ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৯২তম সংখ্যা | বিভাগ:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুস সাবত্ শরীফ (শনিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “অনেকগুলো বিষয় আমি বলেছি। অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা ভাষা দিয়ে বুঝানো যায় না। যতটুকু বুঝানো যায় ততটুকু বলা হয়। তাহলে সেটা শুনে মনে রেখো। তোমাদের ঈমানী কুওওয়াত বৃদ্ধির জন্য বলা। তোমরা বাই‘আত হয়েছো কোথায়? কার কাছে বাই‘আত হলে? শুনো-জানো। ঈমানী কুওওয়াত বৃদ্ধি হবে। এই জন্য বলা। না বললে জানবে কিভাবে?

যেমন- একখানা ঘটনা বললাম যে, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি বলেছেন যে, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনার নিচে উনার মাথা মুবারক রেখেছেন। আর আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক উনার নিচে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাথা মুবারক রেখেছেন। ঠিক আছে। অনেক ফযীলত।

এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক-এ উনাকে আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লস্নাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাহলে সরাসরি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনি সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিলেন। এভাবে অনেকদিন অতিবাহিত হলো অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে অতিবাহিত হলো। কিছু দিন পর মাথা ব্যাথা শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে তা প্রচণ্ড আকার ধারণ করলো। তখন আমি মাথা ব্যাথার কারণে হাজার হাজার ওষুধ খেয়েছি; কিন্তু মাথা ব্যাথা সারেনি। নাপা টেবলেট মনে হয় কয়েক হাজার খেয়েছি আমি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্স্নাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, ‘আরে এটা সারবে না; কোনো দিন সারবে না। কারণ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনার তাছীর মুবারক-এ আপনার এই মাথা ব্যাথা। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) মাথা থেকে আপনার কোল মুবারক-এ নিলে সেরে যাবে।’ আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার কোল মুবারক-এ নিলাম। সাথে সাথে আমার মাথা ব্যাথা সেরে গেলো। এখন তো ওষুধ খাই না। এখন এটার ফায়ছালা মুবারক কী? ওহী মুবারক নাযিল হলে সমস্ত শরীর জর্জরিত হয়ে যেতো। মনে হয় যে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সেই রকম হয়েছিলো। এখন তো আমার ওষুধ খেতে হয় না। এ বিষয়গুলি মানুষ কি বুঝবে?

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনি সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিলেন। আমার অনেক দিন মাথা ব্যাথা ছিলো। উনি বললেন, ‘কোনো দিন সারবে না মাথা ব্যাথা। কোলে নিতে হবে।’ আমি কোলে নিলাম। নেওয়ার সাথে সাথে আমার মাথা ব্যাথা সেরে গেলো। এখন আর ঔষধ খাই না আমি। মনে হয় কয়েক বান্ডিল বা প্যাকেট নাপা খেয়েছি। এরকম বড় বড় প্যাকেট শেষ হয়ে গেছে। দিনে ৬টা-৮টা করে নাপা খেয়েছি। এখন তো আর ব্যাথা নেই। এখন এটার কী ফায়ছালা? এটা কী বুঝবে তোমরা? কি বুঝেছো? বলো দেখি।

২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে আমার দুটি মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক রয়েছেন- (১) একটা হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সারাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ), আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ) ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে। আর (২) দ্বিতীয় হচ্ছে যে, সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার কোল মুবারক-এ। এই দুইটা দায়ীমী। এছাড়া আরো অতিরিক্ত নিসবত মুবারক আছে। অবস্থা অনুযায়ী। এখন এটা মানুষ কি ব্যাখ্যা করবে? এরা কোনো দিন আমার সাথে পারবে না। ইনশাআল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার কোল মুবারক-এ এটা হচ্ছে ২৩ জনের যেই বেষ্টনী মুবারক রয়েছেন, সেই বেষ্টনী মুবারক উনার ভিতরে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সারাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ), আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ) ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে। এটা হচ্ছে ২৩ জনের বেষ্টনী মুবারক উনার অনেক উপরে। অর্থাৎ দুইটা দুই দিকে।”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে। বলি তোমাদের ঈমান-আক্বীদার জন্য সুবিধা হবে। দেখলাম,  একটা জিহাদের মতো। মহান আল্লাহ পাক উনি হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম উনাকে দায়িত্ব দিলেন যাতে আমাদের কামিয়াবী হাছিল হয়। তারপর দেখলাম, হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা সামনের বাহনে করে যাচ্ছেন আমাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া ও জেহাদে কামিয়াবী লাভের লক্ষ্যে। আমরা দ্বিতীয় বাহনে রয়েছি। তখন দেখতে পেলাম, আমাদের বাহনের মাঝামাঝি স্থানে হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আছেন। তিনি আস্তে আস্তে পিছন দিক থেকে বাম দিক দিয়ে এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছেন। দেখা গেলো, খুব বিনয় প্রকাশ করছেন। আমি বললাম, ‘আপনি এটা করেন কী?’ উনি আমাকে বললেন, ‘আমার জন্য দোয়া করবেন।’ আমি বললাম, ‘আরে আমি আপনার জন্য দোয়া করবো; না আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন?’ উনি খুব জড়িয়ে ধরেছেন। উনার মূল বক্তব্য হলো, উনার ভাষায় আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য অনেক করতেছি। এজন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাদের প্রতি অনেক খুশি হয়েছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুব খুশি হওয়ার কারণে হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি এসে আমার কাছে দোয়া চাচ্ছেন। মানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং মহান আল্লাহ পাক উনি অর্থাৎ উনারা খুব খুশি। দোয়া করবেন আমার জন্য। উনি পিছন দিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। আমি বললাম, ‘আপনি করেন কি এটা? আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনি একজন জলীলুল কদর রসূল।’ উনি বললেন, ‘হঁ্যা; তবে আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন।’ আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এতো কিছু করতেছি, এ জন্য মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা খুব সন্তষ্ট।

সেটাই বললাম, প্রকৃতপক্ষে উনারা সব জানেন, দেখেন, শুনেন। খুশি হবেন না কেন? আমরা করি; খুশি হবেন। যে বাহনে আমরা জিহাদ করার জন্য যাচ্ছিলাম, ওই বাহনে হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনিও ছিলেন। পিছন দিয়ে উনি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। আমি উনাকে বললাম, ‘ছেড়ে দেন আমাকে।’ উনি খুব বিনয় প্রকাশ করছেন। দোয়া চাচ্ছেন। আমি বললাম- এভাবে আমার কাছে দোয়া চান কেন? উনার বক্তব্য হলো, আমরা যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এতো কিছু করতেছি এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা অনেক খুশি। সেই মুহাব্বতে এসে উনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন।

সেটাই বললাম যে, আমরা তো কিছুই করিনি। শুধু আলোচনা করতেছি। আলোচনা করতেছি, তাতেই খুশি হয়েছেন। তাহলে করলে আরো কতো খুশি হবেন। এজন্য বললাম, প্রত্যেকে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা জোগাড় করো। আমরা বড় করে করি। সময় তো থাকবে না। যার এক বছর হায়াত আছে সে পাবে। অন্যথায় পাবে কিভাবে?”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বলেছেন, উনি আমাকে উনার সবচেয়ে বেশি নৈকট্য মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

তাহলে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম