পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার গুরুত্ব এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ ব্যতীত পবিত্র কুরআন শরীফ তথা পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করা কষ্মিনকালেও সম্ভব নয়

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

পবিত্র হাদীছ শরীফ হলো- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত  ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ও হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতি। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আরেকটি নাম মুবারক হচ্ছে পবিত্র সুন্নাহ শরীফ। পবিত্র হাদীছ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার সংখ্যার কোন সীমা এ যাবত পৃথিবীতে কেউই নির্ধারণ করতে পারেননি। তবে কোন কোন হযরত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতে, পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের সংখ্যা মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যতগুলি পাথরকণা বা বালুকণা আছে তার চেয়েও লক্ষ-কোটি গুণ বেশি।” সুবহানাল্লাহ! (উছূলুশ শাশী)

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার একমাত্র মনোনীত, পছন্দনীয়, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত ও পরিপূর্ণ দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। আর এই সুমহান দ্বীন ইসলাম উনার সকল বিষয়েরই সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধান দিয়েছেন এই পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ। পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সন্নাহ শরীফ উনাকে বাদ দিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধবান করা কষ্মিনকালেও সম্ভব নয়। আমভাবে বলা হয় যে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার উছূল হচ্ছে চারটি ১. পবিত্র কুরআন শরীফ ২. পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ ৩. পবিত্র ইজমা শরীফ ও ৪. পবিত্র কিয়াস শরীফ।

কিন্তু সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার প্রথম উছূল পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকেই নির্ধারণ করা হয়েছে এই পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ দ্বারা। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ যে মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম শরীফ তাও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারাই নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি কোন পবিত্র সূরা শরীফ উনার পরে কোন পবিত্র সূরা শরীফ, কোন পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরে কোন পবিত্র আয়াত শরীফ তাও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারাই সাজানো হয়েছে।

এ মর্মে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-

عن حضرت العرباض بن سارية رضى الله تعالى عنه قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ايحب احدكم متكيا على اريكته يظن ان الله لم يحرم شيئا الا ما فى هذا القران الا وانى والله قد امرت ووعظت ونـهيت عن اشياء انـها لـمثل القران  او اكثر

অর্থ : হযরত ইরবাদ্ব ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র খুৎবা শরীফ দানের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি গদীতে হেলান দিয়ে বসে এই ধারণা করে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার  মধ্যে যা কিছু হারাম করেছেন তা ব্যতীত অন্য কিছু হারাম নয়? তোমরা সাবধান হয়ে যাও, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে অনেক আদেশ-নিষেধ মুবারক, অনেক নছীহত মুবারক করেছি সেটাও (সর্ববিষয়) পবিত্র কুরআন শরীফ উনারই অনুরূপ। অথবা তা (আমার পবিত্র সুন্নাহ শরীফ) পবিত্র কুরআন শরীফ উনার চেয়েও অধিক গুরত্বপূর্ণ। (আবু দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)

যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক ছাড়া কোন কথাই বলেন না। (পবিত্র সূরা নজম শরীফ)

কাজেই পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফও মহান আল্লাহ পাক উনারই কালাম শরীফ বা কথা মুবারক। বরং পবিত্র কুরআন শরীফ যে মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম তাও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বা পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারাই নির্ধারণ করা হয়েছে। সেজন্যই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে।

কাজেই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দ্বিতীয় উছূল পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ ব্যতীত সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধবান করা কষ্মিনকালেও সম্ভব নয়। এজন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ  অস্বীকার করা বা অবজ্ঞা করাও কুফরী।

এ সম্পর্কে পবিত্র আকাইদ শরীফ উনার কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে- “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদু তরকারীকে অধিক মুহব্বত করতেন। তাই কদু খাওয়া সুন্নত মুবারক। আর কেউ যদি কদুকে অবজ্ঞা করে বলে যে, “আমি কদু পছন্দ করিনা” তাহলে সে কাফির হবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে তায়াল্লুক থাকার কারণে কদু তরকারী সম্মানিত হয়ে গেছে। সুতরাং পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা কাজ ও মৌন সম্মতি হওয়ার কারণে উহাকে অবজ্ঞা বা অস্বীকারকারীও কাফির হবে।

-হাফিযুল হাদীছ মাওলানা মুফতী মুহম্মদ ফযলুল হক্ব

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম