তাফসীরুল কুরআন: সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৬৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ. وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ

তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (অতএব, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফদ্বল ও সম্মানিত রহমতস¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের ইবাদত হবে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর :  উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়া মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সাথে যারা উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশার্থে তথা মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক উপলক্ষে বা উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করবে তারা  যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এবং উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে ইবরত, নছীহত, উপদেশ গ্রহণ করতে সক্ষম হবে এবং তারা অন্তরের শিফা বা আরোগ্য লাভ করবে এবং তাদের হিদায়েত নছীব হবে অর্থাৎ তারা হিদায়েত প্রাপ্ত হবে এবং রহমত লাভে ধন্য হবে। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেকে সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে শামিল করে নিয়েছেন। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ

অর্থাৎ আমরা সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ। আমাদের সাথে কারো তুলনা করা যাবে না।

অতএব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে যে হুকুম হবে উনার মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়সমূহের ক্ষেত্রেও ঠিক একই হুকুম হবে।

অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদতী শান, সুমহান বিছালী শান, সুমহান নিসবতে আযীমী শান ইত্যাদি  প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা যেমন ফযীলত, নিয়ামত, রহমত, হাছিল হওয়ার কারণ তদ্রূপ উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও সুমহান বিলাদতী শান, সুমহান বিছালী শান, সুমহান নিছবতে আযীমী শান ইত্যাদি উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করাও ফযীলত, নিয়ামত, রহমত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি তায়াল্লুক-নিসবত হাছিল হওয়ার কারণ।

যার কারণে সাইয়্যিদুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুল মুরশিদীন ওয়াল মুজাদ্দিদীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, ক্বইয়্যূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইউয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, ক্বায়িম মাক্বামে রসূল, আওলাদে রসূল, আহলে বাইতে রসূল, নূরে মুকাররম,  সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুমহান বিলাদতী শান, সুমহান বিছালী শান, সুমহান নিসবতে আযীমাহ শান ইত্যাদি বিভিন্ন শান মুবারক প্রকাশের তারিখ ও দিনসমূহ প্রকাশ করতঃ তা পালন করার বেমেছাল নজীর স্থাপন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

স্মরণীয় যে, যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সবচেয়ে মহানতম কুদরত ও নিদর্শন মুবারক হচ্ছেন উনার পেয়ারা হাবীব, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অতঃপর উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রথম স্তরের মনোনীত বান্দা বা ব্যক্তিত্ব। অতঃপর অন্য সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা। অতঃপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। অতঃপর হযরত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা।

উনাদের সকলের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক, পবিত্র বিছালী শান মুবারক, পবিত্র নিসবতে আযীমাহ শান মুবারক ইত্যাদি প্রতিটি শান মুবারক প্রকাশিত হওয়ার তারিখ ও দিনসমূহ হচ্ছেন আইয়্যামুল্লাহ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার দিনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।

আর উক্ত আইয়্যামুল্লাহ বা মহান আল্লাহ পাক উনার দিনসমূহ স্মরণ করা বা পালন করার ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নির্দেশ মুবারক করা হয়েছে।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী