খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২২)

সংখ্যা: ২৯২তম সংখ্যা | বিভাগ:

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

যেহেতু তিনি হচ্ছেন-

وَمَآ أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِيْنَ

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার যিনি হাবীব, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, যিনি খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত আলমের জন্য, শুধু পৃথিবী না, সমস্ত কায়িনাত, জ্বীন-ইনসান, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সকলের জন্য তিনি রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এবং সৃষ্টি মুবারক হয়েছেন রহমত মুবারক স্বরূপ। শুধু প্রেরিত না। এখন যখন প্রেরণ করা হলো সে পর্যন্ত নয়। তিনি সৃষ্টিই হয়েছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত কায়িনাতের জন্য রহমত স্বরূপ। সুবহানাল্লাহ! এজন্য তিনি রহমতুল্লিল আলামীন, তিনি রউফুর রহীম। সে প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-

حَضْرَتْ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لِأُمَّتِهٖ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ بِالْمَغْفِرَةِ فَأُجِيْبَ اَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ مَا خَلَا الظَّالِمَ فَإِنِّيْ اٰخُذُ لِلْمَظْلُوْمِ مِنْهُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَيْ رَبِّ إِنْ شِئْتَ أَعْطَيْتَ الْمَظْلُومَ مِنَ الْجَنَّةِ، وَغَفَرْتَ لِلظَّالِمِ فَـلَمْ يُجَبْ عَشِيَّـتَهٗ

হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নিশ্চয়ই  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি

دَعَا لِأُمَّتِهٖ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ بِالْمَغْفِرَةِ

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরাফার রাত্রিতে উম্মতের মাগফিরাতের জন্য দোয়া মুবারক করলেন। তিনি দোয়া মুবারক করলেন বারে ইলাহী! আমার সমস্ত উম্মতদেরকে আপনি ক্ষমা করে দিন।

فَأُجِيْبَ

মহান আল্লাহ পাক তিনি জবাব দিলেন-

إِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ

ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অবশ্যই আমি আপনার দোয়া মুবারক কবুল করেছি, করবো এবং অবশ্যই আমি ক্ষমা করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ! তবে এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন-

مَا خَلَا الظَّالِمَ، فَإِنِّي اٰخُذُ لِلْمَظْلُومِ مِنْهُ

 তবে যারা জালিম তারা ব্যতীত। যারা জুলুম করেছে কাউকে, তারা ব্যতীত। যাদেরকে জুলুম করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে আমি তাদেরকে পাকড়াও করবো। এছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হলো। এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন উম্মতকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য বললেন, যেহেতু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুনা নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমস্ত দোয়া মুবারকগুলি কবূল হয়ে থাকে। কারণ তিনিতো

وَمَا يَـنْطِقُ عَنِ الْـهَوٰى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُّـوْ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত তিনি কোন কথা মুবারক বলেন না, কোন কাজ মুবারক করেন না। কোন সম্মতি মুবারক প্রকাশ করেন না। এখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে মর্যাদা, উনার যে ফযীলত, উনার সম্মানার্থে যে উনার উম্মতদেরকে ক্ষমা করা হচ্ছে, ফযীলত দেয়া হচ্ছে, বৈশিষ্ট্য দেয়া হচ্ছে, ইজ্জত করা হচ্ছে সে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্যই এখানে এই মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ। এখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দোয়া মুবারক করবেন উনার দোয়া মুবারক কবুল হবে না এটা বিশ্বাস করলে ঈমানই থাকবে না। সে কাট্টা কাফির হবে। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই তিনি যত দোয়া মুবারক করবেন সবতো কবুল হবেই বরং হয়েই রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, উম্মতদেরকে যে ফযীলত দেয়া হচ্ছে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সেটাই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন বান্দা-বান্দি, উম্মত সমস্ত কায়িনাতের জন্য।

دَعَا لِأُمَّتِهٖ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ

 তিনি সমস্ত উম্মতের ক্ষমার জন্য আরাফার রাত্রিতে দোয়া মুবারক করলেন।

فَأُجِيْبَ إِنِّيْ قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ

 মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, অবশ্যই আমি আপনার দোয়া মুবারক কবুল করেছি আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ!

مَا خَلَا الظَّالِمَ، فَإِنِّي آخُذُ لِلْمَظْلُومِ مِنْهُ

 তবে যারা যালিম তারা ব্যতিত। তাদেরকে আমি মাজলূমের পক্ষ থেকে পাকড়াও করবো। এটা যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতের জন্য যে কতো বড় দয়ালু, রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম সে বিষয় স্পষ্ট বলা হয়েছে।

তিনি বললেন-

أَيْ رَبِّ إِنْ شِئْتَ أَعْطَيْتَ الْمَظْلُومَ مِنَ الْـجَنَّةِ، وَغَفَرْتَ لِلظَّالِمِ

যে, মহান আল্লাহ পাক আপনিতো ইচ্ছা করলে যারা মাজলুম তাদেরকে জান্নাত থেকে কোন বদলা দিয়ে যারা জালিম তাদেরকে আপনি ক্ষমা করে দিতে পারেন।

فَلَمْ يُجَبْ عَشِيَّتَهٗ

 সে রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি আর কোন জাওয়াব দিলেন না। তিনি দোয়া মুবারক করলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কোন জাওয়াব দিলেন না। এভাবেই থেকে গেল।

فَلَمَّا أَصْبَحَ بِالْمُزْدَلِفَةِ

 তিনি মুযদালিফাতে রাত্রি যাপন করলেন। সকাল হলো।

أَعَادَ الدُّعَاءَ

দোয়া মুবারক আবার পুনরায় করলেন ইয়া বারী ইলাহী! আমার উম্মতদেরকে আপনি ক্ষমা করে দিন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীনা, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুজদালিফাতে সকালবেলা আবার দোয়া মুবারক করলেন, আয় বারী ইলাহী! আমার উম্মতদের ক্ষমা করে দিন। দোয়াটাকে আবার পূনরায় করলেন। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫