নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

১০ জানুয়ারী ২০১১, সোমবার, কালের কণ্ঠে ‘এগিয়ে চলো নারী’ শিরোনামে রিপোর্টটির কিছু উদ্ধৃতাংশ উল্লেখ করা হলো-

…æনারী যতই পুরুষের সমান যোগ্যতা অর্জন করুক না কেন, নারীকেই সংসারের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হচ্ছে। অযোগ্য পুরুষ কর্তৃক লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে- বেঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।”

প্রাসঙ্গিক কথা আর অপ্রাসঙ্গিক কথা দু’টোর মধ্যেই ব্যাপক-পার্থক্য। সন্দেহ নেই অপ্রাসঙ্গিক কথা বা আলোচনা বিবেকবান মানুষ, বুঝবান মানুষ, অল্পকথায় তুষ্ট মানুষ পছন্দ করে না। তারা চায় সহজ কথা সহজেই বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে। আমরাও সেটাই চাই। আমরা হাল ফ্যাশনের মতো বার বার আমাদের রূপ বদল করতে চাই না। তার প্রধান কারণ আমরা আমাদের খালিক্ব, মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি সমস্ত মাখলূক্বাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি, অপূর্ব সৃষ্টি ‘নারী জাতি’। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা নারী জাতির মর্যাদা দিয়েছেন সুস্পষ্টভাবেই।

নারীত্বের মায়া, নারীত্বের ছায়া এ কোন অংশে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিষয় নয়, হেয় প্রতিপন্নের বিষয় নয়। ‘নারী’ তো ‘নারী’। স্বগৌরবে সে ‘নারী’। কিন্তু এই নারীত্বের মর্যাদা তখনই থাকবে যখন সে নিজে সচেতন থাকবে তার হক্ব, অধিকার এবং দায়িত্বের ব্যাপারে। শরীয়ত মোতাবেক অর্থাৎ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে একজন নারী বা মহিলা জীবন-যাপন করবে। গৃহিনী হবে, মা হবে। বোন হবে, খালা হবে, ফুফু হবে আরো দাদী, নানী ইত্যাদি হবে বটে তবে তাদের উঠা-বসা, কথা-বার্তা, পোষাক-আশাকে মুসলমানের পরিচয় থাকতে হবে। দাবি করলো মুসলমান অথচ নামায-কালাম পড়লো না, পর্দা করলো না এবং গান-বাজনা শুনলো, ছবি তুললো, রাখলো অর্থাৎ হারাম নাজায়িয কাজে মশগুল রইলো, কাফির-মুশরিকদের রীতি-নীতি অনুসরণ করলো; এদিকে শরীয়তের বিধানের প্রতি মুহব্বতও নেই, ভয়ও নেই তাহলে এ রকম নামকাওয়াস্তে মুসলমান হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। আর এমন ‘নারী’ বা মহিলা হলেই বুঝতে হবে তার কোন যোগ্যতাই নেই। সে শুধু মাকাল ফল। উপরটাই সুন্দর, ভিতরটা ফাঁকা। আর দুনিয়াবী শিক্ষায় শিক্ষিত একজন মহিলার যদি শরীয়তের জ্ঞান না থাকে, তবে যতোই সে দুনিয়াবী ডিগ্রীধারী থাকুক না কেন, দুনিয়ার লোভ লালসার যাঁতাকলে নিজেদের বেপর্দা হওয়ার কারণে ঘরে বাইরে সর্বদাই পিষ্ট হতে থাকবে এবং এটাই স্বাভাবিক।

আর আশ্চর্যের বিষয় এই কথাটাই যে, æঅযোগ্য পুরুষ কর্তৃক লাঞ্ছিত হচ্ছে’ তার কারণ লেখিকা অযোগ্য পুরুষ বুঝাতে কাদেরকে বুঝাচ্ছেন, যে যেমন তার সাথে তেমনই সম্পর্ক হয়ে থাকে। ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’ সুতরাং উপরোক্ত নামকাওয়াস্তে মুসলমান নামধারী মহিলারা যেমন, পুরুষরাও ঠিক তেমন নামকাওয়াস্তে মুসলমান নামধারী।

সুতরাং এসব পুরুষদের দ্বারা মহিলাদের লাঞ্ছিত হওয়া, বেঘোরে প্রাণ হারানো, এ কোন অতি আশ্চর্য ঘটনা নয়। বরং এটাই স্বাভাবিক।

এখন মূল কথা হচ্ছে, নিজেদেরই বদলে যেতে হবে। পুরুষ এবং মহিলা উভয়দেরই। যদি তারা দ্বীন ইসলামের ছায়াতলে আসে, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনার ছোহবতে আসে, তবেই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে খাছ রহমত ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে ইহসান অর্জন করতে পারবে। ফরয, সুন্নত, নফল ইত্যাদি আমল করতে পারলে তাহলেই বিদয়াত-বেশরা দূর হবে। তা না হলে কস্মিনকালেও এ রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে বাঁচা সম্ভব নয়।

মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত, নিছবতের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রকৃত শান্তির পথের উপর ইস্তিক্বামত থাকার তওফীক্ব দান করেন এই দোয়া ও আরযি চাচ্ছি। আমীন

-আজিমা ফারহা

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১