পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৪তম পর্ব) ৩৪তম ফতওয়া হিসেবে

সংখ্যা: ২৬২তম সংখ্যা | বিভাগ:

“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

 

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে মুসলমান উনাদের বিশেষ বিশেষ ফযীলতযুক্ত আমলের রাত ও দিনসমূহ পালন করাকে বিদয়াত, নাজায়িয ও শিরক বলে ফতওয়া দিয়ে মুসলমান উনাদেরকে অশেষ খায়ের, বরকত, নিয়ামত, নাজাত অর্থাৎ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক থেকে মাহরূম করছে। যেমন তারা বলে থাকে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত, শিরক। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক বিষয়কেই তারা বিনা দলীলে মনগড়াভাবে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

অপরদিকে বেদ্বীনী-বদদ্বীনী অর্থাৎ কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের যত পর্ব বা দিবস রয়েছে সেগুলোকে শুধু জায়িযই নয় বরং নিয়ামত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক্ব প্রকৃতপক্ষে উবাই বলেছিল, “পহেলা বৈশাখ আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাঊযুবিল্লাহ!

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত শিরক এবং পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাউযুল্লিাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

استحلال الـمعصية كفر.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ উলামায়ে “সূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা থেকে বিরত থাকবে এবং হারাম পহেলা বৈশাখ পালন করবে” তারা অশেষ খায়ের, বরকত ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হওয়ার কারণে কঠিন গুনাহগার অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ তারা তাদের ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি”  প্রকাশ করা হলো।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়ের গুরুত্ব, ফযীলত ও আহকাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফাতাওয়া-

মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ফাযায়িল-ফযীলত

ও গুরুত্ব

 

আস-সানাতুল্ ক্বমারিয়্যাহ তথা হিজরী বছর উনার মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস একটি বিশেষ মর্যাদাময় মাস। যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা রব্বুল আলামীন তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِىْ كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّموتِ وَالْاَرْضَ مِنْهَا اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذلِكَ الدِّيْنُ الْقَيّمُ فَلَا تَظْلِمُوْا فِيهِنَّ اَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِيْنَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوْا اَنَّ اللهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ.

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার বিধানে আসমানসমূহ ও যমীনসমূহ সৃষ্টির দিন হতেই গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হারাম (যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ) মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এ মাসগুলোর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি যুলূম করো না। তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে জিহাদ করবে, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করে থাকে। আর জেনে রাখুন! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি মুত্তাক্বীন উনাদের সঙ্গে আছেন। (পবিত্র সূরাতুত তাওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৬)

 

মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার কতিপয় বরকতময় ঐতিহাসিক বিশেষ রাত ও দিন

 

(১৭)

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান

৮ই রবীউল আউওয়াল শরীফ

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান ৮ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابن عباس رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم: احبوا اهل بيتي لحبى.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।” সুবহানাল্লাহ! (আল-মুস্তাদরাক আলাছ্ ছহীহাঈন লিল্ হাকিম)

তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা জীবনী মুবারক জানা, উনাকে মুহব্বত মুবারক করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা ও অনুসরণ করা।

আর প্রত্যেক মুসলিম অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষে মাহফিলের আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আছ ছানী, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত ‘আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত ‘আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছানী তথা দ্বিতীয়।’ সুবহানাল্লাহ!

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালত মুবারক প্রকাশের ৯ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার দুই তারিখে ইয়াওমুল খমীস ছুবহে ছাদিকের সময় মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করে সমস্ত জিন-ইনসান ও তামাম কায়িনাতবাসীকে অফুরন্ত রহমত, বরকত, সাকীনা ও নিয়ামত মুবারক দানে ধন্য করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩১ বছর এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৪৬ বছর। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ‘আবনা’, সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পর উনার সম্মানিত নাম মুবারক রাখেন ‘সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়িব আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! আর ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি যেহেতু প্রায় ৭ দিন দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেন, তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার ৭ম দিন অর্থাৎ ৮ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সকালে দুটি দুম্বা বা খাসি দ্বারা সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর অনেক উট ও অন্যান্য পশু যবাই করে বিশেষ মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন। সুবহানাল্লাহ!

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস তিনি দুনিয়ার যমীনে প্রায় ৭ দিন অবস্থান মুবারক করেন। তিনি এই ৭ দিনই উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ঊলা আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত কোল মুবারক-এ বেমেছাল আদর-যতœ, স্নেহ-মমতা, মায়া-মুহব্বত মুবারক-এ লালিত-পালিত হন। সুবহানাল্লাহ!

আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৯ বছর বাকি থাকতে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক হাদিয়া মুবারক করে উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন মহাপবিত্র ৮ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া বাদ আছর। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজে উনার সম্মানিত লখতে জিগার ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত গোসল মুবারক করান এবং সম্মানিত কাফন মুবারক পরান এবং উনাকে উনার সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক-এ রাখেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের দু’চোখ মুবারক দিয়ে অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত হচ্ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান ৮ই রবীউল আউওয়াল শরীফ; যা ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা জীবনী মুবারক জানা, উনাকে মুহব্বত মুবারক করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা ও অনুসরণ করা। আর প্রত্যেক মুসলিম অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষে মাহফিলের আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

(১৮)

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ১০ই

রবীউল আউওয়াল শরীফ

সুমহান মহাপবিত্র ১০ই রবীউল আউওয়াল শরীফ- সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম উনাদের সুমহান মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًا.

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি চান হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরাতুল আহযাব শরীফ: ৩৩)

তাই সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের সম্মানার্থে উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ উনাদের সম্মানার্থে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনাদের পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার দিবস উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম অর্থাৎ আফযালুন নিসা ওয়ান নাস, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, ছদিক্বা, আশিক্বা, মা’শুকা, হাবীবাহ, মাহবুবাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মালিকাতুল জান্নাহ হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বি-রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, আল মুবাশ্শির সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১০ তারিখ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার যমীনে ২৫ বছর অবস্থান মুবারক করেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঈসায়ী ৫৫২ সন মুতাবিক শামসীপূর্ব ৮১ এবং হিজরীপূর্ব ৭১ সনের ৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার ফজর ওয়াক্তে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার পবিত্র নাযযার গোত্রের পবিত্র বনী যুহরায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক জাহির করেন। সুবহানাল্লাহ!

মশহূর ও গ্রহণযোগ্য মতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুশ শুহূর পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাাস উনার ১০ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) সকাল ৯টা-১০টার দিকে অর্থাৎ ইশরাক উনার ওয়াক্ত শেষ এবং চাশত বা দ্বোহা উনার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময় পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! প্রণিধানপ্রাপ্ত ও মশহূর মতে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র ‘আবওয়া’ নামক স্থানেই স্থাপিত রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ, ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, আল মুবাশ্শির সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনিও পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১০ তারিখ মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি ৮ম হিজরী সনের পবিত্র ২রা যিলহজ্ব শরীফ

লাইলাতুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার রাতে দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! দুনিয়াবী যিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ৬১ বছর। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক রাখেন সাইয়্যিদুনা হযরত ‘ইবরাহীম’ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি উনার সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সপ্তম দিনে উনার পক্ষ থেকে দুইটি সম্মানিত দুম্বা সম্মানিত আক্বীক্বাহ মুবারক দেন এবং উনার সম্মানিত মাথা মু-ন মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনিই শুধু উম্মুল মু’মিনীন ছানিয়া আশার হযরত ক্বিবতিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর অন্য সকল আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যেমে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আবনা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে ‘আর রাবি’ তথা চতুর্থ’। আর সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ‘আছ ছামিন’ তথা ‘অষ্টম’। সুবহানাল্লাহ!

ইবনু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি দশম হিজরী শরীফ উনার সাইয়্যিদুশ শুহূর সম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১০ তারিখে সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে কতদিন অবস্থান মুবারক করেছিলেন, এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বিভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। কোনো বর্ণনায় ১৬, কোনো বর্ণনায় ১৭ আর কোনো বর্ণনায় ১৮ মাস বলে উল্লেখ আছে। তবে ১৬ মাস এ মতটিই মশহুর ও ছহীহ। সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে দাফন মুবারক করা হয়। নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত কাফন মুবারক, সম্মানিত জানাযা উনার নামায মুবারক এবং উনাকে সম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখা ইত্যাদি নিজ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ!

মূলকথা হলো: সুমহান মহাপবিত্র ১০ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উনার এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম উনাদের সুমহান মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। তাই সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের সম্মানার্থে উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ উনাদের সম্মানার্থে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনাদের পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার দিবস উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা।

(১৯)

মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ

মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বরকতময় পবিত্র রাত্রি মুবারক। যে রাত্রি মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মুবারক তাশরীফ এনেছেন।

যেমন, এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন-

عن حضرت عفان رحمة الله عليه عن حضرت سليم بن حيان رحمة الله عليه عن حضرت سعيد بن مينا رحمة الله عليه عن حضرت جابر رضى الله تعالى عنه و حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه انهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول شريف

অর্থ: “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সালীম ইবনে হাইয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ যা বার হিসেবে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) প্রকাশ হয়েছিল।” (আসসীরাতুন নববিয়্যাহ লি ইবনে কাছীর, মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বা, বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ইত্যাদি)

যা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই- সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ যা সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ উনার বরকতময় রাত্রি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِه فَبِذلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُوْنَ.

অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরাহ্ ইঊসুছ শরীফ: ৫৮)

যা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই- সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ যা সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ উনার বরকতময় রাত্রি।

তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয হচ্ছে- সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম, মুহব্বত ও ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মুবারক রাত্রিটি পালন করা।

আর সকল দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ আয়োজনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা এবং পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফযীলত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।

আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক আনেন মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ই শরীফ। আর একারণেই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম শরীফ আর ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছেন- কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ অর্থাৎ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত ও দিন মুবারক। যা পালন করা মুসলমান তো অবশ্যই জিন-ইনসানসহ সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয এবং নাজাতেরও কারণ। যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!

উছুলে ফিক্হ উনার সমস্ত কিতাবেই উল্লেখ আছে যে, আদেশসূচক বাক্য দ্বারা সাধারণতঃ ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে থাকে। যেমন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ.

অর্থ: “তোমরা নামায আদায় করো, যাকাত আদায় করো এবং রুকূ’কারীদের সাথে রুকূ’ করো অর্থাৎ জামায়াতের সাথে নামায আদায় করো।” (পবিত্র সূরাতুল বাক্বারাহ শরীফ: ৪৩)

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই নামায ফরয সাব্যস্ত হয়েছে।

অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حضرت اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: انْهَكُوا الشَّوَارِبَ وَاَعْفُوا اللِّحَى

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “ তোমরা (পুরুষরা) মোঁচ ছোট কর আর দাড়ী লম্বা কর।” (আছ-ছহীহু লিল্ বুখারী)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই কমপক্ষে এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ী রাখা পুরুষের জন্য ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়েছে। ঠিক একইভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত فَلْيَفْرَحُوْا  ‘ফাল্ইয়াফরাহু’ অর্থাৎ ‘খুশি প্রকাশ করো’ এ আদেশসূচক বাক্য মুবারক দ্বারা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা বা মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে পবিত্র ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

আল্লামা হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্বখ্যাত গ্রন্থ ‘ফতহুল বারী’ কিতাব উনার ৯ম খ-, ১১৮ পৃষ্ঠায় এবং আল্লামা হযরত বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রচিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘উমদাতুল ক্বারী’ উনার ২০ খ- ৯৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-

ذكر السهيلىُّ رحمة الله عليه ان العباس عليه السلام قال لما مات ابو لهب رايته فى منامى بعد حول فى شر حال فقال ما لقيت بعدكم راحة الا ان العذاب يخفف عنى فى كل يوم اثنين وذلك ان النبى صلى الله عليه وسلم ولد يوم الاثنين وكانب ثويبة عليها السلام بشرت ابا لهب بمولده فاعتقها.

অর্থ: “হযরত ইমাম সুহাইলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আবূ লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর তাকে স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত (কঠিন) দুরাবস্থায় রয়েছে। সে বললো, (হে ভাই হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম!) আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোনো শান্তির মুখ দেখিনি। তবে হ্যাঁ, প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাঘব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি। হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আবূ লাহাবের এ আযাব লাঘব হয়ে শান্তিতে থাকার কারণ হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার দিন ছিলো ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)। সেই ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাঁদী হযরত সুয়াইবা আলাইহাস সালাম তিনি আবু লাহাবকে জানালেন, তখন আবু লাহাব উক্ত মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ উনার খুশির সংবাদ শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে হযরত সুয়াইবা আলাইহাস সালাম উনাকে তৎক্ষণাৎ আযাদ করে দেয়। এবং উনাকে উনার খিদমতে নিয়োযিত করেন।” সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে ‘মাওয়াহিবুল লাদুননিয়া’ কিতাবের বিখ্যাত শরাহ ‘শরহুয্ যারকানী’ কিতাবের ১ম খ-ের ২৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

قال ابن الـجزرى فاذا كان هذا الكافر الذى نزل القران بذمه جوزى فـى النار بفرحه ليلة مولد النبى صلى الله عليه وسلم به فما حال المسلم الـموحد من امته عليه السلام يسر بـمولده ويبذل ما تصل اليه قدرته فى مـحبته صلى الله عليه وسلم لعمرى انـما يكون جزاؤه من الله الكريـم ان يدخل بفضله العميم جنات النعيم.

অর্থ: হযরত ইবনুল জাযরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আবু লাহাবের মতো কাট্টা কাফির যার নিন্দায় কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ ও সূরা শরীফ পর্যন্ত নাযিল হয়েছে, তাকে যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর রাত্রিতে আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারণে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের কোন মুসলমান যদি ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তার সাধ্যানুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে তাহলে তাদের অবস্থা কিরূপ হবে? নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ফযল ও করমে অবশ্যই অবশ্যই তাকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।”  সুবহানাল্লাহ!  (মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খ-, ৮৩ পৃষ্ঠা)

যেহেতু বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ জনগণ মুসলমান, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী মুসলমান। পাশাপাশি বাংলাদেশে সম্মানিত ‘ইসলাম’ উনাকে রাষ্ট্রদ্বীন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের জন্য আলাদাভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের মাস তথা সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম, মহাপবিত্র মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী সারাদেশে ব্যাপক ও শান-শওকতপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং যথাযথ তা’যীম-তাকরীম ও শান-শওক্বতের সাথে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের লক্ষ্যে আলাদা বাজেট করে যথাযথভাবে পালনের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এ উপলক্ষে কমপক্ষে একমাস ছুটি প্রদান করা।

তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয হচ্ছে- সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম, মুহব্বত ও ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মুবারক দিন ও রাত্রিটি পালন করা। আর সকল দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ আয়োজনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা। এবং পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও ফযীলত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।

 

অসমাপ্ত

পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮