চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯

সংখ্যা: ১৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা: অমাবস্যার পর অর্থাৎ নতুন চাঁদের জন্মের পর পৃথিবী থেকে দেখতে পাবার জন্য ন্যূনতম কত সময় প্রয়োজন?

অমাবস্যার সময় চাঁদ যে দেখা যায় না সে বিষয়ে আমরা সবাই জানি। অমাবস্যার পর নির্দিষ্ট একটি সময় অতিবাহিত হবার পর সূর্যাস্তের শেষে পশ্চিম আকাশে আমরা বাঁকা চাঁদ দেখতে পাই। এ বিষয়টিকে অনেকে চাঁদের বয়স হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। অমাবস্যার পর চাঁদের বয়স কত হলে পৃথিবী থেকে প্রথম দেখা যেতে পারে, আজকে আমরা এ বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।

প্রকৃতপক্ষে এটা কখনোই  সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় যে, চাঁদ একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছলেই দেখা যাবে। তবে সাধারণভাবে বলা হয় ন্যূনতম ১৭ ঘণ্টা এবং ঊর্ধ্বে ২৩ ঘণ্টার চাঁদ আকাশে দৃশ্যমান হয়। তবে ব্যতিক্রম তথ্যও আছে, সেটা গণনার বিষয় নয়। রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ১৯৯৩ সালের একটি ত্রৈমাসিক জার্নালে (পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৩-৫৬) ইমাদ আহমেদ, ব্রেডলি শেফার, লিরয় ডগেট এই তিন মহাকাশ বিজ্ঞানী উল্লেখ করেন, পৃথিবীতে সর্বনিম্ন যে বয়সে চাঁদ দৃশ্যমান হয় তা হচ্ছে ১৫ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

তবে পরবর্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের টেনাসি অঙ্গরাজ্যে ১৯৯০ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী ১৫ ঘণ্টা ৩৩ মিনিটের চাঁদ দৃশ্যমান হয়। এ যাবৎ এটিই চাঁদের সর্বনিম্ন বয়স যখন চাঁদ দৃশ্যমান হয়েছিল। আর বাইনোকুলারের সাহায্যে সর্বনিম্ন ১৩ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের চাঁদ দেখা গিয়েছিলো ১৯৯৬ সালের ২১শে জানুয়ারীতে। এখান থেকে বিজ্ঞানীগণ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, খালি চোখে ১৫ ঘণ্টার বয়সের নিচে কোন চাঁদ দেখতে পাবার তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এখান থেকে একটি বিষয় আমরা উপলব্ধি করতে পারি তা হচ্ছে- যদি কোন একটি দেশের আরবী মাসের ২৯তম দিনের সন্ধ্যার ১৫ ঘণ্টা পূর্বে অমাবস্যা সংঘটিত হয় তবে সেদিনের সন্ধ্যায় নিশ্চিত চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। সে চাঁদ যখন দৃশ্যমান হবে তখন বয়স হবে ১৫+২৪=৩৯ ঘণ্টা। সে চাঁদ রবে উচ্চ আকাশে এবং পুরু। এখানে আরো একটি বিষয় স্পষ্ট যে, কোন দেশ যদি চাঁদ দেখার দাবি করে এবং জানা যায় দেখা যাওয়ার দাবির সময় চাঁদের বয়স ছিল ১৫ ঘণ্টা বা তার কম তবে অবশ্যই সে দাবি মিথ্যা। অর্থাৎ সে দেশে চাঁদ না দেখেই আরবী মাস শুরু করেছে যা শরীয়তে গ্রহণযোগ্য নয়।

বিশ্বের জন্য ১৪৩০ হিজরীর পবিত্র

শা’বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট:

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২২ জুলাই, বুধবার, ২টা ৩৫ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী) সউদী আরবে ২৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। এই তারিখের পূর্বে সউদী আরবে চাঁদ দেখা যাবে না।

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩০ হিজরীর

পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট:

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২২ জুলাই, বুধবার সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে।

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ২৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায়। সেদিন চাঁদের বয়স হবে ৩৪ ঘণ্টা ১১ মিনিট। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ পশ্চিম দিগন্ত রেখার প্রায় ১৪ ডিগ্রি উপরে অবস্থান করবে।

আকাশ মেঘলা না থাকলে চাঁদ দেখতে পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখতে পেলে ২৪ জুলাই, শুক্রবার হবে পবিত্র শা’বান মাসের পহেলা তারিখ আর ৬ আগস্ট, বৃহস্পতিবার হবে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ বা পবিত্র শব-ই-বরাত।

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮