পবিত্র ছহীহ্ হাদীছ শরীফ ও পবিত্র দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ উনাদের প্রসঙ্গে কিছু কথা

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিায়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগণ উনাদের ও হযরত তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকেই পবিত্র হাদীছ শরীফ বলে।

মুহাক্কিক্বীন, মুদাক্কিক্বীনগণ উনাদের মতে পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার সংখ্যা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যত বালুকণা ও পথরকণা আছে তার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ! (উছূলূশ শাশী)

যুগের পরিবর্তনে, কাগজপত্রের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে, বিভিন্ন মুখী সমস্যার দরুণ এবং ইহুদী-নাছারা ও মুনাফিকদের গভীর ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে অসংখ্য অগণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার যমীন থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে। আর লিখিত হয়েছে মাত্র সামান্য সংখ্যক পবিত্র হাদীছ শরীফ। যা প্রকৃতপক্ষে বর্ণিত সকল বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার তুলনায় কিঞ্চিত মাত্র।

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা, হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা, হযরত তাবে তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা, হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ও হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সারা যিন্দিগী মুবারক অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সেই প্রাপ্ত সামান্য সংখ্যক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে নিয়ে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে বিশুদ্ধভাবে বর্ণনা করার ও বর্ণিত হওয়ার জন্য নির্ধারণ করেছেন অনেক উছূল বা মূলনীতি। যাকে উছূলুল হাদীছ শরীফ বলা হয়। ছহীহ, দ্বয়ীফ ইত্যাদি সেই উছূলুল হাদীছ শরীফ উনারই পরিভাষা। প্রত্যেক ব্যক্তিই তার ইলম, আক্বল, আমল, অবস্থা ও ব্যক্তিগত যোগ্যতা অনুযায়ী কথা বলে থাকেন। সে কারণেই হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বর্ণিত উছূলের মধ্যেও মত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। কোন একজন মুহাদ্দিছ যে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে দ্বয়ীফ বা দূর্বল বলে পরিহার করেছেন অন্য একজন মুহাদ্দিছ আবার ওটাকে ছহীহ বলে গ্রহণ করেছেন।

হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে দ্বয়ীফ বলে পরিত্যাগ করেছেন, সেই পবিত্র হাদীছ শরীফই আবার হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ অন্যান্য হযরত ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ছহীহ্ বলে গ্রহণ করেছেন। আবার হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে দ্বয়ীফ বলে পরিত্যাগ করেছেন, সেই পবিত্র হাদীছ শরীফই আবার হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ অন্যান্য হযরত ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ছহীহ বলে গ্রহণ করেছেন।

সুতরাং হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই উনাদের ব্যক্তিগত ইলম, আক্বল, আমল ও সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে উছূল নির্ধারণ করায় এহেন মত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

এ প্রেক্ষিতে প্রশ্ন আসে যে, হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের বর্ণিত উছূলের মধ্যেই যদি পার্থক্য থাকে, একই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে কেউ ছহীহ, কেউ দ্বয়ীফ আবার কেউ মওযু বা বানোয়াট বলে থাকেন তাহলে পবিত্র হাদীছ শরীফ কি করে গ্রহণযোগ্য হবে? আরো প্রশ্ন উঠে যে, কেনইবা এভাবে একই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাপারে এই ভিন্নমত? এর পিছনে কি কারণ রয়েছে?

মূলতঃ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার একটি উছূল হলো বাহ্যিক অবস্থার উপরে ফায়ছালা করা। হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা নিজ বর্ণিত উছূল উনার ভিত্তিতে বাহ্যিকভাবে একেকজন রাবী সম্পর্কে যা যা জেনেছেন সে অনুযায়ী কোন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে গ্রহণ করেছেন অথবা পরিত্যাগ করেছেন। অথচ অনেক বড় বড়, ভাল, সৎ ও নির্ভরযোগ্য ও হক্ব রাবী বা মুহাদ্দিছ উনাদের  ব্যাপারে সুক্ষ্মভাবে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে, উনাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, উনাদেরকে মিথ্যাবাদী, প্রতারণাকারী, ধোঁকাদানকারী ইত্যাদি বলেও বিষোদগার করা হয়েছে, উনাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে অনেক কিতাবাদী লিখা হয়েছে, অনেক বড় বড় ও নির্ভরযোগ্য লিখকের বিদায়ের পরে উনাদের কিতাবের মধ্যে উনাদের ব্যাপারে এলোমেলো ও মিথ্যা কথা লিখে রাখা হয়েছে। যার কারণে পরবর্তী হযরত মুহাদ্দিছিনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উক্ত ভুয়া সমালোচিত রাবী উনাদের বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ গ্রহণ করেননি বরং দ্বয়ীফ বা জাল বলে পরিত্যাগ করেছেন। যদিও তা ছহীহ্ বা বিশুদ্ধ।

যেমন এই গভীর ও সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রেরই স্বীকার হয়েছেন, সারা পৃথিবীর সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ, সকল ইমাম উনাদের সেরা ইমাম, অসংখ্য ছাহাবী ও তাবিয়ী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দর্শন লাভকারী সারা পৃথিবীর সমস্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ আয়ত্ত্বকারী, দায়মীভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দর্শন লাভকারী, ইমামুল মুজতাহিদীন, ইমামুল আইম্মা হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি।

সরাসরি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ চার হাজার বিখ্যাত হযরত মুহাদ্দীছিনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মাধ্যমে কোটি কোটি তথা সারা পৃথিবীর সমস্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ তিনি সংগ্রহ করেছেন, তিনিই সমস্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে যাচাই-বাছাই করে সমস্ত বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা ফিক্বাহ শাস্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। অথচ সেই হানাফী মাযহাব উনার অধিকাংশ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে এক শ্রেণীর ধর্ম ব্যবসায়ী, প্রতারক ও মুনাফিক, নামধারী মাওলানারা দ্বয়ীফ এমনকি জাল ও মওজু হাদীছ বলেও অপপ্রচার চালাচ্ছে।

অনুরূপ এভাবে মুসলমানদের আমল সংক্রান্ত অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্তমানের দেওবন্দি, ওহাবী, জামাতী, ও লামাযহাবী, সালাফীরা দ্বয়ীফ ও জাল বলছে। হাক্বীক্বত মুসলমান উনাদের আমল ও আক্বীদা নষ্ট করার জন্য ও মুসলমান উনাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে ফিতনা তৈরির জন্য মুসলমান উনাদের চির শত্রু  ইহুদীদের এজেন্ট হয়ে এ কাজগুলো করছে তথা অসংখ্য ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে তারা দ্বয়ীফ ও জাল বলে মানুষকে আমল থেকে বিরত রাখছে। যেমন, (১) ফরয নামাযের পরে হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ (২) জানাযার নামাযের পর দাফনের পূর্বে মুনাজাত করা সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ (৩) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করেছেন এ সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ (৪) পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র শবে ক্বদর উনাদের ইবাদত সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ (৫) আযানের সময় আঙ্গুলী চুম্বন করা সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ। (৬) মাজার শরীফ বা কবর যিয়ারত করা সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ (৭) কদমবুছী করা সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ (৮) পাগড়ী পড়া দায়িমী সুন্নত সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অসংখ্য বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকেই উল্লেখিত বাতিলপন্থীরা দ্বয়ীফ, জাল  ও মওজু বলছে। অথচ ঐ সকল পবিত্র হাদীছ শরীফ লক্ষ লক্ষ নির্ভরযোগ্য হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম ও ওলীআল্লাহ উনারা বিশুদ্ধ বলে দলীল পেশ করেছেন।

ওহাবীরা তাদের মতের খিলাফ যে কোন বিষয় হলেই তারা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে দ্বয়ীফ ও জাল এবং মওজু বলে প্রচার করে থাকে। অথচ “সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে আমলের জন্য যে কোন দ্বয়ীফ পবিত্র হাদীছ শরীফ গ্রহণযোগ্য বলে সমস্ত হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ঐক্যমত পোষণ করেছেন।

মুলতঃ কোন পবিত্র হাদীছ শরীফই দ্বয়ীফ নয়। কোন একজন রাবীর কারণে কোন কোন মুহাদ্দিছ উনার নিজস্ব উছূলের ভিত্তিতে কোন কোন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে দ্বয়ীফ বলা হয়। (তাও আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য)। আবার অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে ছহীহও বলেছেন।

তবে এক শ্রেণীর মিথ্যাবাদী ও প্রতারকরা ইহুদী-নাছারাদের কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে অনেক জাল হাদীছ রচনা করেছে। যা পরবর্তীতে মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যাঁচাই-বাছাই করে নির্ধারণ করেছেন। তবে জাল হাদীছ শরীফ সংক্রান্ত অনেক কিতাবে লিখকের অসতর্কতার কারণে অথবা বাহ্যিকভাবে অন্য কোন কিতাব থেকে সংকলন করার কারণে অনেক ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে দ্বয়ীফ ও মওযু বলা হয়েছে যা সত্যিই দুঃখজনক বিষয়।

দ্বয়ীফ ও জাল হাদীছ শরীফ নির্ধারণকারীর হাক্বীক্বী যোগ্যতা:

যে কোন ব্যক্তি দ্বয়ীফ ও জাল হাদীছ নির্ধারণ করতে পারেনা। উহা নির্ধারণ করার জন্য ইলমে ফিক্বহ-এর সাথে সাথে ইলমে লাদুন্নী থাকতে হবে। অন্যথায় সে অনেক  ছহীহ্ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে জাল হাদীছ বলার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মিথ্যা বলার দরূন জাহান্নামী ও কাফির হবে। যেমন, বর্তমানের ওহাবী-খারেজী ও লা-মাযহাবীদের অবস্থা।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, একবার মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে উনার মুরীদগণ জিজ্ঞাসা করলেন যে, হে আমাদের শায়েখ! হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারাসহ পৃথিবীর অনেক বড় বড় হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা

من عرف نفسه فقد عرف ربه

এই পবিত্র হাদীছ  শরীফ উনাকে জাল বলেছেন। কারণ উনাদের বাহ্যিক মতে উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কোন নির্ভরযোগ্য সনদ নেই এবং উনার কোন নির্ভরযোগ্য দলীল নেই। সুতরাং আপনি এ ব্যাপারে কি বলেন? তিনি বললেন, আমি আগামীকাল এর উত্তর দিব। পরের দিন প্রশ্নোত্তরে তিনি বললেন, আজ রাতে আমি স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেছেন “এটা আমার পবিত্র হাদীছ শরীফ; যদিও তার কোন সনদ না থাকুক।”

এ ঘটনা থেকে বুঝা গেল যে, অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ কিতাবাদির দুষ্প্রাপ্যতার কারণে অথবা কেউ বর্ণনা না করার কারণে গায়েব হয়ে গিয়েছে। যা ইলমে মা’রিফতে পূর্ণতাপ্রাপ্ত ইলমের হাক্বীক্বী নূর মুবারক উনার ধারক-বাহক ও মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে ধন্য ওলীআল্লাহগণ উনারা সরাসরী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে জেনে বর্ণনা করেন। তবে তা অবশ্যই অন্য কোন নির্ভরযোগ্য দলীল আদিল্লাহ উনার খিলাফ হবে না। বরং তা মুতাবায়াত ও শাহাদাত উছূলের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য হবে।

-হাফিযুল হাদীছ মাওলানা মুফতী মুহম্মদ ফযলুল হক

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম