তিন কোটি লোকের সাথে এমএলএম কোম্পানিগুলোর নব্বই হাজার কোটি টাকার প্রতারণা, সরকার কোনোভাবে দায় এড়াতে পারেনা

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৭২টি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও বিভিন্নভাবে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি এ তালিকা থেকে ইতোমধ্যে ডেসটিনিসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বাকিগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও আরও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রসঙ্গত : আমরা মনে করি জনগণকে সর্বস্বান্ত করার পরই রাষ্ট্র নামকাওয়াস্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত শত শত এমএলএম কোম্পানি সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে। প্রতিটি সরকারের আমলেই এরা দাপটের সঙ্গে মানুষ ঠকানোর কার্যক্রম চালিয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসব কোম্পানির নানা কার্যক্রমে, পণ্যের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। কখনো সংবাদ মাধ্যমে এদের প্রতারণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে খানিকটা হই চই হয়। তৎপর হয় সরকার। তাউপর সময় গড়ালে অবস্থা যেই সেই। নাকের ডগায় এসব হায় হায় কোম্পানি বেড়ে উঠে মানুষকে সর্বস্বান্ত করলেও এদের বিরুদ্ধে কোনো সরকারকে কখনো শক্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে এমএলএম কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি আইন করার উদ্যোগ নেয়। সরকারের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সে উদ্যোগ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। আইনটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে একবার অনুমোদনের জন্য উঠলেও তা আবার ফেরত পাঠানো হয়। অভিযোগ আছে, এমএলএম কোম্পানিগুলোর তৎপরতার কারণেই আইনটি চূড়ান্ত হচ্ছে না।

বাংলাদেশে জিজিএন দিয়ে এমএলএম অধ্যায় শুরু হলেও মূলত এক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখল করে আছে ডেসটিনি। ২০০০ সালে শুরু হয়ে এ এমএলএম কোম্পানিটি যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে অন্য কোম্পানিগুলো তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ডেসটিনির কার্যক্রম। বিভিন্ন সময়ে ডেসটিনির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

ডেসটিনির প্রশিক্ষিত কর্মীরা মিষ্টি কথার ফাঁদে ফেলে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫ লাখের বেশি গ্রাহক করেছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে এদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

এ অর্থে প্রতি বছর বেড়েছে ডেসটিনির সম্পদ। ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে পরিবেশক করারও অভিযোগ আছে ডেসটিনির বিরুদ্ধে।

দেশের এমএলএম কোম্পানিগুলো পরিচালনার জন্য কোনো আইন বা নীতিমালা না থাকার সুযোগে যেসব পণ্যের বাস্তব অবস্থান নেই, সেগুলোও এমএলএম পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। অনেকে দেশে বসে বিদেশে বাড়ির ব্যবসা করছে বা কাল্পনিক সেবায় অর্থ বিনিয়োগ করছে। এমনকি বাংলাদেশে কোনো কার্যালয়ও নেই তাদের। অথচ কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে বিদেশে।

২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী গত এক যুগে সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে ৭০টি এমএলএম কোম্পানি আত্মপ্রকাশ করে। তাউপর থেকে বাংলাদেশে এমএলএম কোম্পানির অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। অথচ বেসরকারি হিসাবে শুধু ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় পনেরশ এমএলএম কোম্পানির জন্ম হয়েছে। এগুলো চলছে অনুমোদন ছাড়াই।

অপরদিকে অনলাইনে আউট সোর্সিংয়ের নামে এমএলএম-এর মাধ্যমে প্রতারণার আরেক উপায় হচ্ছে সার্ভে। স্পিক এশিয়া নামের একটি এমএলএম কোম্পানি প্রতারণার নতুন ফাঁদ সার্ভে করে বারো মাসে তিনগুণ টাকা দেবে বলে ঘোষণা দেয়। তাদের হঠাৎ এমন প্রস্তাবে মানুষ স্পিক এশিয়াতে টাকা রাখতে শুরু করলো। বাংলাদেশের সবগুলো এমএলএম কোম্পানির মধ্যে অল্প সময়ে সবচেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভ করেছিল এই কোম্পানিটি। স্পিক এশিয়া বন্ধ হয়ে গেলে এশিয়ান বুল, সার্ভে ওয়ার্ল্ড, ভেরি সার্ভে, গ্রিন সার্ভে ইত্যাদি কোম্পানি একই উপায়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে।

বাংলাদেশের মানুষ ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা রাখে না বলে এই সেক্টরে প্রতারণা করার সুযোগ অনেক বেশি রয়েছে। ডো-ল্যান্সার নামের একটি কোম্পানি প্রতারণার নতুন ফাঁদ তৈরি করলো। সাড়ে ৭ হাজার টাকা ফি দিয়ে গ্রাহক হয়ে ইন্টারনেটে ক্লিক করার মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয় তারা। নেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ বলে গ্রাহকদের থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে তারা।

কথিত এমএলএম ব্যবসায়ের ফাঁদে এখন দেশের তিন কোটিরও বেশি মানুষ। রাতারাতি ধনী হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিগুলো দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে পৌঁছে যায়নি। কি শহর কি গ্রামে- সর্বত্র তাদের দৌরাত্ম্য। এ দৌরাত্ম্য এখন দেশ ছেড়ে বিদেশেও চলে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, বিতর্কিত এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনিরই সদস্য রয়েছে ৭০ লাখ। দেশে পরিচালিত গ্লোবাল নিউওয়ে, রেভোনেক্সসহ অসংখ্য ক্ষুদ্র্র এমএলএম কোম্পানির রয়েছে আরো ১০ লাখের মতো সদস্য। এ হিসাবে দেশের এমএলএম কোম্পানিগুলোর গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০ লাখে। এসব সদস্যের পরিবারে যদি আরো তিনজনও সদস্যও থাকে তবে তাদের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে তিন কোটি ২০ লাখে। এই পরিবারের সবাই এখন এমএলএম কোম্পানিগুলোর লোভের রঙিন ফাঁদে আটকা পড়ে আছে।

প্রসঙ্গত: সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর দুদক যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তা অত্যন্ত ধীরে চলো নীতি। বলার অপেক্ষা, রাখেনা সরকারের নেপথ্য সহযোগিতায়ই এমনটি হচ্ছে। অপরাধতত্ত্ব অনুযায়ী, রাষ্ট্রে বড় এবং অব্যাহত কোনো অপরাধ চলতে পারেনা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ব্যতীত। দেখা যাবে এসব প্রতারণার মূলে রয়েছে রাঘব বোয়ালরাই। এক্ষেত্রে জনতার অজ্ঞতা ও লোভই বড় পাপ। জনগণকে তাই এ পাপের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে  পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আশিকে ইলাহী

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১