খাতামুন নাবিইয়ীনা, খাতামুল মুরসালীনা, খতীবুল আম্বিয়ায়ি ওয়ালউমামি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইত উনাদের ফযীলত

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

قل لا اسئلكم عليه اجرا الا المودة فى القربى

অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, (হে বিশ্ববাসী) আমি তোমাদের নকট নুবুওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা-২৩)

আওলাদুর রসূল অর্থাৎ রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার বংশধরগণের ফযীলত সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, রইসুল মুফাস্সিরীন, ওলীয়ে কামিল আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানি পথি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,  এ আয়াত শরীফ-এর এরূপ  ব্যাখ্যা করি যে-

لا اسئلكم اجرا الا ان تودوا اقربائى واهل بيتى وعترتى وذلك لانه صلى الله عليه وسلم كان خاتم النبين لا نبى بعده وانما انتصب للدعوة الى الله بعده صلى الله عليه علماء امته من اهل الظاهر والباطن ولذلك امر الله تعالى نبيه صلى الله عليه وسلم ان يأمر امته بمودة اهل بيته لان عليا رضى الله تعالى عنه والائمة من اولاده كانوا قطبا بالكمالات الولاية.

অর্থ: “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাইনা তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, আহ্লে বাইত ও বংশধরগণের (সম্মান প্রদর্শন কর) হক্ব আদায় কর। কেননা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন আখিরী বা শেষ নবী। উনার পরে কেউ নবী হিসেবে আগমন করবেনা।” সুতরাং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার দাওয়াতের দায়িত্ব কেবলমাত্র উনার উম্মতগণের মধ্যে যারা ইল্মে ফিক্বাহ্ ও ইল্মে তাছাউফে পরিপূর্ণ উলামায়ে কিরাম উনাদের উপরই বর্তিয়েছে। আর সে জন্যই মহান আল্লাহ পাক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নির্দেশ করেছেন যে, তিনি যেন স্বীয় উম্মতগণকে নির্দেশ দেন যেন তারা উনার আওলাদগণকে সম্মান (তা’যীম-তাকরীম) করে। কেননা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং উনার বংশধর উনাদের মধ্যে ইমামগণই ছিলেন কামালাত ও বিলায়েত সম্পন্ন কুতুব।” (তাফসীরে মাযহারী ৮ম জিঃ ৩২০ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত আলোচনায় যেটা প্রতীয়মান হচ্ছে তাহলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে যেহেতু আর কেউ নবী হবেনা সেহেতু নুবুওওয়াতের এ মহান দায়িত্ব পালনের একচ্ছত্র অধিকারী হচ্ছেন যারা উনার ওয়ারিছ, বংশধর বা আওলাদগণ অথবা যাঁরা নায়িবে নবী বা ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া হিসাবে স্বীকৃত।

এ সম্পর্কে “তাফসীরে মাযহারী” ৮ম জিঃ ৩২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে-

ومن اجل ذالك ترى كثيرا منا المشائخ تنتهى الى ائمة اهل البيت ومضى كثيرا من الاولياء فى السادات العظام منهم غوث الثقلين محى الدين عبد القادر الجيلانى الحسنى الحسينى وبهاء الدين النقشبندى والسيد السند مودود چيشتی وسيد معين الدين الچيشتی وابو الحسن الشاذلى وغيرهم

অর্থ: “আর এ জন্যই পীর-মাশায়িখ উনাদের অনেক সিলসিলা দেখা যায় যা আহ্লে বাইত-এর ইমামগণ পর্যন্ত শেষ হয়েছে এবং অসংখ্য আউলিয়ায়ে কিরাম অতীত হয়েছেন উনারা এ (সাইয়্যিদ) বংশেরই অন্তর্ভুক্ত। যেমন, গাউছে ছাক্বালাইন, মুহিউদ্দীন হযরত বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমামুদ্ দুনিয়া ফি ইলমিল ফিক্বহে ওয়াত্ তাছাউফ আল্লামা বাহাউদ্দীন নক্শবন্দী বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, আল্লামা সাইয়্যিদ মওদূদ চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সুলতানুল আরিফীন ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত সাইয়্যিদ খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত আবুল হাসান সাজালী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমূখ। তদ্রুপ বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, গাউসুল আ’যম, খাজায়ে খাজেগাঁ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অন্তর্ভুক্ত।

আওলাদে রসূল তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার বংশধরগণের ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

والله لادخل قلب امرئى مسلم ايمان حتى يحبكم لله ولقرابتى

অর্থ: “আল্লাহ পাক-এর কছম! ততক্ষণ পর্যন্ত কোন মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে ঈমান দাখিল হবে না (হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না) যতক্ষণ সে ব্যক্তি আল্লাহ পাক, উনার সন্তুষ্টির জন্য ও আমার বংশধর হওয়ার কারণে মুহব্বত না করবে।” (আহমদ, ইবনে কাছীর ৭/১৮০) অর্থাৎ আওলাদে রসূল উনাদের মুহব্বত ঈমানের অঙ্গ।

এ সম্পর্কে ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল আ’যম, হাকিমুল হাদীছ হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারকের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একবার তিনি একস্থানে বসে স্বীয় ছাত্রদেরকে র্দস দিচ্ছিলেন। তখন তিনি কিছুক্ষণ পর বারবারই র্দস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যেতেন। যার কারণে ছাত্রদের পড়া বুঝতে ও ধরতে অসুবিধা হতো। যখন র্দস শেষ হলো, তখন ছাত্ররা প্রশ্ন করল, “হে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি! বেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আপনি বারবার র্দস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন এর পিছনে কি কারণ রয়েছে?” উত্তরে তিনি বললেন যে, “তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছ যে, আমাদের র্দসগাহের পাশেই কিছু ছোট ছেলেরা দৌঁড়াদৌঁড়ি করছিল। তন্মধ্যে অমুক ছেলেটি বার বার আমার নিকটবর্তী হলেই আমি দাঁড়িয়ে যেতাম।” ছাত্ররা বললো যে, “হ্যাঁ, আমরা তা লক্ষ্য করেছি। তবে এ ছোট ছেলেটি আপনার নিকটবর্তী হলে কেন দাঁড়িয়ে যেতেন, অনুগ্রহ করে তার কারণ আমাদেরকে জানিয়ে দিন।” তখন ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন যে, “দেখ, এ ছেলেটি আওলাদে রসূল বা আল্লাহ পাক, উনার রসূলের বংশধর। উনার সাথে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি উনার সাথে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য যখনই তিনি আমাদের র্দসগাহের নিকটবর্তী হয়েছেন তখনই আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাই। কেননা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদগণকে তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন করা ঈমানের অঙ্গ তথা আল্লাহ পাক ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ।” (সুবহানাল্লাহ্)

মুহম্মদ আলাউদ্দীন আল আযাদ

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম