নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক ব্যতীত, কেউ কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারবে না।

সংখ্যা: ২৭০তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ.

অর্থ: “আর (আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার সম্মানিত যিকির মুবারক তথা সম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশরাহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতটুকু বুলন্দ করেছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংযুক্ত এবং সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও হচ্ছেন এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয়, উনাদের মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার মহাসম্মানিতা ‘আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত’ (হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّـمَا اَنَا لَكُمْ بِـمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের পিতার ক্বায়িম মাক্বাম অর্থাৎ আমি তোমাদের হাক্বীক্বী পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ)

হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সমস্ত আসমানী কিতাব মুবারকসমূহে রয়েছে,

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَهُوَ اَبٌ لَّـهُمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং উনাদের মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর উনার মহাসম্মানিতা ‘আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত’ তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মু’মিন বলতে একমাত্র যিনি খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই উদ্দেশ্য। সুবহানাল্লাহ! উনারা সকলেই মু’মিন। উনারা প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! কোনো হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক দেয়া হয়নি, কোনো হযরত রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত রিসালাত মুবারক দেয়া হয়নি; যতক্ষণ পর্যন্ত না উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনার পরেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই সমস্ত প্রকার সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু যিনি খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী। সুবাহানাল্লাহ! উনারা সমস্ত কিছুর মূল এবং মালিক। সুবহানাল্লাহ! উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম অর্থাৎ উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মূল এবং মালিক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اِنَّ الْـجَنَّةَ تَـحْتَ اَقْدَامِ اُمَّهَاتِكُمْ

অর্থ: “নিশ্চয়ই সম্মানিত জান্নাত মুবারক তোমাদের সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নীচে।” সুবহানাল্লাহ!

অপর বর্ণনায় এসেছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رِضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْـجَنَّةُ تَـحْتَ اَقْدَامِ الْاُمَّهَاتِ.

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত জান্নাত মুবারক সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে।” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উছ ছগীর ১/৫৬৩, আল কুনা ওয়াল আসমা’ ৩/১০৯১, মুসনাদে শিহাব ১/১০২, আল জামি’ লিখত্বীব বাগদাদী ৪/৪৬১, আল ফাওয়াইদ লিআবী শায়েখ ইস্পাহানী ১/২৬, আত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৮১, মূজিবাতুল জান্নাহ ১/১১০, ফায়যুল ক্বদীর ৩/৪৭৭, আদ দুররুল মুনতাছিরাহ লিস সুয়ূত্বী ১/৯, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ২/৬২, জামি‘উল আহাদীছ ১২/৮০, দায়লামী শরীফ ২/১১৬, কাশফুল খফা ১/৩৩৫, কানযুল ‘উম্মাল ১৬/৪৬১, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/১১৬০৭, ইহ্ইয়াউ ‘উলূমিদ্দীন, মিরক্বাত শরীফ ইত্যাদি)

অর্থাৎ সন্তানদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ অনুযায়ী হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আর বর্ণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই সম্মানিত জান্নাত মুবারক হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনাদের নিচে। সুবহানাল্লাহ!

সেটাই কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একই সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একই সাথে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জান্নাত মুবারক থাকবে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক থেকে অনেক উপরে। সুবহানাল্লাহ! এতো অধিক উপরে যে, সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জান্নাত মুবারক এরূপ দেখা যাবে, যেমন দুনিয়ার যমীন থেকে আকাশে তারকাকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক থাকবে উম্মতদের জান্নাত মুবারক থেকে অনেক উপরে। তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম এবং উনাদেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনাদের নিচে সমস্ত কায়িনাতবাসী সকলেরই সম্মানিত জান্নাত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট সন্তানতুল্য। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কারো মুহতাজ নন; বরং সম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারকসহ সমস্ত হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের মুহতাজ। সুবহানাল্লাহ! উনাদের কারণে সম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারকসহ সমস্ত মাক্বামই সম্মানিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল তা কেউ কস্মিনকালেও ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না, চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় উনারা শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারবে না।

এজন্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-

وَاَحِبُّوْا اَهْلَ بَــيْـتِـىْ لِـحُبِّـىْ.

অর্থ: “তোমরা আমার সম্মানিত মুহ্ববত মুবারক পেতে হলে, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরাকে হাকিম, ত্ববারনী শরীফ, শু‘য়াবুল ঈমান)

এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْـرُكُمْ خَيْـرُكُمْ لِـنِسَائِـىْ مِنْۢ بَعْدِىْ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে ব্যক্তি আমার পর আমার মহাসম্মানিতা আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট উত্তম।” সুবহানাল্লাহ!

অপর বর্ণনায় এসেছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِيَارُكُمْ خَيْـرُكُمْ لِـنِسَائِـىْ مِنْۢ بَعْدِىْ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে ব্যক্তি আমার পর আমার মহাসম্মানিতা আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে বাযযার ১৪/৩১২, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ৯/১৫৫, কাশফুল আসতার ৩/২১০ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِـنِسَائِـىْ قَالَ فَاَوْصٰى حَضْرَتْ عَبْدُ الرَّحْـمٰنِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ لَـهُنَّ بِـحَدِيْقَةٍ قُوِّمَتْ بِاَرْبَعِ مِائَةِ اَلْفٍ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিতা আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট উত্তম। সুবহানাল্লাহ! বর্ণনাকারী বলেন, তারপর হযরত আব্দুর রহমান ইবেন ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে একটি বাগান হাদিয়া মুবারক করার জন্য সম্মানিত ওছীয়ত মুবারক করেন, যেই বাগানের মূল্য ছিলো ৪ লক্ষ দীনার (যা বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৬ শত কোটি টাকা)।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল ইসলাম লিয যাহাবী ২/২১০)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْـرُكُمْ خَيْـرُكُمْ لِاَهْلِـىْ مِنْۢ بَعْدِىْ قَالَ فَبَاعَ عَبْدُ الرَّحْـمٰنِ بْنُ عَوْفٍ حَدِيْقَةً بِاَرْبَعِ مِائَةِ اَلْفٍ فَقَسَمَهَا فِـىْ اَزْوَاجِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে ব্যক্তি আমার পর আমার আহাল তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট উত্তম। সুবহানাল্লাহ! বর্ণনাকারী বলেন, তারপর হযরত আব্দুর রহমান ইবেন ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি একটি বাগান ৪ লক্ষ দীনারের বিনিময়ে বিক্রি করে সমস্ত অর্থ (প্রায় সাড়ে ৬ শত কোটি টাকা) হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাঝে বণ্টন করে দেন অর্থাৎ উনাদেরকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! (আস সুন্নাহ্ লিইবনে ‘আছিম ২/৬১৬, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ১০/৩৩০, মু’জাম ইবনে আ’রাবী ১/৩৭৩, আল মাক্বছাদুল ‘উলা ফী যাওয়াইদে আবী ইয়া’লা ৩/১৯৭ ইত্যাদি)

শুধু তাই নয়, কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত আবূ সালামাহ্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে একটি বাগানের বিষয়ে সম্মানিত ওয়াছীয়ত মুবারক করে যান যে, তিনি যেন এই বাগানটি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেন। যার মূল্য ছিলো ৪০ হাজার দীনার। সুবহানাল্লাহ! বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী প্রায় ৬৪ কোটি টাকা। সুবহানাল্লাহ! যেমন-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْـمٰنِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ اَبَاهُ وَصّٰى لِاُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ بـِحَدِيْقَةٍ بِيْعَتْ بَعْدَهٗ بِاَرْبَعِيْـنَ اَلْفَ دِيْنَارٍ

অর্থ: “হযরত আবূ সালামাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনাকে একটি বাগান হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করার জন্য সম্মানিত ওছীয়ত মুবারক করে যান। উনার পর সেই বাগানটি ৪০ হাজার দীনারে বিক্রি করা হয়েছিলো। (তারপর বিক্রিত সমস্ত অর্থ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ হাদিয়া স্বরূপ পেশ করা হয়েছিলো।) সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৩/৩৫২)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَلْمِسْوَرِ بْنِ مَـخْرَمَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ بَاعَ حَضْرَتْ عَبْدُ الرَّحْـمٰنِ بْنُ عَوْفٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَرْضًا لَّهٗ مِنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ ذِى النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِاَرْبَعِيْـنَ اَلْفَ دِيْنَارٍ فَقَسَمَ ذٰلِكَ الْمَالَ فِـىْ قُرَيْشٍ وَبَنِـىْ مَـخْزُوْمٍ وَبَعَثَ مَعِـىْ مِنْ ذٰلِكَ الْمَالِ اِلـٰى اُمِّ الْمُـؤْمِنِيـْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) فَقَالَتْ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لَنْ يَّـحْنُوَ عَلَيْكُنَّ بَعْدِىْ اِلَّا الصَّالِـحُوْنَ سَقَى اللهُ عَزَّ وَجَلَّ حَضْرَتْ اِبْنَ عَوْفٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ مِنْ سَلْسَبِيْلِ الْـجَنَّةِ

অর্থ: “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি একটি জমি ৪০ হাজার দীনার বিক্রি করে সেই অর্থের কিছু অংশ কুরাইশ ও বনূ মাখযূম গোত্রের মাঝে বণ্টন করে দেন। (আর বাকী সমস্ত অর্থ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেন। তখন তিনি সেই অর্থের) একটা অংশ আমার হাতে দিয়ে আমাকে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট প্রেরণ করেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সেই অর্থের একটা অংশ তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি শুনেছি- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘আমার পরে একমাত্র ছালিহীন তথা নেককার ব্যক্তিগণ উনারাই আপনাদের সাথে সৎব্যবহার করবেন, আপনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন, আপনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করবেন, আপনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করবেন, আপনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদা এবং সর্বোত্তম হুসনে যন মুবারক পোষণ করবেন।’ সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন হযরত ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সালসাবীল নামক ঝর্ণা থেকে পানি পান করান! সুবহানাল্লাহ! (আশ শরী‘য়াহ্ লিল আর্জুরী ৫/২৩০৩, কানজুল ‘উম্মাল ১২/১৪১)

অপর বর্ণনায় রয়েছে-

عَنْ اُمِّ الْمُـؤْمِنِيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّادِسَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّهٗ قَالَ لِاَزْوَاجِهٖ اِنَّ الَّذِىْ يَـحْنُوْ عَلَيْكُنَّ بَعْدِىْ لَـهُوَ الصَّادِقُ الْبَارُّ اللّٰهُمَّ اسْقِ حَضْرَتْ عَبْدَ الرَّحْـمٰنِ بْنَ عَوْفٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ مِنْ سَلْسَبِيْلِ الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা মুবারক করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আমার পরে আপনাদের সাথে সৎব্যবহার করবেন, আপনাদেরকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করবেন, আপনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন, আপনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদা এবং সর্বোত্তম হুসনে যন মুবারক পোষণ করবেন, নি:সন্দেহে তিনিই হচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে হাক্বীক্বী নেককার। সুবহানাল্লাহ! আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সালসাবীল নামক ঝর্ণা থেকে পানি পান করান!” সুবহানাল্লাহ! (আস সুন্নাহ্ লিইবনে ‘আছিম ২/৬১৫)

সুতরাং কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক পেতে চায়, তাহলে তার জন্য ফরযে আইন হচ্ছে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে জানা, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনাদের সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা সকাল-সন্ধ্যা, দায়িমীভাবে অনন্তকাল যাবৎ। সুবহানাল্লাহ! কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক ব্যতীত, কেউ কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারবে না।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-ইবনে মারইয়াম।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম