নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ

সংখ্যা: ২৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক

النبى اولى بالـمؤمنين من انفسهم وازواجه امهاتهم

অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মু’মিনদের প্রাণ হতেও অধিকতর নিকবর্তী আছেন এবং উনার পবিত্র আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা হচ্ছেন মু’মিনগণের সম্মানিতা মাতা। (পবিত্র সূরাতুল আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَا كَانَ لَكُمْ أَن تُؤْذُوْا رَسُولَ اللّـهِ وَلَا ان تَنكِحُوا ازْوَاجَهُ مِن بَعْدِهِ ابَدًا ۚ إِنَّ ذلِكُمْ كَانَ عِندَ اللّـهِ عَظِيمًا

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রসূল উনাকে কষ্ট দেয়া এবং উনার সম্মানিত আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ উনাদেরকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য কখনোই বৈধ নয়। মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এটা গুরুতর অপরাধ। (পবিত্র আহযাব শরীফ:পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৩)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ওহাবী দেওবন্দীদের মুরুব্বী মুফতী শফী তার ‘মায়ারিফুল কুরআনে’ লিখেছে, “এরূপ বলাও অবান্তর নয় যে, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওযা শরীফে পবিত্র হায়াত মুবারকে (জীবিত) রয়েছেন। উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ কোনো জীবিত স্বামীর আড়াল হয়ে যাওয়ার অনুরূপ। এজন্যই উনার ত্যাজ্য সম্পত্তি বণ্টন করা হয়নি এবং এর ভিত্তিতেই উনার আহলিয়াগণ উনারা অন্যান্য নারীদের মতো নন।”

হযরত কাজী ছানাউল্লাহ পানি পথি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার তাফসীরে মাযহারী নামক কিতাবে লিখেছেন –

بل حياة الانبياء عليهم السلام اقوى منهم واشد ظهور اثارها فى الخارج حتى لا يجوز النكاح ازواج النبى صلى الله عليه وسلم بخلاف الشهداء.

অর্থ: বরং হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র হায়াত মুবারক শহীদগণ উনাদের হায়াত মুবারক হতেও বহু বেশি শক্তিশালী এবং অত্যধিক তড়িৎ গতিতে প্রকাশিত হওয়াতে শ্রেষ্ঠতর। আর এ কারণেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ উনাদেরকে বিবাহ করা জায়িয নেই। পক্ষান্তরে শহীদগণ উনাদের আহলিয়াগণকে বিবাহ করা জায়িয রয়েছে। (তাফসীরে মাযহারী ১৫২, যিকরে জামীল ৪২পৃ:) এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে-

لا عدة لانه صلى الله عليه وسلم حى فى قبره وكذالك سائر الانبياء.

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত আলাইহিন্নাস সালামগণ অর্থাৎ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপর কোন ইদ্দত নেই। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ন্যায় অন্যান্য হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনারাও উনাদের রওজা মুবারকে যিন্দা আছেন। (শরহুশ শিফা ১ম খ- ১৫২ পৃষ্ঠা)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে –

قالت ام الـمؤمنين حضرت عائشة الصديقة عليها السلام كنت ادخل بيتى الذى فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وانى واضع ثوبى واقول انما هو زوجى وابى فلما دفن حضرت عمر الفاروق عليه السلام معهم فوالله ما دخلته الا وانا مشدودة على ثيابى حياء من حضرت عمر الفاروق عليه السلام

অর্থ : সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার হুজরা শরীফে প্রবেশ করতে পর্দার প্রস্তুতি নিতাম না, যেহেতু সেখানে শুধু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আমার পিতা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনারা দুজন অবস্থানরত ছিলেন। আর উনারা আমার মাহরাম হওয়ায় পর্দার কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু যখন সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম উনাকে আমার হুজরা শরীফে দাফন মুবারক করা হলো, তখন থেকে আমি উনাকে লজ্জা করতঃ খাছ শর’য়ী পর্দা ব্যতীত তথায় গমন করতাম না। কারণ সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন গাইরে মাহরাম। (মিশকাত শরীফ-১৫৪ পৃ.)

অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার আক্বীদা মুবারক ছিল এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনারা উনাদের পবিত্র রওযা শরীফে শুধু যিন্দাই নন বরং উনারা সবকিছু দেখেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-

عن حضرت ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه قال ان الله تعالى حرم على الارض ان تأكل اجساد الانبياء فنبى الله حى يرزق

অর্থ : হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জিসিম মুবারক যমীনের উপর ভক্ষণ করা হারাম করেছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত। (ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ, জালাউল আফহাম ৬৩ পৃ:)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে –

قال حضرت فضل بن عباس رضى الله تعالى عنه اذا رأيت شفتيه يتحرك فادنيت اذنى عندها. فسمعت وهو يقول اللهم اغفر لامتى فاخبر تهم بهذا بشفقته على امته

অর্থ: হযরত ফযল বিন আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র রওযা শরীফে তাশরীফ মুবারক নিলেন, তখন আমি শেষ বারের মত পবিত্র চেহারা মুবারক যিয়ারত করত: দেখতে পেলাম যে, উনার পবিত্র ঠোট মুবারক নড়ছে, তখন আমি আমার কর্ণ পবিত্র ঠোট মুবারকের নিকটস্থ করে শুনতে পেলাম যে, তিনি ইরশাদ মুবারক করছেন, ইয়া আল্লাহ পাক! আমার উম্মতদেরকে ক্ষমা করুন। আমি উম্মতের প্রতি দয়ালু। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভ সংবাদ উপস্থিত সবাইকে শুনিয়েছি। (মাদারিজুন্নাবুওয়াত ২য় খ-, ৪৪২ পৃ.)

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখার পরও পবিত্র ঠোট মুবারকের কম্পন ছাবিত হলো। আর কম্পন মুবারক দেয়া “হায়াত” মুবারক ব্যতীত সম্ভব নয়।

وقال حضرت سعيد بن الـمسيب رضى الله تعالى عنه وما يأتى وقت صلوة الا سمعت الاذان من القبر الشريف.

অর্থ: হযরত সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়াব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আইয়ামে হাররার দিনগুলোর অবস্থা বর্ণনা করেন যে, এমন কোন নামাযের ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়নি, যে ওয়াক্তে আমি পবিত্র রওযা মুবারক হতে আযানের ধ্বনি শুনিনি। (আলহাভী ২৬৬, যিকরে জামীল ৪৭ পৃ:)

وقال حضرت زبير بن بقاء رضى الله تعالى عنه فى اخبار الـمدينة لم ازل اسمع الاذان والاقامة من قبر رسول الله صلى الله عليه وسلم ايام حرة حتى عاد الناس.

অর্থ: হযরত যুবাইর ইবনে বাক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি আইয়্যামে হাররার সময় পবিত্র মদীনা শরীফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা মুবারক থেকে আযান ও ইক্বামতের ধ্বনি অনবরত শ্রবণ করতে থাকি যতক্ষণ না জনগণ প্রত্যাবর্তন করেছে। (মিশকাত শরীফ)

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আপনার নিকটবর্তী, দূরবর্তী এবং পরবর্তীতে আগন্তুকদের পবিত্র দুরূদ শরীফসমূহের অবস্থা কি হবে? তদুত্তরে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اسمع صلوة اهل محبتى واعرفهم

অর্থ: আমার সঙ্গে মুহব্বত ধারণকারীদের পবিত্র দূরূদ শরীফ আমি স্বংয় নিজে শুনি এবং আমি তাদের পরিচয় পাই। সুবহানাল্লাহ! (দালাইলুল খায়রাত, মাতালিউল মুসাররাত)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন –

فِي رِوَايَةِ الْحَنَفِيِّ قَالَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُه،

অর্থ : “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র রওযা মুবারকের নিকটে এসে আমার প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে আমি অবশ্যই উনার পবিত্র দরূদ শরীফ শুনতে পাই।” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ/৮৭)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে –

اصحابى اخواتى صلوا على فى كل يوم الاثنين والجمعة فانى اسمع صلوتكم بلا واسطة.

অর্থ : “হে আমার ছাহাবীগণ, হে আমার উম্মতগণ! আপনারা আমার প্রতি প্রত্যেক ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার ও ইয়াওমুল জুমুয়া বা শুক্রবার পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করুন। নিশ্চয়ই আপনাদের সেই পবিত্র দরূদ শরীফ আমি বিনা মধ্যস্থতায় শুনতে পাই।” (মিশকাত শরীফ)

উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে –

سمعته سمعا حقيقيا بلا واسطة.

অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন), আমি হাক্বীক্বীভাবে বিনা মধ্যস্থতায় তা শুনতে পাই।” (মিরকাত শরীফ ২য় খন্ড, ৩৪৭ পৃষ্ঠা)

কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে –

ان النبى صلى الله عليه وسلم فى قبره حى

অর্থ : “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রওযা মুবারকে জীবিত অবস্থায়ই আছেন।” (মিরকাত শরীফ ২য় খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত বর্ণনায় এটাই প্রমাণিত হলো যে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওযা মুবারকে স্বীয় উম্মতের দরূদ ও সালাম শুনতে পান। যদি তিনি হায়াতুন্ নবী না-ই হন তবে কি করে তা শুনতে পান? অবশ্যই তিনি হায়াতুন্ নবী।

قال حضرت ابراهيم بن شيبان رضى الله تعالى عنه حججت فجئت المدينة فتقدمت الى القبر الشريف فسلمت على رسول الله صلى الله عليه وسلم فسمعت. من داخل الحجرة يقول وعليك السلام.

অর্থ: হযরত ইবরাহীম বিন শায়বান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি পবিত্র হজ্জ শেষে পবিত্র মদীনা মুনাওয়ারায় হাজির হলাম। তারপর পবিত্র রওযা মুবারকের নিকটস্থ হয়ে সালাম শরীফ পেশ করলাম। তখন পবিত্র রওযা শরীফ উনার ভিতর থেকে “ওয়া আলাইকাস সালাম উনার ধ্বনি শ্রবণ করলাম। (আল কাউলুল বাদী’)

ليس من عبد يصلى على الابلغنى صوته حيث كان قلنا وبعد وفاتك قال وبعد وفاتى ان الله عزوجل حرم على الارض ان تأكل اجساد الانبياء.

অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর দুনিয়ার যে কোন স্থান থেকে পবিত্র দূরূদ শরীফ পাঠ করুক আমি তার দুরূদ শরীফের আওয়াজ শুনতে পাই। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরয করলেন আপনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরেও কি শুনতে পাবেন? তদুত্তরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ ফরমান, হ্যাঁ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও। কারণ একথা নিশ্চিত যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যমীনের উপর হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র শরীর মুবারক ভক্ষণ করা হারাম করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (জালাউল আফহাম, হুজ্জাতুল্লাহিল আলামীন)

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবারে দূরূদ শরীফ পৌঁছে থাকে বলে ছাবিত হলো। এতে দূরবর্তী এবং নিকটবর্তীর কোন বাধ্যবাধকতা নেই এবং কাউকে পরিচয় করার শর্তও নেই। বরং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শ্রবণ করা প্রমাণিত হয়েছে যাতে হায়াতুন নবী উনার সঙ্গে সঙ্গে উনার চরম উচ্চমানের শ্রবণ শক্তির সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে।

সুলত্বানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে যামান আল্লামা হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-

قالت ام الـمؤمنين حضرت عائشة الصديقة عليها السلام لما مرض ابى اوصى ان يوتى به قبر النبى صلى الله عليه وسلم ويستأذن له ويقال هذا ابو بكر الصديق عليه السلام يدفن عندك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم فان اذن لكم فادفنون وان لم يؤذن لكم فاذهبوا بى الى البقيع فاتى به الى الباب فقيل هذا ابو بكر الصديق عليه السلام قد اشتهى ان يدفن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد اوصانا فان اذن لنا دخلنا وان لم يؤذن لنا انصرفنا فنودينا ادخلوا وكرامة سمعنا كلاما ولم نر احدا.

وقال حضرت على كرمه الله وجهه عليه السلام فى رواية اخرى رأيت الباب قد فتح فسمعت قائلا يقول ادخلوا الحبيب الى حبيبه فان الحبيب الى الحبيب مشتاق.

অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যখন আমার পিতা অসুস্থ হয়ে যান, তখন তিনি ওসিয়ত করলেন যে আমার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর আমাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা মুবারকের নিকটে নিয়ে গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করতঃ একথা বলবেন যে, “ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এই যে, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে সমাধিস্থ হওয়ার ইচ্ছুক। আর তিনি আমাদেরকে অসিয়ত মুবারক করেছেন যে, যদি আপনি আমাদেরকে অনুমতি মুবারক দান করেন তবে আমরা প্রবেশ করবো। নতুবা আমরা ফিরে যাবো। এরূপ করার পর আমাদেরকে শুনানো হলো যে, আপনারা উনাকে প্রবেশ করিয়ে দিন অর্থাৎ দাফন মুবারক করুন। আমরা এ পবিত্র কালাম শরীফ শুনলাম কিন্তু কাউকে আর দেখলাম না। অন্য এক রিওয়ায়েতে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি দেখলাম দরজা মুবারক এমনিভাবেই খুলে গেছে। আর আমি একথা বলতে শুনলাম যে, বন্ধুকে বন্ধুর সঙ্গে মিলিয়ে দিন। একথা নিশ্চিত যে, বন্ধু বন্ধুর সঙ্গে মিলনের আশিক্ব হন। সুবহানাল্লাহ! (আল খাছাইছুল কুবরা ২য়, খ-, ২৮২ পৃষ্ঠা)

উপরোল্লিখিত রিওয়ায়েত দ্বারা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহি ওয়া সালাম উনার বিশ্বাস স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হলো যে, তিনি অসিয়ত মুবারক করেছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে গিয়ে আরয করার পর যে হুকুম মুবারক হবে তার উপর আমল করবেন।

روى حضرت ام المؤمنين عائشة الصديقة عليها السلام انها كانت تسمع صوت الوتد والمسمار يضرب فى بعض الدور المطنبة لمسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم فترسل اليهم لا تؤذوا رسول الله صلى الله عليه وسلم.

অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি মসজিদে নববী শরীফ উনার সংলগ্ন ঘরসমূহ হতে পেরেকের শব্দ শুনলে মিস্ত্রীর নিকট পয়গাম পাঠিয়ে দিতেন যে, এরকম শব্দ করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দিবেন না। (শিফাউস সিক্বাম- ১৫৫ পৃষ্ঠা)

অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার আক্বীদা মুবারক ছিল এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওযা শরীফে শুধু যিন্দাই নন বরং তিনি সবকিছুই দেখেন এবং অনুভব করেন যা উনার হায়াতুন নবী হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ। সুবহানাল্লাহ!

 

হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ

ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ক্বওল শরীফ

 

হযরত ইমাম যারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-

وقال الامام قسطلانى قد ثبت ان الانبياء يحجون ويلبسون فان قلت كيف يصلون ويحجون ويلبون وهم اموات فى الدار وليست دار عمل فالجواب انهم كالشهداء بل افصل منهم والشهداء احياء عند ربهم يرزقون فلايبعد ان يحجوا ويصلوا

অর্থ: ইমাম কুসতলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নিশ্চয়ই একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের মাযার শরীফে পবিত্র হজ্জ করেন, পবিত্র তালবিয়া পড়েন। যদি প্রশ্ন করা হয় যে, উনারাতো পবিত্র বিছাল শরীফ প্রাপ্ত এবং পবিত্র মাযার শরীফে অবস্থানরত উনারা কিরূপে পবিত্র নামায, পবিত্র হজ্জ এবং পবিত্র তালবিয়া শরীফ পাঠ করেন? তার জাওয়াব এই যে, উনাদের অবস্থা শহীদগণের ন্যায় বরং উনাদের চেয়েও অনেক উত্তম। আর শহীদ উনাদেরকে তো মহান আল্লাহ পাক তিনি রিযিক দান করেন। সুতরাং হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা যদি পবিত্র হজ্জ করেন এবং পবিত্র নামায আদায় করেন তবে অযৌক্তিক হওয়ার কিছুই নয়। (যারকানী শরীফ ৩৩৩ পৃ:, যিকরে জমীল ৪৪ পৃ:)

বিখ্যাত ওলীআল্লাহ আল্লামা ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাাইহি তিনি বর্ণনা করেন-

ان الله تعالى يعطى لارواحهم قوة الاجساد فيذهبون من الارض والسماء والجنة حيث يشائون وينصرون اوليائهم ويدمرون اعدائهم ان شاء الله تعالى.

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পবিত্র রূহ মুবারক সমূহকে শারীরিক শক্তি মুবারক দান করেন, কাজেই উনারা যমীন, আসমান, বেহেশত যেখানে ইচ্ছে গমন করে স্বীয় বন্ধুগণকে সাহায্য এবং শত্রুদেরকে ধ্বংস করেন মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায়। (তাফসীরে মাযহারী)

বিখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন –

ليس هنا موت ولافوت بل هو انتقال من حال الى حال وارتحال من دار الى دار وان المعتقد المحقق انه حى يرزق

অর্থ: এখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য মৃত্যুও নেই, নিঃশেষ হওয়াও নেই। বরং এক শান মুবারক হতে অন্য শান মুবারক উনার দিকে স্থানান্তরিত হওয়া এবং এক ঘর হতে অন্য ঘরে হিজরত করা। নিশ্চিত বিশ্বাস এই যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াত মুবারকে (জীবিত) আছেন এবং সম্মানিত রিযিকপ্রাপ্ত হচ্ছেন। (শরহুশ শিফা শরীফ ১ম খ-, পৃ. ১৫২, মিরকাত শরীফ)

قال الامام الزرقانى رحمة الله عليه لانه صلى الله عليه وسلم حى فى قبره يعلم لمن يزوره ويرد سلامه.

অর্থ: ইমাম যারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় রওযা মুবারকে হায়াত মুবারকে (জীবিত) আছেন, যিয়ারতকারীকে জানেন এবং পরিচয় পান। আর সালামের জাওয়াব দেন। (যারকানী শরীফ)

قال العلامة ابن حجر مكى رحمة الله عليه انه صلى الله عليه وسلم حى فى قبره يعلم بزائره

অর্থ: আল্লামা ইবনে হাজার মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, একথা নিশ্চিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পবিত্র রওযা শরীফ-এ হায়াত মুবারকে (জীবিত) আছেন, যিয়ারতকারীকে জানেন। (আল জাওহারুল মুনাজ্জম পৃ. ৪৬)

ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন –

ان الانبياء غيبوا عنا بحيث لا تدركهم وان كانوا موجودين احياء وذالكى كالحال فى الملائكة فانهم موجودون احياء ولا يراهم احد من نوعنا الامن خصه الى الله بكرامته.

অর্থ: হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা আমাদের থেকে পর্দা করে যান আমরা উনাদেরকে দেখি না। যদিও উনারা যিন্দা আছেন। উনাদের অবস্থা ফিরিশতা সদৃশ হয়ে যায়। অর্থাৎ হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা যিন্দা আছেন কিন্তু উনাদেরকে কেউ দেখতে পায় না। তবে হাঁ শুধু ঐ ব্যক্তি দেখতে পান যাঁকে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বিশেষ মেহেরবানী দ্বারা খাছ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (আলহাভী লিলফাতাওয়া ২য় খ. ৪৫১)

হযরত শায়েখ শামছ শুবরী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন –

كرامة الاولياء ثابتة وتصرفهم لا ينقطع بالـموت ويجوز التوسل بهم الى الله تعالى والاستعانة بالانبياء والمرسلين وبالعلماء الصالحين بعد موتهم لان معجزة الانبياء عليهم السلام وكرامة الاولياء عليهم الصلوة والسلام فلانهم احياء فى قبورهم يصلون ويحجون كما وردت به الاخبار.

অর্থ: ওলী আউলিয়া উনাদের কারামত সত্য। মৃত্যুতে উনারা নিঃশেষ হন না। উনাদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে উসীলা নেয়া জায়িয রয়েছে। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত উলামায়ে কিরাম এবং বুযুর্গানের ইন্তিকালের পরও উনাদের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করা জায়িয আছে। কারণ, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের মু’জিযাত এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কারামত উনাদের ওফাত মুবারকের পরও খতম হয় না। যেহেতু হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের রওযা শরীফসমূহে জীবিত আছেন নামায এবং পবিত্র হজ্জ আদায় করছেন। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (শাওয়াহিদুল হক্ব)

لـما توفى رسول الله صلى الله عليه وسلم اقبل حضرت ابو بكر الصديق عليه السلام حين بلغة الخبر فدخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فكشف عن وجهه ثم اكبد عليه فقبله ثم بكى وقال بابى انت وامى طبت حيا وميتا اذكرنا يا محمد صلى الله عليه وسلم عند ربك.

অর্থ: যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করলেন, তখন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি এ খবর শুনে এসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফে প্রবেশ করে পবিত্র চেহারায়ে আনওয়ার হতে পর্দা সরিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয় হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নতশিরে চুম্বন মুবারক দিলেন। তারপর কেঁদে কেঁদে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আমার মাতা-পিতা আপনার তরে কুরবান হোন। আপনি আপনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারকে এবং তারপরও আনন্দিত থাকেন। হে মহান আল্লহ পাক উনার রসূল! মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে আমাদের কথা স্মরণ করবেন। সুবহানাল্লাহ! (খাছায়িছুল কুবরা শরীফ)

আর এ কথা তখনই বলা যায়, যখন এ বিশ্বাস হয় যে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াত মুবারকে (জীবিত) আছেন, শ্রবণও করছেন এবং উত্তরও প্রদান করছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সময় উনার এ আমল মুবারকও হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার অকাট্য দলীল।

وقال حضرت ابو بكر الصديق عليه السلام لا ينبغى رفع الصوت على النبى صلى الله عليه وسلم حيا ميتا

অর্থ: হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাহ্যিক হায়াত মুবারক এবং উনার পরের বরযখী হায়াত মুবারক উনার মধ্যেও উচ্চঃস্বরে কথা বলা জায়িয নেই। (শিফাউস সিক্বাম ১৫৪পৃ:)

এর দ্বারা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহাস সালাম উনার আক্বীদা বিশ্বাস হায়াতুন নবী উনার ব্যাপারে সুস্পষ্ট হয় যে, তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওযায়ে আতহারের নিকটে উচ্চস্বরে কথা বলা পর্যন্ত নিষেধ করেছেন।

ليس من يوم الا تعرض على النبى صلى الله عليه وسلم اعمال امته غدوة وعشية فيعرفهم بسيماهم واعمالهم فذلك ليشهد عليهم.

অর্থ: প্রত্যেক সকাল বিকাল উম্মতের আমলসমূহ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবারে পেশ করা হয়। তখন তিনি তাদের চেহারা এবং আমলসমূহও চিনেন। অতএব তিনি উনাদের উপর সাক্ষ্যদান করেন। (মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ ২য় খ- ৩৮৭পৃ:)

উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা একথা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম হায়াতুন নবী উনার উপর বিশ্বাসী ছিলেন। কেননা আমল এবং চেহারাসমূহের পরিচিতি এবং আমল পেশ করা এ সমস্ত কিছুই হায়াতুন নবী উনার সুস্পষ্ট প্রমাণ।

রঈসুল মুহাদ্দিছীন শায়েখ হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন –

وحیات حضرت انبیاء کرام عیلھم السلام متفق علیہ است ہیچ کسر اور خلافے نیست حیات جسمانی و دنیا حقیقی نہ حیات معنوی روحانی. انبیاء کرام علیہم السلام کبھی معزول نہیں ہو تے، اللہ تعالی جو مراتب درجات رسالت انہیں عطافرما ئے ہیں وہ ان سے کبھی نہیں چینتا، رسالت موت کے بعد بھی قائم وجاری رہتی ہے، ہم تو یہانتک کہی گے کہ انبیاء کرام کو موت ںہیں آتی زندہ جاوید اور باقی ہیں.

অর্থ: হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা হায়াত মুবারকে (জীবিত) থাকার উপর সবাই একমত, এতে কারো দ্বিমত নেই। উনাদের এ হায়াতে জিসমানী পার্থিব এবং যথার্থ, আধ্যাত্মিক এবং গোপনীয় নয়। হযরত আম্বিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমুস সালাম উনারা কখনও বরখাস্ত হন না। উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি পয়গাম্বরত্বের যে পদ-মর্যাদা হাদিয়া করেছেন তা তিনি কখনও ছিনিয়ে নেননা। পয়গাম্বরত্ব পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও স্থায়ীভাবে চালু থাকে। বরং আমরা তো এ পর্যন্ত বলব যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারদের মৃত্যু আসেনি বরং উনারা যিন্দা এবং চিরঞ্জীব। (তাকমীলুল ঈমান পৃ. ১১৬)

আল্লামা ডা. ইক্ববাল বলেন –

میرا عقیده یہ ہے کہ نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم زندہ ہیں، اس زمانے کے لوگوں بھی انکی صحبت سے اسی طرح مستفیض ہو سکتے ہیں جس طرح صحابہ کرام ہوا کرتے تھے. لیکن اس زمانے میں تو اس قسم کے عقائد کا اظہار   بھی اکثر دماغوں   پرنا گوار ہو گا اس واسطے خاموش رہتا ہوں.

অর্থ: আমার আক্বীদা বিশ্বাস এই যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জীবিত আছেন। এ যামানার মানুষও উনার সাহচর্যে এরূপ উপকৃত হতে পারেন। যেরূপ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উপকৃত হতেন। কিন্তু এ যামানায় তো এ ধরনের বিশ্বাসসমূহের প্রকাশও অধিকাংশ মস্তিষ্কের কাছে অমনোরম বা বিস্বাদ হবে। তাই আমি নীরব থাকি। (ফতরাকে রসূল ৭০ পৃ:)

হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মন্ধে একটি ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা

 

অলিকুল শিরোমণি হযরত শায়খ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রিফায়ী রহমতুল্লাহি তিনি যখন ৫৫৫ হিজরীতে পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে তাশরীফ নিয়ে যান তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের জন্যও তাশরীফ নেন। পবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকটে পৌঁছে তিনি উচ্চেস্বরে বললেন, “আসসালামু আলাইকা ইয়া জাদ্দী।” সাথে সাথে পবিত্র রওযা শরীফ থেকে আওয়াজ মুবারক আসলো- “ওয়া আলাইকুমুস সালাম ইয়া ওলাদী।” এ মুবারক আওয়াজ শুনে উনার উপর তন্দ্রাভাব এসে গেল। তিনি ব্যতীত যত লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন সবাই এ পবিত্র আওয়াজ মুবারক শুনতে পান। কিছুক্ষণ পর তিনি দু’টি কাছীদা শরীফ পাঠ করলেন যার অনুবাদ এই-

“বিচ্ছেদ এবং দূরত্বের অবস্থায় স্বীয় রূহকে দস্তবুছীর মর্যাদা লাভের জন্য পবিত্র রওযা মুবারকে প্রেরণ করতাম। বর্তমানে প্রকৃত প্রস্তাবে যখন আমার পবিত্র দীদার মুবারক নছীব হয়েছে। তাই দয়া বিতরণে আপনার পবিত্র দস্ত মুবারক দান করুন। তাহলে উহাতে চুম্বন করে সম্মানিত হবো।” সুবহানাল্লাহ!

তৎক্ষণাৎ রওযায়ে আত্বহার শরীফ থেকে পবিত্র হাত মুবারক নূর চমকিয়ে বের হলে তিনি উহাতে চুম্বন দিলেন তখন রওযায়ে আক্বদাস উনার পার্শ্বে প্রায় ৯০,০০০ নব্বই হাজার আশিক্বানে জামালে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরানী হাত মুবারক উনার পবিত্র যিয়ারত মুবারক দ্বারা মর্যাদাবান হলেন তন্মেধ্যে গাউছুল আ’যম বড়পীর হযরত শায়েখ আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমুতল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত শায়েখ আদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক হুসাইনী ওয়াসিতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের ন্যায় মহান বুযুর্গানে দ্বীন উনারা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাকে এত প্রচুর পরিমাণ উলামায়ে কিরাম বর্ণনা করেছেন যে, তাতে ভুল ভ্রান্তি হওয়ার কোন অবকাশ নেই। (বুরহানুল মুয়াইয়্যাদের অনুবাদ বুনইয়ানুল মুশাইয়্যাদ ৩৫পৃ, আরকানে ইসলাম ৩২৬ পৃ:)

উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত ঘটনা দ্বারা চাক্ষুষভাবে হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হলো। কারণ পবিত্র রওযা শরীফ হতে উচ্চস্বরে সালাম উনার জবাব দেয়া এবং পবিত্র হাত মুবারক বের করে দেয়া পবিত্র হায়াত মুবারকে থাকার পূর্ণ নিদর্শন, পবিত্র হায়াত মুবারকে না হলে সালামের জবাব দেয়া এবং পবিত্র হাত মুবারক বের করা সম্ভব নয়।

হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে দেওবন্দীদের বক্তব্য

দেওবন্দী মৌলবী “আনওয়ার শাহ কাশমীরীর” বক্তব্য-

الانبياء فى قبورهم يصلون معناه ارواح الانبياء عليهم السلام ليست بمعطلة عن العبادات الطيبة والافعال الـمباركة بل هم مشغولون فى قبورهم ايضا كما كانوا مشغولين حين حياتهم فى صلوة وحج وكذلك حال تابعهم على قدر الـمراتب.

অর্থ : “হযরত আম্বিয়া আলাইহিস সালাম উনারা উনাদের মাযার শরীফসমূহে পবিত্র নামায পড়েন।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ এই যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র রূহসমূহ ইবাদত বন্দেগী এবং বরকতময় কাজসমূহ হতে কর্মহীন বা অকেজো হন না। বরং উনারা উনাদের মাযার শরীফে এরূপ ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থাকেন যেরূপ উনাদের যিন্দেগীর মধ্যে নামায রোযা হজ্জ ইত্যাদি নেক আমলে লিপ্ত ছিলেন। এরূপ উনাদের অনুসরনীয়দের অবস্থা উনাদের মর্যদানুযায়ী হবে। (ফয়দুল বারী ২য় খ-, ৬৪ পৃ:)

দেওবন্দী মৌলবী খলীল আহমদ আম্বেটীর বক্তব্য –

عندنا وعند مشائخنا حضرت الرسالة صلى الله عليه وسلم حى فى قبره الشريف وحياته صلى الله عليه وسلم دنيوية من غير تكليف وهى مختصة به صلى الله عليه وسلم وبجميع الانبياء صلوة الله عليهم اجمعين.

অর্থ: আমাদের এবং আমাদের পূর্বতন পীর মাশাইখগণের মতে – নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত আছেন এবং তিনি তথায় দুনিয়াবী হায়াত মুবারকের ন্যায়ই বর্তমান আছেন কষ্ট দেয়া ব্যতিরেকে। এ পবিত্র হায়াত মুবারক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং অন্যান্য সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিস সালাম উনাদের বৈশিষ্ট্য। (আলমুহান্নাদ ১৩ পৃ.)

দেওবন্দী মৌলবী এযায আলীর বক্তব্য –

فمثله صلى الله عليه وسلم بعد وفاته كمثله شمع فى حجرة اغلق بابها فهو مستور عمن هو خارج الحجورة ولكن نوره كما كان بل ازيد ولهذه حرم نكاح ازواجه بعده صلى الله عليه وسلم ولم يجر احكام الميراث فيما تركه لانهما من الموت.

অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্দা করার দৃষ্টান্ত এরূপ যেমন একটি প্রদীপকে কোন কামরায় রেখে তার দরজা যদি বন্ধ করে দেয়া যায়। তবে এ প্রদীপটি ঐ বাতি হতে লুক্কায়িত থাকবে যে কামরার বাইরে আছে। কিন্তু বাতির আলো এরূপই হবে যেরূপ পূর্বে ছিল। বরং পূর্বের চেয়েও বেশি হবে। এজন্যই উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার সম্মানিতা পবিত্রা আহলিয়া হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে বিবাহ করা হারাম এবং উনার ত্যাজ্য বিত্তের উপর ওয়ারিছী সত্ত্বের আইনসমূহ জারি হয়নি। কারণ উভয়টিই মৃত্যুর হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (নুরুল ইজাহ ২০৫ পৃ:)

দেওবন্দী মুরুব্বী ক্বাসিম নানুতুবীর বক্তব্য-

“হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিরস্থায়ী। এটা সম্ভবই নয় যে, উনার পবিত্র হায়াত মুবারক ক্ষীয়মান হয়ে যাবে। এবং হায়াতে মুমিন আকস্মিক, যা ক্ষীয়মান হতে পারে। সাধারণ মুমিনের ন্যায় মৃত্যু উনার হায়াতে তায়্যিবাকে খতম করে না। বরং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক উনার হায়াত মুবারককে ঢেকে রাখে। এ জন্য উনার হায়াত বাহ্যিক চর্ম চক্ষুবিশিষ্ট লোকের দৃষ্টি গোচর হতে গুপ্ত হয়ে যায়। শুধু অন্তর্চক্ষু বিশিষ্ট লোকেরা উনার হায়াত মুবারকের পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। যাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক পর্দা তুলে রেখেছেন, সে অন্য এক স্থানে এ ধারণাকে এরূপভাবে ব্যাখ্যা করে; কিন্তু আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনার যিন্দেগী বাহ্যিক দৃষ্টিমানদের দৃষ্টিগোচর হতে গোপনীয়। উম্মতের ন্যায় উনাদের মৃত্যু মৃয়মান বা ক্ষণস্থায়ী হয় না। (আবে হায়াত ১৫৯-১৬০ পৃ:)

উপরোক্ত দলীলভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্য অবশ্যই “হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কাজেই, “হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টি অস্বীকার করার অর্থ হলো- পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করা, যা কাট্টা কুফরী। অর্থাৎ যারা এটাকে অস্বীকার করবে তারা কাট্টা কাফির হবে। এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার ছহীহ এবং গ্রহণযোগ্য ফায়ছালা।


-আল্লামা মুফতী আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম