পবিত্র খইরুল কুরূনে পবিত্র মক্কা শরীফে অর্থাৎ মসজিদুল হারাম শরীফে পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বানে সারা রাত ইবাদত-বন্দেগী হতো

সংখ্যা: ২৬১তম সংখ্যা | বিভাগ:

বাতিল ফিরকারা বলে থাকে- পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বিদয়াত। খইরুল কুরূনে কেউ পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পালন করেন নাই। নাউযুবিল্লাহ! কেউ এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করেন নাই। নাউযুবিল্লাহ!

অথচ ইতিহাস সাক্ষী- খাইরুল কুরুনে পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পালন হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১২শ বছর আগে মুহম্মদ ইবনে ইসহাক আল মক্কী আল ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৭২ হিজরী)  কর্তৃক পবিত্র  মক্কা শরীফ উনার আমল ও  ইতিহাস নিয়ে রচিত কিতাব “আখবারুল মক্কা”। উক্ত কিতাবে পবিত্র মক্কা শরীফে যে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পালন হতো তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে-

وأهل مكة فيما مضى إلى اليوم إذا كان ليلة النصف من شعبان، خرج عامة الرجال والنساء إلى المسجد، فصلوا، وطافوا ، وأحيوا ليلتهم حتى الصباح بالقراءة في الـمسجد الحرام، حتى يختموا القرآن كله، ويصلوا، ومن صلى منهم تلك الليلة مائة ركعة يقرأ فى كل ركعة بـالحمد، و قل هو الله أحد عشر مرات، وأخذوا من ماء زمزم تلك الليلة، فشربوه، واغتسلوا به، وخبؤوه عندهم للمرضى، يبتغون بذلك البركة فى هذه الليلة، وروى فيه أحاديث كثيرة. (اخبار مكة للفاكهى ابو عبد الله محمد بن اسحاق بن العباس الـمكى الفاكهى)

অর্থ: অতীত থেকে বর্তমানকাল অবধি পবিত্র  মক্কা শরীফ উনার সকল অধিবাসীগণ পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যবর্তী রাতে মসজিদে গমন করেন অতঃপর নামায আদায় করেন, তাওয়াফ করেন, পবিত্র মসজিদে হারাম শরীফে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের মাধ্যমে সারা রাত জেগে থাকেন, এমনকি তারা পূর্ণ কুরআন শরীফ খতম করেন। আর যাঁরা একশ রাকাআত নামায আদায় করেন তাঁরা প্রত্যেক রাকাআতে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার সাথে দশবার পবিত্র সূরা ইখলাস শরীফ তিলাওয়াত করেন। পবিত্র যমযম উনার পানি পান করেন, এর দ্বারা গোসল করেন এবং অসুস্থদের জন্য তা জমা করে রাখেন। এসব আমলের মাধ্যমে উনারা উক্ত পবিত্র রাতের বরকত অন্বেষণ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে অনেক হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। (আখবারু মক্কাতা লিল ফাকিহী; ৩ খ- ৮৪ পৃষ্ঠা, লিখক: হযরত আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন ইসহাক বিন আব্বাস মাক্কী ফাহিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি)

২৭২ হিজরী হযরত ইমাম ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওফাত সন। অর্থাৎ তিনি পবিত্র নববী যুগ উনার অনেক কাছের একজন মানুষ। তিনি বর্ণনা করছেন- অতীত থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত পবিত্র মক্কা শরীফ উনার নারী-পুরষগণ পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পালন করতেন অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু করে এই আমল চলে আসছে। শুধু তাই নয়, পবিত্র মসজিদে হারাম শরীফেও এ রাতে ইবাদত হতো। সুবহানাল্লাহ!

বাতিলদের কাছে প্রশ্ন- যদি এই আমল বিদয়াত হতো, তাহলে সেই সোনালী যুগে কেউ এই আমল উনার বিরোধিতা করেছে কি? কোনো প্রমাণ কি ওহাবীরা দেখাতে পারবে? কস্মিনকালেও পারবে না।

তাহলে আজ ১৪০০ বছর পর এসে কারা এই সুমহান রাত ও আমল উনার বিরোধিতা করছে? কারা বিরোধিতা করে নব্য মতবাদ প্রচার করছে? যারা পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান উনার বিরোধী তারাই বিদয়াতী তার নব্য গুমরাহ ও বিভ্রান্ত মালউন। তারা চায় না- মানুষ নেক আমল করে বিশেষ রাত উনার ফযীলত ও রহমত লাভ করুক।

শুধু তাই নয়, ইতিহাসে প্রমাণিত বিখ্যাত খলীফা ও তাবেয়ী হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কিছু বিশেষ দিবস পালন করার জন্য এক গভর্নরকে চিঠিও লিখেছিলেন। বিখ্যাত ইমাম হযরত রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

بإسناده إلى عمر بن عبد العزيز رحمة الله عليه أنه كتب إلى عدى بن أرطاة: “عليك بأربع ليال فى السنة فإن الله يفرغ فيهن الرحمة، أول ليلة من رجب وليلة النصف من شعبان وليلة الفطر وليلة النحر

অর্থ: হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার গভর্নর আদী ইবনে আরত্বাতকে চিঠি লিখলেন যে, বছরে চারটি রাত আপনাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্র্ণ। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি এই পবিত্র রাতে খাছ রহমত নাযিল করেন। যথা- পবিত্র রজব মাস উনার প্রথম রাত, ১৫ শা’বান রাত (লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান), ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার রাত। (লাতায়েফুল মা’য়ারেফ ১৬২)

সুতরাং এই রাতের আমল খাইরুল কুরুন উনার সময় থেকে চলে আসছে। এই সুমহান রাত উনার আমল নতুন কিছু না। এই আমল সুন্নত, যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। আর শরীয়তসম্মত বলেই খাইরুল কুরুনে এই আমল পালিত হয়েছে, এখনো হচ্ছে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত হবে। যারা বিরোধিতা করবে, তারাই বিদয়াতী, ইসলামবিদ্বেষী। এদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

-মুহম্মদ মুনাওওয়ারুদ্দীন

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।