পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৪১

সংখ্যা: ২৬১তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করার পর-

৩২তম ফতওয়া হিসেবে

“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-

পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শাখছী’ অর্থাৎ নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ উনার অনুসরণ করা জরুরী সম্পর্কিত দলীল-আদিল্লাহ

পবিত্র হাদীছ শরীফ নম্বর- ৫

عَنْ حضرت صَالِحٍ يَعْنِى ابْنَ حَىٍّ رحمة الله عليه قَالَ قَالَ حضرت الشَّعْبِىُّ رحمة الله عليه: مَنْ سَرَّه اَنْ يَّاخُذَ بِالْوَثِيْقَةِ مِنَ الْقَضَاءِ فَلْيَاْخُذْ بِقَضَاءِ حضرت عُمَرَ عليه السلام فَاِنَّه كَانَ يَسْتَشِيْرُ.

অর্থ: হযরত ছালিহ ইবনে হাই রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানীফাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত উস্তাদ) বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি বিচার ক্ষেত্রে কোন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির অনুসরণ করে খুশি হতে চায়, সে যেন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ফায়ছালা গ্রহণ করে। কেননা তিনি মাজলিসে শূরা উনার পরামর্শদাতা ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (আস-সুনানুল কুবরা লিল্ বাইহাক্বী অধ্যায় ৬৪: বাবু মুশাওয়ারাতিল্ ওয়ালী ওয়াল ক্বাদ্বা ফিল আমর ক্বালাল্লাহু জাল্লা ছানাউহূ ‘ওয়া শাবিরহুম ফিল্ আমর’ ২০৮০১ নম্বর হাদীছ শরীফ ১০ম খ- ১০৯ পৃষ্ঠা লেখক: হযরত আবূ বকর আহমাদ বিন হুসাঈন বিন আলী বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রকাশনা: মাজলিসু দায়িরাতিল মায়ারিফিন্ নিযামিয়্যাতিল কায়িনাহ ফিল হিন্দ বিবালদাতি হায়দারাবাদ প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ ১৩৪৪ হিজরী খ-: ১০)

পবিত্র হাদীছ শরীফ নম্বর- ৬

عَن حضرت الشَّعْبِىِّ رحمة الله عليه قَالَ: اِذَا اخْتَلَفَ النَّاسُ فِىْ شَىْءٍ فَانْظُرْ كَيْفَ صَنَعَ فِيْهِ حضرت عُمَرُ عليه السلام فَاِنَّه كَانَ لَايَصْنَعُ شَيْئًا حَتّى يَسْاَلَ وَيُشَاوِرَ.

অর্থ: (ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানীফাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত উস্তাদ) বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: মানুষদের মধ্যে কোন ব্যাপারে মতানৈক্য দেখা দিলে লক্ষ্য করুন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উক্ত ব্যাপারে কি ফায়ছালা দিয়েছেন। কেননা, নিশ্চয়ই তিনি পরামর্শ করা ছাড়া কোন ফায়সালা দিতেন না। সুবহানাল্লাহ! (আস-সুনানুল কুবরা লিল্ বাইহাক্বী অধ্যায় ৬৪: বাবু মুশাওয়ারাতিল্ ওয়ালী ওয়াল ক্বাদ্বা ফিল আমর ক্বালাল্লাহু জাল্লা ছানাউহূ ‘ওয়া শাবিরহুম ফিল্ আমর’ ২০৮০১ নম্বর হাদীছ শরীফ ১০ম খণ্ড ১০৯ পৃষ্ঠা লেখক: হযরত আবূ বকর আহমাদ বিন হুসাঈন বিন আলী বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রকাশনা: মাজলিসু দায়িরাতিল মায়ারিফিন্ নিযামিয়্যাতিল কায়িনাহ ফিল হিন্দ বিবালদাতি হায়দারাবাদ প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ ১৩৪৪ হিজরী খণ্ড: ১০)

উক্ত দুখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ শাখছী’ অর্থাৎ নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ উনার অনুসরণ করার নির্দেশ পাওয়া যায়।

পবিত্র হাদীছ শরীফ নম্বর- ৭

عن حضرت الاعمش رحمة الله عليه عن حضرت ابراهيم النخعى رحمة الله عليه انه كان لايعدل بقول حضرت عمر عليه السلام و حضرت عبد الله رضى الله عنه اذا اجتمعا، فاذا اختلفا كان قول عبد الله اعجب اليه لانه الطف.

অর্থ: তাবে’ তাবিয়ীন হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইবরাহীম নখয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নিশ্চয়ই বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইবরাহীম নখয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের ঐক্যমত সম্বলিত সিদ্ধান্তের মুকাবিলায় অন্য কাউকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন না। তবে উভয়ের মাঝে ইখতিলাফ দেখা দিলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার মতামতই উনার কাছে অগ্রাধিকার পেত। সুবহানাল্লাহ! (আল-ইছাবাহ্ ফী তামীযিছ্ ছহাবাহ্ লেখক: ইমাম হাফিয আহমাদ বিন আলী বিন হাজার আস্কালানী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮৫২ হিজরী)

ব্যাখ্যা: (১) অত্র বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার গ্রহণযোগ্যতা কতখানি। আর এটা সর্বজন স্বীকৃত যে, আমাদের হানাফী মাযহাব উনার অধিকাংশ ফায়ছালা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার বর্ণনা বা ফায়ছালার উপর নির্ভরশীল। (২) বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইবরাহীম নখয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথা মতে, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের মধ্যে কোন বিষয়ে বিপরীত মত দেখা দিলে হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার মতই প্রাধান্য পেত। যেহেতু হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি সর্বদাই শেষের বর্ণনাকে প্রাধন্য দিতেন। আর শেষের আমলের উপর চুড়ান্ত ফায়ছালা হয়ে থাকে। অন্যদিকে আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তো প্রথমদিকের ছাহাবী ছিলেন।

এখান থেকেও ‘আত-তাক্বলীদুশ শাখছী’ অর্থাৎ নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ উনার অনুসরণ করার নির্দেশ পাওয়া যায়। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ নম্বর- ৮

وقال حضرت الجريرى رحمة الله عليه عن حضرت ابى تميمة رحمة الله عليه قدمنا الشام فاذا الناس مجتمعون يطيفون برجل قال قلت من هذا قالوا هذا افقه من بقى من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم هذا عمرو البكالى رضى الله عنه.

অর্থ: তাবে’ তাবিয়ীন হযরত জারীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত আবূ তামীমাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বলেন: (তিনি হযরত আবূ তামীমাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন): আমরা শাম বা সিরিয়ায় গিয়ে দেখি যে, লোকেরা একত্রিত হয়ে একজন ব্যক্তিত্বকে ঘিরে বসে আছেন। রাবী হযরত আবূ তামীমাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি বললাম উনি কে? তখন উপস্থিত লোকজন জাওয়াবে বললেন: নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবশিষ্ট হযরত ছহাবাহ্ কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে ইনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ফক্বীহ ছহাবী। উনার নাম মুবারক হচ্ছে হযরত আমর বুকালী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু। সুবহানাল্লাহ! (এখানে আল-বুকালী, আল-বিকালী ও আল-বাকালী তিন ক্বিরায়াত-ই শুদ্ধ)। (ই’লামুল মূক্বিঈন আন রব্বিল আলামীন ১ম খ- ১৮ পৃষ্ঠা লেখক: হযরত মুহম্মদ বিন আবূ বকর আইয়্যূব যুরঈ আবূ আব্দিল্লাহ ইবনে কাইয়ি্যুম জাওযিয়্যাহ প্রকাশনা: দারুল জাইল বইরূত লেবনান ১৯৭৩ ঈসায়ী সনে প্রকাশ খ- সংখ্যা:৪)

পবিত্র হাদীছ শরীফ নম্বর- ৯

قال حضرت محمد بن جرير رحمة الله عليه: لم يكن احد له اصحاب معروفون حرروا فتياه ومذاهبه فى الفقه غير حضرت ابن مسعود رضى الله عنه وكان يترك مذهبه وقوله لقول حضرت عمر عليه السلام وكان لا يكاد يخالفه فى شىء من مذاهبه ويرجع من قوله الى قوله وقال حضرت الشعبى رحمة الله عليه: كان حضرت عبد الله رضى الله عنه لا يقنت وقال ولو قنت حضرت عمر عليه السلام لقنت حضرت عبد الله رضى الله عنه.

অর্থ: হযরত মুহম্মদ বিন জারীর ত্ববারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: হযরত ছহাবাহ্ কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কোন সঙ্গিদের মধ্যে উনার ফাতাওয়া সমূহ লেখা ও উনার ফিক্হী মতামত লিখে গ্রন্থবদ্ধ করার কেউ ছিলেন না। তবে বিশিষ্ট ফক্বীহ ছহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনি এর ব্যতিক্রম। কেননা, তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত একটি মাযহাব তথা চুড়ান্ত ফায়সালা রেখে গেছেন (ইহাই হানাফী মাযহাব, যেহেতু ইমাম আ’যম আবূ হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার নীতি অনুসারে নিজের মাযহাবকে সাজিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!)। এতদসত্ত্বেও তিনি হযরত ফারূক্বে আলাইহিস সালাম উনার ফায়ছালা অনুযায়ী ফাতাওয়া দিতেন। পারতপক্ষে তিনি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ফায়ছালার সাথে ইখতিলাফ করেননি। বরং নিজের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করে উনার ফায়ছালাই মেনে নিতেন। হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি কুনূত পড়তেন না। কিন্তু হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কুনূত পড়লে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনিও অবশ্যই তা পড়তেন। (ই’লামুল মূক্বিঈন আন রব্বিল আলামীন পরিচ্ছেদ: হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম ১ম খ- ২০ পৃষ্ঠা লেখক: হযরত মুহম্মদ বিন আবূ বকর আইয়্যূব যুরঈ আবূ আব্দিল্লাহ ইবনে কাইয়ি্যুম জাওযিয়্যাহ প্রকাশনা: দারুল জাইল বইরূত লেবনান ১৯৭৩ ঈসায়ী সনে প্রকাশ খণ্ড সংখ্যা:৪)

পবিত্র হাদীছ শরীফ নম্বর- ১০

عَنْ حضرت اَبِىْ بُرْدَةَ رضى الله عنه قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حضرت اَبَا مُوْسى رضى الله عنه وَ حضرت مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ رضى الله عنه اِلَى الْيَمَنِ قَالَ وَبَعَثَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى مِخْلَافٍ قَالَ وَالْيَمَنُ مِخْلَافَانِ.

অর্থ: হযরত আবূ বুরদাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের দু’জনকে ইয়ামান ভূখণ্ডে পাঠালেন। রাবী বলেন: উনাদের দু’জনের প্রত্যেককেই একেক এলাকায় পাঠালেন। রাবী বলেন: এ দু’টি ইয়ামানের আলাদা অঞ্চল। (আল-জামিউছ ছহীহুল মুসনাদু মিন হাদীছি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়ামিহী অর্থাৎ আছ-ছহীহু লিল বুখারী অধ্যায় ৬৭: কিতাবুল মাগাযী পরিচ্ছেদ ৫৭: বাবু বা’ছি আবী মূসা ওয়া মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ইলাল ইয়ামান ক্ববলা হাজ্জাতিল ওয়াদা হাদীছ শরীফ নম্বর: ৪০৮৬ ১ম খ- ১৫৭৮ পৃষ্ঠা লেখক: হযরত আবূ আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বুখারী জু’ফী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ২৫৬ প্রকাশনা: দারু ইবনি কাছীর-ইয়ামামাহ্-বইরূত লেবানন, তৃতীয় প্রকাশ: ১৪০৭ হিজরী মুতাবিক ১৯৮৭ ঈসায়ী, খণ্ড সংখ্যা: ৬; মুসনাদ আহমাদ বিন হাম্বল ৪র্থ খণ্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা হাদীছ শরীফ নম্বর: ১৯৭৫৭ লেখক: ইমাম আবূ আব্দিল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বিন হিলাল বিন আসাদ শাইবানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ২৪১ হিজরী প্রকাশনা: মুয়াস্সাসাহ্ কুরতুবাহ-কাহিরাহ্ (কায়রো)-মিশর, খণ্ড সংখ্যা: ৬, প্রকাশনা: আলিমুল কুতুব-বইরূত নেবানন প্রকাশকাল: ১৪১৯ হিজরী মুতাবিক ১৯৯৮ ঈসায়ী খ- সংখ্যা: ৬)

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে বুঝা গেল যে, হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে ইয়ামানের এক অঞ্চলে আর হযরত মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে ইয়ামানের অন্য একটি অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল। অর্থাৎ ইয়ামানের দু’অঞ্চলে দু’জনকে পৃথক পৃথকভাবে ক্বাযী বা ফাতাওয়াদাতা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। উক্ত পৃথক এলাকার জনসাধারণ প্রেরিত শুধু একজনকেই অনুসরণ করেছিলেন। এতে প্রমাণ হয় যে, ইয়ামানের হযরত ছহাবাহ্ কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বকেই অনুসরণ করতেন। ইহাই তো ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শাখছী বা নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ’ উনার অনুসরণ।

পবিত্র হাদীছ শরীফ নম্বর- ১১

مَا كَانَ يَبْعَثُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْاُمَرَاءِ وَالرُّسُلِ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ.

অর্থ: নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজনের পর অন্যজনকে এক এক এলাকায় আমীর ও দূত হিসেবে পাঠাতেন। (আল-জামিউছ ছহীহুল মুসনাদু মিন হাদীছি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়ামিহী অর্থাৎ আছ-ছহীহু লিল বুখারী অধ্যায় ৯৮: কিতাবুত তামান্না পরিচ্ছেদ নম্বর: ১৩ হাদীছ শরীফ ৬ষ্ঠ খণ্ড ২৬৫১ পৃষ্ঠা লেখক: হযরত আবূ আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বুখারী জু’ফী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ২৫৬ প্রকাশনা: দারু ইবনি কাছীর-ইয়ামামাহ্-বইরূত লেবানন, তৃতীয় প্রকাশ: ১৪০৭ হিজরী মুতাবিক ১৯৮৭ ঈসায়ী, খণ্ড সংখ্যা: ৬)

ব্যাখ্যা: অত্র বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে একেকজনকে আমীর, দূত, ক্বাযী বা ফাতাওয়াদাতা হিসেবে পাঠাতেন। প্রত্যেক হযরত ছহাবাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা তৎসমূদয় অঞ্চলে যে যে ফাতাওয়া প্রকাশ করতেন, সে ফাতাওয়া অনুযায়ী সকলেই তা পালন করতেন। বিশেষত: সে স্থানে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল তৎসমূদয় স্থানের লোকেরা শুধু উনারই ফাতাওয়া বা ফায়সালাকে গ্রহণ করতেন। আর ইহাই তো ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শাখছী বা নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ’ উনাকে অনুসরণ।

আত-তাক্বলীদুশ্ শাখছী’ অর্থাৎ নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ উনার অনুসরণ করা জরুরী

সম্পর্কিত আরো কতক দলীল

‘আত-তাক্বলীদুশ শাখছী বা নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ উনার অনুসরণ’ দ্বারা বুঝায় হক্কানী-রব্বানী ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের প্রতিষ্ঠিত মাযহাব বা হক্ব উনার সঠিক পথ। এ মাযহাব ক্বিরায়াত, ফিক্হ, আক্বায়িদ ও তাছাওউফ বিষয়ে হয়ে থাকে। কেননা, (১) আমাদের হানাফী মাযহাব উনার অনুসারীদের জন্য ক্বিরায়াত উনার মাযহাব হচ্ছে ‘আছিমী মাযহাব’। যেহেতু আমাদের মাযহাব উনার মহান ইমাম ২য় হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত আবূ হানীফাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বিরায়াত উনার উস্তায বা শিক্ষক ছিলেন বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইমাম আছিম কূফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। আর তিনি উনারই ক্বিরায়াতকে গ্রহণ করেছেন। (২) আমাদের হানাফী মাযহাব উনার ফিক্হী মাযহাব অর্থাৎ মাসায়িল সম্পর্কিত মাযহাব হচ্ছে বিশ্ববরেণ্য সর্বাধিক অনুসরণীয় সর্বশ্রেষ্ঠ ‘হানাফী মাযহাব’। যেহেতু তিনি নিজেই এ মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা। (৩) আমাদের হানাফী মাযহাব উনাদের আক্বায়িদী মাযহাব হচ্ছে ‘মাতুরীদী মাযহাব’। এ মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হলেন চতুর্থ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ ইমামু আহলিস্ সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ্ হযরত আবূ মানছূর মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওয়াফাত: ৩৩৩ হিজরী)। উনি আক্বায়িদ ও ফিক্হ বা মাসায়িল বিষয়ে ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানীফাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে অনুসরণ করে আক্বায়িদী মাযহাব প্রতিষ্ঠা করেন। আর এই আক্বায়িদী মাযহাবই হচ্ছেন হানাফীদের আক্বায়িদী মাযহাব। (৪) আমাদের হক্ব তালাশী মু’মিন-মুসলমান সকলের জন্য তাছাওউফ উনার মাযহাব হচ্ছে স্বীয় মুরশিদ বা শায়েখ উনার প্রদত্ত ত্বরীক্বাহ। যার যার শায়েখ যে ত্বরীক্বাহ্ উনার সবক দিবেন উক্ত ব্যক্তির জন্য সেই ত্বরীক্বা-ই তাঁর মাযহাব বা নৈকট্য মুবারক পাওয়ার পথ। যেমন: ক্বাদিরিয়া ত্বরীক্বা, চীশতিয়া ত্বরীক্বা, নক্শবন্দিয়া ত্বরীক্বা, মুজাদ্দিদিয়া ত্বরীক্বা, আওর মুহম্মদয়িা ত্বরীক্বা ইত্যাদী।

কোন ব্যক্তি যখন নির্দিষ্ট কোন হক্কানী-রব্বানী ওয়ালীআল্লাহ উনার হাত মুবারকে বাইয়াত গ্রহণ করেন, তখন উনার এই বাইয়াত হওয়ার মাধ্যমে একই সাথে ক্বিরায়াত, ফিক্হ, আক্বায়িদ ও তাছাওউফ সংশ্লিষ্ট মাযহাব উনাদের ইত্তিবা করার স্বীকৃতি প্রমাণিত হয়। কারণ, একজন হক্কানী-রব্বানী ওয়ালীআল্লাহ উনি উক্ত মাযহাব উনাদের অনুসারী হয়েই নৈকট্যের উচ্চ মর্যাদায় সমাসীন হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

নিম্নে ‘আত-তাক্বলীদুশ শাখছী তথা নির্দিষ্ট ইমাম-মুজতাহিদ উনার অনুসরণ করা’ অর্থাৎ উল্লেখিত নির্দিষ্ট মাযহাব উনাদের ইমাম উনাদেরকে তথা উনাদের মাযহাবকে অনুসরণ করা যে ফরয-ওয়াজিব তা দলীলভিত্তিক আলোচনা করা হলো:

قالوا الواجب على المقلد المطلق اتباع مجتهد فى جميع المسائل فلا يجوز له ان يعمل فى واقعة الا بتقليد مجتهد اىَّ مجتهد كان. (المعلومة للامام ملا على القارى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه

অর্থ : হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন : প্রকৃত মুকাল্লিদ (অনুসারী) উনার জন্য সমস্ত মাসয়ালায় কোন একজন (মাযহাব উনার) ইমাম-মুজতাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুসরণ করা ওয়াজিব। অতএব, মুকাল্লিদের পক্ষে কোন একজন মুজতাহিদ উনাকে ত্যাগ করে কোন ঘটনার উপর আমল করা জায়িয নেই। (আল্ মা’লূমাহ-ইমাম হযরত মুল্লা আলী ক্বারী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, বুরহানুল্ মুকাল্লিদীন বা মাযহাব মীমাংসা-খ্যাতনামা পীর, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, মুবাহিছ, ফক্বীহ, হাফিযুল্ হাদীছ, শাহ ছূফী আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা আল্লামা মুহম্মদ রূহুল আমিন বশীরহাটী ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৫৪ পৃষ্ঠা, ছাইফুল মাযাহিব মাযহাবের গুরুত্ব- মাওলানা মুফতী মুহম্মদ ইসমাঈল হুসাঈন ইসলামনগরী পাবনায়ী হানাফী মাতুরীদী ৬২ পৃষ্ঠা)

المختار ان المحصل لعلم معتبر كالاصول و الفروع  اذا لم يبلغ رتبة الاجتهاد يلزمه التقليد كما يلزم العامى الصرف. (كتاب ابن سياطى)

অর্থ : আসল কথা হলো: উছূল (মৌলিক) ও ফুরূ’ (শাখামূলক) মাসয়ালা নির্নয়ের ব্যাপারে কারো ইজতিহাদ করার ক্ষমতা না থাকলে, তার উপর অন্য ইমাম (পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয়ের যে কোন একজন) উনার তাকলীদ বা অনুসরণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। যেরূপ নেহায়েত সাধারণ লোকের জন্য একজন ইমামের তাকলীদ করা ওয়াজিব। (কিতাবু ইবনে  ছায়াতী, বুরহানুল্ মুকাল্লিদীন বা মাযহাব মীমাংসা-খ্যাতনামা পীর, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, মুবাহিছ, ফক্বীহ, হাফিযুল্ হাদীছ, শাহ ছূফী আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা আল্লামা মুহম্মদ রূহুল আমিন বশীরহাটী ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৫৪ পৃষ্ঠা, ছাইফুল মাযাহিব মাযহাবের গুরুত্ব- মাওলানা মুফতী মুহম্মদ ইসমাঈল হুসাঈন ইসলামনগরী পাবনায়ী হানাফী মাতুরীদী ৬২ পৃষ্ঠা)

يجب على العامى و غيره ممن لم يبلغ مرتبة الاجتهاد التزم مذهب معين من مذاهب المجتهدين .

অর্থ : সাধারণ ও অন্যান্য যারা ইজতিহাদ করার যোগ্যতা রাখে না তাদের প্রতি যে কোন নির্দিষ্ট একজন ইমাম উনার পবিত্র মাযহাব (হানাফী অথবা  মালিকী অথবা শাফিয়ী নতুবা হাম্বালী) উনাকে অনুসরণ করা ওয়াজিব। (জামউল্ জাওয়ামি’-হযরত আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন মহল্লী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, বুরহানুল্ মুকাল্লিদীন বা মাযহাব মীমাংসা-খ্যাতনামা পীর, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, মুবাহিছ, ফক্বীহ, হাফিযুল্ হাদীছ, শাহ ছূফী আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা আল্লামা মুহম্মদ রূহুল আমিন বশীরহাটী ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৫৫ পৃষ্ঠা, ছাইফুল মুকাল্লিদীন বা মাছায়িলে হানাফিয়া-মুফতী আল্লামা মুহম্মদ ইব্রাহীম মুহাব্বতপূরী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘পাঁচবিবি বগুড়া’ ২৩১ পৃষ্ঠা, ছাইফুল মাযাহিব মাযহাবের গুরুত্ব- মাওলানা মুফতী মুহম্মদ ইসমাঈল হুসাঈন ইসলাম নগরী পাবনায়ী হানাফী মাতুরীদী ৬৩ পৃষ্ঠা)

وقطع الكيا الـهراسى بانه يجب على العامى ان يلزم مذهبا معينا و اختار فى جمع الجوامع انه يجب ذلك. (عقد الجيد فى احكام الاجتهاد و التقليد للامام شاه ولى الله احمد بن عبد الرحيم المحدث الدهلوى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۷۹، جمع الجوامع للعلامة الامام جلال الدين المحلى الشافعى الاشعرى رحمة الله عليه)

অর্থ : হযরত আল্লামা ইমাম কায়াল্ হিরাসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্থির সিদ্ধান্ত করে বলেছেন যে, সর্বসাধারণ ব্যক্তির জন্য (চার মাযহাব উনাদের) যে কোনো একটি মাযহাব নির্দিষ্টভাবে লাযিম করে নেয়া ওয়াজিব। আর হযরত জালালুদ্দীন মহল্লী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘জামউল্ জাওয়ামি’ কিতাবে যে কোনো একটি মাযহাব উনার অনুসরণ করাকে ওয়াজিব বা ফরয হওয়ার মতকেই মনোনীত করেছেন। (ইক্দুল্ জীদ ফী আহকামিল্ ইজতিহাদ ওয়াত্ তাকলীদ-হযরত ইমাম শাহ ওয়ালিউল্লাহ আহমদ বিন আব্দুর রহীম মুহাদ্দিছ দিহলবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৭৯ পৃষ্ঠা, জামউল্ জাওয়ামি’-হযরত আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন মহল্লী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, বুরহানুল্ মুকাল্লিদীন বা মাযহাব মীমাংসা-খ্যাতনামা পীর, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, মুবাহিছ, ফক্বীহ, হাফিযুল্ হাদীছ, শাহ ছূফী আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা আল্লামা মুহম্মদ রূহুল আমিন বশীরহাটী ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৫৫ পৃষ্ঠা, ছাইফুল মাযাহিব মাযহাবের গুরুত্ব- মাওলানা মুফতী মুহম্মদ ইসমাঈল হুসাঈন ইসলামনগরী পাবনায়ী হানাফী মাতুরীদী ৬৩ পৃষ্ঠা)

بل على كل مقلد اتباع مقلده فى كل تفصيل فان مخالفته للمقلد متفق على كونه منكرا بين المحصلين. (احياء علوم الدين للامام الغزالى الشافعى رحمة الله عليه)

অর্থ : প্রত্যেক মুকাল্লিদের প্রতি প্রত্যেকটি বিষয়ে একই ইমাম উনার অনুসরণ করা ওয়াজিব। কেননা হক্কানী উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের এ ব্যাপারে একই মতামত যে, নিজ মাযহাব উনার খিলাফ করা নিষেধ। (ইহ্ইয়াউ উলূমিদ্দীন-হযরত ইমাম গাযালী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, বুরহানুল্ মুকাল্লিদীন বা মাযহাব মীমাংসা-খ্যাতনামা পীর, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, মুবাহিছ, ফক্বীহ, হাফিযুল্ হাদীছ, শাহ ছূফী আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা আল্লামা মুহম্মদ রূহুল আমিন বশীরহাটী ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৫৬ পৃষ্ঠা, ছাইফুল মুকাল্লিদীন বা মাছায়িলে হানাফিয়া-মুফতী আল্লামা মুহম্মদ ইব্রাহীম মুহাব্বতপূরী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘পাঁচবিবি বগুড়া’ ২৩১ পৃষ্ঠা, ছাইফুল মাযাহিব মাযহাবের গুরুত্ব- মাওলানা মুফতী মুহম্মদ ইসমাঈল হুসাঈন ইসলামনগরী পাবনায়ী হানাফী মাতুরীদী ৬৩-৬৪ পৃষ্ঠা)

قرار داد علماء و مصلحات دید ایشان  کہ در آخر زمان تعین مذہب و تخصیص مذہب ہست

অর্থ: হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কিরাম উনারা স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এর মধ্যে খইর বরকত ও ভালাই দেখেছেন যে, আখিরী যামানায় নির্দিষ্ট মাযহাব নির্দিষ্টভাবে গ্রহণ বা অনুসরণ করা ফরয-ওয়াজিব। (সিফরুস সায়াদাত ২১ পৃষ্ঠা)

قَالَ الْعَارِفُ الشَّعْرَانِيُّ : فَإِنْ قُلْت فَهَلْ يَجِبُ عَلَى الْمَحْجُوبِ عَن الِاطِّلَاعِ عَلَى الْعَيْنِ الْأُولَى التَّقَيُّدُ بِمَذْهَبٍ مُعَيَّنٍ ؟

فَالْجَوَابُ: نَعَمْ يَجِبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ لِئَلَّا يَضِلَّ فِي نَفْسِهِ وَيُضِلَّ غَيْرَهُ.

অর্থ: হযরত ইমাম আরিফ শা’রানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যদি আপনি প্রশ্ন করেন, যে লোক শরীয়াত উনার প্রথম ঝরণা (পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ) উনার প্রকৃত মর্মার্থ সম্পর্কে জানে না, তার জন্য কি (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো- হ্যাঁ, সে লোকের জন্য (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে। কেননা, নির্দিষ্ট মাযহাব গ্রহণ না করলে সে লোক নিজেই গুমরাহ হবে এবং অপরকেও গুমরাহ করবে। (আল্ খুলাছাহ ফী আহকামিল্ ইজতিহাদ ওয়াত্ তাকলীদ: আলী বিন নায়িফ শাহূদ ১ম খন্ড ৮৬ পৃষ্ঠা, ফাতহুল্ আলিল্ মালিক ফিল্ ফাতাওয়া আলা মাযহাবিল ইমাম মালিক মাশহূর ‘ফাতাওয়া ইবনু আলীশ রহমাতুল্লাহি আলাইহি’: হযরত মুহম্মদ বিন আহমদ বিন মুহম্মদ আলীশ মালিকী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম ১২১৭ হিজরী ওফাত ১২৯৯ হিজরী ১ম খন্ড ২৫১ পৃষ্ঠা, মীযানুশ শা’রানী-আল্লামা ইমাম শা’রানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৯ পৃষ্ঠা)

و كان سيدي على الخواس رحمه الله تعالى اذا ساله انسان عن التقليد بمذهب معين الان هل هو واجب ام لا ؟ يقول له يجب عليك التقليد بمذهب ما دمت لم تصل الى عين الشريعة الاولى خوفا من الوقوع فى الضلالة و عليه عمل الناس اليوم .

অর্থ: যখনই কোন লোক বর্তমানে (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) যে কোন একটি নির্দিষ্ট মাযহাব অবলম্বন করা ওয়াজিব কি না ? এ সম্পর্কে হযরত সাইয়্যিদী আলী খাওওয়াস রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হতো, তখনই তিনি সে ব্যক্তিকে বলতেন, যতক্ষণ তুমি ইসলামী শরীয়াত উনার প্রথম ঝরণা (পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ) উনাদের পরিপূর্ণ তাৎপর্য্য অবগত না হও, ততক্ষণ গোমরাহীতে পতিত হওয়ার আশঙ্কায় তোমার প্রতি এক নির্দিষ্ট  মাযহাব উনাদের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে। এটাই সকল মু’মিন-মুসলিমের সর্বসম্মত সম্মিলিত আমল অর্থাৎ বর্তমান যামানা পর্যন্ত সকল মুসলমান এ চার মাযহাব উনাদের অনুসরণ করে আসছেন। যা অস্বীকার করার উপায় নেই। (মীযানুশ শা’রানী-আল্লামা ইমাম শা’রানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩০ পৃষ্ঠা)

ينبوع ‘ইয়াম্বু’ কিতাবে ‘শিফায়ে ইয়াজ’ কিতাব থেকে উল্লেখ করিতেছেন-

وفى الشفاء للعياض يتاكد عليك غاية التأكيد الذى لا رخصة فيه ان لا تفضل بعض المذاهب على بعض تفضيلا يودى الى تنقيض المفضل عليه فان ذلك يودى المقت و الخزى فى الدنيا و الاخرة و سيأتى عن الله انه قال من اذى لى وليا فقد اذنته للحرب و علماء المسلمين العاملين كلهم اولياء الله تعالى غير شك و لا ريب و كثير ما يودى لتفيل الى الخصام القبيح بين السفهاء و من لا خلو قلهم و لا تقواى الى ان يظهر من بعضهم قبيح الا صبية و حميبة الجاهلية.

অর্থাৎ : তোমাকে সাবধান করে দেয়া যাচ্ছে যে, কোনও মাযহাবকে এরূপ সম্মান দেখাবে না যাতে একটির চেয়ে অপরটি নিকৃষ্ট প্রমাণ হয়। এরূপ কার্য্য দুনিয়া ও আখিরাতে আযাব ও গ্লানীর উপযুক্ত করে। মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন প্রিয়জনকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে আমি যুদ্ধের জন্য আহ্বান করছি এবং নি:সন্দেহ বাআমল আলিমগণ সকলেই আল্লাহর ওলী (পরস্পর মাযহাবের মধ্যে তুলনা করতে যেয়ে লোকে ওলী আওলিয়াগণ উনাদের প্রতি দোষারোপ করে থাকে) এবং ধর্ম জ্ঞানহীন ইতর স্বভাবের লোকের মধ্যে অতি জঘণ্য ঝগড়া কলহের সূত্রপাত হয়ে এমন কি এতে মূর্খতাজনিত অহঙ্কার ও নিকৃষ্টতার পরিচয় পাওয়া যায়।” (ফতোয়ায়ে ছিদ্দীকিয়া : মাহবূবে ছুবহানী, কুতুবে রব্বানী, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, দাফিউল্ বিদ্য়াত, রাহবারে মিল্লাত, আমীরুশ্ শরীয়াত ওয়াত্ তরীকাত, আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ্ ছূফী নিছারুদ্দীন আহমদ ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি চতুর্থ অধ্যায় ২২১-২২২ পৃষ্ঠা, শিফায়ে ইয়াজ, ইয়াম্বু)

উল্লেখিত সংক্ষিপ্ত দলীল থেকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, নির্দিষ্ট মাযহাব উনার অনুসরণ করা ফরয-ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁ, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩২