খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং উনার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-১৯

সংখ্যা: ২২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্ব প্রকাশিতের পর

من يكفر بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر

যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি মিথ্যারোপ করবে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি মিথ্যারোপ করবে, কিতাবসমূহ অস্বীকার করবে, রসূলগণ উনাদের প্রতি ঈমান আনবে না, উনাদেরকে অস্বীকার করবে এবং পরকালকে অস্বীকার করবে

فقد ضل ضلالا بعيدا

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, এরা সুদূর বিভ্রান্তি বিভ্রান্ত। চরম গোমরাহীতে এরা গোমরাহ। এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-

ان الذين امنوا ثم كفروا ثم امنوا ثم كفروا ثم ازدادوا كفرا.

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, এরপর কুফরী করে আবার তারা ঈমান আনে, আবার কুফরী করে এরপর তারা কুফরী বৃদ্ধি করে তাতে মজবুত হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ। তাদের কুফরিটা বৃদ্ধি করে নেয়। এদের হুকুম সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لـم يكن الله ليغفرلـهم ولا ليهديهم سبيلا

যারা কুফরীর মধ্যে দৃঢ় হয়ে গেলো, মজবুত হয়ে গেলো, হারামের উপর, নাজায়িযের উপর; এরা কিন্তু ক্ষমাও পাবে না এবং মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে হিদায়েতেরও কোন পথ পাবে না। এদের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন-

بشر الـمنافقين بان لـهم عذابا اليما

এরা হচ্ছে মুনাফিক, অবস্থানুযায়ী এরা ছূরত পাল্টিয়ে থাকে। এদের জন্য জাহান্নামের সংবাদ দিতে হবে, যেখানে কঠিন শাস্তি রয়েছে এদের জন্য। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো, যারা ঈমান আনবে তাদের জন্য নাজাত রয়েছে। আর যারা ঈমান আনার পরে কুফরী করবে তাদের জন্য কঠিন আযাব গযব রয়েছে। আর এই বিষয়টা পবিত্র হাদীছে জীবরীলে বলা হয়েছে ঈমান সম্পর্কে, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

اخبرنى عن الايمان قال ان تؤمن بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر وتؤمن بالقدر خيره وشره

মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে পাঠালেন উম্মতদেরকে তা’লীম দেয়ার জন্য, কিভাবে মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করতে হয়, কিভাবে আদবের সাথে তা জানার কোশেশ করতে হয়, এটা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আদবের সাথে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দয়া করে আমাকে সংবাদ দিন, ঈমান কাকে বলে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে দেখো, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাক্বদীরের ভালো এবং মন্দ সেটার প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করা। আর এর ভিত্তিতে সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে ফতওয়া দেয়া হয়েছে যে, ঈমান কাকে বলে? আক্বাঈদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

الايمان  هو التصديق بالجنان بما جاء به النبى صلى الله عليه وسلم من عند الله والاقرار باللسان والعمل بالاركان.

যেটা আক্বাঈদের কিতাবে বলা হয়েছে, ঈমান কাকে বলে?

الايـمان هو التصديق بالجنان

ঈমান হলো অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন করা

بما جاء به النبى صلى الله عليه وسلم من عند الله

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যা কিছু এনেছেন তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।

والاقرار باللسان

যবানে সেটা স্বীকার করা

والعمل بالاركان

আমলে সেটা বাস্তবায়িত করা।

তবে আমাদের হানাফী মাযহাব মোতাবেক ঈমানের যে সংজ্ঞা সেটা হচ্ছে, অন্তরে বিশ্বাস করলে সে ঈমানদার হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর মুখে স্বীকার করলে সে বাহ্যিক সুযোগ সুবিধা সেটা লাভ করবে। আর আমলে সে পরিপূর্ণ হলে মু’মিনে কামিল সে হবে। সেটাই বলা হয়েছে ঈমানের সংজ্ঞা।

কাজেই আক্বীদা বিশুদ্ধ করা, ঈমানকে সঠিক করা এটা ফরয ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। আক্বীদা শুদ্ধ করা ব্যতীত ঈমানের উপর কখনোই ইস্তিক্বামত থাকা সম্ভব নয়। সেটা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন উম্মতদেরকে, বান্দাদেরকে। কাজেই, ঈমান বিশুদ্ধ রাখার বিষয়টা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যা দিয়েছেন যা এনেছেন যা পৌঁছিয়েছেন তার প্রতি বিনা চু-চেরা, বিনা ক্বীল-ক্বাল, বিনা দ্বিধাদ্বন্দ্বে, বিনা সংশয়ে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং সেটা আমলের কোশেশ করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

ما كان لـمؤمن ولا مؤمنة اذا قضى الله ورسوله امرا ان يكون لهم الـخيرة من امرهم ومن يعص الله ورسوله فقد ضل ضللا مبينا.

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন-

ما كان لـمؤمن ولا مؤمنة

 কোন মুমিন নর-নারী, মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে, বান্দা-বান্দী কারো জন্য সেটা জায়িয নেই।

اذا قضى الله ورسوله امرا

মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যে ফায়সালা করে দিয়েছেন-

ان يكون لـهم الخيرة من امرهم

এর মধ্যে তার মত সে পেশ করে, এর মধ্যে কোন মত সে পেশ করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন মু’মিন নর-নারী, পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে, বান্দা-বান্দী, উম্মত, পুরুষ-মহিলা করো জন্য সেটা জায়িয নেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যে ফায়সালা করেছেন, সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আদেশ নির্দেশ মুবারক করেছেন উনার মধ্যে সে তার মত পেশ করে, কখনই সেটা জায়িয হবে না। এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

من يعص الله ورسوله فقد ضل ضللا مبينا

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি কেউ উনার মধ্যে মত পেশ করে তাহলে সে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নাফরমানী করলো যার কারণে সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে সে গোমরাহ হয়ে গেলো। নাঊযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে স্পষ্ট বলে দিলেন, জানিয়ে দিলেন যে দেখো, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যে ফায়সালা দিবেন বা দিয়েছেন, আদেশ নির্দেশ মুবারক করেছেন উনার মধ্যে কোন বান্দার কোন প্রকার চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল, কোন মত পেশ করা কখনই জায়িয হবে না বা জায়িয নেই। যদি কেউ মত পেশ করে তাহলে সে প্রকাশ্য গোমরাহিতে গোমরাহ হয়ে যাবে।

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫