নূরুল্লাহিল ‘আযীম, আল হাদ্বির, আন নাযির, আশ শাহিদ, আল বাশীর, আল মুবাশ্শির, রঊফুর রহীম, রহমতুল্লিল ‘আলামীন, উসওয়াতুন হাসানাহ্, খুলুকুন ‘আযীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অত্যন্ত প্রিয় এবং পছন্দনীয় কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খাবার মুবারক এবং পানীয় মুবারক উনাদের বর্ণনা মুবারক

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ اِمَامَ الْاَوَّلِ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَـيْهِ السَّلَامُ يَـقُوْلُ خَرَجَ عَلَـيْـنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ فَـقَالَ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْ خُلَفَائِـىْ قَالَ قُـلْـنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ خُلَـفَاؤُكَ قَالَ اَلَّذِيْنَ يَاْتُـوْنَ مِنْ بَـعْدِىْ يَـرْوُوْنَ اَحَادِيْـثِـىْ وَسُنَّتِـىْ وَيُـعَلِّمُوْنَـهَا النَّاسَ

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুনেছি। তিনি বলেছেন, (একবার) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ থেকে) বের হয়ে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আয় বারে ইলাহী, মহান আল্লাহ পাক! (দয়া করে) আপনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খলীফাগণ উনাদের প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক বর্ষণ করুন! সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার খলীফা কারা? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যাঁরা আমার পরে এসে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারকসমূহ বর্ণনা করবেন, প্রচার-প্রসার করবেন এবং মানুষদেরকে তা তা’লীম তথা শিক্ষা দিবেন উনারাই হচ্ছেন আমার খলীফা।”সুবহানাল্লাহ! (শরফু আছহাবিল হাদীছ ১/৩০, ‘নাশরু ত্বইয়িত্ তা’রীফ ১/৩৬, আত্ তা’দীল ওয়াত্ তাজরীহ্ ১/২৭-২৮ ইত্যাদি)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অনুসরণে সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান সকলে যেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খলীফা হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক লাভ করে ইহ্কাল-পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে পারে, সেজন্য আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারকসমূহ প্রচার-প্রসার করে যাচ্ছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

এই উদ্দেশ্যেই নিম্নে নূরুল্লাহিল ‘আযীম, আল হাদ্বির, আন নাযির, আশ শাহিদ, আল বাশীর, আল মুবাশ্শির, রঊফুর রহীম, রহমতুল্লিল ‘আলামীন, উসওয়াতুন হাসানাহ্, খুলুকুন ‘আযীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অত্যন্ত প্রিয় এবং পছন্দনীয় কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খাবার মুবারক এবং পানীয় মুবারক উনাদের বর্ণনা মুবারক পেশ করা হলো-

১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট শাক-সবজি, তরি-তরকারী অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ الله تَـعَالـٰى عَنْهُ  قَالَ كَانَ اَحَبُّ الطَّعَامِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَـقْلَ

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সর্বাধিক প্রিয় খাদ্য মুবারক ছিলেন শাক-সবজি, তরি-তরকারী।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১১৩)

২. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাত্রের অবশিষ্ট বা

তলার খাবার পছন্দ করতেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ الله تَـعَالـٰى عَنْهُ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُـعْجِبُهُ الثُّـفْلُ قَالَ حَضْرَتْ عَـبْدُ اللهِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَـيْهِ يَـعْنِـىْ مَا بَـقِـىَ مِنَ الطَّعَامِ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘ছুফল’ পছন্দ করতেন। সুবহানাল্লাহ! (ইমাম তিরিমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ) হযরত আবদুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘ছুফল’ হচ্ছেন সেই খাবার, যা খাদ্য গ্রহণের পর হাড়ি-পাতিলের তলায় অবশিষ্ট থাকে।” (মুসনাদে আহমাদ ২১/২৬, মুস্তাদরাকে হাকিম ৪/১১৫, জামিউস ছগীর, মিশকাত শরীফ, শামায়েলে তিরিমিযী ইত্যাদি)

৩. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয়

তরকারী মুবারক কদু:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُـعْجِبُهُ الْقَرْعُ

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট খুবই পছন্দনীয় তরকারী মুবারক ছিলেন ‘কদু’।” (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৯৩, গরীবুল হাদীছ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُـعْجِبُهُ الدُّبَّاءُ فَاُتِـىَ بِطَعَامٍ اَوْ دُعِـىَ لَهٗ فَجَعَلْتُ اَتَــتَـبَّـعُهٗ فَاَضَعُهٗ بَــيْـنَ يَدَيْهِ لِـمَا اَعْلَمُ اَنَّهٗ يُـحِبُّهٗ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘কদু’ খুবই পছন্দ করতেন। একবার উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ খাবার পরিবেশন করা হলো অথবা তিনি কোনো দাওয়াতে গিয়েছিলেন। (শক্কে রাবী তথা বর্ণনাকারীর সন্দেহ)। আমার যেহেতু জানা ছিলো যে, তিনি কদু খুবই পছন্দ করেন, তাই (তরকারীর মধ্য হতে) বেছে বেছে উনার সামনে কদু পেশ করলাম।” সুবহানাল্লাহ! (শামায়েলে তিরমিযী, শরহুস সুন্নাহ ১১/৩০৫)

৪. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় ফল খেজুর:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিভিন্ন ধরণের ফল খেতেন। তার মধ্যে খেজুর ছিলেন উনার নিকট অধিক প্রিয়। যেমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِـيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَةِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ قَالَتْ مَا اَكَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُكْـلَـتَـيْـنِ فِـىْ يَـوْمٍ اِلَّا وَاحِدُهُـمَا تَـمْرٌ

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক দিনে দুইবার আহার মুবারক করলে অবশ্যই তারমধ্যে একবার খেজুর খেতেন।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৫৮)

৫. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় ফল টাটকা-তাজা খেজুর

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كُـنْتُ اِذَا قَدِمْتُ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُطَـبًا اَكَلَ الرُّطَبَ وَتَـرَكَ الْـمُذَنَّبَ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ টাটকা-তাজা খেজুর পেশ করলে তিনি টাটকা-তাজা খেজুরসমূহ খেতেন এবং ত্রুটিযুক্তগুলো ত্যাগ করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৫৯)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ يُـفْطِرُ قَـبْلَ اَنْ يُّصَلِّىَ عَلـٰى رُطَبَاتٍ فَاِنْ لَّـمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَـتُمَيْـرَاتٌ فَاِنْ لَـمْ تَكُنْ تُـمَيْـرَاتٌ حَسَا حَسَوَاتٍ مِّنْ مَّاءٍ

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (সম্মানিত মাগরিব উনার) নামায পড়ার আগে টাটকা-তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার মুবারক করতেন। যদি টাটকা-তাজা খেজুর না পেতেন, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার মুবারক করতেন। যদি শুকনো খেজুরও না থাকতো, তাহলে কয়েক ঢোক পানি পান করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ)

৬. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন ‘আজওয়া খেজুর’

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ  تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ اَحَبُّ التَّمَرِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْعَجْوَةَ

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অত্যধিক প্রিয় খেজুর ছিলেন ‘আজওয়া খেজুর’।” (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৬০)

আরো বর্ণিত আছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সর্বোত্তম খেজুর হচ্ছেন ‘আজওয়া খেজুর’। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) এই খেজুর বপন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এছাড়াও ‘আজওয়া খেজুর’ উনার আরো অনেক ফযীলত মুবারক বর্ণিত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

৭. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় খাবার মুবারক

ছিলেন গোস্ত আর গোস্তের মধ্যে বকরীর বাহু ও

কাধের গোস্ত ছিলেন উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়

কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ سَـمْعَانَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ سَـمِعْتُ رِجَالًا مِنْ عُلَمَائِنَا يَـقُوْلُوْنَ كَانَ اَحَبُّ الطَّعَامِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَللَّحْمَ وَاَحَبُّ الشَّاةِ اِلَيْهِ الذِّرَاعَ

অর্থ: “হযরত মুহম্মদ ইবনে সাময়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমাদের আলিমগণ উনাদেরকে বলতে শুনেছি, খাদ্যের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গোস্তই সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন। আর বকরীর গোস্তের মধ্যে বাহুর গোস্তই উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৫৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ عُـبَـيْدَةَ رَضِىَ الله تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ طَــبَخْتُ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِدْرًا وَقَدْ كَانَ يُـعْجِبُهُ الذِّرَاعُ فَــنَاوَلْـتُهُ الذِّرَاعَ ثُـمَّ قَالَ نَاوِلْنِـى الذِّرَاعَ فَــنَاوَلْـتُهٗ ثُـمَّ قَالَ نَاوِلْنِـى الذِّرَاعَ فَـقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَمْ لِلشَّاةِ مِنْ ذِرَاعٍ فَـقَالَ وَالَّذِىْ نَـفْسِـىْ بِـيَدِه لَوْ سَكَتَّ لَـنَاوَلْـتَنِـى الذِّرَاعَ مَا دَعَوْتُ

অর্থ: “হযরত আবূ উবাইদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এক ডেগ গোস্ত রান্না করলাম। তিনি বকরীর সামনের উরুর গোস্ত সবচেয়ে বেশী পছন্দ করতেন। তাই আমি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বকরীর সামনের একটি পা পেশ করলাম। তারপর তিনি বললেন, আমাকে বকরীর সামনের আরেকটি পা দিন। তখন আমি উনাকে বকরীর সামনের আরেকটি পা দিলাম। তারপর তিনি পুনরায় বললেন, আমাকে বকরীর সামনের আরেকটি পা দিন। তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বকরীর সামনের পা কয়টি থাকে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যাঁর কুদরতী হাত মুবারক-এ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রাণ মুবারক)! যদি আপনি চুপ থাকতেন, তাহলে আমি যতক্ষণ বকরীর সামনের পা চাইতাম, ততক্ষণ আপনি সেটা দিতে পারতেন।” সুবহানাল্লাহ! (মু’জামুল কাবীর ১৬/১৯৪, মুসনাদে বায্যার, শামায়েলে তিরমিযী ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ اَحَبُّ اللَّحْمِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْكَـتْفَ

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কাধের গোস্তই সবচেয়ে প্রিয়, পছন্দনীয় ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৫০)

৮. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘উরাকুশ্ শাত তথা বকরীর নলা বা নেহারী অধিক পছন্দ করতেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ اَحَبُّ الْعُرَاقِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرَاقَ الشَّاةِ

অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় হাড় ছিলেন ছাগলের গোস্তবিহীন হাড় তথা নলা অর্থাৎ নেহারী।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ)

৯. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় পানীয় মুবারক:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِـيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَـةِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ اَحَبُّ الشَّرَابِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْـحُلْوَ الْبَارِدَ

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়, অত্যন্ত পছন্দনীয় ছিলেন ঠা-া মিষ্টি পানীয় মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমাদ ৬/৩৮, মুস্তাদরাকে হাকিম, সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ ৬/২৯২, শরহুস সুন্নাহ, মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ্, জামি‘উস ছগীর, শামায়েলে তিরমিযী, সিলসিলাতুছ ছহীহাহ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য ‘বুয়ূতুস-সুক্বইয়া’ থেকে মিষ্টি পানি সংগ্রহ করে আনা হতো। হযরত কুতাইবাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘বুয়ূতুস-সুক্বইয়া’ হলেন একটি কুপের নাম। এই কুপ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মাঝে দুই দিনের পথের দূরত্ব।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় পানীয় মুবারক উনাদের মধ্যে দুধও ছিলেন অন্যতম। যেমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ اَحَبُّ الشَّرَابِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَللَّـبَـنَ

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অত্যধিক প্রিয় পানীয় ছিলেন দুধ।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৭৫)

১০. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিষ্টি দ্রব্য এবং মধু অধিক পছন্দ মুবারক করতেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِـيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُـحِبُّ الْـحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিষ্টি দ্রব্য এবং মধু অধিক পছন্দ মুবারক করতেন।” সুবহানাল্লাহ!  (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান, শামায়েলে তিরমিযী, সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ ৭/৮১ ইত্যাদি)

১১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পনীর অত্যন্ত পছন্দ মুবারক করতেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتِ ابْــنَـىْ بُسْرٍ السُّلَمِيَّــيْـنِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَـنْـهُمْ قَالَا دَخَلَ عَلَـيْـنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَـقَدَّمْنَا زُبْدًا وَتَـمْرًا وَكَانَ يُـحِبُّ الزُّبْدَ وَالتَّمْرَ

অর্থ: “হযরত বুসর আস সুলামী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার দুই ছেলে উনাদের থেকে বর্ণিত। উনারা উভয়ে বলেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের বাড়িতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিলেন। আমরা উনাকে পনীর এবং খেজুর খেতে দিলাম। আর তিনি পনীর এবং খেজুর অত্যন্ত পছন্দ মুবারক করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, শুয়াবুল ঈমান ৮/১৩৩)

১২. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় খাবার মুবারক

ছিলেন ‘হাইস বা হাইসাহ্’:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـى عَنْهُ قَالَ كَانَ اَحَبُّ الطَّعَامِ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّـرِيْدَ مِنَ التَّمَرِ وَهُوَ الْـحَيْثُ

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট খেজুরের তৈরী ছারীদ ছিলো অত্যন্ত প্রিয় খাবার মুবারক। আর এটাই হচ্ছেন হাইস বা হাইসাহ্।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/১৮৯)

বিশেষভাবে স্বরণীয় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্  আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক এই ‘হাইস বা হাইসাহ্’ নামক খাদ্য মুবারক দ্বারাই করা হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, সুন্নতী খাদ্যসমূহ অর্থাৎ যে সুন্নাতী খাবার ও পানীয়সমূহ আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্রে পাওয়া যায়। চাহিদা দিলে তা সরবরাহ করা হয়।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান, ছোট-বড় আমাদের সবাইকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক সূক্ষèাতিসূক্ষèভাবে অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করে এবং সারা বিশ্বে প্রচার-প্রসার করার মাধ্যমে হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফাত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!

-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম