চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

সংখ্যা: ১৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা: জিরো মুনের সময় (অমাবস্যার সময়) সঠিকভাবে নির্ণয় করা গেলেও হিলাল বা বাঁকা চাঁদ দেখতে পাবার সময় কেন সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না?

আমরা জানি চাঁদ একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে আবর্তন করে। পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের একবার প্রদক্ষিণ করতে গড় সময় নেয় ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট প্রায়। এই আবর্তনের সময়কে বলে সাইনোডিক পিরিয়ড। (ঝুহড়ফরপ চবৎরড়ফ) পৃথিবী থেকে যখন গণনা করা হয় তখন এক চন্দ্রমাসের দৈর্ঘ্য হয় গড়ে ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট। তবে দূরবর্তী কোন নক্ষত্রের সাপেক্ষে পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের ঘুরে আসাকে বলে সাইডেরিয়াল পিরিয়ড (ঝরফবৎবধষ চবৎরড়ফ), আর তাতে সময় লাগে ২৮ দিন ৮ ঘণ্টা প্রায়। সুতরাং এক জিরো মুন অবস্থা থেকে অন্য জিরো মুন পর্যন্ত আসতে চাঁদের যে সময় নেয় তা নির্ণয় করা যায়।

অমাবস্যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে অর্থাৎ চাঁদ জিরো মুন অবস্থা থেকে ঘুরে পুনরায় জিরো মুন দশায় যে কোন সময় পৌঁছতে পারে। কিন্তু অমাবস্যার পর বাঁকা চাঁদ হিসেবে পৃথিবী থেকে দেখতে হলে চাঁদকে আরো কিছুটা পথ অতিক্রম করতে হয়। আবার শুধু নির্দিষ্ট পরিমাণ পথ অতিক্রম করলেই চাঁদ দৃশ্যমান হয় না। পৃথিবীর কোন স্থান থেকে বাঁকা চাঁদকে দেখতে পাবার জন্য অনেকগুলো শর্ত রয়েছে। যেমন- ১. চাঁদের বয়স, ২. যে স্থান থেকে দেখতে হবে সূর্যাস্তের সময় সে স্থান থেকে চাঁদের উচ্চতা, ৩. সূর্যাস্তের সময় চাঁদ কতটা আলো প্রতিফলিত করলো। এ রকম আরও নানা শর্ত।

সুতরাং যে সকল শর্তগুলো পূরণ হলে চাঁদ দেখা যাবে সে শর্ত পূরনের বিষয়টি কখনোই একশত ভাগ নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কোন কোন এলাকার ক্ষেত্রে ধারণা করা গেলেও সব এলাকার জন্য ধারণা করা সম্ভব হয় না। তাই বাঁকা চাঁদ দেখার সময় নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কিন্তু অমাবস্যার সময় অর্থাৎ জিরো মুন অবস্থা থেকে পরবর্তী জিরো মুনে যাওয়ার সময়টা নির্ণয় করা যায়।

অমাবস্যার পর তার একদিন বা দুদিন পর সন্ধ্যায় আকাশে বাঁকা চাঁদ দেখে যেহেতু নতুন চন্দ্র মাস শুরু হয় তাই চন্দ্রমাসের সময় নির্দিষ্ট নয়। তা ২৯ দিনেও হতে পারে ৩০ দিনেও হতে পারে। আকাশে চাঁদ দেখেই নুতন মাস শুরু করতে হয়; গণনা করে আরবী মাস শুরু করার কোন ভিত্তি শরীয়তে নেই। যারা আরবী মাসের আগাম ক্যালেন্ডার রচনা করে মাস গণনা করে তা কখনো শুদ্ধ নয়। কেননা তারা জিরো মুন অনুযায়ী মাস গণনা করে যা কখনো শরীয়ত সম্মত নয়।

বিশ্বের জন্য ১৪৩০ হিজরীর পবিত্র

রজব মাসের চাঁদের রিপোর্ট

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২২ জুন, সোমবার ২০০৯, ১৯টা ৩৫ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী) সউদী আরবের সময় অনুযায়ী ২২ জুন, সোমবার, ২০০৯, রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে অমাবস্যা সংঘটিত হবে। অমাবস্যার কারণে সউদী আরবে সোমবার, ২২ জুন, চাঁদ দেখতে পাবার কোন সম্ভাবনা নেই। সউদী আরবের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৩ জুন, মঙ্গলবার।

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩০ হিজরীর

পবিত্র রজব মাসের চাঁদের রিপোর্ট:

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২৩ জুন, মঙ্গলবার, রাত ১টা ৩৫ মিনিটে।

বাংলাদেশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ খুঁজতে হবে ২৪ জুন, বুধবার সন্ধ্যায়। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ৪৯ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৯টা ১৪ মিনিটে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ৩১ ডিগ্রী উচ্চতায় অবস্থান করবে। সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য হবে ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। ২৪ জুন, বুধবার চাঁদ দৃশ্যমান হলে, ২৫ জুন বৃহস্পতিবার হবে রজব মাসের প্রথম দিন।

২৫ জুন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রি হবে পবিত্র ‘লাইলাতুর রগায়িব’।

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮