জঙ্গিরা ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদ। জঙ্গিরা মুসলমানদের শত্রু, দেশ ও জাতির শত্রু। জঙ্গিরা ইসলামের সেবক নয়। জঙ্গিরা ইহুদী-খ্রিস্টানদের দোসর।  জামাতীরা জঙ্গিবাদের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।  ইসলামের দৃষ্টিতে জঙ্গিদের শাস্তি মৃত্যুদ-।  জঙ্গি ও জামাতীরা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

ইসলামের নামে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। কারণ মৌলবাদী-জঙ্গিবাদীরা ইসলামের নামে তথাকথিত জিহাদ করতে গিয়ে বোমাবাজির মাধ্যমে হত্যা, লুণ্ঠন, অপহরণসহ হাজারো শরীয়ত বিরোধী অপকর্মে লিপ্ত হয়ে জমিনে ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে তারা বিধর্মীদেরকে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের  সুযোগ তৈরি করে দেয়। ইসলাম সর্ম্পকে মানুষকে পরিকল্পিতভাবে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। এদের সর্ম্পকে কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, কোন মুসলমানকে স্বেচ্ছায় হত্যা করলে তারা স্থান জাহান্নামে।” (সূরা নিসা-৯৩)

ফিৎনা তৈরি করা আল্লাহ পাক-এর কাছে খুবই অপছন্দের বিষয়। আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, ফিৎনা-ফাসাদ করা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা আল্লাহ পাক-এর কাছে হত্যার চেয়েও বেশী অপরাধ।” (সূরা বাক্বারা-১৯১)

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ ফরমান, আমি বণী ইস্রাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টিকারী ছাড়া কাউকে হত্যা করে, এরকম লোক সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে।” (সূরা মায়িদা-৩২)

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ ফরমান, কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।” (সূরা বাক্বারা-১৯০)

আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আখিরী রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধে নারী-শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।” (বুখারী শরীফ)

আরো ইরশাদ হয়েছে, তোমরা দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। কেননা, এটা অতীতের অনেক জাতিকে ধ্বংস করেছে।”

তায়েফের ঘটনা আমরা সবাই অবগত। হযরত জিব্রাইল আলাইহিস্ সালাম যখন আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আঘাতকারীদের দু’পাহাড় একত্র করে পিষ্ট করার অনুমতি চাইলেন তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম পরম দরদের সাথে বলেছিলেন, এদেরকে যদি এভাবে মেরে ফেল তবে কাদের প্রতি আমি ইসলামের দাওয়াত পৌছাব? এরা না হোক, এদের বংশধররাও তো ইসলাম গ্রহণ করতে পারে।

অতএব, যারা মনে করে বোমা মেরে ইসলাম কায়িম করবে,

তা কখনো হবার নয়। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তোমরা মানুষকে আল্লাহ পাক-উনার পথে ডাক হিকমতের সাথে সুন্দর সুন্দর কথা দ্বারা।” (সূরা নহল-১২৫)

উল্লেখ্য যে, আউলিয়ায়ে ক্বিরাম উনাদের বিরোধী হওয়ার কারণে জঙ্গিবাদীরা ইলমে তাসাউফ শূন্য। অর্থাৎ আউলিয়ায়ে ক্বিরাম গণের ছোহবতে গিয়ে আল্লাহ পাক প্রদত্ত রুহানী ইলম হাছিল না করার ফলে তারা  খোদায়ী নূর আত্মিক ও রূহানী ক্ষমতা তথা আল্লাহ পাক-এর পথে মানুষকে ডাকতে পারে না। তাই তারা জোরপূর্বক জঙ্গিপনা করে ইসলাম কায়িম করতে চায়। এটা করতে গিয়ে তারা মাদক উৎপাদন, মাদক পাচার, অপহরণ, বিভিন্ন ধরণের ছিনতাই, লুটপাঠসহ প্রতারণা-ধোঁকাবাজির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

জঙ্গিরা ইসলামের নামে হারাম ও কুফরী বক্তব্যও প্রচার করে থাকে:

যেমন-

১. এক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়া ইসলামিয়া’র নেতা আবু বকর বশিরের যুক্তি তুমি যখন তাদের রক্ত নিতে পার, তবে কেন তাদের সম্পদ নিতে পারবে না?”

২. জাল নোটসহ ইতঃপূর্বে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা মনে করে ‘শত্রু দেশের’ (দারুল র্হব) মুদ্রা জাল করে অর্জিত অর্থ ‘জিহাদের’ কাজে ব্যয় করা বৈধ।” (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো ১৬ মে ২০০৯ ঈসায়ী)

৩. ঢাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, জেএমবি’র একটি অংশ মুদ্রা জাল ও বাজারজাতে যুক্ত। তাদের বর্তমান আমীর সাবেক জামাত নেতা মাও. সাইদুর রহমান বলেছে যে, শত্রুর ক্ষতি করে এভাবে অর্জিত টাকা ‘জিহাদ’ ও সংগঠনের কাজে খরচ করা জায়িয।” (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো ১৬ মে ২০০৯ ঈসায়ী)

এদেশীয় জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সংগঠিত করছে আর্ন্তজাতিক জঙ্গিগোষ্ঠি ও এনজিওরা:

১. হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ও জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে (জেএমবি) সংগঠিত করছে লস্কর-ই

তৈয়্যবার কয়েকজন শীর্ষ নেতা। (দৈনিক যুগান্তর ২০ জুলাই/০৯)

২. আল হারামাইন ইসলামী ইনস্টিটিউট, রিভাইবাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি ও আল রাবেতা নামক একাধিক মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংগঠন/সংস্থা কথিত মসজিদ, মাদরাসা নির্মাণে অনুদানের নামে জঙ্গিদের অর্থায়ন করেছে, করছে বলে

গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এরই মধ্যে রিভাইবাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি এ দেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে।” (দৈনিক ভোরের কাগজ- ১৭ আগস্ট/২০০৯)

৩. বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদকে সংগঠিত করতে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈয়্যবা আর্থিক সহায়তা করছে।” (দৈনিক আমাদের সময় ২০ জুলাই/০৯)

৪. জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং জাগ্রত মুসলিম জনতা (জেএমজেবি)বাংলাদেশকে জঙ্গি তৎপরতা চালাতে অর্থায়ন করছে দুবাই প্রবাসী মুম্বাইয়ের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং ছোটা শাকিল।” (দৈনিক ডেসটিনি ৮জুন/২০০৯)

৫. গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার অর্থায়নে হিযবুত তাহরীর চলে বলেও তথ্য রয়েছে।” (দৈনিক ডেসটিনি ১ নভেম্বর/০৯)

৬. এনজিও ব্যুরোর একটি সূত্র দাবি করেছে, জোট শাসনের পাঁচ বছরে ১১ হাজারের বেশি এনজিও’র মাধ্যমে দেশে ৯০ হাজার কোটি টাকা এসেছে, যা চলতি অর্থবছরের (২০০৮-০৯ অর্থবছর) বাজেটের প্রায় সমান। জোট সরকারের সময় ৬শ’ ১৩টি বেসরকারি সংস্থা ৬৪ হাজার ৪শ’ ৪৩টি প্রকল্পের বিপরীতে ৮৯ হাজার ৫শ’ ৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ছাড় করিয়ে নিয়েছে। … এভাবে এনজিও’র মাধ্যমে টাকা ছাড় করিয়ে জঙ্গি অপতৎপরতার পৃষ্ঠপোষকতার পেছনে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে জামাত নেতা মুজাহিদের অনুমোদন পাওয়া এনজিওগুলো রয়েছে সন্দেহের শীর্ষ পর্যায়ে।” (সূত্র: ২৮শে মার্চ /০৯ ঈসায়ীর জাতীয় দৈনিক)

জঙ্গিরা রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে তৎপরতা চালাচ্ছে:

æআইএম নামে জেএমবি’র একটি শক্তিশালী অঙ্গ সংগঠনের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে এ সংগঠনটির সদস্যরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাতে প্রস্তুত। তারা পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মতো একটি মুক্তাঞ্চল গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছে।” (দৈনিক জনকন্ঠ, ১১ জুলাই/০৯)

জঙ্গিরা তাদের স্ত্রীদেরকেও আত্মঘাতী হিসেবে গড়ে তোলে:

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটক বোমা মিজানের স্ত্রী শারমিন হক লতা বলেছে, সারাদেশে জেএমবি সদস্যদের স্ত্রীরা বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছে। লতা জানায়, প্রয়োজনে তারা সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। স্বামীদের নির্দেশ পাওয়া মাত্র তারা নিজেকে আত্মঘাতী হিসেবে প্রস্তুত করে।” (দৈনিক ডেসটিনি- ১৬ মে/০৯)

প্রসঙ্গত: আরো উল্লেখ্য যে, উপরোল্লিখিত মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী তৎপরতা যেমন একদিনে তৈরি হয়নি তেমনি এ জন্য তথাকথিত জেএমবিসহ দু’একটি জঙ্গি গোষ্ঠীই দায়ী নয়। বরং এসব মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী তৎপরতা তথা  বোমা হামলার ঊর্বর ক্ষেত্র তৈরির জন্য দায়ী নামধারী ইসলামিক দল তথা ধর্মব্যবসায়ী সবাই। বিশেষ করে জামাতে মওদুদী, কওমী-খারেজী, লা-মাযহাবী, সালাফী গ্রুপ এর পিছনে সক্রিয়ভাবে দায়ী।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, পৃথিবীর কোথাও কোন হত্যাকা- হলে প্রথমে তার গুনাহ কাবীলের আমলনামায় পৌঁছে। কারণ, সেই প্রথম হত্যাকারী। ঘাতকরা তার থেকেই হত্যার ধারণা পেয়েছে। তদ্রুপ যারা মনে করে, হাত-পায়ের রগ কেটে, মাযার শরীফ-এ বোমা মেরে, সমাবেশে বোমা মেরে, ক্যাডার পুশে, অস্ত্র আমদানি করে, তালেবানী বা লাদেন কায়দায়, ছলে বলে, ইসলামের নামে ক্ষমতার মসনদে আরোহন করবে, আলোচিত সব বোমা হামলা বা নাশকতার সম্পৃক্ততাও তারা ইসলামের দৃষ্টিতে কোনভাবেই এড়াতে পারে না। কারণ, হাত-পায়ের রগ কাটা তথা সন্ত্রাসী কায়দায় কাজ করার ধারণা প্রচলনের প্রবর্তক তারাই। নিম্নে তার কিছু প্রমাণ পেশ করা হলোঃ

জঙ্গিবাদের সাথে জামাতীরা গভীরভাবে

সম্পৃক্ত ও ওৎপ্রোতভাবে জড়িত:

জঙ্গিনেতা আব্দুস শয়তান ও বাংলা শয়তান ছাত্রজীবনে ছিল শিবির ক্যাডার:

১. জামা’আতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) কথিত আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা আব্দুর রহমানের পিতা আবুল ফজল ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালীন জামালপুরে কুখ্যাত আলবাদর বাহিনীর প্রধান ছিল। আব্দুর রহমান ছাত্রজীবনে শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিল। আব্দুর রহমানের ছোট ভাই আতাউর রহমান মাদ্রাসা ছেড়ে যাওয়ার পর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের নেতা ছিল।” (দৈনিক জনকণ্ঠ, ১১ সেপ্টেম্বর/০৫)

২. জেএমবি’র অপারেশন কমান্ডার মৌলবাদী জঙ্গি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে কথিত বাংলা ভাই বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজে অধ্যয়নকালে শিবিরের রগকাটা বাহিনীতে সক্রিয় ছিল।” (দৈনিক জনকণ্ঠ, ১১ সেপ্টেম্বর/০৫)

৩. তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরকে জঙ্গি নেতা মাও. আব্দুর রহমান আরো জানিয়েছিল, æজামাতের তাত্ত্বিক নেতা মওদুদীর ‘আল জিহাদ’সহ অন্যান্য বই পড়েই সে জিহাদে (জঙ্গিবাদে) উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এছাড়া জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানও তাকে এ পথে অনুপ্রাণিত করে। মাও. আব্দুর

রহমান জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, একবার একান্ত আলোচনাকালে কামারুজ্জামান তাকে বলেছিল, ‘আমাদেরকে জিহাদের পথেই যেতে হবে’।” (দৈনিক ভোরের কাগজ- ১৭ আগস্ট/০৯)

সাঈদীর জঙ্গিবাদী আহবান:

১. ১৯৯৭ সালে এক সমাবেশে ধর্মব্যবসায়ী জামাত নেতা রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, ‘যারা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ে, কতল ও ক্বিতাল করে, সংগ্রাম করে, জিহাদ করে তারা ঈমানদার। আর যারা আল্লাহর আইন মানে না, মানুষের তৈরি তন্ত্রমন্ত্র, বাদ-মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালায় তারা কাফির’ এ আয়াত শরীফ-এর অপব্যাখ্যা করে জঙ্গি-জামাতি আহ্বানে উদ্বুদ্ধ করেছিল। (ক্যাসেট সূত্র: আল্লাহর পথে জিহাদ)

শিবিরের জঙ্গিবাদী আহবান:

১. ‘মুক্তির পয়গাম’ নামে শিবির সদস্যদের জন্য পাঠ্য একটি বইয়ে উল্লেখ রয়েছে, …দুনিয়ার সব জায়গায় এ অসৎ নেতৃত্বকে খতম করে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টার নামই জিহাদ। এ জন্য প্রয়োজন হলো শক্তি প্রয়োগ।’ ছাত্রশিবিরের গঠনতন্ত্রে লেখা রয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী ইসলামী বিপ্লবের পদক্ষেপ হিসেবে আমরা সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সমস্ত শক্তি-সামর্থ্য নিয়োজিত করবো।’ অর্থাৎ জামাত-শিবির ধর্মব্যবসায়ীরা পবিত্র জিহাদ ও ইসলামের আদর্শ বাস্তবায়নের নামে ধোঁকা দিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে। রগ কাটে।

বাংলা শয়তানের পক্ষে নিজামীর সাফাই:

১. ২২ জুন/০৪ জাতীয় সংসদে এক সংবাদ সম্মেলনে মইত্যা রাজাকার মতিউর রহমান নিজামী বলেছিল, ‘বাংলাভাই বলে কেউ নেই। এসব মিডিয়ার সৃষ্টি। কারণ আমরা জেনেছি রাজশাহীর বাগমারায় সর্বহারাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। মিডিয়া সর্বহারার নির্যাতনের কথা না বলে কোনো এক বাংলাভাইয়ের কথা লিখছে।’ (দৈনিক ভোরের কাগজ- ১৭ আগস্ট/০৯)

হরকাতুল জিহাদের পক্ষে নিজামীর সাফাই:

১. ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে কথিত ‘ওলামা-মাশায়েখ কমিটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জামাতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী ওরফে মইত্যা রাজাকার নিজামী বলে যে, æবাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই, ছিলও না। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ দেশের ইসলামী শক্তিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে। এর অংশ হিসেবে তারা কিছু ‘তথাকথিত’ জঙ্গি সংগঠনের নাম প্রচার করে। হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীও এ রকম একটি সংগঠন।” (দৈনিক প্রথম আলো- ২১ আগস্ট/০৮ ঈসায়ী)

২. নিজামী আরো বলেছিল যে, ‘১৯৯৯ সালে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী কবি শামসুর রাহমানের বাড়িতে হামলা করলেও পরে হুজি’র নাম প্রচার করা হয়। সে আরো বলে যে, ‘কখনো

হরকাতুল জিহাদের নাম শুনলাম না, কিন্তু ওই ঘটনার পর হঠাৎ করেই কোত্থেকে এর নাম এল তা আমি বুঝতে পারি না।’ (দৈনিক প্রথম আলো- ২১ আগস্ট/০৮ ঈসায়ী)

জেএমবি’র পক্ষে নিজামীর সাফাই:

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিনা রোকা বাংলাদেশ সফরে এলে মইত্যা রাজাকার মতিউর রহমান নিজামী তার সঙ্গে দেখা করে। এ সময় সে রোকাকে বলে যে, ‘জেএমবি তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। ইসলামের নামে মানুষকে ভুলপথে পরিচালিত করা এবং সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য তারা ক্ষমাও চেয়েছে।’ (দৈনিক ভোরের কাগজ- ১৭ আগস্ট/২০০৯)

বিদেশী সাংবাদিকের চোখে জামাত-শিবিরের

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা

১. গত ৭ সেপ্টেম্বর/০৫ ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর এর রিপোর্টার ডেভিড মনটিরো তার বাংলাদেশে যেভাবে জঙ্গিদের উত্থান শীর্ষক প্রতিবেদনে পুলিশ রিপোর্টের বরাত দিয়ে বলেছে, æগত দু’বছরে যে সব সশস্ত্র জঙ্গি ধরা পড়েছে তাদের অধিকাংশই স্থানীয় পর্যায়ে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, অন্যথায় জামাতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাকর্মী।” (দৈনিক জনকণ্ঠ, ১১ সেপ্টেম্বর/০৫)

দেশী সাংবাদিকের চোখে জামাত-শিবিরের

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা:

১. ‘সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত সারাদেশে ‘জামা’আতুল মুজাহিদীনের যেসব জঙ্গি ধরা পড়েছে তাদের প্রায় সকলেই পারিবারিক বা ব্যক্তিগতভাবে জামাত শিবিরের সঙ্গে জড়িত অথবা সাবেক নেতাকর্মী।’  (দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৯ সেপ্টেম্বর-২০০৫)

২. ‘রাজশাহীর গ্রামে জোট সরকারের শরিক জামাতের এক নেতার বাড়ি থেকে বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, অস্ত্র ও জঙ্গি বই উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ২ জঙ্গিকে। তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের দুর্গম পল্লী পাকচাদপুর গ্রামের ওই বাড়ির মালিক হচ্ছেন তানোর উপজেলা জামাতে ইসলামীর বায়তুল মাল সম্পাদক (অর্থ) স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ। ’ (দৈনিক সংবাদ, ১৭ সেপ্টেম্বর/০৫)

জঙ্গিবাদের মদদদাতা কওমী-খারিজী-লা মাযহাবী,

দেওবন্দী তথা ইসলামী ঐক্যজোট:

৯/১১ কমিশনের রির্পোটে কওমী-দেওবন্দীদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা:

যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ কমিশনের রির্পোটে উল্লেখ করা হয়েছে,æমার্কিন ৯/১১ কমিশন দেওবন্দিদের দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হিসেবে সনাক্ত করেছে। কমিশনের রিপোর্টে

বলা হয়েছে, দেওবন্দিরা ইতোমধ্যে মধ্যপন্থী থেকে চরমপন্থী হয়ে উঠেছে। তারা এখন বিন লাদেনের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে এবং মূলত তারাই দক্ষিণ এশিয়ায় আল কায়দাকে জিইয়ে রাখছে।” (দৈনিক ভোরের কাগজ ২২ ফেব্রুয়ারী/০৫)

মুফতে হান্নানের পক্ষে মাওলানা মাহিউদ্দিনের সাফাই

১. মাহিউদ্দীন যে মুক্তিযুদ্ধের সময় খাছ রাজাকার ছিল সে সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেছেন শামসুজ্জামান খান। তিনি বোমা না, জ্ঞান বিজ্ঞানেই বিশ্ব জয় সম্ভব॥ বাংলাদেশে জঙ্গিদের নাটাই কার হাতে?” শীর্ষক কলামে লিখেন- কতটা মূর্খ হলে স্বাধীনতা বিরোধী মাওলানা মাহিউদ্দিন খান বলতে পারে মুফতে হান্নান একজন বড় আলিম। (দৈনিক সমকাল)

২. মাওলানা মাহিউদ্দিন বলে যে, ‘মুফতে হান্নান ভাল মাওলানা, সাহসী ছেলে।’ (দৈনিক যুগান্তর ৩রা অক্টোবর/২০০৫)

আব্দুশ শয়তান ও বাংলা শয়তানের পক্ষে

মাওলানা মাহিউদ্দিনের সাফাই:

১. সন্ত্রাসী মুফতে হান্নানকে ছত্রছায়া দেয়ার জন্য অভিযুক্ত, সমালোচিত মাওলানা মাহিউদ্দিন খান বলেছে, … বাংলা ভাই সন্ত্রাসী ছিল না। সর্বহারা দমন করতে গিয়ে সে সন্ত্রাসী হয়েছে। (জনকণ্ঠ-১৫ অক্টোবর/০৫)

২. ‘আমি তো দেখছি আব্দুর রহমান বাংলা ভাইরা মহৎ কাজ করছে।’ (২৮শে অক্টোবর/০৫, সাপ্তাহিক ২০০০ )

গালিবের পক্ষে মাওলানা মাহিউদ্দিনের সাফাই:

মাওলানা মাহিউদ্দিন খান বলে, আমি লজ্জায় মরে যাই যে, আলেমদের রক্তে পা রেখে সরকার ক্ষমতায়, অথচ ড. গালিবের মত ব্যক্তিত্বকে জেলে নিয়েছে।

শায়খুল হাদীছ ফোন করেছিলেন

কুষ্টিয়া পুলিশের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড

জঙ্গি নেতাকে আটকের পর ছেড়ে

দিয়েছে গোয়ালন্দ পুলিশ

কুষ্টিয়া, ২০ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব সংবাদদাতা॥ মোস্ট ওয়ান্টেড এক জঙ্গি নেতাকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা পুলিশ। মাদ্রাসা শিক্ষক ইলিয়াস (৩৫) নামের জঙ্গি নেতাকে ছেড়ে দেয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেন তাকে ছেড়ে দেয়া হলো এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। তবে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জানান, জোটের একটি শরিক দলের নেতা শাইখুল হদছ ইলিয়াসকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তার কাছে ফোন করেছিলেন।

১৭ আগস্টের বোমা হামলার পর কুষ্টিয়ায় শামসুল ও আকবর নামের দু’জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১