ছাহিবু লিওয়ায়িল হামদ, ছাহিবুল মাফাতীহ, ছাহিবুল কাওছার, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতসমূহ দৃঢ়তার সাথে আঁকড়িয়ে ধরা প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

عن حضرت مالك بن انس رحمة الله عليه مرسلا قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة رسوله.

অর্থ : “হযরত মালিক ইবনে আনাস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি তোমাদের জন্য দুটি নিয়ামত রেখে গেলাম। উক্ত নিয়ামতদ্বয় যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা দৃঢ়তার সাথে আঁকড়িয়ে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা বিভ্রান্ত হবে না। আর তা হলো- খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব (পবিত্র কুরআন শরীফ) এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।” (ছহীহ মুয়াত্তা)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও বর্ণিত আছে-

عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل امتى يدخلون الجنة الا من ابى قيل ومن ابى قال من اطاعنى دخل الجنة ومن عصانى فقد ابى.

অর্থ : “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমার উম্মতের প্রতিটি লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু আমাকে যে অস্বীকার করে; সে ব্যতীত। জিজ্ঞাসিত হলেন, আপনাকে কে অস্বীকার করে? প্রশ্নকারীর জবাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যে লোক আমার আনুগত্য করে না, সে মূলত আমাকে অস্বীকার করে।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)

অন্যত্র আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু রাফে’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “আমি যেন তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় না পাই যে, তোমরা গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, তখন আমার আদেশ অথবা নিষেধকৃত বিষয়ের কোন নির্দেশ পৌঁছবে। আর তখন তোমরা বলবে, আমরা কিছুই জানি না। মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবে আমরা যা পেয়েছি, তাই আমরা অনুসরণ করছি।” (পবিত্র আবু দাউদ শরীফ, পবিত্র তিরমিযী শরীফ, পবিত্র ইবনে মাজাহ শরীফ, পবিত্র বায়হাক্বী শরীফ, পবিত্র আহমদ শরীফ,  দালায়েলে নুবুয়াত)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ তায়ালা উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত (পূর্ণাঙ্গ) মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার প্রবৃত্তি, কামনা-বাসনা আমার আনিত হিদায়েতের অনুবর্তী না হবে।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সম্পর্কে “শরহে সুন্নাহ” কিতাবে লিখা হয়েছে যে, এ হাদীছ শরীফখানা বিশুদ্ধ। “হুজ্জত” গ্রন্থে এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত রয়েছে।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

من تسك بسنتى عند فساد امتى فله اجر مائة شهيد.

অর্থ :“আমার উম্মতের বিপর্যয়ের সময় যে লোক আমার একটি সুন্নতকে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে, তার জন্য একশত শহীদের (অনুরূপ) ছওয়াব রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!

অথচ বর্তমানে আমরা দেখতে পাই- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত অনুসরণ ও অনুকরণ বাদ দিয়ে ইহুদী-খ্রিস্টানদের ব্লাসফেমী, মৌলবাদ, মাওসেতুং-এর লংমার্চ, হিন্দুদের কুশপুত্তলিকা দাহ, গান্ধীর হরতাল এবং হারাম ছবি তোলাসহ নাজায়িয গণতান্ত্রিক নির্বাচন ইত্যাদি তাবৎ বিদ্য়াত, হারাম, কুফরী আমলকে অনুসরণ করে হক্বকে বাতিলের সঙ্গে মিশ্রিত করে দেয়া হচ্ছে।

অতএব গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, লংমার্চ ইত্যাদি বিদয়াতি, বেশরা হারাম কাজ ছেড়ে দিয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একমাত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ তায়ালা উনার আনুগত্য এবং আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ-অনুকরণ যথাযথভাবে করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই বান্দা-বান্দী সকলে কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে। আমীন।

-মাওলানা সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম