খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং উনার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-২০

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্ব প্রকাশিতের পর

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে-

عن حضرت العرباض بن سارية رضى الله تعالى عنه قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ايحسب احدكم متكئا على اريكته يظن ان الله لم يحرم شيئا الا ما فى هذا القران الا وانى والله قد  امرت ووعظت ونهيت عن اشياء انها لـمثل القران او اكثر

হযরত ইরবাদ্ব ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-

قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ايحسب احدكم متكئا على اريكته

একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দাঁড়িয়ে খুতবা মুবারক দিলেন। খুতবা মুবারকে কি বললেন-

ايحسب احدكم متكئا على اريكته يظن

তোমরা কি তোমাদের গদিতে বসে বসে হেলান দিয়ে নিজের আমিত্ব প্রকাশ করে তোমরা একথা ধারণা করো-

ان الله لـم يحرم شيئا الا ما فى هذا القران

মহান  আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ ছাড়া আর কোথাও কোন জিনিস হারাম করেননি। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার দ্বারা যা হারাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাই হারাম এটা কি তোমরা ধারণা করো? যে এর বাইরে হারাম কিছু নেই।

সেটা বলে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

الا وانى والله

সাবধান হয়ে যাও! সমস্ত আসমানবাসী, যমীনবাসী, বদ-আক্বীদা বদ মাযহাবের লোকগুলি-

وانى والله

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম!

قد امرت ووعظت ونـهيت عن اشياء

নিশ্চয়ই আমি যা আদেশ মুবারক করেছি, নছীহত মুবারক করেছি, নিষেধ করেছি-

انها لـمثل القران

নিশ্চয়ই তা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মতো হুকুম রাখে। সুবহানাল্লাহ!

او اكثر

বরং তার চাইতেও বেশি হুকুম রাখে। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুনতে পেয়েছিলেন, কিছু লোক বলাবলি করতেছিলো, এই কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যা হারাম করা হয়েছে সেটাই হারাম হবে, যা হালাল করা হয়েছে সেটাই হালাল হবে। এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক দিলেন, তোমরা কি ধারণা করো, গদিতে হেলান দিয়ে ফখর করে, অহঙ্কার করে বলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যা হারাম করেছেন শুধু তাই হারাম হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব যিনি হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হারাম করলে সেটা হারাম হবে না সেটা কি তোমরা ধারণা করো? এরপর তিনি নিজেই বললেন-

الا

সাবধান হয়ে যাও!

وانى والله

মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! নিশ্চয়ই

قد امرت ووعظت ونـهيت عن اشياء

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! নিশ্চয়ই আমি যা আদেশ মুবারক করেছি, ওয়াজ মুবারক করেছি, নছীহত মুবারক করেছি, নিষেধ করেছি প্রত্যেকটাই

انـها لـمثل القران

নিশ্চয়ই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সমপরিমাণ হুকুম রাখে। সুবহানাল্লাহ!

او اكثر

এরপরে তিনি বললেন, তার চাইতেও বেশি হুকুম রাখে। বেশি হলো কি করে। এখন অনেকে বলতে পারে, তাহলে কি কুরআন শরীফ উনার চাইতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্যাদা বেশি। না, একথাটা তার চিন্তা করাটা কখনও ঠিক হবে না। এটা হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার যে বিষয়টা বলা হয়েছে, এখানে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার চাইতেও বেশি এর কারণ হলো আমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনতামও না, জানতামও না, চিনিওনা জানিওনা। আমরা চিনেছি বুঝেছি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে। তিনি বলেছেন, এটা পবিত্র কুরআন শরীফ, এটা পবিত্র হাদীছ শরীফ, একজন মহান আল্লাহ পাক আছেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আমরা সেটা বিশ্বাস করি।

এখন এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে যদি বিশ্বাস না করতাম তাহলে পবিত্র কুরআন শরীফ কি করে আমরা বিশ্বাস করবো? কাজেই, প্রথমে পবিত্র হাদীছ শরীফ, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিশ্বাস করতে হবে। উনাকে বিশ্বাস করলেই মহান আল্লাহ পাক উনাকে বিশ্বাস করা যাবে সেটাই-

او اكثر

বরং পবিত্র কুরআন শরীফ উনার চাইতে বেশি গুরুত্ব রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিশ্বাস করার। সুবহানাল্লাহ!

এই ইহুদী-নাছারা, কুরাইশ, কাফির-মুশরিক তারা ঈমান আনত পারলোনা কেন? তারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মেনেছিলো, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মানেনি যার জন্য ঈমানদার হতে পারেনি। চির জাহান্নামী হয়ে গেছে। সেটাই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মনে করো পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে শুধু হালাল-হারামের বিষয় রয়েছে বরং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করবেন, হালাল করবেন সেটাও হালাল-হারাম হিসেবে অবশ্যই এটা বিশ্বাস করতে হবে বরং সেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার হালাল-হারামের চেয়েও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ নির্দেশ মুবারককে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়টা খুব ফিকির করতে হবে। এখানে আক্বাইদের যে বিষয়টা রয়েছে, তা অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যা রয়েছে এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে যা রয়েছে উনাদের সবকিছুই বিশ্বাস করতে হবে। এর মধ্যে কোন চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করা যাবে না। আক্বাইদের সূক্ষ্ম কতগুলো বিষয় রয়েছে। কোন অবস্থাতেই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কোন বিষয়ে চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। এখন যে কোন বিষয় হোক, এটা ওযূ-গোসল, নামায, রোযা হোক, হজ্জ-যাকাত হোক, যাকাত-ফিতরা হোক, ব্যবসা-বাণিজ্য হোক, চাকরি-বাকরি হোক অথবা এখন বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী বেপর্দার হুকুম হোক, গান-বাজনার হুকুম হোক, ছবির হুকুম হোক, টিভি চ্যানেলের হুকুম হোক, খেলাধুলা হোক, গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি সবকিছু যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে নিষেধ করা হয়েছে এখন এই সবগুলি হারাম জানতে হবে। এখানে কিন্তু হালাল বলার কোন সুযোগ নেই। এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যা আদেশ করেছেন নির্দেশ করেছেন সেটা হুবহু মানতে হবে; এর মধ্যে কোন চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা যাবে না। কেউ যদি করে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫