ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারতে মুসলমানদের প্রতি নিরপেক্ষতার পরিবর্তে চলছে চরম নিপীড়ন। এদেশের হিন্দুরা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে রামরাজত্ব চালাতে চায় কিন্তু ভারতে মুসলমানরা কতটুকু দলিত-মথিত সে খবর কী তারা রাখে? ভারতে মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়াবহতার প্রকৃত খবর ক’জনে রাখে? অথচ মিডিয়ায়ও এসব খবরের সংখ্যা কম নয়। (৭)

সংখ্যা: ২১৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাচার রিপোর্টের পর ‘এনএসএসও’-এর রিপোর্টও বলছে, মুসলিমরা এসসি/এসটি-দের থেকে আরও পশ্চাদপদ:

সাচার রিপোর্টের পর এবার ভারতীয় মুসলিমদের প্রকৃত অবস্থার কথা ফের তুলে ধরলো কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা সংস্থা এনএসএসও বা ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস।

গত ১৯ মে/২০১১ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে এনএসএসও ‘এডুকেশন ইন ইন্ডিয়া : ২০০৭-২০০৮, পার্টিসিপেশন অ্যান্ড এক্সপেনডিচার’ [‘NSSO’ Reports on “Education in India, 2007-2008 : Participation and Expenditure”] শীর্ষক এক সমীক্ষা পত্র প্রকাশ করে। তাতে দেখা গেছে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমরা তপশিলী জাতি ও উপজাতি তথা ওবিসিদের তুলনায় উচ্চ বিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষালয়ে খুব কম যায়।

এই রিপোর্ট বলছে, প্রতি ১০০ জন মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে মাত্র ১০ জন উচ্চ বিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষালয়ে যায় যেখানে তপশিলী জাতিদের আনুপাতিক হার ১১ শতাংশ, তপশিলী উপজাতিদের ১২ শতাংশ এবং অন্যান্য অনগ্রসর জাতিদের ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামের মুসলিমদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার হার শহরের মুসলিমদের থেকে বেশি। শহরে বসবাসকারী মুসলিমদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ যেখানে উচ্চ বিদ্যালয়ে বা উচ্চ শিক্ষালয়ে যায় সেখানে গ্রাম্য এলাকায় মুসলিমদের মধ্যে যায় ১২ শতাংশ। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিসের এটি হলো ৬৪ রাউন্ড সমীক্ষা যা গ্রহণ করা হয়েছে ২০০৭ সালে জুলাই মাস থেকে ২০০৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

এই সময় কালের মধ্যে ৪৪৫৯৬০ জনের মধ্যে সমীক্ষা চালায় এনএসএসও। ৬৩৩১৮টি গ্রাম্য এলাকার এবং শহর এলাকার ৩৭২৬৩টি বাড়ির মানুষদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষা চালানো হয় ৭৯৫৩টি গ্রাম জুড়ে এবং ৪৬৮২টি শহরের ব্লকে।

৫৯০ পাতার এই সুদীর্ঘ রিপোর্টটি আরও একবার প্রমাণ করল ভারতের মুসলমানরা এখনও কতটা পশ্চাদপদ।

রাজ্য সরকারের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক নিয়োগে ৮৩৪ জনের মধ্যে মুসলিম মাত্র ১৬ জন!

আপনজন নিউজ এজেন্সি, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের কিভাবে সংরক্ষণ দেওয়া যায় না নিয়ে যেমন বিস্তর আলোচনা চলছে সরকারি মহলে তেমনি সাম্প্রতিক চাকরি নিয়োগে সরকারের আন্তরিকতা নিয়েও ব্যাপক প্রশ্ন উঠতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক গ্রুপ ডি বিভাগে সাম্প্রতিক কর্মী নিয়োগে আবারও মুসলিমদের নগণ্য নিয়োগের দৃষ্টান্ত সামনে এসেছে। গত ১৬ মার্চ/২০১১ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি/২০১১ রাজ্যের সরকারি দফতরের লোয়ার ডিভিশন কর্মী নিয়োগের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে মুসলিমদের হার দু শতাংশেরও কম। বিভিন্ন দফতরের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক নিযোগের যে দুটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে মোট নিয়োগের সংখ্যা হলো ৮৩৪ জন। এর মধ্যে মুসলিম মাত্র ১৬ জন।

মাস কয়েক আগে কলকাতা পুলিশে নিয়োগে মুসলিমদের স্বল্প সংখ্যক উপস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যসহ সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী আবদুস সাত্তারকে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ২০০১ জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে যেখানে মুসলিম জনসংখ্যার হার ২৫.৫% সেখানে চাকরিতে নগণ্য উপস্থিতি কেন সে প্রশ্ন সাচার কমিটির রিপোর্টেও উঠে এসেছে। কিন্তু সরকারের তরফে বারে বারে বলা হযেছে সাচার কমিটির রিপোর্ট ঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে প্রকৃত তথ্য অধরাই থেকে গেছে।

এরপর রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রথমে মুসলিমদেরকে হতাশ করে দেয়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলে, চাকরিতে মুসলিমদের সংরক্ষণ দিয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। আর জাতিগতভাবে মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার নানা অসুবিধার কথাও সে তুলে ধরে।

মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হলে সে ঘুরে গিয়ে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানায় এবং পরবর্তীতে ওবিসি-র আওতায় কম আয়ভুক্ত মুসলিমদের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করে। এ রাজ্যে মুসলিমদের মধ্যে ওবিসি আওতাভুক্ত হলো ২ শতাংশের মতো। তাদের মধ্যে আবার বেশি আয়ের মুসলিমরা সংরক্ষণ পাবে না। শিক্ষাসহ বিভিন্ন জরুরি দফতরে আবার এই সংরক্ষণ প্রযোজ্য নয়। এ নিয়ে আই.এ.এস নুরুল হককে অনগ্রসর জাতি হিসেবে মুসলিমদের কিভাবে চিহ্নিত করা যায় তার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে কেন মুসলিমদের ৩ শতাংশ উপস্থিতি সে বিষয়ে বরাবরই পাশ কাটিয়ে চলেছে কি মুখ্যমন্ত্রী কি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী। তারা বারে বারে বলার চেষ্টা করেছে সাচার কমিটিতে উল্লেখ হওয়া চাকরিতে মুসলিমদের নগণ্য উপস্থিতি সঠিক নয়। এর প্রত্যুত্তরে তারা সঠিক তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। আসলে তারা ঠারে ঠোরে বলতে চেয়েছে এ রাজ্যে সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য রাখা হয়নি। কিন্তু তথ্য জানার আইন আসার পর এখন অনেক সরকারি তথ্যই সাধারণ জনগণের হাতে আসতে থাকায় তাদের বক্তব্য আর ধোপে টিকছে না।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পশ্চিমবঙ্গ দু দফায় গ্রুপ-ডি লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিসট্যান্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন দফতরে। এই নিয়োগ করা হয় ২০০৬ সালে ক্লার্কশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ভিত্তিতে। এ বছর ওই পরীক্ষায় সফল হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১০. নোটিশ নং: A-37- PSC (A).

এই তালিকায় প্রথমে উল্লেখ করা হয় ‘ঝঊঈজঊঞঅজওঅঞ ঙঋ ঞঐঊ চটইখওঈ ঝঊজঠওঈঊ ঈঙগগওঝঝওঙঘ, ডঊঝঞ ইঊঘএঅখ’ দফতরের কথা। এই দফতরে যে ৩৬ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে একজনও মুসলিমের স্থান হয়নি। তার পর দেওয়া হয় nq ‘P & A R DEPARTMENT, (C C WING),BLOCK-I, 2ND FLOOR, WRITERSÕ BUILDINGS, KOLKATA – 700 001.’ দফতরের নিয়োগ তালিকা। এই তালিকায় রয়েছে ৫২০ জনের নাম। তার মধ্যে মুসলিম স্থান পেয়েছে মাত্র ১৩ জন। অর্থাৎ পিএসসির দুই দফতর মিলিয়ে মোট নিয়োগের সংখ্যা ৫৫৬ আর মুসলিম নিয়োগ মাত্র ১৩! অর্থাৎ মুসলিম নিয়োগের হার মাত্র ২.৩%।

এরপর সম্প্রতি ২০০৬ সালের ক্লার্কশিপ পরীক্ষার ভিত্তিতে লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ১৬ মার্চ, ২০১০। নোটিশ নং: A-61/PSC (A).

এই তালিকায় রয়েছে মোট ২৭৮ জনের নাম। তার মধ্যে মুসলিম মাত্র ৩ জন! অর্থাৎ মুসলিম নিয়োগের হার এক শতাংশেরও কম। প্রথমে তালিকায় স্থান পায় ‘WEST BENGAL LEGISLATIVE ASSEMBLY SECRETARIAT, ÒASSEMBLY HOUSEÓ, KOLKATA-1.’বিভাগে নিয়োগকৃতদের। এই তালিকায় মোট ১০ জনের নাম থাকলেও একজনও মুসলিমের স্থান হয়নি।

এর পরের তালিকায় রয়েছে ‘FOOD & SUPPLIES DIRECTORATE UNDER THE FOOD & SUPPLIES DEPARTMENT, ÔKHADYA BHABANÓ (1ST FLOOR), 11/A, MIRZA GHALIB STREET, KOLKATA –87. ‘ বিভাগে নিয়োগকৃতদের নাম। এতে রয়েছে ২৬৮ জনের তালিকা। তার মধ্যে মাত্র তিনজন হলেন মুসলিম। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান

 

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১