চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৫৪

সংখ্যা: ২১৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল

  

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা

ইহুদীদের মদদপুষ্ট হয়ে এবং সউদী ওহাবী শাসকগোষ্ঠীর অর্থে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে সারাবিশ্বে একটি

হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের অলীক স্বপ্ন নিয়ে একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠন সারা দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

 জবধষ ঐরুৎর ঈধষবহফধৎ ওসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ ঈড়ঁহপরষ ইধহমষধফবংযনামে এই সংগঠনটি সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের পক্ষে অর্থাৎ সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ পালন করার পক্ষে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং এ সম্পর্কে ৯০টি খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে তাদের বর্ণিত শরীয়তের খিলাফ এই মনগড়া যুক্তির শরীয়তসম্মত এবং সঠিক মতামত প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। যেন সাধারণ মুসলমানগণ চাঁদের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তিতে না পড়ে। তারা লিখেছে-

 

৪৭ নম্বর মত: কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ এবং মহাকাশ বিজ্ঞানের সকল নির্দেশনাবলীর সমন্বয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে একতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব অযৌক্তিক, অসামঞ্জস্যপূর্ণ, অপ্রাসঙ্গিক এবং অবৈধ চিন্তাধারা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। কারণ এগুলো ফিৎনার মূল।

৪৭ নম্বর মতের জাওয়াব: কুরআন শরীফ এবং সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশাবলী পালন করা ফরয এবং মুসলমানগণ কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফকে আঁকড়িয়ে ধরে থাকলে উম্মাহর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানের নির্দেশাবলী পালন করলে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পাবার বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নিজস্ব মত। ইসলাম মহাকাশ বিজ্ঞানের তথ্য মানতে বাধ্য নয় তবে কোন বিষয় যদি ইসলামের সঙ্গে মিলে যায় তবে তা স্বীকার করা যেতে পারে।

চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে, প্রতি আরবী মাসের ২৯তম তারিখ চাঁদ তালাশ করতে হবে, কারণ চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া; যদিও মহাকাশ বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। আবার যদি নিশ্চিত জানা যায় আকাশ পরিষ্কারও থাকবে এবং চাঁদও দৃশ্যমান হবে তথাপি চাঁদ তালাশ করে ওয়াজিবে কিফায়া আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে মহাকাশ বিজ্ঞানের আগাম তথ্য শরীয়তের অনুগত, শরীয়ত মহাকাশ বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী পরিচালিত হবে না।

তবে বিজ্ঞানের সাহায্য আমরা একারণেই গ্রহণ করতে পারি যাতে কেও চাঁদ না দেখেই চাঁদ দেখার দাবি করে তবে ওয়াজিবে কিফায়া পালনে এবং সঠিক তারিখে মাস শুরুর ফরয আদায়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে। যেমন আজকের সউদী ওহাবী সরকার এবং তাদের অনুসারী অনেক মুসলিম দেশ করে যাচ্ছে।

আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে প্রথমে শরীয়তের বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে। অতঃপর সে অনুযায়ী মহাকাশ বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। ধরে নিচ্ছি, বিশ্বে কোন এক মাসে প্রথম সউদী আরবে মহাকাশ বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী চাঁদ দেখার সম্ভাবনা ছিল এবং বাস্তবেও দেখা গেলো। এখন পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশ সউদী আরবের দেখাকেই গ্রহন করে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে মাস শুরু করবে, নাকি প্রতিটি দেশ আলাদাভাবে চাঁদ দেখবে? এটা শরীয়ত ফায়সালা দেবে মহাকাশ বিজ্ঞান নয়। ফলে যত ধরণের অপ্রাসঙ্গিক, অসামঞ্জস্যপূর্ণ, অযৌক্তিক, অবৈধ চিন্তাধারা বাদ দেবার জন্য এই কথিত ইঞ্জিনিয়ার বলেছে সেটা আসলে তাদেরই মনগড়া ধারণাগুলো। মহাকাশ বিজ্ঞানকে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার বিষয় মনে করাই মূলত অবান্তর বিষয়। তাদের এসব পরিহার করে শরীয়তের সম্পূর্ণ অনুগত হয়ে শরীয়তের নির্দেশ অনুসরণ করে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করতে হবে। সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ পালন বা একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের তাদের দাবি অবান্তর। তা সাধারণ জ্ঞান, ভৌগোলিক জ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞানের জ্ঞান সর্বোপরি শরীয়তের জ্ঞান কোনটি দ্বারাই বোধগম্য নয়।

  

বিশ্বের জন্য ১৪৩৩ হিজরীর পবিত্র জুমাদাল

উখরা মাসের চাঁদের রিপোর্ট

 

আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে- সাবতি, ২২ হাদি আশার, ১৩৭৯ শামসী। ২১শে এপ্রিল-২০১২, শনিবার, ৭টা ১৮ মিনিটে। (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)।

অমাবস্যার দিন অর্থাৎ ২১ এপ্রিল-২০১২, শনিবার, সউদী আরবে পবিত্র জুমাদাল উখরা মাসের চাঁদ দেখা যাবার কোন সম্ভাবনা নেই।

চাঁদের রিপোর্ট (৪৫ পৃষ্ঠার পর)

 

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩৩ হিজরীর পবিত্র

জুমাদাল উখরা মাসের চাঁদের রিপোর্ট

 

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে সাবতি, ২২ হাদি আশার, ১৩৭৯ শামসী। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে। ২১ এপ্রিল-২০১২, শনিবার।

বাংলাদেশে পবিত্র জুমাদাল উখরা মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে, আহাদি, ২৩ হাদি আশার, ১৩৭৯ শামসী। ২২শে এপ্রিল-২০১২, রবিবার ঈসায়ী সন্ধ্যায়।

সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ২৪ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৭টা ২২ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য ৫৮ মিনিট। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ১২.১৭ ডিগ্রি উপরে অবস্থান করবে। কৌণিক দূরত্ব হবে ১৩.১৪ ডিগ্রি। সূর্য থাকবে ২৮৪ ডিগ্রি আজিমাতে। আর চাঁদ খুঁজতে হবে ২৮৪ ডিগ্রি আজিমাতে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সেদিন চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: পবিত্র রবীউস ছানী মাসকে ৩০ দিনে এবং জুমাদাল উলা মাসকে ২৯ দিনে গণনা করে এ রিপোর্ট করা হয়েছে।

 

আমীরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী

উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লানতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক

রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক; ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-৭

 

প্রিয় পাঠক! গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, (অহঙ্কার, রিয়া আর দাম্ভিকতায় আচ্ছন্ন আহম্মক রেজা খাঁর বর্তমান) উত্তরসূরী বশংবদ গং হরদম হারাম ছবি তুলছে, ভিডিও করছে, গণতন্ত্র-ভোট-নির্বাচন করছে, বেপর্দা হচ্ছে, বেশরা চলছে; এমনকি শিক্ষার নামে বেপর্দা হয়ে কিশোরী-যুবতী মেয়েদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করছে, বিকট-বেঢপ সব টুপি পান্জাবী পরছে, দাড়ি কেটে চেঁছে রাখছে, হারাম টেলিভিশন-সিনেমা দেখছে, টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করছে…ইত্যাদি ইত্যাদি অসংখ্য হারাম কুফরী শিরকী বিদয়াতী আমলে লিপ্ত হচ্ছে। এতে সহজেই বুঝা যায়, কাদের প্রতি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া, রহম, করুণা কর্তিত হয়েছে। এটার সাক্ষ্য বহন করছে বাতিল ফিরক্বা রেজাখানী গং নিজেরাই দিচ্ছে। যেমন- রেজাখানীদের নাপাক মুখপত্রের উক্ত সংখ্যার ৪২ পৃষ্ঠায় লিখা হয়েছে- (আজাজিল গাজীর মতো ব্যক্তিত্ব) বর্তমানে বিশেষ করে আমাদের সুন্নী অঙ্গনে খুব কমই দেখা যায়! অথচ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও। এমনটি না থাকার কারণে অনেক সুন্নী আলিমের সন্তানগণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে ও যাচ্ছে।

যাবেইতো! কারণ যাদের মূল আক্বীদা আমলেই গ-গোল তাদের সন্তান-সন্ততিগং কতটুকু আর ভালো হবে? তাদের গোটা বংশইতো নির্বংশ হওয়ার যোগ্য। কারণ তারা এবং তাদের পূর্বপুরুষ গং একযোগে আমিরুল মুমিনীন, আওলাদে রাসূল, শহীদে আযম সাইায়্যিদুনা হযরত শহীদ আহমদ বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনার শানে এলোমেলো প্রলাপ বকেছে, এখনো বকছে। এটার মূলে একটাই কারণ ছিলো, সেটা হলো বাঁশ বেরেলীর মুফতে আহম্মক রেজা খাঁ কোনোভাবেই নিজের স্বার্থসিদ্ধি বা হীন স্বার্থ হাছিল করতে পারছিলো না। যেহেতু ইলম, আমল ও সিলসিলাগতভাবে একচেটিয়া সর্বত্র সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদে আযম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার প্রাধান্য ও শান-মান, জৌলূশ বিদ্যমান ছিলো। তাই কোনোভাবে যদি উনার মানহানী করা যায়, উনার শানে অপবাদ দেয়া যায়, উনাকে ওহাবী বাতিল বলে অপপ্রচার করা যায়- তাহলেই যদি আহম্মক রেজা খাঁর রুটি-রোজগার আর ব্রিটিশদের দালালীর মওকা পাওয়া যায়। এই হেতু সে নিজেকে আহলে সুন্নতের কা-ারী বলে জাহির করলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নূর বলে স্বীকার করলো অপরদিকে স্বীয় ফতওয়ায়ে আফ্রিকাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির তৈরি বলে ফতওয়া দিলো। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!

উল্লেখ্য, আহম্মক রেজা খাঁর কুফরী মতবাদ বহনকারী ও প্রচারকারী ভ-পীর তাহের শাহ ওরফে জাহিল শাহ পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রতি বৎসর ওলী আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রামে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে জুলুশ করার নামে ধর্মব্যবসা করতে চলে আসে। এ বৎসর (১৪৩৩ হিজরী) তার জুলুশকে আরটিভি নামক হারাম চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এমনকি জুলুশ নামক মিছিলগুলোর অগ্রভাগে ভ-পীর তাহের শাহ ওরফে জাহিল শাহর বিশাল বিশাল সাইজের হারাম ছবি বহন করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!

ইদানীং মূফতে আহম্মক রেজা খাঁর অনুসারী এই সমস্ত রেজাখানী বাতিল ফিরকার অনুসারী লোকগুলো দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই সমস্ত ভ-পীর তাহের শাহ, তৈয়ব শাহ নামক জাহিল শাহদের হারাম ছবিকে বরকতের নামে লটকিয়ে রাখছে। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! এভাবে ছবি লটকানো প্রসঙ্গে মূফতে আহম্মক রেজা খাঁর মতামত কি ছিলো সেটা তার জীবনীতে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- বর্তমানে মুসলমানদের ঘরে জীব জন্তুর ছবি টাঙ্গিয়ে রাখা এবং মূর্তি দিয়ে ঘর সাজানোর এক সর্ব সাধারণ প্রথায় পরিণত হয়েছে। অনেক অশিক্ষিত মুসলমানতো বরকত লাভের আশায় বোরাকের ছবিও ঘরে স্থাপন করে থাকেন। মাওলানা (আহম্মক রেজা খাঁ) উহার কঠোর সমালোচনা করেছে। আর এগুলো রাখার ক্ষেত্রে নিষেধ করেছে।’ (আহম্মক রেজা খাঁর জীবন ও কর্র্ম ৪৪ পৃষ্ঠা)।

এখন আমাদের কথা হলো- ভ-পীর তাহের শাহ, তৈয়ব শাহ এরা কি হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে সম্মানিত যে, এদের হারাম ছবি বহন করে মিছিল করতে হবে? বরকতের জন্য এদের ছবিকে ঘরে ঘরে লটকাতে হবে? মূলত রহমত, বরকত, দয়া, ইহসান, করণা ইত্যাদি অর্থাৎ সৃষ্টির সবকিছুর মূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। কিন্তু কেন মুসলমানরা উনার ছবি দ্বারা রহমত-বরকত হাছিলের কল্পনাও করেন না? কারণ একটাই- ছবির ভিতর রহমত নেই, বরং আছে জহমত। অর্থাৎ ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, দেখা হরাম। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছবিকে চরম কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যেমন- সহীহ হাদীছ শরীফ-এর ভাষ্যমতে, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। আর ছবি তৈরিকারীর বা ছবি তোলনেওয়ালার সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে বলে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে। বলাবাহুল্য, যেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না সেখানে নির্ঘাৎ জহমত তথা গযবের ফেরেশতা প্রবেশ করে আহম্মক রেজাখানীদের উপর দায়েমান লানত দিতে থাকে। আর লানতে থাকার কারণেই এদের নাপাক মুখ দিয়ে অহরহ আজিমুশ শান হক্ব সিলাসিলার রাহবার, আমিরুল মুমিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদে আযম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার শানে বেয়াদবীমূলক কল্পিত অপবাদ বের হতে থাকে।

মূলত, এদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের চিরস্থায়ী লানত বর্ষিত হয়। নতুবা কি করে সম্ভব, মকবুল মাদারজাদ ওলী, তরীকার ইমাম, জিহাদের বীর সেনাপতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাহেরী-বাতেনী নুরানী নিয়ামতের একক ধারক-বাহক, আমিরুল মুমিনীন, আওলাদে রাসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদে আযম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা বলা? নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!

একথা পাঠকদেরকে খুব ভালোভাবে মনে রাখতে হবে যে, একমাত্র ব্রিটিশ ইংরেজ ও তাদের অনুসারী লেখক গং, সউদী ওহাবী রাজা-বাদশাহদের সুবিধাভোগী কতিপয় লেখক এবং শুধুমাত্র মূফতে আহম্মক রেজা খাঁর বাতিল মত-পথের অনুসারী বিভ্রান্ত ফিরকার লোকেরাই আমিরুল মুমিনীন, আওলাদে রাসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদে আযম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে ওহাবী বলে অপবাদ আরোপের বৃথা চেষ্টা করে। আমরা পর্যায়ক্রমে প্রমাণ করবো কি কারণে এই তিন কুফরী অপশক্তি এ ব্যাপারে একাট্টা হয়েছে। আর কোথায় তাদের মিল, কোথায় তাদের স্বার্থসিদ্ধি- তা ইসলামী শরীয়তের এবং প্রৃকৃত ইতিহাসের বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহর ভিত্তিতে প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ!

মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী

 

প্রকাশ্যে বাহাসের আহবান

 আমিরুল মুমিনীন, আওলাদে রাসূল, শহীদে আযম, সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে ওহাবী বলে অপপ্রচারকারীদেরকে মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ গবেষনা কেন্দ্র, রাজারবাগ শরীফ হতে শর্ত সাপেক্ষে প্রকাশ্যে বাহাসের আহবান জানানো যাচ্ছে। অপপ্রচারকারীদেরকে প্রকাশ্যে জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ঘোষনা দিয়ে বাহাসের আহবান গ্রহনের জন্য বলা হচ্ছে।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১