দুনিয়ার যমীন কখনোই মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে খালি নয়। ক্বিয়ামত পর্যন্ত সবসময়ই দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান মুবারক করবেন। যখন উনারা বিদায় নিবেন, তখন সমস্ত কায়িনাত ধ্বংস হয়ে যাবে

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَلِـىّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ اِذَا ذَهَبَتِ النُّجُوْمُ ذَهَبَ اَهْلُ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاَهْلِ الْاَرْضِ فَاِذَا ذَهَبَ اَهْلُ بَيْـتِـىْ ذَهَبَ اَهْلُ الْاَرْضِ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারকারাজী আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন তারকারাজী বিদায় নিবে, তখন আসমানবাসীরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন যমীনবাসীর জন্য, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বিদায় নিবেন, তখন সমস্ত যমীনবাসী, সমস্ত কায়িনাতবাসী সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবাহ ২/৬৭১, আছ ছওয়ায়িকুল মুহরিক্বহ ২/৬৭৫, আল মু’জাম ১/৪০৪, মিরক্বাত শরীফ ৯/৩৯৮৮, যাখায়িরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭)

অপর বর্ণায় এসেছে-

عَنْ حَضْرَتْ سَلَمَةَ بْنِ الْاَكْوَعِ رَضِىَ الله تَعَالـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلنُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاُمَّتِـىْ.

অর্থ: “হযরত সালামাহ ইবনে আকওয়া’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারকারাজী হচ্ছে আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন আমার সমস্ত উম্মতের জন্য নিরাপত্তাদানকারী।” সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ, মুসাদ্দাদ, আবূ ইয়া’লা, হাকিম, তিরমিযী, ত্ববারনী, ইবনে ‘আসাকির, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৬, যাখায়িরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭)

অপর বর্ণনায় রয়েছে-

النُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاَهْلِ الْاَرْضِ فَاِذَا ذَهَبَ اَهْلُ بَيْـتِـىْ ذَهَبَ اَهْلُ الْاَرْضِ.

অর্থ: “তারকারাজী আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন যমীনবাসীর জন্য, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বিদায় নিবেন, তখন সমস্ত যমীনবাসী, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَلِيّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلُ بَيْتِي أَمَانٌ لِأَهْلِ الْأَرْضِ كَمَا أَنَّ النُّجُومَ أَمَانٌ لِأَهْلِ السَّمَاءِ فَوَيْلٌ لِمَنْ خَذَلَهُمْ وَعَانَدَهُمْ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত যমীনবাসীর জন্য, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী যেমন তারকারাজী আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং যারা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে দূরে সড়ে যাবে এবং উনাদের বিরোধীতা করবে, তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

ইমামুল মুহাদ্দিছীন মিনাল আউওয়ালিন ইলাল আখিরীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে যে বলা হয়েছেÑ তারকরাজী আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। মূলত, এটা রূপক অর্থে বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন তারকারজীসহ আসমানবাসী-যমীনবাসী, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্যই নিরাপত্তাদানকারী। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে, উনাদের উছীলায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই উম্মত, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী নিরাপত্তা লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ ক্বিয়ামত পর্যন্ত সবসময় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান মুবারক করবেন। আর উনাদের সম্মানার্থেই ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত কায়িনাত টিকে থাকবে। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর যখনই উনারা দুনিয়ার যমীন থেকে বিদায় নিবেন, তখনই সমস্ত কায়িনাত ধ্বংস হয়ে যাবে।”

এই বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যায়, নিম্নোক্ত সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে। যেমন, সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَلِيّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ أَهْلِ بَيْتِي مَثَلُ النُّجُومِ كُلَّمَا مَرَّ نَجْمٌ طَلَعَ نَجْمٌ

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দৃষ্টান্ত মুবারক হচ্ছেন তারকারাজির ন্যায়। যখনই কোন একটি তারকা বিদায় নেয়, তখনই আরেকটি তারকা উদিত হয়। অর্থাৎ যখন একজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান  মুবারক প্রকাশ করেন, তখনই আরেকজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত কুরবত মুবারক এবং উনার মূল নিয়ামত মুবারক ধারণকরীরূপে, উনার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রকাশিত হন।” সুবহানাল্লাহ!

এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে-

مَثَلُ أَهْلِ بَيْتِي مَثَلُ النُّجُومِ كُلَّمَا مَرَّ نَجْمٌ طَلَعَ نَجْمٌ

অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দৃষ্টান্ত মুবারক হচ্ছেন তারকারাজির ন্যায়। যখনই কোন একটি তারকা বিদায় নেয়, তখনই আরেকটি তারকা উদিত হয়। অর্থাৎ যখন একজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান  মুবারক প্রকাশ করেন, তখনই আরেকজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত কুরবত মুবারক এবং উনার মূল নিয়ামত মুবারক ধারণকারীরূপে প্রকাশিত হন, উনার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রকাশিত হন।” সুবহানাল্লাহ!

প্রথমে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়টি তারকার সাথে মেছাল বা দৃষ্টান্ত দেয়া হয়েছে। তারপর বলা হয়েছে যে, যখই কোন একটি তারকা বিদায় নেয়, তখনই সাথে সাথে আরেকটি তারকা উদিত হয়। অর্থাৎ যখনই একজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান  মুবারক প্রকাশ করেন, তখনই আরেকজন মহাসম্মানিত  হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি উনার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত কুরবত মুবারক এবং উনাদের মূল নিয়ামত মুবারক ধারণকারীরূপে প্রকাশিত হন। এখানে ধারাবাহিকতা লঙ্ঘিত হয় না। সুবহানাল্লাহ!

এখানে বলা হয়েছে-

كُلَّمَا مَرَّ نَجْمٌ طَلَعَ نَجْمٌ

 “যখই কোন একটি তারকা বিদায় নেয়, তখনই সাথে সাথে আরেকটি তারকা উদিত হয়।”

প্রথমে كُلَّمَا مَرَّ نَجْمٌ  বলার পর طَلَعَ نَجْمٌ  বলার পূর্বে  ف  (তারপর), ثُـمَّ  (অতঃপর) এরূপ অর্থ প্রদানকারী কোনো হরফ (অব্যয়) বা শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। যদি ব্যবহার করা হতো, তাহলে হয়তো বুঝা যেতো যে, একটি তারকা বিদায় নেয়ার পর, কিছু সময় অতিবাহিত হয়, তারপর আরেকটি তারকা উদিত হয়। অর্থাৎ একজন আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান  মুবারক প্রকাশের পর কিছু সময় অতিবাহিত হয়, কিছুটা সময় গ্যাপ বা খালি থাকে, তারপর আরেকজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম উনার প্রকাশ ঘটে। কিন্তু না। এখানে কিন্তু তেমনটি বলা হয়নি। এখানে প্রথমে كُلَّمَا مَرَّ نَجْمٌ  বলার পর طَلَعَ نَجْمٌ  বলার পূর্বে ف  (তারপর), ثُـمَّ  (অতঃপর) এরূপ অর্থ প্রদানকারী কোনো হরফ (অব্যয়) বা শব্দ ব্যবহার করা হয়নি বা অন্য কোনো শব্দ বা হরফও (অব্যয়) ব্যবহার করা হয়নি। বরং كُلَّمَا مَرَّ نَجْمٌ  বলার পর পরই طَلَعَ نَجْمٌ  বলা হয়েছে। এরূপ বাক্য ব্যবহার করার মাধ্যমে এই বিষয়টিই স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, একটি তারকা বিদায় নেয়ার সাথে সাথেই আরেকটি তারকা উদিত হয়। এর মাঝে এক মুহূর্ত বা এক সেকেন্ড সময়ও গ্যাপ বা খালি থাকে না, অতিবাহিত হয় না। যেমন কারো দেহে আঘাত করার সাথে সাথে সে ব্যথা অনুভব করে। আঘাত করতে দেরি হয়, কিন্তু তার দেহে ব্যথা অনুভব করতে দেরি হয় না। অনুরূপ একটি তারকা বিদায় নেয়ার সাথে সাথেই আরেকটি তারকা উদয় হয়। একটি তারকা বিদায় নিতে দেরি হয়, কিন্তু আরেকটি তারকা উদয় হতে দেরি হয় না। এখানে مَرَّ نَجْمٌ طَلَعَ نَجْمٌ  এই বাক্যের পূর্বে كُلَّمَا  ব্যবহার করে এই বিষয়ে আরো তাকীদ (জোর) দেয়া হয়েছে।

অর্থাৎ যখনই কোনো তারকা বিদায় নেয়, তখনই সাথে সাথে আরেকটি তারকা উদিত হয়। উভয় তারকার মাঝে এক সেকেন্ড বা এক মুহূর্ত সময়ও অতিবাহিত হয় না। সুবহানাল্লাহ!  ঠিক একইভাবে যখনই একজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান  মুবারক প্রকাশ করেন, তখনই সাথে সাথে আরেকজন মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম তিনি উনার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মূল নিয়ামত মুবারক ধারণকারীরূপে প্রকাশিত হন। কেননা প্রথম জন তিনি বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বেই তিনি উনার আহলু বাইত শরীফ হিসেবে সম্মানিত কুরবত মুবারক এবং উনার মূল নিয়ামত মুবারক দ্বিতীয়জন উনাকে হস্তান্তর করেন। যার কারণে উনাদের উভয়ের মাঝে এক সেকেন্ড বা এক মুহূর্ত সময়ও খালি বা শুন্যতায় অতিবাহিত হয় না। সুবহানাল্লাহ! যদি তাই হয়, তাহলে দুনিয়ার যমীন কিভাবে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে খালি থাকতে পারে? সুতরাং দুনিয়ার যমীন কখনও এক মুহূর্তের তরেও মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে খালি থাকার প্রশ্নোই উঠে না। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার শুরুতেمَثَلُ أَهْلِ بَيْتِي مَثَلُ النُّجُومِ “আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দৃষ্টান্ত মুবারক হচ্ছেন তারকারাজির ন্যায়।” সুবহানাল্লাহ! বলে এই বিষয়টিই স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত দুনিয়ার যমীন কখনোই মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে খালি নয়। ক্বিয়ামত পর্যন্ত সবসময়ই দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান মুবারক করবেন। যখন উনারা বিদায় নিবেন, তখন সমস্ত কায়িনাত ধ্বংস হয়ে যাবে।

তবে জেনে রাখা আবশ্যক যে, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনটি স্তর রয়েছেন। উনাদের মধ্যে প্রথম স্তরে হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম তথা উনার মহাসম্মানিত হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! দ্বিতীয় স্তরে হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! তৃতীয় স্তরে হচ্ছেন হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নূরে মুজাসসাম, হাবীল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলে সন্তান আলাইহিমুস সালাম) উনারা এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নূরে মুজাসসাম, হাবীল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মেয়ে সন্তান আলাইহিন্নাস সালাম) উনারা এবং উনাদের আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা। সুবহানাল্লাহ!

আর সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান যামানায় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত  হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে  আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী কায়িম মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! আর উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ কায়িম-মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকেআহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফাত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-আল্লামা মুহম্মদ ছিদ্দীক

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম