নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্রতম হযরত আব্বাজান-হযরত আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার অধিকারী

সংখ্যা: ২৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

স্বয়ং খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই স্বাক্ষ্য মুবারক দিচ্ছেন যে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্রতম হযরত আব্বাজান-হযরত আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনারাই মহাপবিত্রতম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ৩টি স্তর মুবারক উনাদের মধ্যে সর্ব প্রথম স্তর মুবারক উনার অন্তভূর্ক্ত। সুবহানাল্লাহ! উনারাই সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক এবং সর্বত্তোম সিজদাকারী উনাদের অন্তভূর্ক্ত। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

وَتَـقَلُّبَكَ فِى السّٰجِدِيْنَ

অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মহাসম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে কুদরতীভাবে স্থানান্তরিত হয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্রতম হযরত আব্বাজান-হযরত আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদের বে-মেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ طَلْقِ بْنِ عَـلِــىٍّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ لَوْ اَدْرَكْتُ وَالِدَىَّ اَوْ اَحَدَهُـمَا وَاَنَا فِىْ صَلَاةِ الْعِشَاءِ وَقَدْ قَـرَاْتُ فِيْهَا بِفَاتِـحَةِ الْكِتَابِ تُـنَادِىْ يَا مُـحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاَجَبْـتُـهَا لَبَّـيْكِ

অর্থ: “হযরত ত্বলক্ব ইবনে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যদি আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদের দু’জনকে অথবা উনাদের দু’জনের একজনকে দুনিয়ার যমীনে পেতাম, আর আমি সম্মানিত ইশা উনার নামায (ফরয নামায) মুবারক-এ দাঁড়িয়ে সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করতে থাকতাম। এমতাবস্থায় উনারা যদি আমাকে এই বলে আহ্বান মুবারক করতেন, হে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) আমি উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে ইরশাদ মুবারক করতাম, লাব্বাইক, হে আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম, হে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আমি উপস্থিত, হাযির।” সুবহানাল্লাহ!

অপর বর্ণনায় এসেছে-

لَوْ دَعَانِىْ وَالِدَىَّ اَوْ اَحَدُهُـمَا وَاَنَا فِى الصَّلَاةِ لَاَجَبْـتُهٗ

অর্থ: “যদি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দু’জন অথবা উনাদের দু’জনের একজন আমাকে সম্মানিত নামায (ফরয নামায) মুবারক আদায় করা অবস্থায় আহ্বান মুবারক করতেন, তাহলে আমি অবশ্য অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিতাম।” সুবহানাল্লাহ! (শুয়াবুল ঈমান ১০/২৮৪, দায়লামী শরীফ ৩/৩৪৫, জামিউল আহাদীছ ১৮/৭৪, কাশফুল খফা ২/১৬০, আল মাক্বাছিদুল হাসানাহ ১/৫৫১, কানযুল উম্মাল ১৬/৪৭০, জামউল জাওয়ামি’ ১৬৮/১৩, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৩৭ পৃষ্ঠা, আল হাওই শরীফ ২/২৮১ ইত্যাদি)

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাপবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনার দু’খানা উনাদের মাধ্যমে কায়িনাতবাসীকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, উনার মহাসম্মানিত হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এবং পবিত্রতা মুবারক কত বেমেছাল ও সীমাহীন। সুবহানাল্লাহ!

স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত নামায মুবারক এ পবিত্রতম সূরা ফাতিহা শরীফ তিলাওয়াতরত থাকা অবস্থায় উনার মহাপবিত্রতম হযরত আব্বাজান-হযরত আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনারা যদি উনার পবিত্র নাম মুবারক ধরে ডাকতেন তাহলে তৎক্ষনাত পবিত্রতম নামায মুবারক ছেড়ে দিয়ে উনার মহাসম্মানিত হযরত আব্বাজান-আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্মানার্থে উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিতেন এবং বলতেন, লাব্বাইক, হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান আলাইহিস সালাম, হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আপনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারকে আমি উপস্থিত, হাযির। সুবহানাল্লাহ!’

তাহলে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান-হযরত আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান এবং পবিত্রতা মুবারক উনার বিষয়টি কত বেমেছাল। সেটা কি কায়িনাতের কেউ কখনও চিন্তা-ফিকির করে মিলাতে পারবে? কস্মিনকালেও পারবে না। সুবহানাল্লাহ!’

এজন্যই মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি স্পষ্টভাবে সমস্ত কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এক কথায় উনারা শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছে সমস্ত কিছুর অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু জান্নাতীই নন; বরং উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত কায়িনাতের মালিক। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত জান্নাত উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন কখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ দয়া করে প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করলেই সম্মানিত জান্নাত মুবারক ধন্য হয়ে যাবেন, সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার নাম করণের বিষয়টি সার্থক হবে। সুবহানাল্লাহ! মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টিই করেছেন, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়ার জন্য।” সুবহানাল্লাহ!

এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যারা বলতে চায় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা ঈমানদার ছিলেন না, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা জান্নাতী নন; না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! বরং জাহান্নামী। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

তারা কি বলতে পারবে যে, শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-হযরত আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে, উনার সৃষ্টি জগতে এমন কেউ আছে? যে কিনা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত নামায মুবারক-এ থাকা অবস্থায় আহ্বান করার দুঃসাহস দেখাবে আর সেই আহ্বানে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত নামায মুবারক ছেড়ে দিয়ে সাড়া দিবেন? না‘ঊযুবিল্লাহ! এই দুঃসাহস কায়িনাতবাসীর নেই কস্মিনকালেও। বরং যে এটা চিন্তা-ফিকির করবে সেও কাট্টা কাফির-চিরজাহান্নামী হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

আয় মহান আল্লাহ পাক আপনি আমাদের সবাইকে উক্ত বিষয়ে ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত

ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-হযরত আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের একনজরে পরিচিতি মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বযুগের সবশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক উসীলায় সমস্ত জিন-ইনসান এবং তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূগীর্-সম্মান মুবারক হাছিল করেছে, করছে এবং অনন্তকাল পর্যন্ত হাছিল করতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূগী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! তিনি সকলের মাঝে ‘সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ হিসেবে সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! নিম্নে উনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসমে জাত বা পবিত্র মূল নাম মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: আবূ মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ কুছাম আলাইহিস সালাম।

সম্মানিত লক্বব মুবারক: যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকু আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, সাইয়্যিদুল বাশার, মালিকুল জান্নাহ এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!

যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম। তিনি ছিলেন সম্মানিত কুরাঈশ উনাদের সকলের সাইয়্যিদ, সমগ্র আরব ও পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ বিনতে ‘আমর আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৭৮ বছর ৮ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত অবস্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ১লা তারিখ লাইলাতুল জুমু‘য়াহ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন হওয়ার সময় সম্মানিত বয়স মুবারক: ২৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন অর্থাৎ পূর্ণ ২৫ বছর। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জাওযাতুম মুক্কাররমাহ আলাইহাস সালাম: উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা বিনতে ওয়াহাব আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুমহান আওলাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত দ্বীন: সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দ্বীন অর্থাৎ দ্বীনে হানীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৫৩ বছর ২ মাস পূর্বে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার ২ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা মুহাররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ সকালে। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: মহাসম্মানিত আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক : ২৫ বছর ৬ মাস। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত

পরিচিতি মুবারক:

এক নজরে উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: উম্মু মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু ক্বুছাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত লক্বব মুবারক: উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকু আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত ইত্যাদি। সুবহানাল্লাহ!

যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন:  সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম। উনার একখানা সম্মানিত বিশেষ লক্বব মুবারক ছিলেন ‘সাইয়্যিদুন নাস’। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত বার্রাহ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জাওযুম মুকাররম আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত দ্বীন: সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দ্বীন তথা দ্বীনে হানীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৭২ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ বা’দ ফজর।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত অবস্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ভাই-বোন আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম: নেই অর্থাৎ তিনি একক, অদ্বিতীয়া যা উনার বেমেছাল সম্মানিত শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা তারিখ সম্মানিত লাইলাতুল জুমু‘য়াহ শরীফ তথা ইয়াওমুল খমীস দিবাগত বা’দ মাগরিব। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় সম্মানিত বয়স মুবারক: ১৮ বছর ৩ মাস ২৫ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত তারিখ ও সময় মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ সকাল ৯-১০টার দিকে অর্থাৎ ইশরাক উনার ওয়াক্ত শেষ হয়ে চাশত বা দ্বোহা উনার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৬ বছর। সুবহানাল্লাহ!

দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক: ২৫ বছর ৫ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত এবং মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: সম্মানিত আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: সম্মানিত আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

-মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম