নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে যারা খিদমত করবে তারা ও দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

সংখ্যা: ২৭৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلْقَاضِىْ لَـهُمْ حَوَائِجَهُمْ

 অর্থ: “যারা আমার বংশধর সম্মানিত আওলাদ ও সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মাল দিয়ে, সম্পদ দিয়ে খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিবে তাদেরকে আমি ক্বিয়ামতের দিন তথা দায়িমীভাবে সবসময় সুপারিশ করবো।” সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে আনওয়ারুল আরিফীন নামক কিতাবে বর্ণিত আছে- হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বড় একজন বুযূর্গ ব্যক্তি আল্লাহওয়ালা ছিলেন। উনার অনেক মুরিদণ্ডমুতাকিদ ছিলেন। তিনি উনার হায়াতে ৫০ বার পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করেছেন। উনার হজ্জের ৫১তম বছর তিনি উনার সাথীদেরকে নিয়ে কাফেলার সাথে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার পথে যাত্রা শুরু করলেন। কাফেলা চলতে চলতে কুফা পর্যন্ত গেলেন এবং বড় একটা সরাইখানা বা হোটেলে সবাই উঠলেন, তার পাশে একটা বাজার ছিলো যেখান থেকে হজ্জ যাত্রীরা হজ্জের যত দ্রব্য-সামগ্রী রয়েছে সেগুলো কেনাকাটা করতেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেখান থেকে খরিদ করে নিতেন এবং তার পাশেই ছোট একটা জঙ্গল ছিলো। হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেই বাজারের দিকে গেলেন কেনাকাটা বা খরিদ করার জন্য। তিনি বাজারে যাচ্ছিলেন এমন সময় হঠাৎ বাজারের পাশের জঙ্গলটি উনার দৃষ্টিগোচর হলো। তিনি দেখতে পেলেন, জঙ্গলের ভিতরে একটা গাধা মরে পড়ে রয়েছে এবং একজন জীর্ণ-শীর্ণ সম্ভ্রান্ত মহিলা সেই মরা গাধার গোশত কেটে কেটে ব্যাগের ভিতরে ভরছেন। এই দৃশ্য দেখে হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভাবলেন যে, এই মহিলা হয়তো এই মৃত গাধার গোশত বাজারে বিক্রয় করবেন। কেননা বাজারে অনেক হোটেল-রেস্তোরা রয়েছে, তাই তিনি ঐ মহিলার পিছু নিলেন এবং দেখতে লাগলেন ঐ মহিলা গোশতগুলো কি করেন। তিনি দেখতে পেলেন সেই মহিলা গোশতগুলো নিয়ে বাজারের দিকে না গিয়ে শহরের দিকে রওয়ানা হলেন, তিনিও মহিলার পিছু পিছু হাটা শুরু করলেন।

কিছুদুর অগ্রসর হওয়ার পর তিনি দেখতে পেলেন, ঐ মহিলা একটা বড় বাড়িতে গিয়ে কড়া নাড়ালেন। বাড়িটা মোটামুটি বড়, বাড়িটা মেরামত না করার কারণে দেখতে একটু জীর্ণ-শীর্ণ হয়েছে এবং এই বাড়ির গেইটের ফাঁক দিয়ে ভিতরে যা কিছু হচ্ছে সব কিছুই দেখা যায়। কিন্তু মনে হচ্ছে বাড়ির যিনি মালিক তিনি অনেক সম্পদের মালিক। সেই বাড়ির বড় একটা গেইট রয়েছে। সেই গেইটেই ঐ মহিলা কড়া নাড়ালেন তখন ভিতর থেকে চারজন ছোট ছোট বাচ্চা মেয়ে এসে গেইট খুলে দিলেন এবং ঐ মহিলা ভিতরে প্রবেশ করে বাচ্চাদেরকে বললেন যে, এই ব্যাগের মধ্যে যা রয়েছে তা পাক-শাক করে নিয়ামত মনে করে গ্রহণ করুন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করুন।

হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উপরোক্ত সমস্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য করছিলেন। যখন বাচ্চা মেয়েরা সেই গোশতগুলো খাবারের জন্য নিলেন তখন তিনি দূর থেকে বললেন, হে মহিলা আপনারা কোন সম্প্রদায়? আমার জানামতে একমাত্র মজূসীদের মধ্যে একটা কওম রয়েছে যারা মরা গাধার গোশত আহার করা জায়িয মনে করে থাকে, তখন সেই মহিলা ভিতর থেকে বললেন, আপনি কে? আপনি কোথা থেকে এসেছেন? কি কারণে এসেছেন? আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছি, যে কারণে আমাদের জন্য মরা গাধার গোশত খাওয়া মুবাহ হয়ে গেছে।

আমরা নুবুওওয়াতী খান্দানের লোক অর্থাৎ আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। এ মেয়ে আওলাদগণ উনাদের পিতা তিনি ইন্তেকাল করেছেন গত তিন বছর আগে, তিনি যা টাকা পয়সা রেখে গেছেন তা শেষ হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা নুবুওওয়াতী খান্দানের লোক। তখন তিনি বললেন দয়া করে আপনারা এই গোশতগুলো খাবেন না। তিনি তখন হজ্জ করার জন্য যে ৬০০ দিরহাম নিয়ে এসেছিলেন, সেগুলো নিয়ে বাজারে গেলেন, বাজারে যেয়ে ১০০ দিরহাম দিয়ে আটা ও অন্যান্য খাদ্য-দ্রব্য কিনলেন আর ১০০ দিরহাম দিয়ে সেই বাচ্চা ও মহিলা উনাদের জন্য কিছু কাপড় কিনলেন আর বাকি যে ৪০০ দিরহাম ছিলো তা আটার বস্তার মধ্যে দিয়ে উনাদের নিকট পৌঁছিয়ে দিলেন। এই সব দেখে উনারা অনেক খুশি হলেন এবং ঐ আওলাদে রসূল মহিলা তিনি বললেন, এই মেয়েদের যিনি বাবা তিনি গত ৩ বছর আগে ইন্তিকাল করেন। এই শহরে আমাদের পরিচিত কেউ নেই। আজ তিন দিন হলো আমাদের ঘরে কোন খাদ্য নেই।

যখন তিনি খাবার পৌঁছালেন, সেই মহিলা এবং বাচ্চারা উনার জন্য দোয়া করে ছিলেন। সেই বাচ্চদের যিনি মাতা তিনি দোয়া করলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আপনার পূর্বের এবং পরের সমস্ত গুনাহ খাতা ক্ষমা করে দেন এবং আপনাকে যেন জান্নাতবাসী করেন এবং আমাদের উপকার করার জন্য যমীনে যেন এর প্রতিদান দান করেন।

এরপর বড় যেই মেয়ে তিনি দোয়া করলেন, আমাদের এই উপকার করার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেন দ্বিগুণ প্রতিদান দান করেন এবং আপনার সমস্ত গুনাহ খাতা ক্ষমা করে দেন।

দ্বিতীয় মেয়ে দোয়া করলেন, আপনি আমাদের যা হাদিয়া দিয়েছেন তার চেয়ে বহুগুণ বেশী মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আপনাকে দেন।

তৃতীয় মেয়ে দোয়া করলেন, আপনার হাশর নশর যেন আমার নানা এবং যিনি দাদা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হয়।

চতুর্থ মেয়ে দোয়া করলেন, আপনাকে যেন দ্বিগুণ দান করা হয়, গুনাহ খাতা মাফ করা হয় এবং ইহসানের বদলা মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন অতি সত্তর দিয়ে দেন।

প্রত্যেকের দোয়া তিনি কুনলেন, শুনে তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন এবং মাথা নিচু করে অনেকক্ষণ কান্না করলেন এবং তিনি ইস্তেগফার করলেন। পরে তিনি উনার সরাইখানায় আসলেন। এদিকে সবার হজ্জের মাল-সামানা কেনা হয়ে গেছে। তার মধ্যে উনার বড় ভাইও ছিলেন। সকলেই যখন বললেন, যাবার তো সময় হয়ে গেছে তখন তিনি বললেন, আমি এবার হজ্জে যাব না। তিনি সব টাকা পয়সা হাদিয়া করছেন, সে কথা আর বললেন না। তিনি বললেন, আমি এবার হজ্জে যাব না।

একথা শুনে উনার যে বড় ভাই ছিলেন তিনি বললেন, আপনি কেন হজ্জে যাবেন না? হজ্জের তো অনেক ফযীলত। তিনি যখন ফযীলত বর্ণনা শুরু করলেন, তখন হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আপনি দয়া করে আমাকে এই নছীহত করবেন না। কারণ আমি এর ফযীলত জানি। আমিও তো মানুষকে নছীহত করে থাকি, তবে বিশেষ কোন এক কারণে আমি এবছর হজ্জে যাব না। যাই হোক, অনেকে অনেক কিছু বললো। শেষ পর্যন্ত তিনি আর হজ্জে গেলেন না। সবাই হজ্জে চলে গেলেন। তিনি সেই সরাইখানাতেই থাকলেন। সেখানে অবস্থান করতে করতে ফিকির করতে লাগলেন। এদিকে হজ্জের সময়ও শেষ হয়ে গেল। সমস্ত কাফেলা ফিরে এলো। প্রথম যে কাফেলা আসলো তাদেরকে তিনি অভ্যর্থনা জানালেন এবং তিনি দোয়া চাইলেন, হাজী সাহেবদের কাছে। যে হাজী সাহেবরা আসলেন উনারা বললেন আপনি বলেন কি? আপনি আমাদের কাছে দোয়া চাচ্ছেন, অথচ আপনি তো আমাদের সাথেই হজ্জ করেছেন। আপনি এত তাড়াতাড়ি কিভাব চলে আসলেন? আরাফার ময়দানে, মুজদালিফা সব জায়গায় তো আপনি আমাদের সাথে ছিলেন। আপনি এটা কি বলছেন। তিনি চুপ হয়ে গেলেন। প্রত্যেকটা কাফেলা এসে বললো, হে হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি এত তাড়াতাড়ি কিভাবে আমাদের আগে চলে আসলেন। আপনার সাথে সাক্ষাত হলো আরাফার ময়দানে, মিনাতে, মুজদালিফায়, পবিত্র মক্কা শরীফে। আপনি এত তাড়াতাড়ি কিভাবে পৌঁছে গেলেন? কিছুই বুঝতে পারলাম না। এভাবে আরেকজন আসলেন, তিনি এসে বললেন, ভাই আপনি যে আমাকে একটা পোটলা বা থলি দিয়েছিলেন আমি তো সেটা অনেকক্ষণ ধরে বহন করতেছি। বাবে জিব্রীলে আপনি যে আমাকে এই থলিটা দিয়েছিলেন। দিয়ে যে কোথায় গায়েব হয়ে গেলেন, আপনাকে আর খুজে পেলাম না। আপনি দয়া করে আপনার থলিটা গ্রহণ করুন। তিনি লক্ষ্য করলেন যে, এই থলিটা তিনি উনার জীবনে কখনও দেখেননি কিন্তু সেই ব্যক্তি বার বার অনুরোধ করার কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি থলিটা গ্রহণ করলেন।

এভাবে অনেক হাজী সাহেবদের সাথে উনার সাক্ষাত হলো। এরপর যখন উনার কাফেলা আসলো তখন তিনি উনাদের সাথে হজ্জের আলোচনা করে বা’দ ইশা বিশ্রামের জন্য শুয়ে পড়লেন। তখন উনার ঘুম আসলো তিনি স্বপ্নে দেখতে লাগলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে রবি বিন সুলাইমান! আপনি যে হজ্জ করেছেন এজন্য আর কত প্রমাণ দিতে হবে। হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! পৃথিবীর কেউ না জানলেও আপনি জানেন যে, এবছর আমি হজ্জ করিনি। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে রবি বিন সুলাইমান! আপনি ঠিকই বলেছেন।

আপনি এ বছর হজ্জে যাননি কিন্তু আপনি যে আমার আওলাদ উনাদের মুবারক খিদমতের আনজাম দিয়েছেন যার কারণে উনারা আপনার জন্য অনেক দোয়া করেছেন তার মধ্যে একটা দোয়া ছিলো যে, দুনিয়াতেই যেন আপনাকে এর প্রতিদান দেয়া হয় আর তখন স্বয়ং আমি নিজেও উনাদের সাথে দোয়া করেছি। সুবহানাল্লাহ! যার ফলশ্রুতিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ছুরতে একজন ফেরেস্তা আলাইহিস সালাম তৈরী করেছেন, যিনি আপনার ছুরতে কিয়ামত পর্যন্ত হজ্জ করতে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! যার প্রেক্ষিতে তিনি এ বছর হতে আপনার পক্ষ থেকে হজ্জ করা শুরু করেছেন। সকলেই মনে করেছে যে, আপনি হজ্জ করেছেন। উক্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি কিয়ামত পর্যন্ত হজ্জ করবেন, ওমরা করবেন প্রত্যেকটার ছওয়াব আপনার আমলনামায় পৌঁছতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! এবং আমার আওলাদ আপনার জন্য দোয়া করেছিলেন যে, আপনাকে যেন যমীনেই বদলা দেয়া হয়, আপনি উনাদের জন্য মাত্র ৬০০ দিরহাম ব্যয় করেছেন আর তার বদলা আপনাকে ৬০০ দিনার দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আপনি থলিটা খুলে দেখবেন সেখানে ৬০০ দিনার রয়েছে এবং তাতে লিখিত রয়েছে আমাদের সাথে যারা ব্যবসা করে তারা কখনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়না। সুবহানাল্লাহ! এ সমস্ত বিষয়গুলি জানিয়ে দিয়ে, বলে দিয়ে, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! উনার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তিনি ঘুম থেকে উঠে থলিটা খুললেন এবং তাতে দেখতে পেলেন ৬০০ দিনার রয়েছে এবং তাতে লিখা রয়েছে যে, “আমাদের সাথে যারা ব্যবসা করে তারা কখনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় না”। সুবহানাল্লাহ!

হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খিদমতের আনজাম দেয়ার কারণে যদি এতো ফযীলত পাওয়া যায় তাহলে যাঁরা সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক খিদমতের আনজাম দিবেন, তাহলে উনাদের জন্য কত ফযীলত বুযূর্গী সম্মান রয়েছে সেটা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।

অতঃপর রাউফুর রাহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই বাক্যটি উচ্চারণ করলেন, “যিনি আমাদের সাথে ব্যবসা করেন তিনি লাভবান হন।” সুবহানাল্লাহ

কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যারা আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিবে উনাদেরকে তিনি সুপারিশ করবেন। শুধু ক্বিয়ামতের দিন নয়, দুনিয়াতেও তথা সবসময়ই করবেন। সুবহানাল্লাহ!

-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম