ডেনিস প্রিন্সেস মারির দিকে আরজারভির কামাতুর দৃষ্টি ষাট শতাংশ মার্কিন নারী সৈন্যের সম্ভ্রম লুণ্ঠন মূলত ইসলামে বর্ণিত পর্দা প্রথার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ত্ব এবং অনিবার্যতা ও আবশ্যকতা প্রতিপন্ন করে। ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশের ফরয পর্দা প্রচলন করে নারী অধিকার বাস্তবায়নে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে

সংখ্যা: ২১৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

ইন্টারনেট সূত্রে জেনে একটি দৈনিকে খবর হেডিং হয়েছে, রাজকীয় ডিনারে পরনারী অতঃপর…………।

খবরে বলা হয়েছে, রাজকীয় জৌলুস, চোখ ধাঁধানো আয়োজন, জিভে জল আনা রকমারি খাবার কোন কিছুই খুব একটা আকর্ষণ করেনি ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট তারজা হেলোনেনের স্বামী ফার্স্ট জেন্টলম্যান পেনট্টি আরজারভিকে। সবাই যখন ব্যস্ত রাজকীয় ডিনারের চাকচিক্যময় আয়োজনে তখন মি. আরজারভি মোহবিষ্ট হয়ে তাকিয়ে ছিল, তার পাশের আসনে বসা ডেনিশ প্রিন্সেস মারির বুকের দিকে। একটি গলাকাটা কালো গাউন ও নেকলেস পরিহিতা ডেনমার্কের প্রিন্সের স্ত্রী প্রিন্সেস মারির বুকের দিকে অপলক নেত্রে চেয়ে আছে আরজারভি। কিছুক্ষণ পর প্রিন্সেস মাথা ঘুরিয়ে টের পায় বিষয়টি। তারপর দৃষ্টি সরিয়ে নেয় মি. আরজারভি। একটি স্থাপত্য কর্মের দিকে চেয়ে থাকার ভান করে। ততক্ষণে প্রিন্সেস তার বুক ঢেকে নেয়। কিন্তু এর আগেই দৃশ্যটির ভিডিও হয়ে যায়। আর এটা ইউটিউবে ছেড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় চলছে তোলপাড়। সবাই হামলে পড়ছে ইউটিউবে এটি দেখার জন্য। আর করছে মুখরোচক নানা মন্তব্য। ডেনমার্কের রানীর আয়োজিত একটি ডিনারে কোপেনহেগেনে ঘটেছে এই ঘটনা। কিন্তু মিডিয়ায় এটা প্রকাশ হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ঈসায়ী তারিখে।

মূলত আধুনিক শিক্ষা এমনকি সামরিক প্রশিক্ষণও নারীকে পর পুরুষের কামাতুর দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে পারেনা। এর সাক্ষাৎ উদহারণ মার্কিন সেনাবাহিনী।

মার্কিন সামরিক বাহিনীতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ নারী সেনা রয়েছে যা মোট সেনার ১৫ শতাংশ। ইরাক ও আফগান যুদ্ধে নিয়োজিত মার্কিন সেনার ১১ শতাংশ ছিল নারী। মর্যাদাসম্পন্ন এক গবেষণা বলছে, সেনাবাহিনীতে চাকরিকালীন সময়ে প্রতি তিনজনের একজন নারী সেনা সম্ভ্রমহরণের শিকার হয়। পাশাপাশি ৬০ শতাংশ নারী সেনা কোন না কোন যৌন নিপীড়নমূলক আচরণের শিকার হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, সামরিক আদালতে মাত্র ৮ শতাংশ যৌন নির্যাতনের বিচার হচ্ছে। যা দুঃখজনকভাবে অত্যন্ত কম। বলা হয়ে থাকে, অধিকাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার নারী অভিযোগ করে না। অন্যদিকে সিভিল কোর্টে ৪০ শতাংশ যৌন নির্যাতনমূলক মামলার বিচার হয় যা সামরিক আদালতের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। ২০১০ সালে দেয়া স্যাপ্রোর বার্ষিক প্রতিবেদন মতে, ওই বছর সামরিক বাহিনীতে ৩ হাজার ১৫৮টি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৫২৯ জনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ৪১ শতাংশ খালাস পেয়েছে। ছয় শতাংশ অভিযুক্তকে বহিষ্কার করা হয়েছে যাতে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে না হয়।

সামরিক বাহিনী ও মার্কিন কংগ্রেস স্বীকার করেছে, সেনাবাহিনীর মধ্যে যৌন নিপীড়নমূলক ঘটনা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এ সমস্যা সমাধানে তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করছে। তবে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। ২০০৫ সালে মার্কিন সেনাবাহিনী সেক্সুয়াল অ্যাসাল্ট প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসপন্স অফিস বা যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ ও প্রতিকার কার্যালয় (সংক্ষেপে স্যাপ্রো) চালু করে। স্যাপ্রোর প্রধান কাজ হচ্ছে সেনাবাহিনীতে সংঘটিত যৌন নির্যাতনের ঘটনা লিপিবদ্ধকরণ, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া এবং বাৎসরিক প্রতিবেদন পেশ করা। এ ধরনের একটি প্রতিবেদন কংগ্রেসে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্যাপ্রোর প্রতিবেদন বিক্ষিপ্ত, অগোছালো, অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট তৈরিতে প্রভাব খাটানো হয়েছে।

এত প্রতিকূলতার পরেও যেসব নির্যাতিত নারী সামরিক বাহিনীর সদস্য বা অফিসারদের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে মামলা করে তখন তারা এক অসম যুদ্ধের সম্মুখীন হয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য তাদের উপর বিভিন্ন দিক থেকে প্রচ- চাপ আসে। এক ঊর্ধ্বতন অফিসার ও এক বন্ধু দ্বারা যখন জেসিকা ধর্ষিত হন, তখন সাথে সাথেই তা তার সামরিক কমান্ডকে জানান তিনি। কিন্তু সামরিক কমান্ড তদন্তের নামে জেসিকার সঙ্গে পাল্টা দুর্ব্যবহার করে এবং কমান্ডের সুনাম রক্ষার জন্য এ ঘটনার বিচার না করে তা গোপন করার ব্যবস্থা নেয়। জেসিকা বলেন, সামরিক তদন্তে বের করা হয় আমি সিনিয়র ও জুনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিশ্রী নামে ডাকতাম এবং বিভিন্ন উগ্র পোশাক পরিধান করতাম। তদন্ত শেষে বলা হয়, আমার কথা ও উগ্র পোশাকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তাই সেনা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা চেপে যেতে নির্দেশ দেয়।

বলাবাহুল্য, বর্ণিত ঘটনাও ইসলামের বোরকা প্রথারই শ্রেষ্ঠত্ব ও অনিবার্যতা প্রমাণ করে। প্রসঙ্গত: পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাঁদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাঁদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মুমিনাদেরকে বলুন, তাঁরাও যেন তাঁদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাঁদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে ও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।” (সূরা নূর : আয়াত শরীফ ৩০, ৩১)

বর্ণিত বিষয়টি মূলত প্রদত্ত আয়াত শরীফ তথা ইসলামের সত্যতা ও মহত্ত্বই প্রতিভাত করে। পক্ষান্তরে তথাকথিত প্রগতিবাদী এবং পর্দাবিরোধীদের অসারতা এবং অনাচারকে উদঘাটিত করে। কারণ জেসিকা তার সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্যই তার সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হয়েছে এটাই আমেরিকার সেনাবাহিনীর বিচারে বিবেচিত হয়েছে। এ ঘটনা অর্ধেক জনশক্তি নারীকে প্রকাশ্যে নামালেই উন্নতি সহজে হবে এ আপ্তবাক্যকে পূর্ণ মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে।

 নারী পর্দায় ঢেকে রাখার জন্য নয়।

 পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে নারী।

 নারীদেহ এমন কিছু নয় যে পুরুষ তার দিকে তাকিয়ে কাজ ভুলে যাবে।

এসব প্রতারণাপূর্ণ প্রচারণাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।

বর্ণিত ঘটনায় শুধু ডেনিস প্রিন্সেস মারির বুকের দিকে আরজারভির তাকিয়ে থাকাই উল্লেখ্য নয়, দৃশ্যটি ইউটিউবে ছাড়ার পর সবার হামলে পড়ার বিষয়টিও বিশেষ লক্ষণীয়।

এক্ষেত্রে বিচার্য এই যে, নারীদেহ সব সময়ই পর পুরুষের নফসের জন্য লোভাতুর বিষয়। এবং প্রদর্শিত নারীদেহকে অসংখ্য দর্শক পর পুরুষের প্রত্যেকেই মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভোগ করে থাকে। (নাঊযুবিল্লাহ!)

পবিত্র কুরআন শরীফ-এ সেই সত্যই উচ্চারিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ এবং মুমিনাদের বলুন তারা যেন উনাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজের উপর টেনে নেয়। এতে উনাদের চেনা সহজ হবে। ফলে উনাদের উত্ত্যক্ত করা হবেনা।” (সূরা আহযাব : আয়াত শরীফ ৫৯)

প্রদত্ত আয়াত শরীফ-এর প্রেক্ষিতে বলতে হয় প্রিন্সেস মারি যদি চাদর দ্বারা তার বক্ষদেশ আবৃত রাখতো তাহলে আরজারভির লোভাতুর দৃষ্টি থেকে সে রক্ষা পেত। মূলত এ লোভ শুধু একজন আরজারভির নয়। এ লোভ প্রত্যেক পর পুরুষের। আর শুধু বুকই নয় বরং গোটা নারীদেহই পর পুরুষের কাছে লোভের বস্তু।

বলাবাহুল্য, অধুনা নারীবাদীরা যতই উটপাখির মতো বালির গর্তে মুখ ঢুকিয়ে রাখুক না কেন বেপর্দার কুফল আজ সর্বজনবিদিত। বেপর্দার কারণে আজ নারীরা শুধু ভোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মায়ের আসন, স্ত্রীর মর্যাদা, বোনের সহানুভূতি তারা হারাচ্ছে। তাই নারী জাতির সম্ভ্রম রক্ষায় পর্দার কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি একজন মুসলমান হিসেবে ফরয পর্দাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশের পর্দাকে ফরয হিসেবে প্রচলনের দায়-দায়িত্ব মূলত সরকারের উপরই বর্তায়।

মূলত ইসলামী প্রজ্ঞার অভাবে কোন সরকারই এ সত্যটি আদৌ উপলদ্ধি করতে পারেনি। সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, সরকারেরও প্রয়োজন রয়েছে নেক পরামর্শ তথা নেক ছোহবত, রূহানী সংস্পর্শ তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে তা নছীব করুন। (আমীন)

মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১