পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৫তম পর্ব)

সংখ্যা: ২৮৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৪তম ফতওয়া হিসেবে

 

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট

বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

 

সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের সর্বোত্তম ওসীলা মুবারক এবং মানুষের সম্মানিত আক্বীদাহ মুবারক এবং সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক। সুবহানাল্লাহ!

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে সম্মানিত মুসলমান উনাদের সম্মানিত ঈমান এবং সম্মানিত আমল উনাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিশেষ বিশেষ ফযীলতযুক্ত আমলের রাত ও দিন মুবারকসমূহ পালন করাকে বিদয়াত, নাজায়িয ও শিরক বলে ফতওয়া দিয়ে সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে অশেষ খায়ের, বরকত, নিয়ামত, নাজাত অর্থাৎ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক থেকে মাহরূম করছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন তারা বলে থাকে যে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত, শিরক। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! সম্মানিত ও পবিত্র শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয। নাউযুবিল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক বিষয়কেই তারা বিনা দলীলে মনগড়াভাবে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

অপরদিকে বেদ্বীনী-বদদ্বীনী অর্থাৎ কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের যত পর্ব বা দিবস রয়েছে সেগুলোকে শুধু জায়িযই নয় বরং নি‘য়ামত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক্ব প্রকৃতপক্ষে খবীছ উবাই বলেছিল, “পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নি‘য়ামত।” নাঊযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!

তাদের উপরোক্ত বক্তব্য চরম বিভ্রান্তিকর, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত এবং আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত শিরক এবং পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নি‘য়ামত।” নাউযুল্লিাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। এ সম্পর্কে কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

اِسْتِحْلَالُ الْـمَعْصِيَةِ كُفْرٌ.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” নাউযুবিল্লাহ! (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে ‘সূ’দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের সম্মানিত আক্বীদাহ্ মুবারক ও সম্মানিত ঈমান উনাদের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ উলামায়ে ‘সূ’দের এই কুফরীমূলক বক্তব্য সম্মানিত মুসলমান উনাদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা, যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা থেকে বিরত থাকবে এবং হারাম পহেলা বৈশাখ পালন করবে” তারা অশেষ খায়ের, বরকত ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হওয়ার কারণে কঠিন গুনাহগার অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা এবং হক্বপন্থি ও সমঝদার মুসলমানগণ উনারা যেন উনাদের সম্মানিত ঈমান ও সম্মানিত আমল মুবারক হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ সকল বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ মোতাবেক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক পোষণ করে এবং সঠিক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি”  প্রকাশ করা হলো।

 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়ের গুরুত্ব, ফযীলত ও আহকাম এবং

তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফাতাওয়া-

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ মাসে প্রকাশিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ তারীখ মুবারক= ৬টি

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ= ৯টি

৪. খ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ:

উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ।

সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল আছ ইবনে রবী’ ইবনে আব্দিল উয্যা ইবনে আবদে শামস ইবনে আবদে মানাফ ইবনে কুছাই ইবনে কিলাব আলাইহিমুস সালাম সালাম তিনি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার আপন বোন হযরত হালাহ বিনতে খুওয়াইলিদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার সম্মানিত আওলাদ। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন খালাতো ভাই। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নসবনামা মুবারক পিতা ও মাতা উনাদের উভয়ের দিক থেকে উপরে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নসবনামা মুবারক উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি সম্মানিত পিতা উনার দিক থেকে চতুর্থ পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নসবনামা মুবারক উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মূলত তিনি ছিলেন পূর্বমনোনিত। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহস সালাম হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি যাবতীয় উত্তম গুণাবলী মুবারক উনাদের অধিকারী ছিলেন এবং সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ অত্যন্ত সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্ব মুবারক হিসেবে সকলের মাঝে সুপরিচিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ মজলিস মুবারক-এ আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু আবীহা আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দেন যে, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি (মহান আল্লাহ পাক) আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ মজলিস মুবারক-এ সুসম্পন্ন করেছি। সুবহানাল্লাহ! আপনিও উনাদের সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ দুনিয়ার যমীনে সুসম্পন্ন করুন। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুষ্ঠানিকভাবে দুনিয়ার যমীনে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ১০ বছর। সময়টি ছিলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাওয়ারকিছুদিনপূর্বের কথা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে সর্বপ্রথম উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা কত বেমেছাল সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন তা কুল কায়িনাত কল্পনাও করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!

আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ সম্মানিত হাদিয়া মুবারক:

আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ মহাসম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সকল সম্মানিত হাদিয়া মুবারক দেয়া হয়েছিলো, সে সকল সম্মানিত হাদিয়া মুবারক উনাদের মধ্যে ইয়ামেনের প্রসিদ্ধ আকীক পাথরের একখানা হার মুবারকও ছিলো। এই সম্মানিত হার মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করা হয়েছিলো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে। সুবহানাল্লাহ! এছাড়া মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে উনাকে একখানা সম্মানিত বাড়ী মুবারকও হাদিয়া মুবরক করা হয়েছিলো। যেই সম্মানিত বাড়ী মুবারক-এউম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা সম্মানিত অবস্থান মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ!

উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক:

উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মাঝে ছিলো বেনযীর, বেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক। উনাদের সেই সম্মানিত সম্পর্ক মুবারক উনার গভীরতা প্রকাশ পায়- যখন কুরাইশরা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলো তখন। সুবহানাল্লাহ!

যখন কুরাইশরা অনুভব করলো যে, কোনো পরিকল্পনা করেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার দাওয়াত মুবারক থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না। তখন তারা নতুন পরিকল্পনা করলো। কুরাইশরা বলে উঠলো, তোমাদের সর্বনাশ হোক! তোমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতাবানাত (মেয়ে) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে নিজেদের ছেলেদের বিবাহ করিয়ে উনার দুশ্চিন্তা নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছো। নাঊযুবিল্লাহ! তোমরা যদি উনার মহাসম্মানিতা বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের থেকে নিজেদের ছেলেদেরকে বিচ্ছন্ন করে নাও, তাহলে তিনি উনাদেরকে নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। নাঊযুবিল্লাহ! তাদের মধ্যে অনেকে এ কথা সমর্থন করে বললো, এ তো চমৎকার যুক্তি। নাঊযুবিল্লাহ! তারা দল বেঁধে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার নিকট গিয়ে বললো, “আপনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এবং উনাকে উনার মহাসম্মানিত পিতা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পৌঁছে দিন। উনার পরিবর্তে আপনি আপনার পছন্দমত কুরাইশদের যে কোনো সুন্দরী নারীকে বিবাহ করতে পারবেন।” নাঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার এবং উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে আবূ লাহাবের দুই পুত্র উতবা এবং উতাইবার আক্বদ মুবারক সম্পন্ন হয়েছিলো। যেহেতু তখন উনাদের সম্মানিত বয়স মুবারক অল্প ছিলো, তাই উনারা তাদের ঘরে তাশরীফ মুবারক নেননি। একই প্রস্তাব আবূ লাহাবের দুই পুত্র উতবা এবং উতাইবার নিকটও দেয়া হয়েছিলো। তারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া থেকে মাহরূম হয়ে গিয়েছিলো। নাঊযুবিল্লাহ!

কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি দৃঢ়তার সাথে কুরাইশদের এ ধারণা বাতিল করে দিলেন। তিনি বললেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তা হয় না। আমি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে কস্মিনকালেও বিচ্ছিন্ন হতে পারবো না। উনার পরিবর্তে আমাকে সমস্ত মহিলাদেরকে দিয়ে দিলেও আমার পক্ষে তা কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না।” সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, উম্মু আবীহা, আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলাআলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার কতোবেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। সুবহানাল্লাহ!

অসমাপ্ত

(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭