খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, ক্বইউমুজ জামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুমআহকাম সম্পর্কে (১৮)

সংখ্যা: ২৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক যিনি খ্বলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব তিনি উনার পবিত্র কালাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে, আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে পবিত্র হজ্জ এবং উমরা সম্পর্কে বান্দা-বান্দি উম্মতদের জন্য বিস্তারিত ফাযায়িল-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বর্ণনা করেছেন। যে বিষয় উম্মতদের জন্য ইলিম অর্জন করা ফরয ওয়াজিবের অন্তুভুর্ক্ত। কারণ যিনি খ্বলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وَأَتِـمُّوا الْـحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّٰهِ

 তোমরা পবিত্র হজ্জ এবং উমরাহ আদায় করো, পুরা করো, সম্পাদন করো যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার রেজামন্দি সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে। সুবহানাল্লাহ!

عَنْ حَضْرْتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلٰى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُـحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيْتَاءِ الزَّكَاةِ وَالْحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ

হযরত ইবনে ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ইসলাম উনার ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি বিষয়ের উপরে। প্রথম হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালীমা শরীফ। মহান আল্লাহ পাক যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব তিনি এক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আব্দ এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয় বিশ্বাস স্থাপন করা। দ্বিতীয় হচ্ছে নামায ক্বায়িম করা। তৃতীয় পবিত্র যাকাত আদায় করা। চতুর্থ পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করা এবং পঞ্চম পবিত্র রমাদ্বান শরীফে রোযা রাখা।

পাঁচটা ভিত্তির মধ্যে একটা অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করা। যেহেতু এই পবিত্র হজ্জ শর্ত-শারায়েত অনুযায়ী প্রত্যেকের জীবনে একবার ফরয হয়ে থাকে যাদের সামর্থ থাকে তাদের জন্য। সেজন্য এই ইলিমটাও তাদের জন্য অর্জন করা ফরযের অন্তভুর্ক্ত। আর আমভাবে প্রত্যেক মুসলমানের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা, সম্মানিত ক্বিয়াসের ইলিম অর্জন করা দায়িত্ব ও কর্তব্য। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র হজ্জ সম্পর্কে অন্যত্র বলেন-

 وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ

যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বান্দা-বান্দি উম্মতদেরকে লক্ষ্য করে।

وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا

যাদের সামর্থ রয়েছে পথ এবং পাথেয় এর এবং জান-মাল, ঈমানের নিরাপত্তা রয়েছে তাদের জন্য যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক, যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রিযামন্দী সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে হজ্জ পালন করা দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-

وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ الله غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ

যারা হজ্জকে অস্বীকার করবে তারা যেন জেনে রাখে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দার আমল থেকে বেনিয়াজ, তিনি ছমাদ। উনার জন্য কারো কোন আমলের প্রয়োজন নেই। যারা করবে তারা নিজস্ব প্রয়োজনে সেটা করবে। কাজেই যারা হজ্জকে অস্বীকার করবে তারা কুফরী করবে এবং তাদের হজ্জের সমস্ত আমলের যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি এর থেকে বেনিয়াজ। মহান আল্লাহ পাক তিনি বিষয়টা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, বান্দা-বান্দি উম্মতদেরকে। এর ব্যাখ্যায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ صَلَّى الله عَليْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا يُوْجِبُ الْـحَجَّ

হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন বিষয়গুলি হজ্জকে ওয়াজিব করে?

قَالَ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, মানুষের পাথেয় এবং বাহন। অর্থাৎ তার টাকা পয়সা যদি থাকে, হজ্জ করতে যাওয়ার মতো সামর্থ থাকে, তার বাড়ি-ঘরের খরচ থাকে এবং পথের নিরাপত্তা। অর্থাৎ হজ্জ করতে সেখানে যে, সে যাবে তার ঈমান তার আমল, তার আক্বীদাহ, তার জান-মাল সব সবদিক থেকে যেন সে হিফাযত থাকে। অর্থাৎ সে সবকিছু হিফাযত করে যথাযথভাবে যদি হজ্জ করে আসতে পারে, এরকম নিরাপত্তা থাকলে তার জন্য হজ্জ করা ফরয। সেটাই তার পাথেয় এবং পথের যদি ব্যবস্থা থাকে তখন হজ্জ করা ফরয হবে। সে বিষয়টা এখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন। এখন হজ্জের যে ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সবটাই ফয়সালা হবে হজ্জে মাবরূরের সাথে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

 قَالَ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ حَجٌّ مَّبْرُوْرٌ يُكَفِّرُ خَطَايَا تِلْكَ السَّنَةِ

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, নিশ্চয়ই হজ্জে মাবরূর (মকবুল হজ্জ) যে বান্দা করলো, বান্দি করলো তার ঠিক সে বছরের গুনাহখাতাগুলো ক্ষমা করিয়ে দেয়। সুবহানাল্লাহ!

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৬