে। এই মেক্লে কিন্তু বলেছিলো এরা চলে যাবে তবে এই সমস্ত মুসলমান দেশে এদের অনুসারীরাই হবে এই দেশের জনগণ। অর্থাৎ আক্বীদার দিক থেকে, আমলের দিক থেকে ইহুদী নাছারার গোলাম হবে। নাউযূবিল্লাহ! এখন আমরাতো সেটাই দেখতে পাচ্ছি। একজন মুসলমান তার চাল চলন, তার আক্বীদা, তার ছূরত ছীরত ইহুদী নাছারার গোলাম। নাউযূবিল্লাহ! এটা খুব ফিকির করতে হবে।

একজন মুসলমান কোন অবস্থাতেই কোন কাফির মুশরিকদের অনুসরণ করতে পারে না। বেদ্বীন বদদ্বীনের অনুসরণ করতে পারেনা। একটা ইহুদী নাছারা কাফির মুশরিকতো আমাদের অনুসরণ করে না। আমরা কেন করবো? আশ্চর্যের বিষয় মুসলমানরা হিন্দুদের পূজায় যায়। অথচ মুসলমানদের পবিত্র শবে বরাতে তো কাফিরেরা আসে না, মুসলমানদের পবিত্র শবে ক্বদরে আসে না, মুসলমানদের পবিত্র রমাদ্বান শরীফে তো কফিরেরা আসে না, মুসলমানদের পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উপলক্ষে মাহফিলে সেখানে তো কাফির মুশরিকরা আসে না। তাহলে মুসলমানরা কেন কাফির, মুশরিক হিন্দু, বৌদ্ধ, বেদ্বীন ইহুদী নাছারাদের মজলিসে যাবে? এটা ফিকির করতে হবে। আমাদের দেশে বিশেষ করে এখানে ৯৭% মুসলমান থাকার পরেও দেখা যায় হিন্দুর পূজা হলে পুলিশ দেয়া হয়, বিডিআর আর্মি দেয়া হয়। বৌদ্ধদের পূজার মধ্যে দেয়া হয়। খৃস্টানদের বিশেষ দিনে দেয়া হয়। এখন কাফির মুশরিক বেদ্বীন বদদ্বীন ইহুদী নাছারা হিন্দু বৌদ্ধ মজুসী মুশরিক এদের পূজার মধ্যে এদের ধর্মীয় স্বধীনতা রক্ষা করার জন্য সরকারীভাবে পুলিশ আর্মি নেভি এয়ারফোর্স দেয়া হয়, বিডিয়ার দেয়া হয় তাহলে মুসলমানদের ইসলাম পালনের জন্য কেন পুলিশ দেয়া হবে না? তাহলে মুসলমানকে যেনো ছবি তুলতে না হয় সেজন্য পুলিশ দিতে হবে। মুসলমানকে যাতে টিভি চ্যানেল দেখতে না হয় সেজন্য পুলিশ দিতে হবে। মুসলমান যাতে খেলাধুলা না করতে পারে সেজন্য পুলিশ দিতে হবে। মুসলমান যাতে বেপর্দা না হয় সেজন্য পুলিশ দিতে হবে। মুসলমান যাতে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত পালন করতে পারে  এবং তাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য পুলিশ অথবা আর্মি দিতে হবে এটা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ৩% এর জন্য পুলিশ ব্যবহার করে। আমরা মুসলমানরা ৯৭%। তাহলে কেন মুলমানদের ব্যবহারের জন্য তোমরা সেটা দিবে না। তোমরা উল্টো মুসলমানদেরকে হারাম কাজে কেনো জবরদস্তী করে থাকো। এজন্য তোমাদেরকে ইস্তিগফার তাওবা করতে হবে। এজন্য তোমাদের এই দেশে আযাব-গযব আসতেছে লা’নত  আসতেছে। তোমরা তাওবা ইস্তিগফার করো এখনো সময় আছে। এখনো সময় রয়েছে তাওবা ইস্তিগফার করার। এটা মনে রাখতে হবে। একটা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মজুসী মুশরিক ১% ২% হয়ে সব মিলে ৩% এরা যদি সুবিধা পেতে পারে তাহলে আমরা ৯৭% কেনো সেই সুবিধা পাবো না। আমাদের ইবাদত বন্দিগীর জন্য, আমাদের নামায-কালামের জন্য, আমাদের রোযা, হজ্জ, পবিত্র যাকাত উনার জন্য এবং আমাদেরকে যাতে বেপর্দা হতে না হয় ছবি তুলতে না হয়, খেলাধুলা করতে নাহয়, গান-বাজনা শুনতে না হয় এবং টি ভি চ্যানেল দেখতে নাহয় এজন্য পুলিশ আর্মি বিডিয়ার দিতে হবে এটা সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য মনে রাখতে হবে। এটা খুব ফিকির করতে হবে। এদের ৩% এর জন্য ৯৭% লোক এরা মজলুম হচ্ছে, শোষিত হচ্ছে এটা ফিকির করতে হবে। খুব চিন্তা ফিকিরের বিষয়। এজন্য আমাদের এই বিষয়গুলো আমাদের আল বাইয়্যিনাত শরীফে আমরা দিয়ে থাকি। যেহেতু মাসে একবার বের হয় এজন্য দৈনিক আল ইহসান শরীফে এগুলো এসে থাকে। আপনারা দৈনিক আল ইহসান শরীফ পড়বেন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা, এটা মনে রাখতে হবে। আক্বীদা শুদ্ধ করা আবশ্যক। আক্বীদা শুদ্ধ ছাড়া কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না। যেটা আমি অনেকবার বলেছি, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইবলিসের কথা রয়েছে। এই ইবলিস ৬ লক্ষ বৎসর ইবাদত বন্দেগী করেছে, সে কিন্তু হাজার হাজার কুফরী করেনি, একটামাত্র আদেশ সে অমান্য করেছিলো। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

واذ قلنا للملائكة اسجدوا لآدم فسجدوا الا ابليس ابى واستكبر

আমি যখন বললাম, হে ফেরেশতারা ইবলিসসহ আমার খলীফা আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা কর। সকলেই করলো ইবলিস কিন্তু করলো না। সে অহঙ্কার করলো, অস্বীকার করলো। একটাই আদেশ সে অমান্য করেছে। এ একটা আদেশ অমান্য করার কারণে ইবলিসের শেষ পরিনতি কি হলো-

وان عليك لعنتى الى يوم الدين

(মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন,) হে ইবলিস তোমার উপর অনন্তকাল ধরে লা’নত তুমি জাহান্নামী। নাউযূবিল্লাহ! এখন ইবলিস যদি একটা আদেশ অমান্য করার কারণে জাহান্নামী হয়ে যায় তাহলে উলামায়ে সূরা কতগুলো আদেশ অমান্য করছে এটা ফিকির করবেন আপনারা। এটা ফিকির করতে হবে। নিজের ঈমান হিফাযত করতে হবে মুসলমান থাকতে হবে। এই সমস্ত উলামায়ে সূ আর এই জালিম শাসকদের সাথে মিলে হারাম কাজ করলে কিন্তু উদ্ধার পাওয়া যাবে না। কখনই পাওয়া যাবে না। চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা যাবে চক্ষু বন্ধ হলে আযাব-গযব শুরু হয়ে যাবে, এটা মনে রাখতে হবে। এজন্য এদের আকৃতি-বিকৃতি হচ্ছে। আরো অনেক কিছু হবে। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন-

يوم تقلب وجوههم فى النار يقولون يا ليتنا اطعنا الله واطعنا الرسولا

এদেরকে যখন আম লোক খাছ লোক সবাইকে জাহান্নামের আগুনে ঝলসায়ে দেয়া হবে এরা তখন বলবে হায় আফসুস! আমরা যদি আজ মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে অনুসরণ করতাম? তাহলে এ অবস্থা হতো না।

 وقالوا ربنا انا اطعنا سادتنا وكبراءنا فاضلونا السبيلا

সেই জাহান্নামী লোকগুলো বলবে, আয় রব তায়ালা আমরা তো সেই যামানার বড় বড় আলিম ছূফী দরবেশ যারা ছিলো তাদেরকে অনুসরণ করেছিলাম এবং রাজা বাদশাহদেরকে ইত্বায়াত করেছিলাম, তারাই আমাদেরকে গোমরাহ করেছিলো আয় মহান আল্লাহ পাক। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, এখনতো আর সে কথা চলবেনা। এখন তাদের সাথে তোমাদেরও জাহান্নামে যেতে হবে। তখন তারা গোস্সা হয়ে বলবে-

ربنا اتـهم ضعفين من العذاب والعنهم لعنا كبيرا

হে বারে ইলাহী! যদি সত্যি এই রাজা বাদশা, আমীর-উমরাহ, ওলামায়ে ‘সূ’দের জন্য জাহান্নামে যেতেই হয় তাহলে এদের দ্বিগুন শাস্তি দেয়া হোক এবং এদের উপর বড় লা’নত বর্ষণ করা হোক, করা হবে। কিন্তু আম লোক বাঁচতে পারবে না। যারা তাদের পক্ষে থাকবে এরা কিন্তু বাঁচতে পারবে না।

ছবি জায়িয ফতওয়া দিয়ে, পর্দার এতো প্রয়োজন নেই ফতওয়া দিয়ে, টিভি চ্যানেল জায়িয ফতওয়া দিয়ে, ইসলাম শিক্ষার আসর বানিয়ে এবং খেলাধুলা জায়িয ফতওয়া দিয়ে এবং তন্ত্র মন্ত্র জায়িয ফতওয়া দিয়ে সে কিন্তু রেহাই পাবে না। খুব সাবধান!

কারো কবরে কিন্তু কেউ যাবে না এটা মনে রাখবেন। যার যার কবরে তাকে যেতে হবে। হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি যখন কোন কবর দেখতেন কাঁদতে কাঁদতে উনার দাড়ী মুবারক ভিজে যেতো। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হতো, হে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম!  আপনি হাশর-নশর সবই শুনেন তখনতো আপনি কাঁদেন না? তাহলে কবরের কথা শুনলে, কবর দেখলে কেন আপনি কাঁদেন? তিনি বললেন যে, দেখ বাবা! কবর হচ্ছে প্রথম মনযিল। কবর হচ্ছে প্রথম মনযিল, এখানে যে পাকড়াও হবে, সব জায়গায় সে পাকড়াও হবে। আর এখানে যে নাজাত পাবে, সে সব জায়গায় নাজাত পাবে।

কাজেই এক হচ্ছে কবর প্রথম মনযিল। দ্বিতীয় হচ্ছে এখানে একা একা থাকতে হবে, নিরিবিলি থাকতে হবে এখানে কেউ থাকবে না সঙ্গী-সাথী। হাশরের ময়দানে তো লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি লোক থাকবে। এখানে একা একা থাকতে হবে, কেউ কারো কবরে যাবে না। কাজেই সে যদি ভালো কাজ করে তাহলে তার ভালো ফায়সালা হবে, মহান আল্লাহ পাক না করুন সে যদি হারামকে-হালাল ফতওয়া দিয়ে থাকে তাহলে তার জাহান্নাম ছাড়া কোন গতি থাকবে না। খুব ফিকির করতে হবে। নিজের আমল-আক্বীদা শুদ্ধ করতে হবে। আক্বীদা শুদ্ধ করলেই আমলটা শুদ্ধ হয়ে যাবে ইচ্ছায় অনিচ্ছায়। প্রথম হচ্ছে আক্বীদা শুদ্ধ করা এটা মনে রাখতে হবে। যত প্রকার কুফরী রয়েছে, হারাম রয়েছে এটাকে হারাম জানতে হবে। হারামকে হারাম জেনে থাকতে হবে। এখন কেউ যদি হারাম কাজ, হারাম জেনে করে, সে ফাসিক ঈমানদার। কিন্তু হালাল মনে করলে, সে কিন্তু কাফির হয়ে যাবে। এটা কিন্তু খুব ফিকির করতে হবে, চিন্তা করতে হবে। যার জন্য আমরা জোড় দিয়ে থাকি। আক্বীদা বিশুদ্ধ করা ফরয-ওয়াজিব। এটা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার কথা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কথা। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

الا الذين امنوا وعموا الصالـحات

যারা ঈমান এনেছে আমলে ছলেহ করেছে। তারা ব্যাতীত যারা ঈমান এনেছে, আমলে ছলেহ করেছে। অর্থাৎ ঈমান ব্যতীত আমলে ছলেহ সেটা হবেনা। গিরিশ চন্দ্র পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অনুবাদ করেছে সেটা আমলে ছলেহ হয়নি। সেতো ঈমান আনতে পারেনি। কাজেই এটা খুব ফিকির করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমরা দোয়া করবো যাতে তিনি আমাদের ঈমান, আমল বিশুদ্ধ করে দেন। এসব উলামায়ে ‘সূ’, বিভ্রান্ত শাসক এদের ওয়াসওয়াসার কারণে যেনো ঈমান নষ্ট না হয়। যেটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে তিন প্রকার লোক পবিত্র ইসলাম উনার ক্ষতি করবে। এক নাম্বার-

زلة العالـم

উলামায়ে সূ। দু’নাম্বার

وجدال الـمنافق بالكتاب

মুনাফিক। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে যারা চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে। আর তিন নাম্বার-

وحكم الائمة الـمضلين

বিভ্রান্ত শাসকের বিভ্রান্তিমূলক আদেশ-নির্দেশ। যেমন ছবি তুলতেই হবে। নাউযূবিল্লাহ! সে বিভ্রান্তিমূলক একটা আদেশ করে মানুষদেরকে হারাম কাজে মশগুল করে দিলো। নাউযূবিল্লাহ! কাজেই বিভ্রান্ত শাসকের আদেশ নির্দেশ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি করবে। এর থেকে মুসলমান উনাদের সাবধান থাকতে হবে। ঈমানী কুওওয়াতকে দৃঢ় রাখতে হবে মজবুত থাকতে হবে। এজন্য প্রত্যেকের যিকির-ফিকির সবক ঠিকমত করতে হবে। ক্বলবী যিকির করতে হবে। ঈমানী কুওওয়াত বৃদ্ধি করতে হবে। ঈমানী কুওওয়াত বৃদ্ধি হলে তখন আক্বীদা শুদ্ধ রাখতে পারবে। ঈমানী কুওয়াত বৃদ্ধি না হলে কস্মিনকালেও আক্বীদা শুদ্ধ রাখতে পারবে না। এই উলামায়ে ‘সূ’ আর বিভ্রান্ত শাসক আর মুনাফিকরা যা বলবে সেটা কখনোই করা যাবে না। তাদের ব্যাপারে খুব সাবধান থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেনো আমাদেরকে হক্বের উপর ইস্তিকামাত থাকার তাওফীক্ব দান করেন।

 

 

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫