দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- আমেরিকা, ইউরোপ, চীনে বন্যা, বরফ, তুষারপাত এবং চীন ও হাইতির ভূমিকম্প মূলত কাফিরদের উপর গযবের কিছু নমুনা মাত্র। তবে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরও হাইতিতে মসজিদগুলো অক্ষুণ্ন থাকা আল্লাহ পাক-উনার কুদরতের নিদর্শন। তাই কাফির-মুশরিকদের কর্তব্য হলো মুসলমানদের উপর সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করা। নচেৎ তাদেরকে আরো ভয়াবহ গযবে পতিত হতে হবে। এখন তারা ডাস্টবিন থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারলেও অদূর ভবিষ্যতে ডাস্টবিনেও খাবার খুঁজে পাবে না। মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ফলস্বরূপ তাদের জন্য অপেক্ষা করছে অবর্ণনীয়, মারাত্মক দুর্ভিক্ষ তথা আরো ভয়াবহ অনেক আযাব-গযব। নাঊযুবিল্লাহ!

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ পাক অতীতে মুসলমানদের উপর নির্যাতনকারী এমনকি স্বয়ং আল্লাহ পাক-উনার সাথে বিদ্রোহকারী ও আল্লাহ দাবিকারী নাঊযুবিল্লাহ! ফিরআউন, নমরূদকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আযাব-গযব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। ফিরআউনকে আল্লাহ পাক লোহিত সাগরে চুবিয়ে মেরেছিলেন। আর নমরূদকে মেরে ফেলতে যিনি আল্লাহ পাক-উনার তৈরি একটা কানা-খোঁড়া মশাও ব্যয় হয়নি। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, অতি সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরনের তুষার ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার পর রাজধানী ওয়াশিংটনে শত বছরের পুরনো বরফ পড়ার রেকর্ড ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার কোটি ডলারের। ওয়াশিংটন থেকে ফিলাডেলফিয়া হয়ে নিউইয়র্ক পর্যন্ত সরকারি অফিসগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রেসিডেন্ট ওবামার সরকার। বন্ধ হয়ে গেছে সরকারি যানবাহন। বিমানের শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বরফ জমে মহাসড়কগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। কনকনে ঠাণ্ডা হওয়া বইছে। পুরো এলাকাটা শ্বেত রঙ ধারণ করেছে। জাতিসংঘ নিউইয়র্কে তাদের সদর দপ্তর বন্ধ ঘোষণা করেছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তুষারপাত ওয়াল স্ট্রিটের ব্যবসায় মন্দা ডেকে আনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের নিলাম বাণিজ্যেও বিপর্যয় ডেকে আনছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তুষার ঝড়ের ফলে রাজধানী ওয়াশিংটন ১১০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে বরফ পড়ার নতুন রেকর্ড গড়েছে। নতুন রেকর্ড অনুযায়ী ৫৪ দশমিক ৯ ইঞ্চি পুরু বরফ পড়েছে ওয়াশিংটনে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সের উপকণ্ঠের দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করে অনেক বাড়ি-ঘর এবং বনের হাজার হাজার কিলোমিটার এবং সবুজ এলাকা ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লসএঞ্জেলেসের উত্তরে ভয়াবহ দাবানলে শত শত বাড়ি পুড়ে যায় এতে প্রায় ১২ হাজার ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ টাওয়ার হুমকির মুখে পড়ে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি কানাডার পশ্চিমাঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের কেলোওনা শহরের কাছে এ দাবানলে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ এলাকা ছাড়ে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি টানা ১০ ঘণ্টার তুষার ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ ১০ স্টেটের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দুর্যোগে ১২ ঘণ্টায় গাড়ি দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি। কয়েকশ’ ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি ইউরোপজুড়ে তুষার ঝড় ও শৈত্যপ্রবাহে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু পোল্যান্ডে বরফে জমে কমপক্ষে ৪২ জন মারা যায়। স্থল, নৌ ও আকাশ পথ বন্ধ হয়। বিভিন্ন স্টেশন ও বন্দরে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়ে। এ সময় পোল্যান্ডের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি নিচে নেমে যায়। ঠাণ্ডায় জমে মারা যায় শত শত মানুষ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে বড় ধরনের দাবানলে শত শত বাড়ি পুড়ে যায়। আগুনে আরো পুড়ে যায় হাজার হাজার হেক্টর বনাঞ্চল। গম ও ভেড়ার খামার এলাকায় দু’দফায় বড় ধরনের দাবানলে শত শত বাড়ি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এ দাবানলকে খুবই ধ্বংসাত্মক এবং মারাত্মক বলে বর্ণনা করেছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এর আগে প্রচ- তুষার ঝড় ও টর্নেডো ল-ভ- করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি স্টেটের জনজীবন। এতে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়। ২৫ লাখ ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কোন কোন এলাকায় ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষার জমে বরফের আস্তরণ সৃষ্টি করে। টর্নেডো মারাত্মকভাবে আঘাত হানে লুইজিয়ানা, মিসিসিপি ও আরাকানসাস স্টেটে। প্রচ- তুষার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, দেলওয়ারা, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি, আইওয়া, ইলিয়নয়, মিশিগান, মিনেসোটা, বেররাস্কা, ওহাইও, উইসকনসিন ও ক্যানসাস স্টেট।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, একই মাসের প্রথম দিকে আর একটি টর্নেডোর আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। এতে মারা যায় হাজার হাজার। ওই টর্নেডোর আঘাতে গৃহহীন হয়ে পড়ে লাখ লাখ লোক। গোটা স্টেটকে দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিলো।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রলয়ঙ্কারী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ইউরোপের ৮টি দেশ লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। নিহতের সংখ্যা হাজার হাজার। তখনকার সময় এটাই ছিলো ইউরোপের উপর প্রচ-তম খোদায়ী গযব।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, গত বছর আগস্ট মাসে প্রশান্ত মহাসাগরীয় মৌসুমী ঝড় মরাকট তাইওয়ান, চীন ও জাপানে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। টাইফুনের আঘাতে এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে তাইওয়ানে হাজার হাজার জনের মৃত্যু এবং হাজার হাজার জন নিখোঁজ হয়। চীনে আগেই ১০ লক্ষাধিক লোককে সরিয়ে নেয়।  চীনে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার কোটি ডলার। জাপানে ঝড়টি টাইফুন হঠাও নামে আঘাত হানে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি-২০১০ ঈসায়ী তারিখে বার্তা সংস্থা এএফপি পরিবেশিত ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বিশ্বের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে সব দেশেই অভাব-অনটন বেড়েছে। অনেক শিল্পোন্নত দেশেও মাথাপিছু গড় আয় একলাফে অনেক নিচে নেমে গেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যান্য শহরের মতো চীনের হংকং শহরেরও বেকার সংখ্যা বেড়েছে ৪.৯ ভাগ। বৈশ্বিক মন্দায় চাকরি হারিয়ে গৃহহীন এক বৃদ্ধ বাধ্য হয়ে হংকংয়ের রাজপথে ভিক্ষা করছে।’

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ন্যাশনাল পোস্ট-এর বরাতে জানা যায়, প্রতি পাঁচ জন আমেরিকানের একজন হয় বেকার নয় তো অর্ধ-বেকার। প্রতি নয়জনে একজন  ক্রেডিট কার্ডের ন্যূনতম বিল পরিশোধ করতে পারছে না এবং প্রতি মাসে ১ লাখ ২০ হাজার পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ন্যাশনাল পোস্ট আরো জানায়, ৫ কোটি আমেরিকানের কোনো স্বাস্থ্যবীমা নেই। ৩ কোটি ২০ লাখ আমেরিকার সরকার নির্ধারিত কম মূল্যে খাবার গ্রহণ করে এবং ১ কোটি ৫২ লাখ লোক কর্মহীন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন,  এদিকে আমেরিকার বাণিজ্য বিভাগের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০ বছর আগের তুলনায় মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রা এখন অনেক কঠিন  হয়ে পড়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেখানে দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ শতাংশ। শহরতলিগুলোতে এখন দেশের একতৃতীয়াংশ দরিদ্রের বসবাস। আর আমেরিকার জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ প্রায় ৯ কোটি ১৬ লাখ লোক এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি হাইতিতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প যিনি আল্লাহ পাক-উনার গযবের আরেক নমুনা। এক ভূমিকম্পে সেখানে লাখ লাখ লোক মারা গেছে। সেখানকার দুর্দশা ভাষায় বর্ণনা করার মত নয়। কিন্তু তারপরেও কাফির-বিধর্মীরা এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে না। অথচ হাইতিতে এতবড় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরও সেখানে কোনো মসজিদের কিছুই হয়নি। বরং মসজিদগুলোতে অমুসলিমরাও আশ্রয় নিয়ে তাদের জীবন বাঁচিয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এঘটনা থেকে অমুসলিমদের নছীহত আনার অবকাশ রয়েছে। ইসলামের সত্যতা সাক্ষাৎ উপলব্ধির সুযোগ রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ফলস্বরূপ এখনই কাফিররা ডাস্টবিন থেকে খাবার সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু এরপরও যদি তারা নির্যাতন বন্ধ না করে তবে অতি সত্ত্বরই তারা ডাস্টবিন থেকেও খাবার সংগ্রহে ব্যর্থ হবে। তারা আহাজারি কান্নাকাটি করেও খাবার পাবে না। তারা বর্তমানে ভূমিকম্প, তুষারপাত, বন্যা, দাবানল ইত্যাদি আযাব-গযব থেকেও আরো মারাত্মক ও ভয়াবহ আযাব-গযবে নিপতিত হবে। নাউযুবিল্লাহ!

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে মাত্র পাঁচভাগ বিধর্মীদের সব ধর্মীয় দিনে সরকারি ছুটি না দিয়ে ঐচ্ছিক ছুটি দেয়া উচিত। বুদ্ধ পূর্ণিমার ক্ষেত্রেও তাই করা উচিত পাশাপাশি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষঙ্গের দিনগুলোতে সরকারি ছুটি বাড়ানো উচিত।দ

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- পহেলা বৈশাখের তথাকথিত সংস্কৃতির বিরুদ্ধ চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে বলা মুসলমানের জন্য ফরজ-ওয়াজিব ও সাংবিধানিক অধিকার। সরকারের জন্যও পহেলা বৈশাখের নামে বেলেল্লাপনা রোধ করা সাংবিধানিক কর্তব্য। রাজাকার, আল বাদর, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের ইল্্ম ও আমালী আদর্শ দ্বারা পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- ১০ই মুর্হরম কারবালার প্রান্তরে সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা সাইয়্যিদুশ্ শাবাবী আহলিল জান্নাহ হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর মুবারক শাহাদাতকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট ছাহাবী কাতিবে ওহী হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে দোষারোপ করাটা সম্পূর্ণরূপে কুফরীর শামিল

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি উনাদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, ‘আল্লাহ পাক-উনার নবী হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দাওয়াতের কাজ বন্ধ করে ভুল করেছেন, যার ফলে তিনি গযবস্বরূপ মাছের পেটে প্রবেশ করেছেন।’ নাঊযুবিল্লাহ! আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তিনি চান আহলে বাইতগণকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। মুহররমুল হারাম মাস আহলে বাইত ও আওলাদে রসূলগণকে মুহব্বত করার মাস তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- এ মাসে আহলে বাইত ও আওলাদে রসূলগণ- উনাদের মুহব্বত করে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ রেজামন্দি হাছিল করা-