তাফসীরুল কুরআন- সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৬৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ. وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللّٰـهِ وَبِرَحْمَتِه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَجْمَعُوْنَ

তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (অতএব, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফদ্বল ও সম্মানিত রহমতস্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের ইবাদত মুবারক হবে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর : সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে খাছভাবে মানুষ ও জিন জাতির প্রতি নছীহতকারী ও অন্তরের আরোগ্য দানকারী হিসেবে এসেছেন উক্ত ব্যাখ্যা ও বর্ণনা বিগত ২৬৬তম সংখ্যা উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তিনি যে, মানুষ ও জিন জাতির প্রতি হিদায়েত মুবারক দানকারী এবং রহমত মুবারক দানকারী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে আলোচ্য তাফসীরকৃত পবিত্র আয়াত শরীফ ব্যতীত আরো একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে।

যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ উনার ৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

هُوَ الَّذِىْ أَرْسَلَ رَسُولَه بِالْهُدٰى

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত দানকারী হিসেবে প্রেরণ করেন।

অনুরূপ পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ উনার ১০৭ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَا اَرْسَلْنَاكَ اِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِيْنَ

অর্থ: নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমগ্র আলমের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত মানুষ ও জিন জাতী তথা সমস্ত কায়িনাতবাসীর প্রতি সম্মানিত হিদায়েত স্বরূপ ও সম্মানিত রহমত স্বরূপ অর্থাৎ সম্মানিত হিদায়েত দানকারী ও সম্মানিত রহমত দানকারী রূপে প্রেরণ করেছেন তা উল্লেখ করা হয়েছে।

একইভাবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ اللهَ تَعَالٰى بَعثنى رحمة للعالـمين وهدى للعالـمين

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে সমগ্র আলমের জন্য রহমত স্বরূপ ও হিদায়েত স্বরূপ তথা পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন। (আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

انما انا رحمة مهداة

অর্থ: নিশ্চয়ই আমি কায়িনাতবাসীর জন্য সম্মানিত হিদায়েত স্বরূপ ও রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছি। (দারিমী শরীফ, শুয়াবুল ঈমান শরীফ)

মোটকথা, পবিত্র সূরা ইউনুুস শরীফ উনার ৫৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নছীহত দানকারী বা উপদেশ দানকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, খাছভাবে মু’মিন-মুসলমানদের জন্য আর আমভাবে সমস্ত জাহানের জন্য রহমত দানকারী ও হিদায়েত দানকারী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন; তা স্পষ্টই উল্লেখ রয়েছে। আর সমস্ত মু’মিন-মুসলমান, সমস্ত জিন-ইনসান, সমস্ত কায়িনাতবাসীর প্রতি উনার তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করাটা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সবচেয়ে বড় ও বিশেষ অনুগ্রহ ও বিশেষ রহমত।

তাই উক্ত সুমহান অনুগ্রহ ও সম্মানিত রহমত পাওয়ার কারণে কায়িনাতবাসীর প্রতি খুশি প্রকাশ করার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে। পাশাপাশি খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সে বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী